উড়ালমেঘেরভেলায়
লেখনীতে— #ঝিলিক_মল্লিক
পর্ব_৩
[কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ]
রানিয়া একটা কাণ্ড ঘটিয়ে একেবারে শান্ত হয়ে যায়নি। এমন মেয়ে ও নয়। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ বসে থাকবে না ও। তাই আজ ও জাহিনকে নিয়ে আবারও ঘুরতে বের হলো। এমনিতে জাহিনের সাথে খুব একটা ঘোরাঘুরি কখনো হয় না। জাহিন আগে শত বলেকয়েও ওকে ঘুরতে সাথে নিয়ে যেতে পারিনি। সেই রানিয়া আজ দু’দিন স্বেচ্ছায় ঘোরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। জাহিনকে ঠেলে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে আজ ঘুরতে এসেছে ওর সাথে।
পার্কে একটা বেঞ্চিতে বসে ছিল রানিয়া। জাহিনকে পাঠিয়েছিল আইসক্রিম আনতে। জাহিন আইসক্রিম নিয়ে আসার পরে রানিয়া সেটা কেঁড়ে নিলো৷ জাহিন ওর মাথায় একটা চাট্টি মেরে বললো, “তোর জন্যই তো আনসি। দিচ্ছিলাম তো। কেঁড়ে নেওয়ার কী হয়েছে শাঁকচুন্নি? পড়ে যেতো যদি? নষ্ট হয়ে গেলে?”
“ভাইই আর বলিস না। নষ্ট? আর আইসক্রিম? ওতে কিছুই হতো না। আমার জীবনটাই তো নষ্ট হয়ে গেল রে বন্ধু…”
কথাটা বলেই রানিয়া আফসোস এবং বিলাপ শুরু করলো। জাহিন নিজের আইসক্রিমে কামড় বসাতে বসাতে বললো, “ওরে আমার মা, এবার একটু থাম। দয়া করে আর কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করিস না। তোর বিয়ের পরে তোর মুখ থেকে এতোবার জীবন নষ্টের কাহিনী শুনতে শুনতে আমার নিজের জীবনডাই ধ্বংস হয়ে গেল। চুপ কর রে আমার মা।”
“চোপ হালা। আমার জীবনের করুণ কাহিনী শোনার মতো কেউ নেই। শুধু তুই আছোস। এখন তুইও যদি পল্টি মারিস তাহলে মাথা ফাটাবো কিন্তু।”
রানিয়া জাহিনের দিকে তেড়ে আসতে গিয়েও বেচারার অসহায় মুখখানা দেখে আবারও শান্ত হয়ে বসলো। তারপর হঠাৎ চুপচাপ হয়ে বললো, “কী করা যায় দোস্ত? বল তো। কোনো সলিউশন দে। ওই ব্যাটা তো আমার জীবন জাহান্নাম করে দিচ্ছে।”
জাহিন কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলো, “একটা কথা বুঝি না দোস্ত। তোরা তো একসাথে থাকিস-ই না। তাহলে আভিয়ান স্যার তোর জীবন জাহান্নাম করলো কীভাবে?”
“এটাই তো সমস্যা। আমরা একসাথে থাকি না, আর দশটা স্বাভাবিক সম্পর্কের মতো সম্পর্ক না আমাদের, বিবাহিত হয়েও সবখানে অবিবাহিত পরিচয় দিতে হয়— এটাই আমার সমস্যা। উনি কেন আমাকে স্ত্রীর অধিকার দেবে না? কেন আমাকে পাত্তা দেবে না? এজন্য আমি ডিসাইড করে নিয়েছি, হয় আমার পাত্তা চাই নাহয় ডিভোর্স।”
“তা কতদূর কী এগোলো?”
“পাত্তা-টাত্তা তো দিচ্ছে না। ডিভোর্স-ই দেবো। তোর-আমার ফটো স্টোরিতে দেওয়াতে একটু কাজ হইসে দোস্ত। এখন শুধু ছক্কা মারাটা বাকি।”
“ছক্কা? কীসের ছক্কা?”
“আয় তোর কানে কানে বলি। আশেপাশের মানুষ শুনলে আবার কি না কি ভাববে!”
জাহিন কান এগোলো রানিয়ার মুখের কাছে। রানিয়া কানে কানে কথাগুলো বলে শেষ করতেই জাহিন সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে সরে গেলে৷ লাফিয়ে উঠে উত্তেজিত হয়ে বললো, “না না দোস্ত। তোর সাথে আর নাই আমি৷ এমন অপকর্মে জড়াস না আমাকে। পা ধরি মা তোর৷ এবারের মতো মাফ কর আমাকে। তোর স্বামী সত্যিই এবার আমার হাত-পা ভেঙে দেবে। মেরেটেরেও ফেলতে পারে। আমি অকালে মরতে চাই না দোস্ত। আমার এখনো একটা জিন্দেগী পড়ে আছে। বউ-বাচ্চা কিছুই হইলো না এখনো।”
কথাটা বলেই জাহিন কপাল চাপড়ে বিলাপ করতে লাগলো। রানিয়া ওর পিঠের মাঝ বরাবর জোরে একটা থাবড়া বসিয়ে দিয়ে বললো, “তুই আমার জন্য এটুকু করতে পারবি না? গেলে তো শুধু তোর হাত-পা-ই যাবে। জান তো আর যাবে না। তুই না আমাকে প্রাণের বন্ধু বলিস? এই প্রাণের বন্ধুুর জন্য এটুকু করলে কি পাপ হবে বল?”
রানিয়া খুব অসহায়ভাবে কথাগুলো বলতে লাগলো। শুরু হয়ে গেল ওর ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল। এমন ইমোশনাল কথাবার্তা শুনলে স্বয়ং বনের রাজা সিংহও কান্না করে দেবে। সেখানে জাহিনের মতো বলদ তো মুহূর্তের মধ্যে টলে গেল। ও বললো, “আচ্ছা দোস্ত। তুই যা বলবি, তাই-ই হবে।”
একথা বলে দু’জনে উঠে দাঁড়ালো। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বাসায় ফিরতে হবে। ফেরার জন্য পা বাড়ানোর আগে দু’জনে একসাথে একটা ফটো তুললো। সাধারণ ফটো নয়। একটু গভীরভাবে দেখানোর জন্য রানিয়া জাহিনকে ইন্সট্রাকশন দিয়ে নিজের কাঁধে জাহিনের হাতটা আলতোভাবে রাখলো, এমনভাবে রাখলো যাতে স্পর্শ না হয়, আবার ফটোতে দেখলে মনে হয়— শক্ত করে চেপে ধরা। রানিয়াও জাহিনের অপর হাত আলতোভাবে ধরে দু’জন দু’জনার দিকে তাকিয়ে থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার মতো একটা ফটো তুলে ফেললো। মুখে একরাশ চমৎকার হাসি। চোখের ভাষায় যেন মনে হয়, জনম জনমের প্রেম আছে ওই চার জোড়া চোখের একে-অপরের প্রতি! এই ফটো যেকেউ দেখলে এমন কথা বলতে বাধ্য!
.
.
সন্ধ্যায় বাসায় আসার ঘন্টা দুয়েক পরে একটু ঘুমিয়েছিল রানিয়া। ভীষণ ক্লান্ত ছিল ও। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই চোখে ঘুম নামলো। কখন যে ঘুমিয়ে পরেছিল, সেই খেয়াল নেই ওর। তবে ঘুম ভাঙলো ওর আম্মার ডাকে। রানিয়া রুমের লাইট নিভিয়ে দিয়ে ঘুমিয়েছিল। ওর আম্মা এসে ডাকতেই হঠাৎ ডাকে ধড়ফড় করে উঠে বসে দেখলো, ওর আম্মা সামনে খুন্তি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আম্মা প্রায়সময় ওর রুমে এসে ওকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। কিন্তু এভাবে কখনো খুন্তি ধরে তো দাঁড়িয়ে থাকেন না। তাই একটু অদ্ভুত ঠেকলো ওর। হতভম্ব এবং কৌতূহল মিশ্রিত চাহনিতে মায়ের দিকে তাকালো।
রানিয়ার আম্মা নাজমা পারভীন খুন্তি হাতে খাঁড়া করে নিয়েই বিছানায় রানিয়ার পায়ের কাছে বসলেন। রানিয়ার মা সহজে রাগ-ঢাক করেন না। সেখানে আজ মায়ের কিছুটা রাগী এবং গম্ভীর মুখশ্রী দেখে আতঙ্কিত হলো ও। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞাসা করলো, “কী হয়েছে আম্মা? এতো রাতে কী রান্না করছো?”
“আমার মাথা। মাথা রান্না করবো। তোমার যন্ত্রণায় তো মাথা ব্যাথা বেড়ে যাচ্ছে। সেটা কমাতে হবে না?”
“কী হয়েছে আম্মা?”
রানিয়া আমতাআমতা করলো। নাজমা পারভীন খুন্তি নাড়িয়ে কটমট চাহনিতে তাকিয়ে থেকে বললো, “আমাদের-ই দোষ। বেশি লাই দিয়ে ফেলেছি তোমাকে। এই লাই দেওয়ার জন্য তুমি তো ভুলেই গেছো যে তুমি একজন বিবাহিত মেয়ে। তোমার এখন একটু রয়েসয়ে চলা উচিত। বাইরে এতো ছেলেবন্ধুদের সাথে আড্ডা কীসের এখন? আমার কাছে ফোন করে নালিশ করা হবে কেন?”
“কে করেছে নালিশ?”
“তোমার স্বামী৷ আমার মেয়েজামাই। ওরকম সহজ-সরল জামাইটা আমার না, তার না পেরে আমাকে কল করে নালিশ করতে হলো তোমার ব্যাপারে। বোঝো, তুমি কতোটা সীমা পেরিয়ে গেছো!”
রানিয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্রু কুঁচকে গেল। আভিয়ান ওর ব্যাপারে ওর মায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে! কতবড় বজ্জাত লোক! রানিয়া মুখে কিছু বললো না। এরইমধ্যে ওর আম্মা বলে উঠলেন, “আজ থেকে তোমার ঘরের বাইরে পা ছোঁয়ানোও বন্ধ।”
রানিয়া এবার আর চুপ থাকতে পারলো না। উদ্বিগ্ন হয়ে বললো, “ঘরের বাইরে পা বেরোনো বন্ধ কেন আম্মা? কী বলছো এসব? কে জারি করেছে এই কারফিউ?”
“আভিয়ান দিয়েছে।”
“আভিয়ান দিয়েছে মানে? উনি কেন দিবেন? আমি কি উনার কথামতো চলবো নাকি?”
“চলতে হবে।”
নাজমা পারভীন উঠে দরজার দিকে গেলেন। রানিয়া পেছন থেকে প্রশ্ন ছুঁড়লো, “কেন চলতে হবে উনার কথায়?”
“কারণ ও তোমার স্বামী।”
মায়ের জবাবটা শোনামাত্র-ই রানিয়া বিরবির করলো, “বালের স্বামী আমার! মানি না উনাকে স্বামী।”
রানিয়ার কথা কেউ শুনলো না৷ আজ থেকে ঘরের বাইরে বেরোনো বন্ধ। সব হয়েছে ওই লোকের জন্য। লোকটা যে এতো শেয়ানা, তা কি রানিয়া বুঝতে পেরেছিল? রাগে-জেদে-দুঃখে কান্না পাচ্ছে ওর। নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে মন চাইছে। তবে মন চাইলেও সেটা করলো না ও। নিজেকে বড্ড বেশি ভালোবাসে। এক স্বৈরাচারীর জন্য নিজের ক্ষতি করবে না ও। বরং, শেষ অবধি দেখবে এর।
রানিয়া জেদ ধরে অবশেষে বিকালে জাহিনের সাথে তোলা সেই ফটোগুলো ফেসবুক-স্টোরি দেওয়ার কথা ভাবলো। এগুলো সে দু’দিন পরে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আভিয়ান যা শুরু করেছে, তাতে রানিয়ান জেদের মাত্রা বাড়ছে বৈ কমছে না। আভিয়ান ওকে দমন করতে চাইছে, কিন্তু রানিয়া তো চুপ করে বসে থাকার মেয়ে নয়।
রানিয়া ফটোর সাথে “তুমি এসো তবু এসো ভালোবেসে” গানটা যুক্ত করলো। শেষ মুহূর্তে কি মনে করে যেন ক্যাপশনে ছোট্ট করে এককোণে লিখে দিলো, “বিয়ে করছি খুব শীঘ্রই। দোয়ায় রাখবেন আমাদের।”
.
.
রানিয়ার আজ দু’দিন চিন্তায় চিন্তায় ঘুম হয়নি। সেদিন আভিয়ান ওই স্টোরিটা দেখেছিল। তবে স্টোরি সিন করার পরেও লোকটা কিছু বলেনি৷ না তো মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে কোনো মেসেজ দিয়েছে, আর না তো কোনো ফোনকল। ব্যাপার কী? হঠাৎ এমন করে হার মেনে নিলো কেন লোকটা? তারমানে কি সত্যিই এবার ডিভোর্সটা দিয়ে দেবে? আভিয়ান বোধহয় ওই স্টোরির কথাগুলো সত্যি ধরে নিয়েছে। এজন্য চুপচাপ আছে। রানিয়া কি এখন কল দিয়ে ডিভোর্সের কথা বলবে? না, এখন বরং চুপ থাকুক। আভিয়ান নিজেই দু-একদিনের মধ্যে ওকে কল-টেক্সট দিয়ে ডিভোর্সের কথা বলবে— এতোটুকু শতভাগ নিশ্চিত ও। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ডিভোর্সটা এবার তবে হয়েই যাবে। এই খুশিতে ফ্রিজ থেকে পরপর দু’টো আইসক্রিম এই মাঝরাতে বের করে খেলো রানিয়া। এরপর খুশিমনে সটান বিছানায় শুয়ে পরলো। কিছুক্ষণ শুতেই চোখে ঘুম লেগে গেল ওর। দু’দিনের মতো আগামীকালের দিনটাও নিশ্চয়ই অনেক ভালো কাটবে ওর। এই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো ও।
.
.
শীতকালে খুব সকালে রানিয়ার ঘুম ভাঙতেই চায় না। এসময়ে বেলা দশটা-এগারোটা অবধি ঘুমিয়ে থাকে ও। আজও সেভাবেই ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম ভাঙলো ওর মায়ের ডাকে। সাধারণত, রানিয়া অসময়ে ঘুমালে তখন ওর আম্মা ওকে ডেকে তোলেন ঘুম থেকে। কিন্তু শীতের সকালে কখনো এভাবে ডাকেন না। তাই ঘুম জড়ানো চোখে মায়ের ডাক শুনে ভ্রু কুঁচকে ফেললো রানিয়া। দেখার জন্য সামনে তাকানোর চেষ্টা করলো। তবে চোখ মেলতেই পারছে না ও। ঘুম ঘুম চোখে ভ্রু কুঁচকে বিরক্তি স্বরে বললো, “কী হয়েছে আম্মা? সাতসকালে ডাকো কেন?”
“মেহমান এসেছে। জলদি উঠে পড় মা।”
রানিয়া ঠিকমতো শুনতে পেল না। ও শুনেছে— “মানুষ এসেছে।” তাই হাই তুলতে তুলতে চোখ খোলার চেষ্টা করে বললো, “মানুষ? কোন মানুষ এসেছে। প্লিজ আম্মা, এখন আবার বোলো না ওই স্বৈরাচারী লোকটা এসেছে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে উনার মুখ দেখলেই আমার দিনটা খারাপ যাবে।”
রানিয়া কথাটা বলে উঠে বসার চেষ্টা করলো। তবে ঘুম ওকে এতোটাই কাবু করে রেখেছে যে, শোয়া থেকে উঠে বসতেও আলসেমি লাগলো ও।
“রানিয়া মাহমুদা!”
রানিয়া বিছানার অপর পাশে উল্টে-পাল্টে ঘুমানোর জন্য গড়াগড়ি খাচ্ছিল। তখনই খুব কাছ থেকে একটা কন্ঠস্বর শোনা গেল। একটা পুরুষালি তীক্ষ্ণ-গম্ভীর কন্ঠস্বর। কন্ঠস্বরটা রানিয়ানের কানে না বিঁধে সোজা বুকে গিয়ে বিঁধলো। কোথায় ঘুম, কোথায় আলসেমি! সব যেন অদৃশ্যে গিয়ে পালালো। রানিয়া স্তব্ধ, হতভম্ব এবং একইসাথে আতঙ্কিত হলো। খুব পরিচিত কন্ঠস্বর। ট্রেনিং সেন্টারে এই কন্ঠস্বর এবং এর মালিককে ভীষণ ভয় পেতো ওরা। সর্বক্ষণ আতঙ্কিত থাকতো। সেই কন্ঠস্বর আজ ওর কাছে, খুব কাছে। রানিয়া ভাবলো, ও ভুল শুনছে। মনকে বুঝ দিতে ওভাবে শুয়ে থেকেই সামনে থাকা অস্পষ্ট ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলো, “কে আপনি?”
“আমি, আহমেদ আভিয়ান।”
সামনে থেকে একদম শান্ত, ধীর-স্থির জবাবটা আসলো। রানিয়া চমকে উঠে চোখ খুলে তাকালো এবার উক্ত নামটা শুনে। তখনই ওকে আরো চমকে দিয়ে গম্ভীর কন্ঠস্বরটা বলে উঠলো, “ঘুমালে এমন অশালীনভাবে ঘুমাবে না। ঘুমানোরও একটা শালীনতা আছে রানিয়া।”
চলবে
Share On:
TAGS: উড়াল মেঘের ভেলায়, ঝিলিক মল্লিক
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১২
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১০
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৪
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ২
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৬
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৮
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১১
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ৯
-
উড়াল মেঘের ভেলায় পর্ব ১
-
উড়াল মেঘের ভেলায় গল্পের লিংক