Golpo romantic golpo আড়ালে তুমি সব পর্বের লিংক সাইদা মুন

আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৯


#আড়ালে_তুমি |০৯|

#_সাইদা_মুন 

মেঘ আজ হেটেই বাসায় ফিরছে। হঠাৎ মেঘের চোখ যায়, রাস্তার ধারেই একটা রেস্টুরেন্টের পাশের ডাস্টবিনে, ফেলে দেয়া অর্ধেক খাওয়া বিরিয়ানির পেকেট থেকে একটা বাচ্চা ছেলে খাবার মুখে দিচ্ছে , 

-“এই কি করছো এগুলো ভালোনা ।”

বলেই ছেলেটির হাত থেকে খাবার পেকেট টা ফেলে দেয়। বাচ্চাটি মেঘের দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে,

-“আপা ফালাইলেন কেনো আমার অনেক খিদা লাগছে কালকে থাইকা কিচ্ছু খাইনাই “

বাচ্চার মুখে এমন কথা শোনে মেঘ বাকরুদ্ধ। বিষ্ময় নিয়ে বলে, 

-“তোমার বাবা মা নেই? “

-“না বাপে মারা গেছে জন্মের সময়, আর মায়ে নানীর কাছে রাইখা আরেক বিয়া করছে। হেই বাপে আমারে দেখবার পারেনা।”

মেঘের ভেতরটা নারা দিয়ে উঠে।চোখের সামনে ভেসে উঠে তার অতীত, তার বাবা মারা যাওয়ার তিন বছর এর মাথায় নানা নানির কথায় মা বিয়ে করেছিল। নতুন বাবা তাকে মেনে নেয়নি তাই মা নানার বাড়িতেই রেখে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তবে…….

মেঘ নিজেকে সামলে নেয় সেসব কথা বাদ দিয়ে ছেলেটির দেখে করুনা হয়। সে তাকে বলে, 

-“আসো আমার সাথে “

-“কই নিয়া যাবেন আপা “

-“ওই সামনের রেস্টুরেন্টে “

তারপর মেঘ ছেলেটিকে নিয়ে গিয়ে কিছু খাবার কিনে দেয়। যেতে যেতে ছেলেটার মাথায় হাত দিয়ে বলে,

-“কিছু একটা কাজ খুঁজে করার চেষ্টা করো, এসব ময়লা খাবার খেয়ো না অসুস্থ হয়ে যাবে বুঝেছো “

এদিকে দূর থেকে রাহুল মেঘের কাজকর্ম দেখছে। তার চোখেমুখে ছিলো মুগ্ধতা, বিষ্ময় আর এক নতুন অন্যরকম অনুভুতি যার নাম সে নিজেও জানেনা। এই মেয়েকে যতবার দেখেছে তার থেকে চোখ ফেরানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নতুন নতুন রূপে দেখেছে, কখনো ভীতু কখনো হাসিখুশি আর এখন এক মমতাময়ী মেঘ। রাহুল নিজের অজান্তেই মেঘের মধ্যেই আটকে ফেলে নিজেকে।

হঠাৎ রাহুলের ধ্যান ভাঙে বাইকের শব্দে। রুদ্র বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিরক্তিতে চ উচ্চারণ করে বলে,  

-“কিরে যাবি নাকি এখানেই থাকবি, তাহলে আমি চলে যাচ্ছি “

-“না না আমিও যাবো “

বলেই বাইক এ উঠে যায়। রুদ্রের কেমন জানি অন্যরকম লাগছে রাহুল কে। রাহুল রুদ্রের ফুফাতো ভাইও আবার ছোট বেলা থেকেই তাদের বন্ধুত্ব তাই হয়তো ছোট খাটো চেঞ্জ ও অতি সহজেই ধরে ফেলে। রুদ্র শান্ত কন্ঠেই জিজ্ঞেস করে, 

-“কাহিনী কি?”

রাহুল থতমত খায়, 

-“মানে কিসের কাহিনি কোনো কাহিনি নেই”

রুদ্র চুপ থাকে আর কিছুই জিগায়নি। তবে কয়েক মিনিট পর রাহুল আবার বলতে লাগে, 

-“দোস্ত একটা মেয়েকে ভালো লেগেছে “

রদ্র অবাক না হয়েই বলে,

-“তাহলে তো ফুপিকে বলতেই হয়  “

-“ধুরু মজা না সিরিয়াস আমি “

-“তোহ?”

-“তো জিগ্যেস করবি না কে সেই মেয়ে”

-“কেনো তর প্রেমিকা কে চিনে আমি কি করবো “

রাহুল একটু হতাশ হয়। এই শালা যে রসকষহীন জানা কথা। 

-“তো পছন্দ করিস প্রপোজ করে ফেল “

-“আসলে আমি সিউর না সে আমাকে নিয়ে কি চিন্তা করে “

-“তাহলে একটু টাইম নে “

-“হুম, তবে ভয় লাগছে যদি রিজেক্ট খাই”

-“ঠিকানা বলিস বাসা থেকে তুলে এনে দিবো “

রুদ্রের কথায় রাহুলের মুখে প্রাপ্তির হাসি ফুটে উঠে পেছন থেকে রুদ্রের গলা জড়িয়ে ধরে। এই ছেলেটা ছোট বেলা থেকেই তাকে সাপোর্ট করে, কেউ কিছু বলার আগেই রুদ্র তার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। 

———————–

পরেরদিন ক্লাসে আসতেই  সুমনা আর রিকের যুদ্ধ লেগে যায়। মুলত পসিবল এর বিপরীত শব্দ নিয়ে ঝামেলা। 

-“বললাম না ডিস্পসিবল “সুমনা কর্কশ গলায়। 

রিক সুমনার কথা শোনে হাসতে হাসতে পেটে ধরে বলে, 

-“শা*লি মুর্খ তর বাপ মা তো হুদাই টাকা নষ্ট করলো তর পিছে। এটা ডিস্পসিবল না আনপসিবল হবে “

এদিকে মেঘ নিরব দর্শক হয়ে এদের কাহিনি দেখে যাচ্ছে। অবশ্য তাকে কিছু বলার সুযোগ ও দিচ্ছে না। এর মধ্যে পিহুও হাজির হয়, এদের ঝগড়া দেখে বসতে বসতে পিহু মেঘকে জিগায়, 

-“কিরে এদের আবার কি হলো? “

 মেঘ তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,

-“দেখতে থাক,  আমি ক্লান্ত “

তখন রিক আবার বলে উঠে, 

-“এই তুই জানিস আমি ইংলিশে সবসময় এ+ পেয়ে এসেছি এসব ইজি ওয়ার্ড আমি হাজারটা জানি “

সুমনা রেগে বলে,

-“আমি গোল্ডেন এ+ পেয়েছি তর থেকে বেশি জানি আমি “

পিহু এদের ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে বলে, 

-“কি হয়েছে এমন ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো ম্যা ম্যা করছিস কেনো তোরা “

পিহুর গলায় ওরা চুপ হয়ে যায়। সুমনা নাক ফুলিয়ে বলে,

-“দেখনা পিহু, পসিবল এর বিপরীত আমি বলছি ডিস্পসিবল তবে এই মুর্খ বলছে আনপসিবল বলে “

রিক তেতঁ উঠে বলে, 

-“এই তুই মুর্খ। পারিস কিছু? এইটা আনপসিবলই হবে “

পিহু এদের কথা শোনতেই আপনাআপনি তার মুখ অফ হয়ে যায়। মেঘের দিকে একপলক তাকায় দেখে মেঘ কোনোরকমে হাসি কন্ট্রোল করে আছে। এবার দুজনের নজর এক হতেই কেউ আর হাসি ধরে রাখতে পারেনি ক্লাস ফাটিঁয়ে হাসতে শুরু করে। একে অপরের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে প্রায়। 

এদের হঠাৎ হাসিতে রিক আর সুমনার ঝগড়া থেমে যায়, দুজনেই চুপসে যায় এরা হাসছে কেনো। রিক ফিসফিস করে বলে,

-“এদের কি ভূতে ধরলো “

সুমনাও নখ কামড়ে বলে,

-“জানিনা তো ধরতেও পারে “

মেঘ হাসি থামিয়ে বলে, 

-“মুর্খের দল এটা ডিস্পসিবল আর আনপসিবল না এটা হবে ইম্পসিবল “

পিহু হাসতে হাসতে বলে,

-“ভাই তোদের ইংলিশ ওয়ার্ড শুনলে যে ইংরেজি বই বের করেছে সে কবর থেকে উঠে আসবে “

তাদের কথায় দুজনেই লজ্জা পেয়ে যায়। কথা ঘুরাতে বলে, 

-“আমরা তো নিউ শব্দ বের করছিলাম, তাই নারে সুমনা?”

সুমনাও থমথমে মুখে বলে,

-“হ্যা হ্যা এগুলো নিউ ওয়ার্ড পেন্ডিং এ আছে শীঘ্রই আসবে “

এদের কথার মাঝেই টিচার চলে আসে, সবাই ক্লাসে মন দেয়। ক্লাস টিচার এনাউন্স করে পরশুদিনই নাকি তাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান হবে। এমনিতেই দেশের কিছু জটিলতার কারনে ইয়ার লেইট এ শুরু হয়েছে তাই একটু তাড়াতাড়িই সব এ্যারেঞ্জ করা হয়েছে। কেউ কিছুতে অংশগ্রহণ করতে চাইলে আজকের মধ্যেই নাম লেখাতে বলেছে। 

তা শোনে সবাই হায় হতাশ করছে এতো তাড়াতাড়ি হলে তারা কেমনে কি করবে অনেকের ডান্স প্রেক্টিস বাকি, নাটকের রিহার্সেল বাকি কখন এসব করবে ভাবছে ক্লাসজুড়ে। এদিকে পিহু ধরে আরেক বায়না তারা নাকি গ্রুপ ডান্স করবে। কিন্তু মেঘের সোজাসাপটা উত্তর সে এসবে নাই, 

-“প্লিজ জানু মনু আমার মেঘ শোনা রাজি হয়ে যা না। রাজি হলে তোকে আমি আমার ভাবি বানামু..যা ।”

মেঘ গম্ভীর কন্ঠে বলে,

-“চুপ তর ভাবি হওয়ার শখ নাই,  আমি এসবে নাই। তরা নাচ, না করেছি নাকি “

পিহু বলে,

-“আরে আমার ভাই সেই হ্যান্ডসাম, সব মেয়ের ক্রাশ, তরে পটাই দিবোনে”

-“আমার লাগবে না, আমি কোনো নাচঁটাচে নাই। স্টেজে সবার সামনে দাড়াতেই হাত পা কাপঁবে”

-“আরে আমি যেই ডান্স থীম ভেবে রেখেছি কেউ আমাদের চিনবেই না মুখ দেখবোই না দেখিস প্লিজজ..”

সবার জোড়াজুড়িতে মেঘ একপর্যায়ে রাজি হয়। সে এই অব্দি কোনোকালেই স্কুল কলেজের কোনো কিছুতে পার্টিসিপেট করেনি। তাই চাইছিলো না তবে এদের কথা ফেলতেও পারছে না।  

ক্লাস শেষ করে স্যার চলে যেতেই। রুদ্র তার ফুল গ্রুপ নিয়ে প্রবেশ করে ক্লাসে। সব মেয়েরা তো ভীষণ খুশি। রুদ্রকে  দেখে একেকজন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে যেনো। রুদ্র এসেই পকেটে হাত দিয়ে সামনে দাঁড়ায়। 

-“অ্যাটেনশন প্লিজ”

মেঘ পানি খাচ্ছিলো আর পিহুর কথা শুনছিল হঠাৎ রুদ্রের কন্ঠ শোনে মুখে পানি রেখেই সামনে তাকায়। রদ্রও মেঘকে এভাবে গাল ফুলিয়ে থাকতে দেখে ব্রু কুচকায়। এদিকে পিহু মেঘের গালে দেয় একটা গুতা সাথে সাথে তার মুখ থেকে সবটা পানি পড়ে সামনের ব্রেঞ্জ এ, কিছুটা জামায় পড়ে। 

রুদ্র চোখ ছোট ছোট করে হালকা আওয়াজে বলে,

-“ইডিয়েট “

তারপর কাজের কথায় আসে,

-“স্যার নিশ্চয়ই বলে গিয়েছেন নবীন বরণ নিয়ে কথা। তো আমরা এর দায়িত্বে আছি……”

সায়ান বলতে লাগে

-“মেয়েদের জন্য শাড়ি আর ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি অর্ডার দিয়ে রেখেছি। এর জন্য সবাইকে ৫০০ টাকা করে পে করতে হবে। এবং এটা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। কালকের মধ্যে জমা দিয়ে দিবে সবাই। আর আজকে যারা যারা পার্টিসিপেট করতে চাও, রিহার্সেল রুমে এসে নাম দিতে পারো।”

বলেই তারা চলে যায়। তবে অনু যায়নি। মেঘের সামনে এসে বলে,

-“রুদ্র তোমাকে ডেকেছে, লাইব্রেরিতে চলে যেও “

অনু যেতেই মেঘ উঠে যেতে নেয়। পিহু আটকে বলে,

-“আমার সন্দেহ হচ্ছে এর আবার অন্য প্লান না তো?”

-“আরে না হয়তো রুদ্র ভাইয়াই ডেকেছে আবার কোন অ্যাসাইনমেন্ট করাতে কে যানে। আমি শোনে আসছি দাড়া “

বলেই মেঘ হাটা দেয় লাইব্রেরির দিকে তবে লাইব্রেরির সামনে যেতেই কয়েকটা মেয়ে মেঘকে ঘিরে ধরে। মেঘ প্রশ্ন নিয়ে তাকায় তাদের দিকে তারপর সাইড কাটিয়ে আসতে নেয় তবে তখনই অনু এসে মেঘের সামনে দাঁড়ায়। শয়তানি হেসে বলে, 

-“হাই মেঘ “

মেঘ ব্রু কুচকে বলে,

-“আপু কইছু বলবেন?”

-“বলবো মানে অনেক কিছু বলবো সাথে করবো “

বলতে বলতে অনু তার কাধঁ দিয়ে মেঘকে ধাক্কা দেয়। এতে মেঘ কিছুটা পিছিয়ে যায়। বাকি মেয়েরা হাসছে মেঘকে নিয়ে। অনু বলে,

-“এবার ডাক কাকে ডাকবি, দেখি কে বাচাঁয়। রুদ্রের কাছে আমার নামে বিচার দিয়েছিস কোন সাহসে।”

মেঘ অবাক হয় সে কখন কি বিচার দিলো। সে বিষ্ময় নিয়েই বলে, 

-“আমি রুদ্র ভাইয়াকে কখন বিচার দিলাম?”

অনু রেগে আরেকটা ধাক্কা মেরে বলে, 

-“মিথ্যা বলিস? কালকে তুই রুদ্র কে বলেছিস বলেই রুদ্র আমাকে দিয়ে তোকে স্যরি বলিয়েছে। আর তখনই সবার সামনে তর বান্ধুবি আমাকে অপমান করলো। এতো সহজে ছেড়ে দিবো তকে?”

মেঘ চুপসে যায়। কি বলবে ভয় লাগছে তার। এরকম পরিস্থিতিতে কোনোদিন পড়েনি আর পড়বে ভাবেও নি। কাউকে সাথে নিয়েই আসতাম। 

মেঘকে চুপ থাকতে দেখে অনু মেঘের হাত থেকে তার মোবাইলটা নিয়ে দেয়ালের দিকে ছুড়ে মারে সাথে সাথে দুইভাগ হয়ে যায়। তা দেখে মেঘ মোবাইল উঠাতে যায় তবে অনু মেঘের হাত ধরে ফেলে। তার দুইগাল চেপেঁ ধরে বলে,

-“বেশি বেড়ে গিয়েছিস তাই না? আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়ার সাধ এখন তর মেটাবো।”

বলে মেঘের গালে থাপ্পড় দিতে হাত উঠাতেই। কেউ পেছন থেকে অনুর চুলের মুঠি ধরে টান দেয়। টানের সাথে নিজেকে সামলাতে না পেরে পেছন দিকে উল্টে পড়ে। তাকিয়ে দেখে পিহু। অনু পিহুকে দেখে রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগেই পিহু আবার তার উপর আক্রমণ করে। দুই হাতে চুল টেনে ধরে একে পিঠের মধ্যে ইচ্ছেমতো দিচ্ছে। 

এসব দেখে সাথে যেই মেয়ে গুলো এসেছিলো তারা দূরে সরে যায় ভয়ে। মেঘ সুমনা গিয়ে পিহুকে আটকানোর চেষ্টা করে। এটা ভার্সিটি যদি স্যারের কানে যায় অনেক ঝামেলা হবে এই ভেবে। তবে পিহুর সাথে পেরে উঠছে না। এদিকে অনুর অবস্থা খারাপ। 

দস্তাদস্তির একপর্যায়ে অনু পিহুকে ধাক্কা মেরে নিজের থেকে সরায়। পিহুর রাগে শরীর কাপছে সে আবার যায় অনুকে ধরতে তবে মেঘ সুমনা আটকে দেয় তাকে। 

-“ছাড় আমাকে এরে তো , সাহস কতো বড় এর “

অনুর চুলের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে মুখ একদম লাল হয়ে আছে বেচারি মার খেয়ে ব্যাথায় কাদঁছে। পিহু একে আবার বলে,

-“এই তোকে না ওয়ার্ন করেছিলাম মেঘের থেকে দূরে থাকতে, সিনিয়র সিনিয়রদের মতো থাকতে।”

পরিস্থিতি খারাপ দেখে একটি মেয়ে এগিয়ে এসে অনুকে ধরে নিয়ে দ্রুত সেই জায়গা ত্যাগ করে। 

পিহু চটে যায় মেঘের উপর, 

-“তুই এই মেয়ের কথা শোনে আসলি কেনো?  এখন যদি আমরা না আসতাম কি হতো?”

মেঘ সুমনা পিহুকে শান্ত করতে করতে ক্লাসে নিয়ে যায়। সেদিন আর মুড ঠিক না থাকায় কেউ ক্লাস করেনি বাসায় চলে যায় সবাই। 

চলবে…….

Share On:

TAGS: , ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply