Golpo romantic golpo সুখময় যন্ত্রণা তুমি

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭+২৮


#সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি

#neela_rahman

#পর্ব_২৭

ঠিক এক মিনিট ধরে চু*মু খেলো সায়মন ।এক মিনিট পর ধীরে ধীরে রিমাকে ছেড়ে দিলে রিমা কিছুটা সময় নিল ধাতস্থ হওয়ার ।সায়মন তাকিয়ে আছে রিমার দিকে।কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হল সাইমনের উপরে অ*ত্যাচার চ*ড় থা*প্পর ঘু*সি একটাও যেন থেমে নেই ।

রিমা একনাগারে বলতে লাগলো ,”বাইরে লু*চ্চামি করবি গার্লফ্রেন্ড আছে বাসায় বিয়ে করবি তোর এত বড় সাহস হলো কেন তুই আমাকে চু*মু খেলি শ*য়তান?

সাইমন যেন অবাক হওয়া ভুলে গেলো।এক রিমা ওকে তুই করে বলছে দ্বিতীয়তঃ এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও বয়সে চ*ড় থা*প্পর ঘু*ষি মা‘‘‘রতে মার‘‘তে সাইমনকে নিয়ে বিছানায় ফেলে দিল। নীলা রহমান

সাইমনের উপর চড়ে কলার ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলল ,”তোর এত বড় সাহস কেন তুই বাইরে প্রেম করে বেড়াস আর আমার ঠোটে চু*মু খেলি ?আমার জীবনে প্রথম চুমু*টা এখন ফিরত দে ফেরত দে চু*মু ?শয়*তানের বাচ্চা বলতে গিয়েও আবার থেমে গেল রিমা।

সাইমন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল রিমার দিকে ।রিমার হাত দুটো চে*পে ধরে রেখেছে সায়মন ।কিছুক্ষণ আগেই রিমা বারবার এভাবে আক্রমণ করায় রিমাকে বিছানায় ফে*লে দিয়ে রিমার উপরে হালকা ঝুকে হাত দুটো বিছানা চে‘‘পে ধরে রেখেছে সায়মন ।

জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে বলল ,”মে‘‘রে ফেলবি তোকে তো আমি সহজ সরল মেয়ে মনে করেছিলাম তুই তো পুরো একটা ডা”কিনি।

আর চু*মু খেয়েছি চু*মু এখন কিভাবে ফেরত দিব আমি ?ঠিক আছে তারপরও তোর যেহেতু ফেরত লাগবে চু*মু ফেরত যা এখনই দিয়ে দিচ্ছি ।তুইও কি মনে রাখবি আমি কোনদিন কারো কাছে ঋণী থাকি না তোর কাছে ঋণী থাকবো না ।”

বলেই সাথে সাথে আবার রিমার ঠোঁট আঁক*ড়ে ধরল সায়মন।

ক*ষে একটা চু*মু খেয়ে রিমাকে ছেড়ে দিল রিমা যেন অবাক হতো ভুলে গেল । ফিরত দিতে বলেছিল কি মহাভুলটাই না করেছে রা‘‘গের মাথায় রিমা ।ও তো আরো এই সুযোগে আরও একটা খেয়ে বসল ।রিমা এবার ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিল বলল ,”তুই আমাকে আবার চু*মু খেলি?”

সাইমন এবার রিমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল ,”একদম কান্না করবি না সবাই শুনে ফেলবে ।আর সাহসের কি আছে এখানে ?চু*মু খেয়েছি ১০১ বার খাব যখন আমার ইচ্ছা হবে তখন আমি খাব।

তোর সাথে তো আমি কথা বলতে এসেছিলাম বারবার সময় দিয়েছিলাম সুযোগ দিয়েছিলাম তুই একটিও গ্রহণ করিস নি।

আর আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই আর সুদূর ভবিষ্যতে আমার কোন বিয়েও হচ্ছে না তবে এতটুকু শিওর থাক আমার সব কা*জ তোকেই করতে হবে ।

তুই আগে করেছিস তাহলে এখন থেকে তোকেই করতে হবে যদি খালি একবার বলিস তুই কা*জ করতে পারবি না তাহলে এই ভাবেই তোর উপরে চু*মুর বৃষ্টি হবে।”

বিছানায় শুয়ে আছে হুমায়ুন রহমান ও নওরিন আফরোজ ।হুমায়ূন রহমান ভাবছেন ছেলের কথা ।বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছেন ঘুমাতে পারছেন না ।নওরিন আফরোজ আমতা আমতা করে বলল ,”জেগে আছেন ?একটি কথা বলতে চাইছিলাম।”

হুমায়ূন রহমান এমনি জেগে ছিল তাই বলল ,”হ্যাঁ বলো তুমি ঘুমাও নি কেনো?”

নওরিন আফরোজ বলল ,”আপনি ও তো ঘুমান নি। আচ্ছা আপনার সাথে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাইছিলাম জানিনা কিভাবে বলবো ।ভ*য় ভ*য় লাগছে অভয় দিলে বলতাম।”

“এত ভনিতা করে তো কখনো অনুমতি নিয়ে কথা বলনি আমার সাথে ?আজ এমন কি হলো শুনি ?”বললো হুমায়ূন রহমান।

নওরিন আফরোজ একটু মুচকি হাসলেন ।হেসে বললেন ,”কথাটা তো আপনাদের কলি*জাকে নিয়ে তাই অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হয়।”

“কলি*জা মানে কার কথা বলছো রিমা নাকি নুর?”জানতে চাইলো হুমায়ূন রহমান।

“নুরের বিষয় বলতে চাচ্ছিলাম ।অভয় দিলে বলতাম ।” বললো নওরিন আফরোজ।

হুমায়ূন রহমান বলল ,”ভনিতা না করে বল কি হয়েছে ?আবার কি নালিশ নিয়ে এসেছ আমার কলি‘‘জা দের নামে ?”

নরিন আফরোজ বলল ,”এবার কোনো নালিশ নিয়ে আসেনি সমন্ধ নিয়ে এসেছি। সোজাসাপ্টা কথা বলতে চাই নুরকে আমরা বাইরে দেওয়ার কোন ইচ্ছা নাই আমি চাই নুর আমার সাদাফের বউ হয়ে আমার ঘরে আসুক।”

হুমায়ূন রহমান এতটাই অবাক হলেন কিছু বলতে ভুলে গেলেন ।সাথে সাথে বিছানায় চট করে উঠে বসলেন ।বসে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন ,”কি বললে আরেকবার বলতো ?”

নওরিন আফরোজ আমতা আমতা করে বললেন ,” না মানে আমি চাই নূর সাদাফের বউ হোক ।আমি চাইনা নুর অন্য কোন বাড়িতে যাক আমার বাড়ির মেয়ে আমার বাড়িতেই থাকুক।

ভীষণ মায়াবী ছোটবেলা থেকে আমি ওকে মেয়ের মত মানুষ করেছি আমার একদম সইবে না নুর অন্য কোন বাড়ির বউ হলে ।আর যেখানে আমার ছেলে বিয়ের উপযুক্ত আছে সেখানে আমি অন্য কোন জায়গায় কেন দিব আমার মেয়েকে?”নীলা রহমান

এদিকে ফজলুর রহমান গুরুতর চিন্তায় মগ্ন ।ভাই কি বুঝাতে চাইলেন ?সাদাফ এখনো নুরকে চাইবে ?কিভাবে চাইবে ?যদি চায় তাহলে ফজলুর রহমান কি করবে ?

একমাত্র ভাইয়ের একমাত্র ছেলে বংশের বড় ছেলে সাদাফ।যদি কোন কিছু চেয়ে বসে ফজলুর রহমানের কাছে উনি কি পারবে খালি হাতে ফেরাতে ? কিন্তু নূর যে বড় অবুঝ আর ছোট।

আর তাছাড়া সাদাফ যে মুখ ফুটে বিয়ে করতে চাইলো বললো পাত্রী ঠিক করা আছে ?পাত্রীকে নাকি ওনারা সবাই চিনে তাহলে আসলে কি বুঝাতে চাইলেন ভাই ?এটা ভাবতে ভাবতেই ঘুমাতে পারলো না ফজলুর রহমান।

এদিকে দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজে থাকার কারণে নূরের সারা শরীর কাঁপিয়ে জ্বর চলে এসেছে ।সাদাফ পড়ে গেছে মুশকিলে দুষ্টুমি করতে গিয়ে মেয়েটার জ্বর বাঁধিয়ে দিলো।

অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করছে নুরের জ্বর কমানোর জন্য কিন্তু কেঁপে কেঁপে উঠছে মেয়েটা ।সাদাফ বুঝতে পারছে না কি করবে এই মুহূর্তে রাতে সবাইকে ডাকতে গেলে সবাই অবাক হয়ে যাবে ।নূর কেন এই রুমে এবং ভেজা অবস্থায় সবাইকে কি জবাব দিবে সাদাফ?

তাই সিদ্ধান্ত নিল কাউকে কিছু জানাবে না সারারাত নিজেই সেবা করবে ভোর রাতের দিকে নূরকে রেখে আসবে নুরের রুমে ।

যেই ভাবনা সেই কাজ একটি চাদর দিয়ে প্রথমে নুরকে কভার করে দিল তারপর আলমারি খুলে একটি শার্ট এবং একটি ট্রাউজার বের করে রুমের দরজা লা*গিয়ে দিল।

ঘরের বাতি অফ করে দিল সাদাফ।তারপর চাদরে নিচে একটু একটু করে নূরের জামাটি খো‘‘লার চেষ্টা করল ।ভাগ্যিস পিছনে চেইন দেওয়া জামা ছিল ।পিছনে চেইন খুলে একটু একটু করে জামা পরিবর্তন করে দিল সাদাফ।

নূরের ড্রেস পরিবর্তন করে শুকনো টাওয়েল দিয়ে নূরকে সুন্দর করে মুছিয়ে দিয়ে আরো একটি কম্বল এনে নূরের গায়ে জড়িয়ে দিল সাদাফ।

নূরের কানে ফিসফিস করে বলল ,”আমাকে মাফ করে দিস ।তোর অনুমতি ছাড়া তোকে ছুয়েছি ।তোর ড্রেস পরিবর্তন করেছি। কিন্ত আমার অধিকার আছে তোর উপর।

নূরের ঠোঁটে হালকা করে একটু চু*মু খেলো সাদাফ।তারপর কানে ফিসফিস করে বলল ,”তুই কি শুনতে পাচ্ছিস নুর?আমি তোকে ভীষণ ভালোবাসি।যা বলে প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই।তাই শুধু তোকে চেয়েই গেছি রাগ*লের মতো।

আজ বলছি ভালোবাসি তোকে ভীষণ ভালোবাসি নুর ।এক আকাশ পরিমাণ বা এক সমুদ্র পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবো না শুধু জানি নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি তোকে।”

চলবে……………

Neela Rahman

কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ

#সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি

#neela_rahman

#পর্ব_২৮

রাত্রি প্রহর দুইটা ।সময় হুহু করে কেটে যাচ্ছে নুরের জ্বর কোন ভাবে থামছে না ।শরীর কাঁপুনি দিয়ে বারবার জ্বর আসছে ।পরপর দুইটি কম্বল দিয়ে নূরকে ঢেকে দিল তারপরও কাঁপুনি থামছে না।

বাড়ির কাউকে জানাবে কি জানাবে না সেই চিন্তায় সাদাফ ভাবল এ মুহূর্তে যদি বাড়ির কেউ জানে তাহলে বড় কেলে*ঙ্কারি হয়ে যাবে এর চেয়ে ভালো নিজে থেকে কমানোর চেষ্টা করুক । নীলা রহমান

এই মুহূর্তে তো আর তেমন কিছু করারও নেই যা যা রেমিডি নেওয়া প্রয়োজন তা সবই গ্রহণ করেছে সাদাফ।

সাদাফের নিজের করা কাজের উপর নিজেরই বিরক্তি হল ।একটু খানি শাস্তি দিতে চেয়েছিল মেয়েটাকে কিন্তু এমন কিছু হয়ে যাবে বুঝতে পারেনি ।অনুশোচনায় ভুগছে খুব ।

নূরের কপালে হাত দিয়ে দেখল প্রচন্ড জ্বর নুর কাঁপছে ঠোঁটগুলো তীর-তির করে কাঁপছে।

কিছুক্ষণ আগে নুরকে জোর করে একবাটি স্যুপ এবং একটি নাপা খাইয়ে দিয়েছিল সাদাফ।এখনো জ্বর কমছে না ভাবল একটু পরে কমে যাবে ওষুধের প্রভাব শুরু হতে একটু সময় লাগবে ।

সাদাফ নূরের কাঁপুনি দেখে বিছানায় উঠে বসল ।বসে নূরকে খুব ধীরে ধীরে নিজের কোলে নিয়ে কোনমতে বুকের সাথে চে*পে ধরে নিজের শরীরের উষ্ণতা দিতে লাগলো ।মানুষের শরীরে তাপমাত্রা দুটি কম্বলের চাইতেও অনেক বেশি হবে সেই চিন্তা করেই নিজের গায়ের সাথে নূরকে জড়িয়ে ধরে রাখল।

সাদাফের শরীর যেন মনে হচ্ছে কেউ আ*গুন জ্বা*লিয়ে দিয়েছে পু*ড়ে যাচ্ছে সারা শরীর।

নূরের গরম উষ্ণ নিঃশ্বাস সাদাফের বুকটা যেন ঝ*লসে দিচ্ছে।তারপরও পরম স্নেহের সাথে নূরকে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মাঝেমধ্যে কপালে চু*মু এঁকে দিচ্ছে সাদাফ।

নুর বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে।সাদাফ নুরের মুখের কাছে কান নিয়ে গেলো শুনতে।

নূরের বিড়বিড় করে বলা কথা সাদা শুনতে না পারায় আরেকটু ঝুকলো ।ঠিক নূরের ঠোঁটের কাছে কান নিয়ে যেতে নুরের উষ্ণ গরম ঠোঁটের স্পর্শ পেল সাদাফ।সাথে সাথে শি*হরিত হলো সাদাফ।গায়ে প্রত্যেকটা লো*মকূপ যেন দাঁ*ড়িয়ে গেল।

হঠাৎ নুর সাদাফ কে এতো কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরল ।জড়িয়ে ধরে পা*গলের মত সাদাফের গালে গলায় বুকে চু*মু খেতে লাগলো। নীলা রহমান

বলতে লাগলো আপনি শুধু আমার আপনি অন্য কারো না আপনি বিয়ে করলে কিন্তু আমি বউকে মে*রে ফেলবো।

আপনার কেন বিয়ে করতে হবে সাদাফ ভাই আমি আছি না ?এই যে আপনার ছোট্ট নূর আপনাকে কত ভালোবাসে ?আপনার কেন বিয়ে করতে হবে?”

বলে আবারো সাদাফ কে চু*মু খেতে লাগল নুর।একদিকে সাদাফের উপরে চলছে নূরের ভালোবাসার উষ্ণ পরশ তার উপরে এই বোকা মেয়ের বোকা কথা সাদাফ হাসবে নাকি শি*হরিত হবে নিজেই ভুলে গেল।

কিছুক্ষণ বাদে নূরের হাত শিথিল হল ।ধীরে ধীরে সাদাফ কে ছেড়ে আবার সাদাফের বুকে মাথা মুখ গুজে দিয়ে জোরে জোরে হাঁপাতে লাগলো।

নূরের তপ্ত শ্বাস সাদাফের বুক যেন এফোর ওফোর করে দিচ্ছে ।তারপরও সাদাফ দাঁত দিয়ে ঠোঁট চে*পে রেখে নিজেকে নি*য়ন্ত্রণ করে নুরকে সারারাত নিজের বুকের সাথে চে*পে রাখলো ।ভোর পাঁচটা ধীরে ধীরে সাদাফ দেখল নূরের শরীর থেকে ঘাম ছুটছে।তার মানে জ্বর ছাড়ছে।

এদিকে সাদাফ ঘেমে যুবথুবু অবস্থা ।নূরের শরীরের উষ্ণতার জন্য ।নূরকে কোনমতে সাদাফ আস্তে করে বিছানায় শুয়ে দিল ।তারপর টি-শার্টটি খুলে ফ্রেশ হয়ে আবার আসলো নূরের কাছে।

একটি শুকনো টাওয়েল এনে নূরের সারা শরীর সুন্দর করে মুছিয়ে দিল ।কম্বলটা নূরের গায়ে থেকে সরিয়ে দিল।

ভোর পাঁচটা ।সাদাফ নুরকে কোলে তুলে নিল।

নূরের মুখটির দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলো সাদাফ।নূরের পরনে সাদাফের একটি টি-শার্ট এবং একটি ট্রাউজার।

যা ছোট্ট নূরের শরীরে তুলনায় অনেক বড় এবং ঢিলা ঢালা নুরকে দেখে কেমন হাসি পাচ্ছে সাদাফের ।পরোক্ষণে ভাবল তাড়াতাড়ি নূরকে রুমে রেখে আসতে হবে নাহলে সবাই টের পেয়ে যাবে।

তাই দরজা খুলে ধীরে ধীরে নূরের রুমের দিকে এগোতে লাগলো সাদাফ।নুরের রুমে ঢুকে নূরকে বিছানায় যেই শোয়াবে ওমনি ঘরের লাইট জ্বলে উঠলো ।

সাদাফের গলা শুকিয়ে গেল ।তাকিয়ে দেখলো হুমায়ুন রহমান লাইট জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সাদাফ সস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।

সাদাফ বাবাকে দেখে মাথা নিচু করে একটু মুচকি হাসলো ।তারপর বললো এভাবে না বলে আসে কেও?”

হুমায়ূন রহমান বলল ,”বে*য়াদব একটা ।দিনদিন তুই অনেক অ*সভ্য হয়ে যাচ্ছিস ।আর নুর তোর কোলে কি করছে? আর ওর গায়েরে কাপড়চোপড়ের কি অবস্থা তোর কাপড়-চোপড় পড়ে আছে কেন?”

“তুমি বাবা হয়ে কিছু করতে না পারলে এখন আমার অ*সভ্য হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।আর দেখতে যখন পাচ্ছ আমার কাপড়-চোপড় পড়া বাবা হয়ে আবার ছেলেকে জিজ্ঞেস করছ কেন? ল*জ্জা তো তোমার ও বেশি নেই।”বললো সাদাফ।

“লে হুমায়ূন রহমান ……..😂😂😂😂😂সবাই তোকে ভদ্র মনে করে আমি জানি তুই কি!!!

বাবার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় শিখলি না না ?সেই ছোটবেলা থেকে এরকম ।সবাই মনে করে তোর মত ভদ্র ছেলে তা আশেপাশে দশ গ্রামে খুজলে একটা পাওয়া যাবে না ।আমি বাবা আমি জানি কি ছেলে পয়দা করেছি আমি ।

সে ছোটবেলা থেকে তুই আমাকে ব্ল্যা*কমেইল করে আসছিস।”বললো হুমায়ূন রহমান।

“ব্ল্যাকমেল এর কি আছে ?বাবা হও তুমি ?ছেলের ভালোর জন্য তুমি কিছু করবে সেটাকে ভালোবাসা বলে ব্ল্যা*কমেইল বলে না ।বুঝি না মা তোমাকে সহ্য করে কিভাবে?আর আমি খা*রাপ কি করেছি ?দুনিয়ায় কেউ বলতে পারবে তোমার ছেলে খা*রাপ ?তুমি বাবা তুমি আমার প্রকৃত রূপ চিনেছো তোমাকে আমি চিনিয়েছি ।তোমার সাথে কি চাও আমি অভিনয় করি?

আর ভুলে যেও না ফ্যাক্টরি মেশিন যে রকম হবে প্রোডাক্ট সেরকমই বের হবে ।তাই আমাকে কিছু বলার আগে নিজের দিকে যে চারটা আঙ্গুল উঠেছে সে আঙ্গুল গুলো দেখে নিও।”

হুমায়ূন রহমান হা হয়ে গেলেন ছেলের কথা শুনে ।বাবার সাথে নাকি এই কথা ! অথচ আশেপাশে মানুষের সামনে চোখ তুলে তাকায় না পর্যন্ত মাথাটা নিচু করে রাখে ।সেই ছেলে আর বাবাকে বলছে মেশিন খা*রাপ চিন্তা করা যায়?”

তারপর ছেলের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।বলল ,”তুমি এখন এই রুম থেকে যাও নুরকে আমি ঠিক মত শোয়াবো।যাও আর কি হয়েছিল নুরের?

ওকে দেখে তো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না অসুস্থ মনে হচ্ছে দেখে ।বলেই নূরের গায়ে হাত দিয়ে দেখল এই মুহূর্তে ঠান্ডা তবে কেমন ভেজা ভেজা ভাব বুঝলো জ্বর টর হয়েছিল ।বললো ,”নূরের কি জ্বর এসেছিল ?কিভাবে হল আর ও তোমার রুমে কিভাবে গেল? সত্যি করে বল কি করেছিস?”

সাদাফ বলল ,”আমি কি করেছি মানে? তোমার আদরের ভাতিজি বরং আমাকে………থাক ওসব কথা।তোমরা তো ওকে সব সময় ছোট মনে করো ।তোমার নুর জ্বরের অবস্থা হেঁটে হেঁটে আমার রুমে চলে গেছে ।আমি তো ভদ্র ছেলে ওকে রুমে দিয়ে যেতে এসেছি।

আর বুঝলাম নূর তোমার ক*লিজা তাই বলে তুমি সব সময় নূরের রুম এরকম ঘাপটি মেরে বসে থাকো কেন ?যখনই আমি আসি তখনই তোমার সাথে দেখা হয়ে যায়।”

এই জন্যই।বাবা হই যে তোর ।ওই যে আমার ফ্যাক্টরির প্রোডাক্ট তুই তাই ।সেজন্য জানি এখানে আসলে তোকে খুজে পাওয়া যাবে।আর খবরদার নুর কে নিয়ে একটা বাজে কথা বলবি না।”

এদিকে রিমা নিজের রুমে বিছানায় ছটফট করছে সারা রাত ঘুমাতে পারছে না ।কি হয়ে গেল কি কান্ড ঘটিয়ে ফেলল সাইমন ! সকালবেলা মুখ দেখাবে কি করে ?রা*গের মাথায় চ*ড় থা*প্পর দিয়ে তো রুম থেকে বের করে দিয়েছে কিন্তু সকাল হলে সবার সামনে কিভাবে মুখ দেখাবে ?ল‘‘জ্জায় সারা শরীর কাঁ‘‘পতে লাগলো রিমার।

এদিকে সায়মনেরও সেম অবস্থা ।ঝোকের মাথায় একটি কান্ড তো ঘটিয়ে ফেলেছে কেন করলো এই কা‘‘জ এখনো জানেনা ।সব সময় তো বন্ধুর মত বোনের মতই মিশেছে হঠাৎ কি এমন হয়ে গেল ঠা‘স ঠুস করে চু‘‘মু খেয়ে বসলো ।

সায়মনের ল*জ্জা লাগছে কপাল ঘেমে চুইয়ে চুইয়ে ঘাম বের হচ্ছে ।টেবিল চেয়ারে বসে আছে বিছানায় যেতেই পারছেন না ছটফট করছে সাইমন।

মনে মনে ভাবছে সকাল হলে না জানিয়ে ডা*কিনি টা কি করে ।আ*ল্লাই জানে ।মনের ভিতরে কেমন দুর দুর করছে ।

রিমার দিকে তাকাবেই বা কি করে ?সম্পর্কটা যে এখন একটু অন্যরকম হয়ে গেল ।এতেদিন তো চাচাতো বোন ছিল বন্ধুর মতো ছিল কালকে থেকে কেমন হবে সম্পর্ক কিভাবে মোকাবেলা করবে রিমার বুঝতে পারছে না সাইমন।

চলবে,,,,,,,,,,,

Neela Rahman

কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply