Dark_Desire
পর্ব —৩(প্রথম অংশ) (১৮+🔞)
ডার্ক_ডিজায়ার
দূর্বা_এহসান
“এটার টেস্ট কিভাবে পাওয়া যায় জানো? চু’ষে চু’ষে।
ডু ইউ ক্রেভ দ্য ফ্লেভার, বে’বি?”
নিজের ঠোঁটের দিকে ইশারা করে বললো মৃন্ময়। রাগে হাতে থাকা চামচ শক্ত করে ধরলো সে। টেবিলে সারি সারি খাবার সাজানো। ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানি, গ্রিলড চিকেন, একপাশে গ্লাসে ভরা লাল ওয়াইন।
তরু এক কোণে বসে চুপচাপ থালার দিকে তাকিয়ে আছে। তার হাত কাঁপছে, চামচে ধরা খাবার বারবার পড়ে যাচ্ছে প্লেটে।
মৃন্ময় সেই দৃশ্য দেখে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো।
চামচে একটুকরো মাংস তুলে নিয়ে খুব ধীরে ধীরে মুখে দিলো। তারপর ঠান্ডা গলায় বলল,
“খাও।নাহলে তো জানো কি করবো!”
তরুর গলা শুকিয়ে গেছে, গ্লাসে রাখা পানির দিকে হাত বাড়িয়েও ফিরিয়ে নিলো।তার শ্বাস ভারী হয়ে উঠছে।মনে হচ্ছে খাবারের গন্ধটাই যেন দম বন্ধ করে দিচ্ছে।
মৃন্ময় এবার সামনে ঝুঁকে এল। প্লেটের ধারে চামচ টোকা দিতে দিতে ফিসফিস করে বলল,
“এভাবে ভয় পাও কেন, পাখি। স্বাদ পেতে হলে আস্তে আস্তে নিতে হয়।প্রতিটা কামড়ে আসল মজা লুকিয়ে থাকে।”
তরু চোখ নামিয়ে ফেললো।কিন্তু তার ভেতরে ভয় আর বিতৃষ্ণা একসাথে ঘূর্ণিঝড় তুলছে।গ্লাসের ভেতরের লাল রঙটা হঠাৎই তার কাছে র’ক্তের মতো লাগলো।তার বুক কেঁপে উঠলো।হাতের আঙুল শক্ত হয়ে টেবিল আঁকড়ে ধরলো।
“খাবে না?”
শান্ত কন্ঠে প্রশ্ন করলো মৃন্ময়।তরু সাহস দেখালো।খাবারের প্লেটটা ছুঁড়ে ফেললো।দাঁতে দাঁত চেপে ফিসফিস করে বললো,
“আমি মরবো, তবু আপনার দেয়া খাবার খাবো না।”
মৃন্ময় শান্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।কোনো চিৎকার নেই।কোনো ধমক নেই।যেনো তরু যা ঘটলো, সেটাই আশা করছিলো।তরুকে টেনে নিজের কোলে বসালো।তরুর শরীর কেঁপে উঠলো, কিন্তু মৃন্ময়ের হাতের চাপে সে স্থির হয়ে গেলো।
“জান,আগে বললেই হতো নিজে হাতে খাবি না।হুদাই খাবার নষ্ট করলি।তুই জানিস, খাবার নষ্ট করা একদম পছন্দ নয় আমার?”
তার কণ্ঠে কোনো রাগ নেই।বরং অদ্ভুত এক কোমলতা।কিন্তু সেই কোমলতায় কেমন হিমশীতল স্রোত।তরুর বুক ধড়ফড় করছে। তার চোখে জল জমেছে, কিন্তু সে চিৎকার করতে পারছে না।
মৃন্ময় ধীরে ধীরে টেবিলের ওপর থেকে একটুকরো মাংস তুললো।নিজের ঠোঁটে দিলো।খুব ধীরে ধীরে চিবোলো।তারপর কোনো শব্দ না করে তরুর মুখের খুব কাছে ঝুঁকে এলো। তরুর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো।তরু হতভম্ব। বুকের ভেতর থেকে এক চাপা গোঙানি বেরিয়ে এলো।মৃন্ময় ঠোঁটের ফাঁক গলিয়ে নিজের মুখের মাংসটুকু ঠেলে দিলো তরুর মুখে।জোরে, একটুও সুযোগ না দিয়ে।
তরুর ঘৃণায় গা গুলিয়ে এলো।বমি যেনো গলায় এসে আটকে গেলো।কিছুতেই বাইরে বেরোলো না। হঠাৎ ই মৃণ্ময়ের একটা হাত তরুর জামা গলিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো। আলতো হাতে ছুঁতে শুরু করলো তরুর পেট।
“ফেলবে না। গিলে ফেলো।”
আর কোনো উপায় না পেয়ে তরু তাই করলো। প্লেটের সব গুলো খাবার তাকে এভাবেই খেতে হলো।
একসময় খাওয়ানো শেষ হলে মৃন্ময় ছোট করে একটা চুমু দিলো।
“রুমে যাও এখন। বের হবো আমি।এসে যেন চোখের সামনে পাই”
তরু কথা বাড়ালো না বাধ্য মেয়ের মত যেতে শুরু করলো। হাসলো মৃন্ময়।বুকের বা পাশে কেন জানি হালকা চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে তার।
মৃন্ময় ফিসফিস করে বললো,
“আমার জিনিস আমি নিজেই সামলাই।
তুমি যদি খেতে না চাও, আমি খাওয়াবো।
তুমি যদি কাদো, আমি মুছে দেবো।
তুই যদি ভয় পাও, আমি তোমাকে আমার মতো করে রাখবো।”
জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছে তরু।দেখতে পেলো মৃণ্ময়ের চলে যাওয়া।হাতে তাকালো একবার। শিকল! তার নিজের ভুলেই আজ সে বন্দী। কোথা থেকে যেন একটা আওয়াজ তার কানে প্রতিধ্বনি হতে শুরু করলো।চিৎকার করে বলছে, “তুই তোর পাপের ফল ভোগ করছিস।একজনের মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার শাস্তি”
জানালার কাছেই হাঁটু মুড়ে বসলো তরু। লোকটা এক সময় তাকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালবেসেছিল।আজ সেই মানুষটাই তাকে! নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলো তরু,”আমি কতটা নিকৃষ্ট হলে,একজনের ভালোবাসা এভাবে ঘৃণায় পরিণত হয়”
নিজের চুল নিজেই টেনে ধরলো।মনে পড়ল অতীতের কথা। বান্ধবীদের সাথে বাজি ধরে মৃন্ময়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিল তরু। মৃন্ময় ছিল তাদের ই ভার্সিটির মালিকের ছেলে।চোখে চশমা পড়া মৃন্ময়কে ফাঁসাতে বেশি সময় লাগে নী তার।তারপর দিয়েছিল নিজের সমস্ত অভিনয়।মিথ্যার পর মিথ্যে বুনে গড়ে তুলেছিল এক সম্পর্ক।ভালোবাসার মুখোশ পরা এক নিষ্ঠুর খেলা। বান্ধবীদের হাসির ফাঁকে বাজি ধরেছিল তরু, আর সেই বাজির মঞ্চ হয়েছিল মৃন্ময়ের নিষ্পাপ হৃদয়।চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, কথা কম,মৃন্ময় ছিল যেন একটা খোলা বই, যে বইয়ের প্রতিটি পাতায় লেখা ছিল তার সত্যিকারের ভালোবাসা। তরু সেই বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়েছে, তাতে আঁকাআঁকি করেছে, শেষে ছুঁড়ে ফেলেছে।
কথা ছিলো এক ১ মাস যদি সে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে পারে তাহলে তরুর সব কথা শুনবে তার বান্ধবীরা। তরু তাই করলো।এক মাস সে সম্পর্কে থাকলো মৃন্ময়ের সাথে।তারপরেই হঠাৎ সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো। মেতে উঠলো বন্ধুদের সাথে। নতুন বয়ফ্রেন্ড বানালো।
জানালার বাইরে সন্ধ্যা নামছে। আকাশের লালচে আলো যেন রক্তের ছায়া ফেলছে ঘরের মেঝেতে। তরু চুপ করে দাঁড়িয়ে। শিকলে বাঁধা হাতটা আকাশের আলোতে ধাতবভাবে চকচক করছে।তার বুকের ভিতর একরাশ শব্দ।চিৎকার, কান্না, আত্মঘৃণা, অসহায়তা।আস্তে করে জানালার কাঁচে মাথা ঠেকাল। ঠাণ্ডা, নির্বিকার।ঠিক যেন মৃন্ময়ের চোখের মত।একটা সময় ছিল, যখন সেই চোখ জ্বলতো।ভালোবাসায়, আবেগে, অনুরাগে।এখন? এখন শুধু আগুন।আগুন, যা পুড়িয়ে দিতে চায়।তাকে।তরুকে।সে দোষী।একটা মানুষের হৃদয় নিয়ে খেলেছে।তার বিশ্বাস, তার ভালোবাসা, তার নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া।সবকিছু।সবটা নষ্ট করেছে। বিনিময়ে পেয়েছে এক মুহূর্তের আনন্দ। একটা বাজির জয়।কিন্তু এখন,সে জেতেনি।জিতেছে মৃন্ময়।
অথবা বলা ভালো, জিতেছে সেই মানুষটা, যাকে তরু হারাতে চেয়েছিল।
চলবে,,,
Dark_Desire
পর্ব—৩(বাকি অংশ)(১৮+❌)
দূর্বা_এহসান
ডার্ক_ডিজায়ার
শহরের এক নির্জন গুদামঘর।দেয়ালের ফাটল দিয়ে ঝরে পড়ছে ম্লান আলো।চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে কালো স্যুট-পরা মানুষজন।হাতে বন্দুক।মাঝখানে বাঁধা অবস্থায় কাঁপছে এক লোক।চোখ-মুখ ফুলে গেছে। শরীর র’ক্তে ভিজে।তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মৃন্ময়।
সাদা শার্টের হাতা গুটানো।ঠাণ্ডা দৃষ্টি।হাতে ভারী লোহার রড।লোকটা হাঁপাচ্ছে, কাঁপা গলায় মিনতি করছে,
“ভুল হয়ে গেছে, ভাই। আর হবে না…”
মৃন্ময় নিচু হয়ে তার কানে ফিসফিস করে বললো,
“এটা ভুল?”
পরক্ষণেই বজ্রপাতের মতো নেমে এলো রড।
শুকনো কাঠের ভাঙনের মতো হা’ড় ভেঙে যাওয়ার শব্দ প্রতিধ্বনি তুললো গুদামঘরে।লোকটা ছ’ট’ফ’ট করতে লাগলো, চিৎকার আটকে গেলো গলায়।মৃন্ময় থামলো না।
আবার আঘাত।আবার।র”ক্ত ছিটকে পড়লো মেঝেতে, ছিটে এসে লাগলো মৃন্ময়ের মুখেও। সে মুছলো না। বরং ঠাণ্ডা চোখে তাকিয়ে রইলো।লোকটার হাঁপ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে আসছে, তবুও আঘাত থামলো না। প্রতিটি আঘাত যেন মৃ’ত্যু’র পরও তার আত্মাকে ভাঙছে।
চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা অস্বস্তিতে নড়েচড়ে উঠলেও কেউ সাহস করলো না কথা বলতে।শেষ আঘাতের পর যখন লোকটা একদম নিথর হয়ে গেলো তখন মৃন্ময় ধীরে ধীরে রডটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো।
মৃন্ময় শার্টের হাতা ঠিক করে লোকজনের দিকে তাকালো।
“কে ছিলো ওর সঙ্গে? খুঁজে বের করো।
আমার জিনিসে নজর দিয়েছে!”
চারপাশের সবাই একসাথে মাথা নাড়লো।মৃন্ময় আস্তে আস্তে সিগার জ্বালালো। বেরিয়ে গেলো সে।
কালো এসইউভি থেমে গেলো এক পুরনো প্রাসাদের সামনে।
শহরের আলো থেকে অনেক দূরে।পাহাড়ঘেরা নির্জনতা।
উঁচু গেট খুলে গেলে ভেতরে দেখা গেলো সশস্ত্র প্রহরী।প্রতিটি কোণে ক্যামেরা।মৃন্ময় গাড়ি থেকে নামলো।সাদা শার্টে এখনও লেগে আছে শুকনো র”ক্তের দাগ।চোখে কোনো ভাব নেই।ঠোঁটে হালকা শীতল হাসি।
ভেতরের বড় হলে বসে আছেন ইখতিয়ার খান।মখমলের আসনে হেলান দিয়ে।হাতে ভারী সোনার আংটি ঝলকাচ্ছে। আঙুলে চাপা সিগারেট।তার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে বিশালাকার বডিগার্ড।
মৃন্ময় সামনে গিয়ে থামলো।তার সাদা শার্টে শুকনো রক্তের দাগ।
ধীরে ধীরে হাঁটু মুড়ে মাথা নিচু করলো।
“চাচাজান।”
ইখতিয়ার সিগার টেনে ধোঁয়া উড়ালেন।
ঠাণ্ডা গলায় বললেন,
“কাজ শেষ করেছিস?”
মৃন্ময় মাথা নিচু রেখেই ঠাণ্ডা কণ্ঠে বললো,
“শেষ। তবে ওর পেছনে আরও লোক আছে। নাম বের হবে।”
বিছানায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তরু।হঠাৎ ই অনুভব করলো তার উপর ভারী কিছু আছে।শরীরের স্প”র্শ’কা’ত’র জায়গাগুলোতে করো হাত বিচরণ করছে। চোখ খোলার চেষ্টা করছে তরু।কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে পারছে না।শরীর যেন অবশ হয়ে আসছে তার। হাত নাড়ানোর চেষ্টা করতেই বুঝতে পারে সেগুলো কেউ শক্ত করে চেপে ধরেছে।গলায় নিশ্বাস আছড়ে পড়ছে।তরু বুঝতে পারে। সে চেনে এই নিশ্বাসের শব্দ।
মৃন্ময় একের পর এক কা’ম’ড় বসাচ্ছে তরুর গলায়।প্রতি কামড়ে চিৎকার করে উঠছে তরু।কিন্তু মৃন্ময় থামছে না। সে ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসছে।
বুকের কাছে এসে মুখ তুলে তাকায় মৃন্ময়।চোখে নেশা। তরু তাকিয়ে আছে তার দিকে। মৃন্ময় জোরে নিশ্বাস ছেড়ে বলে, “বে’ইব ক্যান আই টেস্ট ইট?”
” না না,,,” চিৎকার করে উঠল তরু।কিন্তু থামলো না মৃন্ময়। সে মুখ ডুবিয়ে দিলো। তরু ছটফট করছে তার নিচে।কান্না করছে।কিন্তু কিছুতেই নিজেকে ছাড়াতে পারছে না। মৃন্ময় একেরপর এক গভীর স্পর্শ দিয়ে যাচ্ছে তাকে।এক টানে কামিজ টেনে খুলে ফেললো মৃন্ময়।আরো হিংস্র হয়ে উঠল সে।একের পর এক কা’ম’ড়, চু’মু দিয়েই যাচ্ছিল।তরুর কান্না করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
এক সময় তরুর না’ভি’তে নেমে এলো মৃন্ময়।ঠোঁট ছুঁয়ে নিজের দিকে ইশারা করে বললো,”বেই’ব, আ’ই ক্যান্ট কন্ট্রোল ইট।দেখো তোমাকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।”
চলবে,,,,,
(পর্বটা বাকি অংশ হওয়ায় ছোট। তবে কালকে বিশাল এক পর্ব আসবে)
Share On:
TAGS: ডার্ক ডিজায়ার, দূর্বা এহসান
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ পর্ব ১
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৬
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৪
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৫
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৪
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ পর্ব – ২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৭
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৬
-
ডার্ক ডিজায়ার গল্পের লিংক