তোমার_হাসিতে
ফারহানাকবীরমানাল
৯.
খালে জোয়ার এসেছে। পানির স্রোতে বসে থাকা দায়। খানিক বাদে বাদে উত্তরী হাওয়া উড়ে আসছে। বাতাসের ঝাপটা গায়ে পড়লে শীত শীত লাগে। পায়ে ভীষণ রকমের যন্ত্রণা হচ্ছে। এভাবে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারব না। কিন্তু কিছু করারও নেই। উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি আমার শরীরের নেই। ডান পা প্রায় অচল। হাতের সাহায্য ছাড়া এতটুকু নড়াচড়া করতে পারছি না। এমন একটা মানুষও কী নেই যার কাছে সাহায্য ভিক্ষা চাইতে পারি? ক্ষীণ গলায় ডেকে বলতে পারি– আমার খুব বিপদ হয়েছে। আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমি এখানে বসে বসে অসুস্থ হয়ে যেতে চাই না। আমার অনেক কাজ। অনেক কাজ আমার। মাকে গহনা বানিয়ে দিতে হবে। তানহার ব্যাপারে সবকিছু জেনে প্রমাণ করতে হবে– আমি মিথ্যে বলিনি। সেদিনের একটা কথাও মিথ্যে ছিল না।
চোখ বুঁজে আসছে। অনেক কষ্টে এদিক ওদিক তাকালাম। ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে। পাতার সড়সড় শব্দ কানে বাজে। হে আল্লাহ! আমার নিয়তে তো কোন ভুল ছিল না। কোন অন্যায় ছিল না। আমি আপনার কাছে নিষিদ্ধ কিছু চাইনি। তাহলে কেন আমায় এত বড় পরীক্ষায় ফেলে দিলেন? এই রাতে, এই শুনশান জায়গায় কে আমাকে উদ্ধার করতে আসবে? আল্লাহ! আপনি সবকিছু পারেন। সাহায্য করুন। আমায় সাহায্য করুন।
খুব বেশিক্ষণ চোখ মেলে থাকতে পারলাম না। শেষবারের মত অস্পষ্ট দৃষ্টিতে দেখলাম দু’টো জোনাকি আমার দিকে উড়ে আসছে। জোনাকি দু’টো তারার চেয়েও উজ্জ্বল। ঝলমল করছে। জোনাকি পোকার আলো এত উজ্জ্বল হয় নাকি? তাকিয়ে থাকা যাচ্ছে না। অসম্ভব তীক্ষ্ণ আলো! বাতাসের ঝাপটা গায়ে লাগছে। তেমন শীত লাগছে না। বরং খুব আরাম লাগছে। যেন গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি।
ছোটবেলায় আমার খুব বাজে একটা অভ্যাস ছিল। সন্ধ্যা নেমে গেলেও খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরতে মন চাইত না। ইচ্ছে হতো খোলা মাঠে বসে আকাশের তারা গুনি। চাঁদের উজ্জ্বলতা দেখি। মা ব্যাপারটা বুঝত। তবে সে আমায় বকতো না। রাগী চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেলে আমার দিকে তাকাতো না। খেলতে বের হওয়ার সময় আদুরে গলায় বলতো, “দুই মুঠো আতপ চাল ভিজিয়ে দিয়ে যা তো।”
আতপ চাল ভেজানোর কথায় ভীষণ আনন্দিত হতাম। ঝলমলে গলায় বলতাম, “কী পিঠা বানাবে মা?”
মা হাসত। হাসিহাসি মুখ করে বলত, “এই মালপোয়া, পাটিসাপটা এই ধরনের কিছু একটা বানিয়ে রাখব। খেলা শেষ হলে দেরি করবি না কিন্তু। ওগুলো বানিয়ে রেখে মাগরিবের নামাজ পড়তে যাব। বেশি দেরি করলে ঠান্ডা হয়ে যাবে।”
খেলা শেষে আমি আর এক মুহুর্তও দেরি করতাম না। ছুটে বাড়িতে চলে আসতাম। মায়ের হাতে গরম পিঠে খেয়ে লেপের ভেতরে ঢুকে যেতাম। ডিসেম্বর মাস। পড়াশোনা নেই। মা আমার পাশে বসত। গল্প শোনাত। আহ! কী সুন্দর সময়! শত টাকা পয়সা দিয়েও আমি আর এই সময়গুলোকে ফেরত পাব না।
বাবা বরাবরই একটু গম্ভীর প্রকৃতির। তবে সেবার যখন এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো। এক সাবজেক্টে এ প্লাস মিস। মন ভীষণ খারাপ। কেঁদে কেটে মুখ ফুলিয়ে ঘরে বসে আছি। বাবা সারাদিনের কাজ শেষে হাত মুখ ধুয়ে আমার পাশে এসে বসলেন। নরম গলায় বললেন, “খবর শুনেছিস?”
বিষন্ন স্বরে বললাম, “কী খবর শুনব?”
“ওইদিকে আরিফুলের মেয়ে তোর সাথে পরীক্ষা দিয়েছিল। ফেল করেছে।”
বিরক্তি নিঃশ্বাস ফেলে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রইলাম। কার মেয়ে ফেল করেছে সে কথা দিয়ে আমার কী কাজ? আমি ম’রি নিজের জ্বালায়। উনি এসেছে ফেলের খবর শোনাতে। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললেন। শান্ত গলায় বললেন, “ফেল করেছে এই খবর শোনার পর থেকে মেয়েটা বেনারসি শাড়ি পরে বসে আছে। কেন? আরিফুল বলেছিল পরীক্ষায় ফেল করলে রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে। যেহেতু ফেল করেছে তাই এখনই তাকে বিয়ে দিতে হবে। আরিফুলের বউ ওকে ডেকে বলেছে– যেখান থেকে পারো রিকশাওয়ালা খুঁজে নিয়ে এসো। তোমার মেয়ে নাকি ইচ্ছে করে ফেল করেছে যেন ওকে বিয়ে দিয়ে দাও।”
ফিকফিক করে হেসে উঠলাম। বিয়ের জন্য ইচ্ছে করে ফেল করেছে। বাবা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। অসম্ভব কোমল গলায় বললেন, “কাগজের একটা সার্টিফিকেট কখনোই পুরোপুরিভাবে তোমার মেধাকে প্রতিফলিত করতে পারে না। এতে শুধু তোমার পরিশ্রম লেখা থাকে।”
একি! আমার এখন আমার এসব কথা মনে পড়ছে কেন? শুনেছি মৃ’ত্যুর পরেও সাত মিনিট মানুষের মস্তিষ্ক বেঁচে থাকে। সে তখন তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহুর্তগুলো মনে করে। তবে কী আমি আর বেঁচে নেই? আমার মস্তিষ্ক সুন্দর স্মৃতিগুলো আরও একবার মনে করে নিচ্ছে?
ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলাম। নিঃশ্বাস ঘন হয়ে গেছে। চোখ বন্ধ করে হাঁপাতে লাগলাম। বাদশা বলল, “ঠিক আছিস?”
আমি ওর দিকে তাকালাম। জড়ানো গলায় বললাম, “পানি। পানি কই? আমি একটু পানি খাব।”
বাদশা আমার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিলো। চিকন গলায় বলল, “ঠিক লাগছে?”
“লাগছে। এখন একটু ঠিক লাগছে।”
“উত্তেজিত হয়ে পড়িস না। শান্ত থাকার চেষ্টা কর। ডাক্তার সাহেব তোকে এমন উত্তেজিত হতে নিষেধ করেছেন।”
“আমি কোথায়? হাসপাতালে! হাসপাতালে কে নিয়ে এসেছে?”
“আমি আর মামা। দুজনের মিলে নিয়ে এসেছি।”
“খাল থেকে কে তুলল?”
“আমি তুলেছি।”
“তুই? তুই ওখানে কীভাবে পৌঁছালি?”
“আন্টি কল দিয়েছিলেন। তিনি বললেন– তুই বলেছিস ফিরতে দেরি হবে। না-ও আসতে পারিস। থেকে যাবি কি-না জিজ্ঞেস করতে। তোর ফোন বন্ধ। কল দিয়ে পাচ্ছে না। আন্টির কথা শুনে তোকে কল দিলাম। দু’বার করে কল দিয়েছি। তোর ফোন বন্ধ। উপায় না পেয়ে মামাকে বল দিলাম। মামাকে কল দিতেই মামি বলল তুই বাড়ি চলে গিয়েছিস। প্রায় ঘন্টা খানেক আগে বেরিয়ে গিয়েছিস। বলে পর্যন্ত যাসনি।”
“তারপর তুই এসেছিস?”
“হ্যাঁ। খুঁজতে খুঁজতে ওই পথের কথা মনে পড়ল। গিয়ে দেখি– খালের ভেতরে কাঁদা পানির মধ্যে পড়ে আছিস। জ্ঞান নেই। বহুকষ্টে পাড়ে টেনে তুললাম। তোর ডান পায়ের অবস্থা দেখে তো মাথায় হাত। পরে আর দেরি করিনি। মামাকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে চলে এসেছি।”
“ডাক্তার কী বলেছে? হাঁটতে পারব তো?”
“পারবি। তবে ক’দিন একদম বেড রেস্টে থাকতে হবে।”
বাদশার দিকে তাকাতে গিয়েও মুখ ফিরিয়ে নিলাম। বেড রেস্টে থাকতে হবে? কাজ করতে পারব না? তাহলে টাকা কোথায় পাব? চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কাঁদতে পারছি না। পুরুষ মানুষ সবার ভেতরে কাঁদতে পারে না। লোকে বাঁকা চোখে দেখে। ইসস! মেয়েদের মত কাঁদলে সে কিসের পুরুষ?
হঠাৎই বাদশা আমার কাঁধে হাত রাখল। অসম্ভব কোমল গলায় বলল, “রাত পেরিয়ে যাওয়ার পরই দিনের আলো ফোটে। আমাদেরকে শুধু রাত পেরোনোর সময়টা অপেক্ষা করতে হয়।”
আমি বাদশাকে জড়িয়ে ধরলাম। ধরা গলায় বললাম, “পারলাম না রে। হেরে গেলাম। হেরে গেলাম আমি।”
“শেষ ফয়সালা হওয়ার আগেই হেরে যেতে নেই। ধৈর্য ধর। পায়ে কী খুব ব্যাথা করছে?”
“না, কোন ব্যাথা করছে না।”
“তোর শরীর তো জ্বরে পু’ড়ে যাচ্ছে। ডাক্তার সাহেব অবশ্য বলেছিলেন– জ্বর আসতে পারে। টেনশন না নিতে। একশো দুইয়ের উপরে গেলে সাপোসিটার দিয়ে দিতে।”
“লাগবে না। আমি ঠিক আছি।”
“এত বেশি বুঝলে তো সমস্যা।”
বাদশাকে ছেলে মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম। বাদশার মামা বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন। এসেই হুড়মুড় করে বললেন, “দেখো দেখি অবস্থা! সে বলেছিল রাত দুপুরে অন্ধকারে ভেতরে ওই ভাঙাচোরা পুলে উঠতে? এখন দেখলে তো কী অবস্থা হলো। কতবার করে তোমায় বললাম।”
“কী বললেন?”
মামা থতমত খেয়ে গেলেন। প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললেন, “জমির ধান অর্ধেকের বেশি কা’টা হয়ে গেছে। আর এখনই তোমার পায়ের এই অবস্থা। ওইটুকু জমির ধান কাটাতে আমি নতুন লোক কোথায় পাব?”
বাদশা কটমট করে মামার দিকে তাকাল। আমি ওর একটা হাত চেপে ধরলাম। নিচু গলায় বললাম, “খুঁজলে হয়তো পেয়ে যাবেন। আর না হয় আমি সুস্থ হওয়ার পর বাকি ধান কে’টে দেব।”
“তুমি সুস্থ হতে হতে ওই ধান মাঠে পড়ে নতুন চারা গজিয়ে যাবে। সে যাইহোক! রাতে তো তোমাদের কিছু খাওয়া হয়নি। আমি দেখি খাওয়ার জন্য কিছু কিনে আনা যায় নাকি।”
মামা বেরিয়ে গেলেন। বাদশা বলল, “বাড়িতে কল দিবি? ফোন দেব?”
“এই অবস্থার কথা বাড়িতে জানানো যাবে না। আব্বা শুনলে ভীষণ রেগে যাবেন। মা-ও কষ্ট পাবে।”
“তাহলে কী করবি?”
“কী করব বুঝতে পারছি না রে। একটু গিয়ে ডাক্তার সাহেবকে ডেকে আনবি? কথা বলে দেখব।”
বাদশা বেরিয়ে গেল। গায়ের উপর কম্বল চাপা দেওয়া আছে। টকটকে লাল রঙের কম্বল। জানালা দরজা বন্ধ। তবু ভীষণ শীত করছে। খানিক বাদে বাদে শরীরের ভেতরে কেঁপে উঠছে।
ডাক্তার সাহেব বেশ দ্রুত পায়ে হেঁটে রুমের ভেতরে ঢুকলেন। বেঁটে খাটো চেহারায় একজন মানুষ। মাথায় টাক পড়ে গেছে। মুখে চাপ দাঁড়ি। দাঁড়িতে মেহেদী লাগিয়ে টুকটুকে লাল করে রেখেছে। তিনি কাছে এসে আমার কপালে হাত রাখলেন। কোমল গলায় বললেন, “বাবা, তুমি এখন কেমন আছো?”
আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করলাম। তিনি বললেন, “মিথ্যে হাসি হাসবে না। মানুষের মুখে মিথ্যে হাসি খুবই বিরক্তিকর লাগে।”
“আপনি হাসির ধরন বুঝতে পারেন?”
“পারি। তোমার হাসি তৈরি হাসি। নিজেকে ভালো দেখানোর জন্য হাসছ। সে যাইহোক, পা-টা একটু নড়াচড়া করো তো।”
আমি পা নাড়তে চেষ্টা করলাম। একটু একটু পারছি। ডাক্তার সাহেব বললেন, “পা নাড়াচাড়া করতে পারলে পঞ্চাশ শতাংশ সুস্থ।”
“পায়ের ক্ষত কেমন স্যার?”
“মাঝারি গভীর। লাঠির প্রান্ত মাংসপেশি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। পানিতে থাকার ফলে অবস্থার অবনতি বেশি।”
“সারতে কত সময় লাগতে পারে?”
“এই দুই তিন সপ্তাহ। খুব ভালো যত্ন-আত্তিতে থাকলে এর দুই একদিন আগেও সেরে উঠতে পারো।”
“বেড রেস্টে থাকতে হবে?”
“সম্পূর্ণ বেড রেস্ট সাধারণত দরকার হয় না। তবু থাকা ভালো। পায়ের উপরে কোন জোর দেওয়া যাবে না।”
ডাক্তার সাহেব আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। একজন নার্স ঢুকে তাকে থামিয়ে দিলো। ব্যস্ত গলায় বলল, “ইমার্জেন্সি রুগী এসেছে৷ স্যার, একটু তাড়াতাড়ি চলুন।”
ডাক্তার সাহেব নার্সের পেছনে বেরিয়ে গেলেন। বাদশা বলল, “আন্টিকে কল দিয়ে দেব? কথা বলবি?”
“না বলব না। মাকে এসব কিছু বলা যাবে না।”
“তবুও কথা বল। নয়তো দুশ্চিন্তায় থাকবে।”
বাদশা মায়ের নম্বরে ডায়াল করল। দুইবার রিং হওয়ার পর মা কল রিসিভ করল। আমার গলায় শুনে বলল, “তোর কী হয়েছে? ফোন বন্ধ করে রেখেছিস কেন?”
“আমার ফোনের চার্জ নেই। তাই বন্ধ হয়ে গেছে।”
“বাড়িতে আসবি না?”
“আজকে রাতে আর আসা হচ্ছে না। মামা আমাদের জন্য খাবার আনতে গিয়েছেন। চলে গেলে ভীষণ কষ্ট পাবেন।”
“তা ভালো। তবে তুই যেভাবে বাড়ির বাইরে থাকা শুরু করেছিস এটা কিন্তু ভালো না। তোর আব্বা এখনও কিছু বলেনি। তবে এমন করলে রাগ ঝাঁক করে বসবে।”
“আমি তাড়াতাড়ি চলল আসব।”
কথাটা বলতে ধরা ধরে এলো। মামা খাবার নিয়ে এসেছেন। পাউরুটি আর কলা। তার দু’টো বেদনাও আছে। আমি বললাম, “এতকিছু কিনতে গেলেন কেন?”
“অনেক র’ক্ত পড়েছে। সুস্থ হতে একটু তো খেতে হবে।”
আমার খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। ওদের জোরাজুরিতে খেতে হলো। বাদশা দু’টো বেদানার সবটুকু খাইয়ে তবেই ক্ষ্যান্ত। মামা বললেন, “সাজ্জাদের বাবা মাকে জানানো হয়েছে?”
আমি বাদশার দিকে তাকালাম। বাদশা বলল, “দুদিন পর সাজ্জাদের চাচার বিয়ে। বাড়িতে অতিথি মেহমান দিয়ে ভরা। এই মুহূর্তে এমন একটা খবর উনাদের জানানো উচিত হবে না।”
“তাহলে কী করবে?”
“জানি না। ভেবে দেখি।”
মামা মুখ কালো করে চেয়ারে বসে পড়লেন। তিনি খুব জোরেজোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। নিঃশ্বাসের ফোসফাস শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সেদিকে খেয়াল দিলাম না। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকার চেষ্টা করতে শুরু করলাম। যদি দু’চোখে একটু ঘুম নামে। চোখে ঘুম না থামলে মস্তিষ্ক চিন্তাগ্রস্ত হয়ে যায়। সবকিছু গুছিয়ে ফেলেছিলাম। হঠাৎই সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। এই পা নিয়ে ধান কা’টা সম্ভব না। অন্য কাজ? কিন্তু অন্য কী কাজ করব?
আর ভাবতে পারলাম না। দু’হাতে নিজের মাথায় চুল খামছে চোখ বন্ধ করে রইলাম। আজকে রাতটা বড়। ভীষণ বড়। বছরের দীর্ঘতম রাত। এই রাত জাগতে হবে শরীরের তীব্র যন্ত্রণা, মস্তিষ্কের ভেতরে ঠাসা দুশ্চিন্তা আর মনের কষ্ট নিয়ে। কী ভয়ংকর!
চলবে
Share On:
TAGS: তোমার হাসিতে, ফারহানা কবীর মানাল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
তোমার হাসিতে পর্ব ১০
-
তোমার হাসিতে গল্পের লিংক
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৪
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৩
-
তোমার হাসিতে পর্ব ১১
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৭
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ১
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৫
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ৩
-
তোমার হাসিতে পর্ব ২