Golpo romantic golpo সুখময় যন্ত্রণা তুমি

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৯


সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি রোমান্টিক স্পেশাল পর্ব

neela_rahman

পর্ব_৬৯

নুর সাদাফের শার্ট ধুয়ে নিজের রুমের বারান্দায় মেলে দিয়েছে আর ঠিক পাঁচটায় কফি নিয়ে সাদাফের রুমে এসে নক করবে তখন চিন্তা করলো সাদাফ ভাই তো ঘুমাচ্ছে ।তাই নক করে ঢুকতে হবে না ।

নক না করে ঢুকে পড়ল নূর ।দেখলো সাদাফ ভাই পুরো শিশু বাচ্চাদের মত এক হাত কপালে রেখে আর এক হাত ব্যান্ডেজ করা হাতটি পেটে রেখে সুন্দর করে ঘুমিয়ে আছে।

নুর ধীরে ধীরে কফি টি টেবিলে রেখে এগিয়ে এলো বিছানায় সাদাফের মাথার কাছে। নীলা রহমান

এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নূর। নূর সব সময় সাদাফ ভাইয়ের দিকে এইভাবে তাকাতে পারেনা ।লজ্জা হয় ।ভয় হয় ।এখন তাও একটু দূর থেকে দেখে কিন্তু আগে ওইভাবে দেখতে পেত না ।এখন অবচেতন হয়ে ঘুমাচ্ছে সাদাফ ভাই ।পুরো শিশু বাচ্চার মত ।নূর হাঁটু ভে*ঙ্গে সাদাফের মুখোমুখি হয়ে বসে সাদাফের মুখটি ভালো করে দেখছে। নীলা রহমান লেখিকা

সাদাফের চুল কপাল ঠোঁট নাক ভ্রু সবকিছু কত সুন্দর । মনোযোগ সহকারে অবলোকন করছে নুর।একটা মানুষ কত সুন্দর হতে পারে !সাদাফ কে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে নূর আগে তো কখনো এইভাবে দেখেনি ।ছোটবেলা থেকেই দেখছে কিন্তু ৬ বছর বিদেশে থাকার কারণে এখন যেন নূরের একটু একটু ল*জ্জা লাগে।

সবার কাছ থেকে শুনেছে ছোটবেলা থেকে সাদাফ নুর কে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে ।ওকে কোলে নিয়ে ঘুরতো কাঁধে করে ঘুরতো স্কুলে নিয়ে যেত কলেজে নিয়ে যেত দিনভর কোলে কোলে রাখত ।কিন্তু ছয় বছরে দূরত্বে যখন নূর একটু বড় হল সাদাফ বিদেশ থেকে আসলো তখন হঠাৎ সাদাফের আচরণ একটু পরিবর্তন হওয়ায় নূর ভ*য় পেয়ে যেত এবং ল*জ্জাও পেতো।

ছয়টা বছর তো কম নয় এই ছয় বছরে তো নূর অনেক কিছু ভুলে গিয়েছে ।কারণ সাদাফ যখন বিদেশ যায় তখন নূর নিতান্ত একটি শিশু বাচ্চা।

তাই সবার মুখ থেকে শুনলেও নূরের খুব একটা এসব মনে পড়ে না বা মনে পড়ে শিহরিত হয় না ।কিন্তু বিদেশ থেকে আসার পর থেকে সাদাফের আচরণ নুরকে ভাবিয়ে তুলতো ।সাদাফ হঠাৎ নুর কে ছুয়ে দিতো। প্রত্যেকটা স্পর্শ যেনো অস্থির করে তুলতো নুর কে।ভাবতো সাদাফ ভাই কেন এরকম করে ?তবে এখন একটু একটু বুঝতে পারে একটু একটু কি হয়তো পুরোটাই বুঝতে পারে নুর।সাদাফ ভাই অবশ্যই নূরকে ভালবাসে।

ভালো না বাসলে তো আর এরকম করত না ।নূরের উপর অধিকার খাটাতো না ।অবশ্যই সাদাফ ভাই নূরকে ভালবাসে ।নূর ধীরে ধীরে আর একটু সাদাফের দিকে এগিয়ে এলো ।হাতের একটি আঙ্গুল তুলে কপাল থেকে বেয়ে বেয়ে নাক পর্যন্ত নামলো।

নাক থেকে নামতে নামতে ধীরে ধীরে ঠোঁট পর্যন্ত এসে হঠাৎ নুরের মনে হলো এই ঠোট দিয়ে সাদাফ ভাই ওকে কতবার চু*মু খেয়েছে ।ল*জ্জায় যেন লাল নীল হয়ে গেল নুর ।সাদাফের ঠোটের দিকে তাকাতে পারছে না ।কি সুন্দর ঠোঁট দুটো। হঠাৎ একটা ইচ্ছা হল নুরের।সবসময় সাদাফ ভাই নুরকে আ*দর করে চু*মু খায় নূর যদি একটা ছোট্ট করে চু*মু খায় তাহলে কেমন হবে?এমনিও সাদাব ভাই ঘুমাচ্ছে উনি তো টের পাবে না ।যেমন ভাবনা তেমন কাজ নুর ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে ছোট্ট একটু করে হালকা চু*মু খেলো সাদাফের ঠোঁটে।

চু*মু খাওয়ার সাথে সাথে যেন নূরে সারা শরীরে শিহরণ হয়ে গেল ।নুর সাথে সাথে ঠোঁট ছেড়ে উঠবে এমন সময় সাদা নূরের চুলের মুঠি ধরে সাথে সাথে নিজের ঠোঁটের সাথে চে*পে ধরল।নুর সাথে সাথে সাদাফের কলার ধরে বুকে খা*মচে ছোটার চেষ্টা করল কিন্তু সাদাফ নুর কে খুব জোরে নিজে ঠোটের সাথে চে*পে রেখেছে ।ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে সাদাফ।সাদাফের উষ্ণ নিঃশ্বাস নুরের মুখে আছড়ে পড়ছে ।এদিকে পা*গলের মত চু*মু খাচ্ছে সাদাফ।

ঠিক মিনিট দুয়েক পর নূরকে ছেড়ে দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে সাদাফ।নূর হাপাচ্ছে ।কিছুক্ষণ পর নূর শান্ত হয়ে সাদাফের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকালো।

সাদাফ নুরের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে বলল ,”তোকে আমি ভালো মেয়ে মনে করেছিলাম।আমি ঘুমানোর পর তুই এভাবে আমার সুযোগ নিতে আসিস ভাগ্যিস আজকে একটু জেগে গিয়েছিলাম টের পেয়েছি ।এতদিন তুই আমার সাথে কি কি করেছিস সত্যি করে বল।”

নুর কান্না কান্না ভাব হয়ে গেলে সাদাফ সাথে সাথে নূরের মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বলে ,”কাঁ*দছিস কেন তোকে কি আমি বকা দিয়েছি?”

হঠাৎ নূর এক হাত তুলে সাদাফের বুকের বাম পাশে রাখল ।তারপর ধীরে ধীরে বলল ,”আপনার বুকের ভিতরে কেমন ধিরিম ধিরিম শব্দ হচ্ছে ।হার্ট অনেক জোরে জোরে বিট হচ্ছে । আপনার কি অসুস্থ ফীল হচ্ছে?”

সাদাফ নুরের র মাথা ওই ভাবেই বুকে চে*পে ধরে বলল ,”হ্যাঁ অস্থির লাগছে ।খুব অস্থির লাগছে ।তুই এভাবে কিছুক্ষণ বুকে থাক তাহলে দেখবি ধীরে ধীরে একটু শান্ত হয়ে গেছে ।আমার অশান্তিও তুই আমার শান্তি ও তুই।”

নুর লজ্জা পেয়ে গেল ।চোখ বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে ওইভাবে হা*টু ভেঙে ফ্লোরে বসে সাদাফের বুকে এ মাথা রেখে বসে রইল।

হঠাৎ কিছুক্ষণ পর বোকার মত প্রশ্ন করল ,”আচ্ছা আপনি যে বলেছেন ১৭ দিন পর বিয়ে ?কিভাবে বিয়ে করবেন?”

সাদাফ অবাক হয়ে গেল ।তারপর বলল ,”কিভাবে আবার সবাই যেভাবে বিয়ে করে ?”

নুর জিজ্ঞেস করল ,”কিভাবে করবেন ?”

সাদাফ বলল,”তুই কিভাবে চাস ?”

নূর বললো ,”আপনি তো এখনো বিয়ের প্রস্তাব দেননি ।”

সাদাফ বলল ,”আমি প্রস্তাব দিব কেন আমি তো বলেছি পাত্রী নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিবে।

আর যদি তুই দিতে না পারিস তাহলে সাবা রেডি আছে আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিবে ওকে বিয়ে করে ফেলব ।”কথাটি শুনে নূর সাথে সাথে সাদাফের শার্টের কলার ধরে খা*মচে কয়েকটি কিল ঘুষি মেরে দিল।

সাদাফ সাথে সাথে অবাক হয়ে বলল ,”কি হল এরকম পাগ*লামি করছিস কেন ?হঠাৎ কি জিন ভূত ভর করেছে নাকি তোর উপরে ?নাকি এটাও প্রতিবেশীর হক ?আমাকে মারার হোক তোর আগে?”

নুর কান্না কান্না কন্ঠে বলল ,”হুম ।আপনার উপর সব কিছুর হক আমার সবার আগে ।”

সাদাফ জানে নুর অবচেতন মনের কথাটা বললে ও এই কথাটি শত ভাগ সত্য ।সাদাফের সবকিছুতে হক নূরের সবার আগে। নীলা রহমান লেখিকা

সাদাফ নুরের মাথায় কপালে চুল সরিয়ে মাথায় একটি চু*মু খেয়ে মাথাটা বুকে চে*পে ধরে বলল ,”হ্যাঁ আমার সবকিছুতে হক আগে তোর ।প্রতিবেশীর হক হোক বা অন্য কোন কিছুর হোক তুই সব কিছুর উত্তরাধিকারী ।এবার খুশি ?যা তোর বাপ চাচাকে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়ে দিস। বলবি সাদাফ ভাইয়ের সব কিছুতে আগে আমার অধিকার যদি অন্য কেউ এর মধ্যে ভাগ বসিয়ে ফেলে তাই তার আগেই বিয়েটা যেন করিয়ে দেয়।

আর শোন এভাবে তুই ঘুমন্ত সাদাফের সুবিধা নিতে আসিস ?তুই জানিস আমি কিভাবে নিজেকে এত কষ্ট করে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিলাম ?তুই যখন কফি নিয়ে ঢুকেছিস তখনই আমি জেগে গিয়েছিলাম ।কিন্তু দেখতে চাচ্ছিলাম আমাকে ঘুমন্ত পেয়ে তুই কি করিস।

ভাগ্যিস উঠিনি।না হলে তুই যে এরকম পাকা পেকে গিয়েছিস আমি তো জানতামই না ।আগে জানলে তো এতদিন অপেক্ষা করতাম না ।আরেকটু আগে বিয়ে করে ফেলতাম।”

নূর বুকে চেপে থাকা অবস্থায় বলল ,”আপনি তো পাকিয়েছেন? সাদাফ অবাক হয়ে একটু ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসলো ।তারপর বলল ,”তাই আমি পাকিয়েছি? তা ঠিক কতখানি পাকিয়েছি শুনি?”

চলবে………..

Neela Rahman

তাবীরের_তেহজীব অবশ্যই সবাই পড়বেন।

[আর পারছিনা আপুরা পাঁচটা থেকে গল্প লিখতে বসেছি এই পর্যন্ত সুখময় যন্ত্রণা তুমি তাবীরের তেহজীব ও চৌধুরী মুজাহিদ মুরাদ তিনটা গল্প লিখে পোস্ট করেছি। মাথায় এখন ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে ।বানান দুই একটা ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।মানুষ আমি ভুল হতেই পারে ।সবকিছু নিজে লিখি নিজে টাইপ করি নিজেই কম্পোজ করি। আর এখনো পর্যন্ত গল্প লিখে আমি কোন টাকা পয়সা ইনকাম করি না তাই অনেকে আমাকে বানান ভুল নিয়ে অনেক কিছু বলেন ।শখে লিখি দু-একটা বানান ভুল হতেই পারে ।লেখাপড়া করলে পরীক্ষা খাতা ওতো একসাথে কতো বানান ভুল লিখেন।দুই একটা ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।]

আর অবশ্যই বেশি করে একটু লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন গল্পের রিচ কমে যাচ্ছে যদি এভাবে কমে যায় আর ফেক পেজ ওনারা যদি রিচ বেশি হয় এখন থেকে তাহলে একটি করে গল্প পোস্ট করব এত লোড নিয়ে কষ্ট করে লিখব না।

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply