সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি
neela_rahman
পর্ব_৭১
আজ সকাল সকাল অফিসে চলে গিয়েছে সাদাফ।কাল হুমায়ন রহমান ও ফজলুর রহমান গিয়েছিল কিছু কাজ রয়েছে সাদাফ ছাড়া হবে না।
সাদাফের সিগনেচার লাগবে ।বাসায় পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল ফাইল । কিন্তু ছাদাফ বলেছে না এখন অনেকটা সুস্থতা বোধ করছে তাই অফিসে গিয়েই কাজ করতে পারবে।
নুর সকাল থেকে এদিক-ওদিক সাদাফকে খুঁজে না পেয়ে নওরিন আফরোজ কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল ,” বড় আম্মু সাদা ভাইয়া কোথায় ?”
নওরিন আফরোজ বলল ,”ও তো সকাল সকাল অফিস চলে গিয়েছে ।তুই দেখিস নি ?”
নুর বলল ,”না আমার তো ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে তাই দেখিনি।”
“কথাটি শুনে মন খারাপ হয়ে গেল নূরের ।সকাল সকাল ওকে না বলে চলে গেল কেনো?শরীর অসুস্থ ছিল তাহলে কেন অফিসে গেল ?ডান হাত দিয়ে তো কোন কাজও করতে পারবেনা ।”মনে মনে ভাবতে লাগলো নুর।
এদিকে অফিসে হুমায়ুন রহমান ফজলুর রহমান ও সাদাফ একটি মিটিংয়ে বসেছে ।প্রোডাকশনে কিছু ঝামেলা হয়েছে ফাইলগুলো নিয়ে ঘেটে ঘেঁটে দেখে বলছে প্রোডাকশনে কি কি ঝামেলা কোথায় কোথায় ঝামেলা হয়েছে।
তারপর সাদাফ ফজলুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বলল ,”আব্বু প্রোডাকশনের একটি মিটিং কল করেন ঠিক আধা ঘন্টা পরে যারা যারা এখানে আছে ফাইলে নাম আইডেন্টিফাই করে দেওয়া আছে তাদের নিয়ে একটি মিটিং কল করেন। নীলা রহমান
মিটিংয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন একদিনের মধ্যে যদি নোটিসের অ্যানসার দিতে না পারে তাহলে দে উইল গেট ফায়ারড।”
সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দিয়ে সাদাফ অফিস থেকে বের হয়ে গেল ।বাড়িতে এসেই দেখল ড্রয়িং রুমে বসে রিমোট টিপে টিপে টিভি দেখছে নুর।নুরকে দেখে সাদাফ ড্রয়িং রুমে এসে বসলো ।নূর সাথে সাথে উঠে গিয়ে এক গ্লাস পানি এনে সাদাফের হাতে দিয়ে বলল ,”পানি খান।”
সাদাফ অবাক হয়ে গেল ।অবাক হয়ে নূরের হাত থেকে পানির গ্লাসটি নিয়ে পানিটুকু পান করল ।তারপর বলল ,”তোর এত সুমতি হলো কি করে?”
এমন সময় নওরিন আফরোজ সামিহা বেগম বিকালের নাস্তা তৈরি করে উপর থেকে ডাক লাগালো সায়মন ও রিমাকে ।দুজনই উপর থেকে নেমে আসছে কিন্তু কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছিল না কথাও বলছে না ।গতকাল রাতে কি হয়েছিল কে জানে কেউ কারো সাথে কথা বলছে না তারপর থেকেই।
নিচে নামতেই সাদাফ সায়মনকে দেখে বলল ,”কিরে বাসায় ছিলি এতক্ষণ ?”আয় এদিকে আয় ।”বলেই মোবাইলটি পকেট থেকে বের করে একটু পাশে রাখলো ।সাথে বসে ছিল নূর।
সাদাফ সায়মনের সাথে কিছু একটা বিষয়ে কথা বলছিল ঠিক এমন সময় সাদাফের মোবাইলের ভাইব্রেশন হতেই নুর ফোনটি দেখলো ।ফোন ধরে দেখল ফোন করেছে সাবা।
নূর চুপচাপ মোবাইলটি কানে ধরতেই সাবা বললো ,”হ্যালো ।”
নুর বলল ,” কে?”
সাবা বললো,”আমি সাবা। সাদাব কোথায় একটু জরুরী দরকার ছিল।”
নুর ধীরে ধীরে উত্তর দিল ,”উনি তো নেই ।”
সাবা বললো,” আচ্ছা ঠিক আছে ।আসলে আমাকে ফোন দিতে বলবে ।জরুরী দরকার ।”
নূর আচ্ছা বলে ফোন রেখে দিল ।ফোনটি রেখে সাথে সাথে নূর ফোনটি অফ করে রাখল যেন সাদাফ টের না পায়।
রাত দশটা বাজে সাদাফ দেখলো মোবাইল বন্ধ।ভাবলো চার্জ শেষ তাই চার্জে দিতেই দেখলো চার্জ আছে।
ভাবলো হয়তো মোবাইল অফ তাই মোবাইল চালু করতেই মেসেজ টোন বেজে উঠলো।
মেসেজ অপশনে গিয়ে যা বুঝার বুঝে গেলো সাদাফ।
নুর কে ফোন দিলো সাদাফ।
নুর ফোন ধরে হ্যালো বলতেই,” সাদাফ বললো রুমে আয়।”
নুর সরল মনে বললো আচ্ছা।নুর ভুলেই গিয়েছে সন্ধ্যার কর্ম।
রুমে এসে নক করতেই সাদাফ বললো,” সাবা ফোন দিয়েছিলো?”
নুর থতমত খেয়ে গেল।চুপ করে রইলো।সাদাফ ধমকের সুরে বললো,” কিরে বলছিস না কেনো? তুই কি ছোট? কেও একজন বললো দরকার কল ব্যাক করতে অথচ আমার মোবাইল সন্ধ্যা থেকে অফ।
তুই জানিস কি করেছিস? যদি কোন বিপদ হতো?এতো ছেলে মানুষী কেনো তোর?”
নুর সাথে সাথেই কান্না করে দিলো।সাদাফ বুঝলো ভুল করে ফেলেছে।হাতের আঙ্গুল দিয়ে কপাল ঘষতে ঘষতে বললো,”কান্না থামা।”
এদিকে রিমা রুমে বসে বসে ভাবছে গতকাল রাতের কথা।
লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললো রিমা। দুহাতে নিজের মুখ ঢাকলো রিমা।
চলবে………..
Neela Rahman
দাওয়াত এ আছি।ছবি দেখে বুঝতে পারছেন নিজের বাসায় নেই।সবাই কি রিয়েকসন দেওয়া বন্ধ করে দিছেন?? এখন ৭ কে রিয়েকশন না হলে সত্যি রেগুলার পর্ব দিবো না।আপনারা অন্য পেইজে গল্প পড়েন আমি রিচ পাচ্ছি না। কষ্ট করে কি লাভ??
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬০
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১১+১২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি গল্পের লিংক
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১৫+১৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫০
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৭
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭+২৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৯+১০