_গল্পঃ ভুতুরে সেই রাত
বাস্তব ভৌতিক ঘটনা
সাকিব ভাইয়ের থেকে নেওয়া
হার্ট দূর্বলরা পড়বেন না দয়া করে
.
ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ২০০১ অথবা ২০০২ সালের ঘটনা . আমাদের গ্রামে তখন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিলোনা হেড়িকেন জালিয়ে রাতে পড়তে বসতাম আবার বল খেলা হলে ম্যাচ লাইটের আলোতে বাসা থেকে দুই তিন কিলোঃ দুরে যেতে হতো , একদিন আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে বিকেলে ফুটবল খেলার আয়োজন করি গ্রামের মাঠে ! খেলা শেষ করে আমরা ৫ বন্ধু সবাই মাঠে বসে আছি ,আমরা বন্ধুরা একটি টার্গেট করি ,খেলা তো শেষ ,এখন বাগান থেকে পেয়ারা চুরি করবো
বলে রাখি আমাদের মাঠ থেকে ২ কিলো মিটার দুরে একটি পেয়ারা বাগান আর যাতায়াত এর পথ হলো নৌকা ডিংগী নৌকায় ৫ বন্ধু বাসা থেকে টর্চ লাইট নিয়ে রউনা দেই
চাদঁনী রাত ফোট ফুটে জোসনায় ভরা রাত , নদীর এক পাস দিয়ে নৌকা বেয়ে বেয়ে পেয়ারা বাগানের দিকে রউনা দিলাম রাত তখন ৯ টা ,নির্জন এলাকা কোনো বাড়ি ঘর নেই , তো নৌকা টি এক সাইডে রেখে, পাচ বন্ধু পেয়ারা বাগানের ভিতরে প্রবেশ করি !
বিশেষ করে সাবধানেই পেয়ারা বাগানে প্রবেশ করি কেনোনা যদি আবার বাগানের মালিক টের পায় তাহলে আমাদের কে বধে রাখবে ! এক পযাৎ বাগানের ভিতরে প্রবেশ করি বড় একটি ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করি একেক জন একেক দিকে ডুকি কেনোনা বাগান টা অনেক বড়
বেশ ভালো ভাবেই পেয়ারা ছিড়তে লাগলাম গাছ থেকে, পেয়ারা পাড়তে পাড়তে বেশ রাত হয়ে যায় আনুমানিক ১০ টা অথবা ১১ টা , পেয়ারা নিয়ে ফেরার পথে আমরা যতই সামনে আসি কিন্তু ঘুরে ফিরে দেখি আমরা ঠিক আগের জায়গায় ই আছি , যত বার চেষ্টা করি যে বাহিরে বের হবো তত বার ই আগের জায়গায় ই রয়ে যাচ্ছি ,আমার সাথে ছিলো আমার বন্ধু রাসেল ,আমি রাসেল কে বলে উঠলাম ব্যপার কি আমি তো সামনে যেতে পারতেছিনা! তখন রাসেল আমাকে বলে উঠলো
ভাই আমি ও তো সামনে যেতে পারতেছিনা, এখন কি করবো? তখন টচ লাইট টা অন করার চেষ্টা করতেছি টচ লাইট টি একে বারে অফ ! নষ্ট হয়ে গেছে জলতেছেনা
অনেক কষ্ট করার পর লাইট জলে উঠলো , প্রচুর ভয় পেতে লাগলাম কারন পাশে ই একটি শর্সান ঘাট হিন্দু ধর্মের লোক জনদের ওখানে পোড়ানো হতো !তো আমি আর রাসেল দুজনে এক জায়গায় দাড়িয়ে আছি আর ভাবতেছি কি ভাবে বাহিরে প্রবেশ করবো ! কারন যতই সামনে যায় ততই দেখি একি জায়গায় রয়ে গেছি ,
একটু পর ই ঘটলো মুল ঘটনা বাগানের ভিতর টা কিন্তু বেশ অন্ধকার .টচ লাইট এর আলোতে যা দেখলাম ,দেখতে পেলাম বাগানের ভিতরে ৮০ বছরের একজন বুড়া মহিলা বসে বসে কাদতেছে ,রাসেল এবং আমি দুজনে তো পুরাই অবাক ,এত রাতে বৃদ্ধ মহিলা এখনে কেনো? আমি রাসেল কে বলে উঠলাম , হয় তো পথ ভুল করে চলে এসেছে
একটু পর ই বন্ধু মিলন এর চিৎকার,সাথে বাকি বন্ধুরাও হাজির ,ভিতরে প্রান ফিরে এলো ,খুব ভয় লাগতেছিলো এত রাতে একটি বুড়া মহিলা তারপর আবার সামনে ও যেতে পারিনা পিছনে ও যেতে পারিনা ,এখন বন্ধুদের পেয়ে ভিতরে প্রাণ এলো,আমি মিলন কে বলে উঠলাম
কিরে কাদতেছিস কেনো?তখন মিলন আমাকে বলে উঠলো !দুস্ত কে যেনো আমার পায়ে জোরে কামর দিয়েছে,টচ লাইট টিপ দিয়ে ধরে দেখি মিলনের পা দিয়ে রক্ত পড়তেছে,এবং পায়ে দাগ হয়ে গেছে দাত গুলো যেনো অনেক বড় ছিলো,আমি মিলনকে বলে উঠলাম এসব কিছুনা হয় তো কোনো কিছুর চুট লেগেছে, একটু পর লক্ষ করলাম আমরা সবাই আছি অথচ আমাদের টিমে ১জন নেই ৫জন এসে ছিলাম৪জন আছি ,ভাবলাম অয় হয় তো পেয়ারা পাড়তেছে!
রাত অনেক গভীর হওয়ায় ,রিদয়কে ৪ বন্ধু এক সাথে খুজতে লাগলাম ,লক্ষ করলাম যে বুড়া মহিলা টা,বসে বসে কাদতে ছিলো, সেই বুড়া মহিলা দাড়িয়ে আছে ,লাইট টা ওনার পায়ের দিকে ধরলাম দেখতে পেলাম ওনার পা নেই ওনি হাওয়াতে ভাসতেছে,এটা দেখার পর আমাদের ৪ বন্ধুর অবস্থা না যে হাল,মহিলার মুখ থেকে রক্ত পড়তেছে দাত গুলো বেশ বড় বড় ,চার বন্ধু দৌড়াতে লাগলাম আবার চিন্তা ও করতেছি,আরেক জন কোথায় গেলো ,দৌড়াতে দৌড়াতে এক পযাৎ
বাগানের শেষের দিকে চলে যাই,ওখানে গিয়ে দেখতে পেলাম ৮/১০ জন মুরুব্বি লোক সাদা কাপড় পড়ে দাড়িয়ে আছে,তখন ভিতরে একটু শান্তি এলো,কেনোনা মানুষ দেখতে পেলাম একজন মুরুব্বি চাচাকে আমি প্রশ্ন করলাম ,চাচা এখানে দাড়িয়ে আছেন কেনো?তিনি আমাকে জবাব দিলো,একজন লোক মারা গেছে, তার জানাযার নামাজ এ শরিক হয়েছেন এবং আমাদের কে ও বলতেছে শরীক হতে !
তো আমাদের চার বন্ধুর ই মনে আগ্রহ জাগে মৃত লাশটিকে দেখার ,চার বন্ধু লাশের খাটিয়া থেকে কফিন টা সরিয়ে, লাশটির মুখের দিকে লাইট ধরি ! যা দেখলাম আমার জীবনে এরকম দৃশ্য দেখিনি ,দেখতে পেলাম আমাদের সাথে যে বন্ধুটা এসে ছিলো, সেই বন্ধুটার লাশ এই খাটিয়াতে অয় আমাদের চার জনের দিকে তাকিয়ে আছে চোখ গুলো বড় বড় করে হাসতেছে !
,
আমার বাকি তিন জন বন্ধু চিৎকার দিয়ে গ্রেন হাড়িয়ে মাটিতে পড়ে আছে , আমি তাকিয়ে দেখতে পেলাম যে ৮/১০জন লোক ছিলো সাদা কাপড় পড়ে ,১জন ও নেই ওখানে সুধু ওই খাটিয়া এবং ওই লাশ টি ছিলো আর গ্রেয়ান হাড়া অবস্থায় বাকি তিন বন্ধু
আমি ও সাথে সাথে গ্রেয়ান হাড়িয়ে ফেলি ,আমার গ্রেয়ান ফেরার পর নিজেকে আবিষ্কার করি একটি শর্সান ঘাটের ভিতরে ,সাথে আমার বাকি তিন বন্ধু ও আছে ,সবার ই গ্রেয়ান ফিরে এবং যে বন্ধুটি র লাশ খাটিয়াতে দেখে ছিলাম সেই বন্ধুটা ই শর্সান ঘরের বাশের দোলনায় ফাসি দিয়ে জুলে আছে !
বন্ধুর লাশ কাদে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি দাফন কাফন করার পর , যে যার মতো করে বাসায় চলে আসি ,সবার শরিলে ই প্রচুর জর ,যে বন্ধুটার পায়ে কামর দিয়ে ছিলো !কিছু দিন পর সেই বন্ধুটা ও মারা যায় !তারপর থেকে রাতের বেলা ঘুরা ঘুরি অথবা একা একা বাসা থেকে বের হইনা…. সমাপ্ত
Share On:
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE