Golpo romantic golpo চার বছরের চুক্তির মা

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২


বছরেরচুক্তির_মা

পর্ব_০২

লেখিকাSবোকাফুল (ছন্দনাম)

নাজমুল হুদা বলার সাথে সাথে শুভ্র গিয়ে সারা রুমে নক করলো..সারা তখন জামা-কাপড় গুচাচ্ছিলো দরজায় কেও নক করছে ভেবে মাথায় উড়না দিয়ে বলে উঠলো…..

-কে…?

-আমি শুভ্র..! ( ক্ষীন স্বরে বললো শুভ্র)

এক মুহুর্তের জন্য কেপে উঠলো সারা ছোট্ট নারি সত্তা কেন এসেছেন তিনি এখানে.. যে জন্যই আসুক না কেন ভিতরে তো আসতে বলতে হবে ভদ্রতার খাতিরে..তাই সারা সাত পাচ না ভেবে বল্লো ভিতরে আসুন..!

সারা বলার সাথে সাথে শুভ্র ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো…দরজা লাগানো দেখে সারা একটু ভড়কে গেলো…

-একি দরজা লাগাচ্ছেন কেন…?

-তোমার সাথে কিছু কথা আছে…!

-কিহ..এতক্ষনে সারা শুভ্রকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করলো..ছয় ফুট লম্বা। গায়ের রঙ উজ্জ্বল ফর্সা।। জিম করা সিক্স প্যাক বডি..গাল ভর্তি চাপ দাড়ি..কালো রঙের প্যান্ট এর সাথে সাদা শার্ট হাতের পেশিবহুল শাটের উপর ভাসমান..প্রথম দেখায় সারা ক্রাশ খেয়ে গেলো..যদিও এই অনুভূতি টা নতুন তার কাছে তবে খুব ভালো লাগছে…!

-এই যে শুনছো…?

শুভ্রর ডাকে সারা হুস ফেরে তড়িৎ বেগে উত্তর দেয়।।

-জি..!

-তোমার নাম কি..!

-সারা… সিদরাতুল সারা..!

-ওহ…শুভ্র এক দমকা নিশ্বাস ছাড়লো..!

শুভ্র একটু থেমে বলে উঠলো মিস সারা তোমাকে আমি নিতে এসেছি গুছিয়ে নাও এক্ষুনি বের হবো..!

শুভ্রর কথার আগা মাথা কিছু না বুজে সারা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে শুভ্রর দিকে তাকাতেই শুভ্র হাতে থাকা ডিল পেপার টা সারা হাতে দিয়ে বলে উঠে…

-তোমার মামা আগামী চার বছরের জন্য তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে দিছে বিশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে..তবে চিন্তা নেই তোমার কাজ হলো আমার ছোট্ট মেয়েকে দেখা..!

সারার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো এটা কি শুনছে মামা কি করছে এই লোক কি পাগল চার বছর কি ছেলে খেলা নাকি আর আমি কেন ওনার বাচ্চাকে দেখবো..!

আমি বাইরে গেলাম দশ মিনিটের মধ্যে বাইরে এসো আমরা এক্ষুনি বের হবো..বলেই শুভ্র হন হন করে রুম থেকে চলে গেলো..শুভ্রর বয়স ছাব্বিশ বছর..শুভ্র চলে যাওয়ার সাথে সাথে সারা মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো তখনই তার মামা নাজমুল হুদা রুমে প্রবেশ করলেন….

নিজের মামাকে রুমে আসতে দেখে সারা কেদে দিলো.. এই সেই মামা যে কিনা সেই ছোট্ট থেকে আগলে রেখেছে তাকে..সারা গিয়ে নাজমুল হুদাকে জড়িয়ে ধরলো চোখ দিয়ে পড়ছে নোনাজল..সারা কাদতে কাদতে বল্লো..

-মামা বলোনা ওই লোক যা বল্লো সব মিথ্যা.. আমি তোমাদের ছেড়ে যাবো না..তোমরা আমার সাথে মজা করছো..সারা চতুর্দশি মন তখন ও বুজতে পারেনি তার জিবনে কি ঘটবে সামনে….

-নাজমুল হুদা সারার মাথায় হাত রেখে আস্তে করে বললেন শুভ্র যা বলেছে সত্যি বলেছে আমার খুব টাকার দরকার রে মা..তুই তো জানিস তোর মামির ভাইটার অসুখ দশ লাখ টাকা লাগবে..!তাই তো আমি এমন…

নাজমুল হিদা কথা শেষ করতে পারলো না তার আগেই সারা বলে উঠলো…

-এই তোমরা আমাকে ভালোবাসতে..মামির ভাইয়ের জন্য আমাকে বিক্রি করে দিলে..তোমরা কি মানুষ..সারা আর কিছু বলার পুর্বেই সপাটে চড় বসিয়ে দিলো নাজমুল হুদা।।গম্ভীর কন্ঠে বললেন যা বলছি কর এক্ষুনি চলে যা তুই আমার আপন বোনের মেয়ে না.. যে তোর প্রতি এত দরদ দেখাবো..আর কিছু শুনতে পেলো না সারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো মাটিতে…!


তালুকদার বাড়িতে…..

সকাল দশটা বেজে পয়ত্রিশ মিনিট ডাইনিং টেবিল এ বসে খাবার খাচ্ছে শুভ্র.. পাশে সোফায় বসে অরুকে ফিডিং করাচ্ছে সারা…শুভ্র সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো..সে জানে না এই মেয়ের মধ্যে কি দেখেছে সে. যে এই ছাব্বিশ বছরেও কোনো মেয়ের মধ্যে দেখেনি..শুধুই কি মায়া নাকি আত্মিক টান..ভেবে পাইনা শুভ্র খাওয়া শেষ করে সারার কাছ থেকে অরুকে নিয়ে নেই তার পর সারাকে খেয়ে রুমে আসতে বলে.. এবং শুভ্র দুতলার দিকে পা বাড়ায়.. এতক্ষনে অরু ঘুমিয়ে গেছে..!

সারা ডাইনিং টেবিল এ বসে খাচ্ছে আর বাড়ির চারিদিকে চোখ বুলাচ্ছে…বিশাল বাড়ি।চারিদিকে আভিজাত্যর ছাপ স্পষ্ট.. হয়তো শুভ্র নামক মানুষটা খুব শৌখিন..বিশাল ডাইনিং রুম একপাশে খাবার টেবিল তার ঠিক পাশেই কিচেন..ডাইনিং টেবিল এর অন্য পাশে সোফা রাখা…মেইন দরজা দিয়ে ঢুকলেই সোজাসোজি দুতলায় উটার সিড়ি দুতলায় পরপর তিন টা বেড রুম..দুতলার উত্তর দিকে শেষ পাশে সাদে উঠার সিড়ি আর ঠিক উলো পাশে এক সাদ বারান্দা..!

সারা খেয়ে উঠতেই একজন মহিলা এসে সারা হাত থেকে এটো থালাবাসন নিয়ে গেলো..সারা বেসিন থেকে হাত ধুয়ে সিড়ির দিকে যেতেই….

চলবে……

-(তোমাদের রেসপন্স পেয়ে খুব ভালো লাগছে আজকের পর্ব কেমন হয়েছে বলে যাবে আশা করি ভালো লাগবে..পরবর্তী পর্ব চাইলে কমেন্ট করো)-

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply