#আড়ালে_তুমি |৩৯|
#_সাইদা_মুন
-“এক্সকিউজ মি..”
হঠাৎ কারো কণ্ঠে ফারহান পেছন ফিরে। একটা মেয়ে নীল গাউন পরা, মেয়েটিকে বেশ পারফেক্ট লাগছে, যেনো এই রঙ তার জন্যই। মুহুর্তের জন্য থমকে যায় সে। সাথে সাথে আবার নিজের চোখ সরিয়ে নেয়। আবার ফিরে তাকায়, চিনা চিনা লাগছে। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে তাকায় চেনার চেষ্টা করে। তারপর গম্ভীর গলায় বলে,
-“সরি..?”
পিহু ইতস্তত করে বলে,
-“আ..আমি পিহু, রুদ্র ভাইয়ার বোন…”
ফারহান এবার সোজা হয়ে পকেটে দুই হাত রেখে দাঁড়ায়,
-“ও,..”
ফারহানের এতো ছোট জবাবে পিহু চুপসে যায়। কী দিয়ে কথা শুরু করবে বুঝতে পারছে না,
-“কেমন আছেন..?”
-“ভালো.. “
পিহু নিজের হাত মুড়ামুড়ি করতে থাকে, কী বলবে এই লোক পাল্টা প্রশ্নই করে না। ছবিতে যতটা হাসিখুশি লাগে, বাস্তবে তার থেকে দ্বিগুণ গম্ভীর। ফারহান আবার পেছন ফিরে পুলের দিকে তাকায়। পিহু তা দেখে আরেকটু এগিয়ে যায়, তবে পায়ের সাথে জামা লেগে উল্টে পড়তে নেয়। একদম গিয়ে ফারহানের উপর পড়ে। আর ফারহান তো হঠাৎ ধাক্কায় নিজেকে ব্যালান্স করতে না পেরে ধপাস করে পানিতে পড়ে যায়। পিহু সাথে সাথে ভয়ে হতভম্ব হয়ে মুখে দুই হাত চেপে ধরে।
এদিকে ফারহান পুলে পড়ে একদম ভিজে একাকার। রাগী চোখে পিহুর দিকে তাকিয়ে ধমক দেয়,
-“এই স্টুপিড, কী করলে এটা… “
-“স..সরি, আমি ইচ্ছে করে করিনি,…”
ফারহান আরও কিছু বলতে যাবে কিন্তু পিহুর ইনোসেন্ট মুখ দেখে মায়া হয়, তাই নিজের মুখটা বন্ধ করে নেয়। রেগেমেগে পুল থেকে উঠে। পিহু তা দেখে দ্রুত বলে,
-“আমার সাথে আসুন, ভাইয়ার কাপড় দিচ্ছি, চেঞ্জ করে নিন…”
বলেই পিহু হাঁটা দেয়, ফারহান ও পিহুর পিছু পিছু বাড়িতে ঢোকে।
———
-“এই কপাল পুরো মেঘের এত ভালো কপাল। ভেবেছিলাম চাকরানি করে রাখবে, এখন দেখি রানি। আগে জানলে রিমিকে গছিয়ে দিতাম…”
জার কথায় মাহমুদা বেগম কিছুটা বিরক্ত হন। কিছু না বলে চুপচাপ বসে মেঘকে দেখছেন। সবাই কী সুন্দর তাকে আগলে রেখেছে। সবার সাথে কত হাসিখুশি দেখাচ্ছে, আর আগে সবসময় মনমরা থাকতো।
মেঘদের ছবি তোলা শেষ, এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবার সাথে ছবি তুলতে তুলতে বেচারির পা ব্যথা হয়ে গেছে। রুদ্র কিছু লোকের সাথে কথা বলছিলো দেখে, মেঘ একাই এক পাশে গিয়ে বসে।
এদিকে রুদ্র নিজের পাশে মেঘকে না দেখে আশেপাশে তাকায়। মেঘকে দেখে ঠিক লাগছে না,
-“এক্সকিউজ মি… “
বলেই তাদের থেকে চলে আসে। মেঘের পাশের চেয়ারে বসে,
-“আর ইউ ওকে?”
মেঘ পাশে রুদ্রকে দেখে মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়।
-“তো এমন দেখাচ্ছে কেনো..?”
-“আরে একটু পা ব্যথা করছে, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম তাই হয়তো..”
মেঘের কথা শেষ হতেই রুদ্র মেঘের পা উঁচু করে নিজের কোলে রাখে। আলতোভাবে টিপে দিচ্ছে। এদিকে মেঘ চমকে উঠে, দ্রুত নিজের পা সরাতে নেয়, তবে রুদ্র ধরে রাখায় পারেনি,
-“এই কী করছেন, পায়ে হাত দিয়েন না..”
রুদ্র ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,
-“কেনো…?”
-“আপনি আমার স্বামী..”
-“স্বামী নিজের ইচ্ছায় ধরলে গুনাহ হয় না।”
মেঘ আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অনেকেই দেখছে,
-“সবাই দেখছে তো…”
রুদ্র মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে,
-“দেখুক, দেখে যদি কিছু শিখে…”
মেঘ হেসে ফেলে, চুপচাপ রুদ্রের দিকে তাকিয়ে তার কাজকর্ম দেখছে। কথার মাঝে শান্ত, সায়ান এসে তাদের পাশে বসে,
-“কিয়া বাত হে, দ্য গ্রেট রুদ্র চৌধুরী নাকি বউয়ের সেবায় নিযুক্ত। ভাবা যায়…”
শান্তর কথায় রুদ্র নির্লিপ্তভাবে বলে,
-“বউ যত্নের জিনিস…”
সায়ান মজা করে শিস বাজিয়ে চেঁচিয়ে বলে,
-“এহহে য়ে বান্দা ফিসাল গায়া….”
মেঘ কিছুটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রেখেছে। তখন আবার রাফান এসে বসতে বসতে বলে,
-“ব্যাটা দুইদিন পর তুমিও একই পথের পথিক হবা…”
সায়ান মাথা চুলকায়। মেঘের পাশে এসে সারা বসে, তার পিছু পিছু অর্ণবও আসে, এক কথায় রুদ্রের গ্যাং-এর সবাই মোটামুটি এখানে। সারা মেঘকে উদ্দেশ করে বলে,
-“মেঘ, এই শুক্রবারে কিন্তু তোমাকে আসতেই হবে আমাদের বিয়েতে..”
মেঘ মুচকি হেসে বলে,
-“জি আপু, অবশ্যই যাবো..”
এভাবে তাদের মধ্যে টুকটাক কথা চলছে। রুদ্র এদিক সেদিক তাকিয়ে শান্তকে জিজ্ঞেস করে,
-“কিরে, রাহুলকে দেখছি না যে, আসেনি..?”
-“এসেছে তো, কোনদিকে আছে কে জানে…”
তাদের কথার মধ্যে রাফান উঠে যায়, যেতে যেতে রুদ্রকে ইশারা করে অন্যদিকে আসতে।
———
পিহু ফারহানের ফোন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে পানি টলমল করছে। ফোনের স্ক্রিনে ভেসে আছে ‘জান’ দিয়ে সেইভ করা একটি নাম্বার। তবে কি তিনি সিঙ্গেল না? পিহুর বুকটা কেঁপে উঠে। হঠাৎ তার হাত থেকে কেউ ফোন কেড়ে নেওয়ায় সেদিকে ফিরে তাকায়। দেখে ফারহান জামা চেঞ্জ করে মাত্রই বেরিয়েছে। রাগী স্বরে বলে,
-“অন্যের পার্সোনাল জিনিস টাচ করার আগে পারমিশন নিতে হয় জানো না..?”
বলতে বলতেই কল ধরে। পিহু এখনো ভাঙা মন নিয়ে ফারহানের মুখপানে তাকিয়ে আছে। ফারহান ফোন কানে নিয়ে বলে,
-“হ্যাঁ আম্মু, বলো..”
………..
-“আমি ঠিক আছি, চিন্তা করোনা তো।”
………….
-“খেয়ে নেবো তো মা, আমি কি বাচ্চা? তুমি চুপচাপ খেয়ে মেডিসিন মনে করে নিও, তারপর ঘুমাবে। একদম আমার জন্য ওয়েট করবে না, আমার আসতে লেট হবে..”
অপাশ থেকে আরও কিছু বলতেই ফারহান শুনে কল কেটে দেয়। পিহু অবাক হয়ে বলে,
-“এইটা আপনার আম্মু? গার্লফ্রেন্ড না?”
ফারহান একবার পিহুর দিকে তাকিয়ে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে না করে হাঁটা ধরে। পিহু তাকে যেতে দেখে সেও দ্রুত পিছু ছুটে, তবে এই লোকের হাঁটার সাথে সে তাল মেলাতে পারছে না। ফারহান কিছুটা সামনে গিয়ে হঠাৎ ঠাস করে কিছু পড়ার শব্দে পেছন ফিরে তাকায়। পিহুকে নিচে পড়ে চোখ-মুখ কুঁচকে থাকতে দেখে, এগিয়ে যায়। ফুস করে শ্বাস ছেড়ে বলে,
-“আস্তে ধীরে চলাফেরা করতে পারো না..?”
পিহু উঠার চেষ্টা করতে করতে বলে,
-“আপনিই তো এত স্পিডে হাঁটছিলেন..”
ফারহান এক হাত বাড়িয়ে দেয় পিহুর দিকে। তা দেখে পিহু চমকে তাকায়, পরক্ষণেই খুশি হয়ে যায়। নিজের কাপাঁ কাপাঁ হাত বাড়িয়ে ধরে ফারহানের হাত। পিহুর মনের মাঝে অনুভূতিরা যেন ডিজে গানে নাচছে। বুক ধুকপুক করছে। ফারহান টেনে তুলে পিহুকে, তবে উঠতেই পিহুর টনক করে “আহহহ…” করে চিৎকার করে উঠে। ফারহান কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলে,
-“হেই, হোয়াট হ্যাপেনড..?”
পিহু ঠোঁট কামড়ে বলে,
-“আমার পা নড়াতে পারছি না.. ভীষণ ব্যথা করছে । মনে হচ্ছে পা মচকে গেছে…”
পিহুর চোখ বেয়ে দু’ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে। ফারহান বুঝতে পারে বেশ ব্যথা পেয়েছে মেয়েটা। পিহুকে ধরে ধরে সোফায় বসিয়ে দেয়। তারপর গাউনটা একটু উঁচু করে পায়ে ধরতে নেয়। পিহু দ্রুত পা সরিয়ে নেয়,
-“না না ধরবেন না, অনেক ব্যথা, আরও লাগবে…”
ফারহান আশ্বাস দিয়ে বলে,
-“একটু লাগবে, তারপর ঠিক হয়ে যাবে..”
বলতে বলতেই পিহুর পায়ের পাতা ধরে। পিহু আরও চিৎকার করে উঠে ব্যথায়, সোফার কভার চেপে ধরে। ফারহান একবার পিহুর দিকে চেয়ে, পা আরেকবার মুচড়ে দেয়। সাথে সাথে জানের জুড়ে চিৎকার করে উঠে পিহু, যেন তার জান বেড়িয়ে গেছে। ফারহান দুই হাত কানে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। বাইরে মিউজিকের জন্য কেউ আর শোনেনি।
পিহু কিছুটা রাগ নিয়ে বলে,
-“আজব লোক তো, আমার পা আরও মুচড়ে দিলেন কেনো… উফফ ব্যথা করছে আম্মুউউউ”
ফারহান কিছুটা বিরক্ত হয়ে ডোন্ট কেয়ার লুক দিয়ে সামনে এগোতে এগোতে বলে,
-“হেঁটে দেখো, তারপর মুখ চালাও….”
পিহু উঠে দাঁড়ায়, পা এদিক সেদিক করে, অবাক হয়ে যায়, ব্যথা তো নেই। চটজলদি মেইন ডোরের দিকে তাকায় ফারহান বেরিয়ে যাচ্ছে। সে পেছন থেকে ডেকে উঠে,
-“শুনুন…”
ফারহান জায়গায় দাঁড়িয়ে যায়, পেছনে মাথা ঘুরিয়ে ভ্রু কুঁচকে ‘কি?’ জিজ্ঞেস করতেই পিহু বলে উঠে,
-“আই লাভ ইউ…”
———
-“কি ব্যাপার, কিছু বলবি..?”
রুদ্রের কথায় রাফান তার একদম কাছে এসে দু’হাত ধরে,
-“একটা জিনিস চাইবো.. দিবি ?”
রুদ্র ভ্রু কুঁচকে বকে,
-“কি চাস..?”
-“অনেক মূল্যবান জিনিস..”
-“কি সেটা..”
রাফান ঢোক গিলে বলে,
-“তোর বোন…”
রুদ্র গম্ভীর চোখে তাকিয়ে রাফানের দিকে। তার চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করছে। রাফান ইতস্তত করে ফরফরিয়ে বলে,
-“প্লিজ রুদ্র রাগ করিস না। জানি, বন্ধুর বোন নিজের বোনের মতোই, তবে আমি তোর বোনকে নিজের বোনের চোখে দেখতে পারিনি। আমি ভালোবেসে ফেলেছি,..”
রুদ্র কড়া নজরে চেয়ে আছে,
-“তোরা রিলেশনে আছিস..?”
রাফান দ্রুত মাথা নেড়ে না বোঝায়,
-“না না, পিহু কিছুই জানে না। আসলে আমি চাইছিলাম একদম পারিবারিকভাবে কথা এগোতে।”
রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে পেছন ফিরে বলে,
-“ভেবে দেখবো..”
রুদ্র যেতে নেয়, রাফান তাকে আটকে দেয়। অসহায় চোখে তাকিয়ে রুদ্রের হাত শক্ত করে ধরে,
-“প্লিজ, তোর বোনকে আমি একদম রানি বানিয়ে রাখবো। কোনো কষ্ট তাকে ছুঁতে পারবে না। অনেক সুখে রাখবো। প্লিজ রুদ্র…”
রুদ্র চুপ, তা দেখে রাফান আবার আকুতির স্বরে বলে,
-“তাকে হালাল ভাবে পেতে চাই, একদম নিজের করে পেতে চাই বলেই এখনো পর্যন্ত তাকে না জানিয়েই ভালোবেসে গেছি। প্লিজ রুদ্র, পিহুকে আমার করে দে না..”
রুদ্র রাফান থেকে হাত ছাড়িয়ে যেতে যেতে বলে,
-“পরিবার নিয়ে আসিস….”
রাফানের মুখে হাসি ফুটে উঠে……
———
সাদ একটি মেয়ের সাথে বেশ জমিয়ে ফ্লার্ট করছিলো, মনে হচ্ছে আর কিছুক্ষন এভাবে চলতে থাকলে, কিছু করা ছাড়াই মেয়েটির পেট থেকে বাচ্চা বেড়িয়ে এসে সাদকে বলবে “পাপায়ায়া”। তবে এ আর হলোনা, হঠাৎ কেউ এসে তার কান চেপে ধরায় কিছুটা নিচু হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখে সুমনা রাগী চোখে চেয়ে আছে। এই মুহূর্তে তাকে আশা করেনি, সাদ থতমত খেয়ে যায়,
-“আ…আরে ত..তুমি এখানে,”
সুমনা রেগে বলে,
-“কেনো, আরও সুন্দরী মেয়েকে আশা করছিলে বুঝি..”
সাদ মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বলে ,
-“না না..”
সুমনা কান ছেড়ে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ায়। সাদ সুমনার দিকে তাকায়, হাইটে তার থেকে খাটো, দাড়ালে তার কান বরাবর হয় এই মেয়ে। গাউন পরেছে, সাথে ফ্রেঞ্চ বেনি করে চুল বাঁধা, গোলগাল মুখ, সব মিলিয়ে বারবি ডল লাগছে। সাদ বলে উঠে,
-“মাই বারবি ডল..”
তবে সুমনার কথায় পরক্ষণেই মুড বদলে যায়, রোমান্টিক থেকে সরাসরি ভীতু,
-“এই মেয়ে কে..? “
-“কেউ না কেউ না তো..”
মেয়েটি সাদের কথায় রেগে যায়,
-“হেই সাদ, তুমি এভাবে বলছো কেনো…”
সুমনা মেয়ের কথা শুনে সাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলে,
-“এই মেয়ে এভাবে বলছে কেনো, কে এইটা?”
সাদ পড়ে যায় বিপাকে, মাত্রই পটিয়েছে মেয়েটিকে। আর তা হাত ফসকে যাচ্ছে। সাদকে কিছু বলতে না দেখে সুমনা বেশ বুঝেছে কাহিনি, চটে যায়,
-“এই শা*লা, বল আমি তোর কে..?”
সাদ চমকে দ্রুত বলে,
-“বউ, বউ তুমি আমার বউ..”
-“তো এই মেয়ে কে..?”
-“খালাম্মা, খালাম্মা,..”
মেয়েটি সাদের সম্বোধন শুনে রেগে মেগে চলে যায়। মেয়েটি যেতেই সুমনা রেগে বলে,
-“বেয়াদব লুচ্চা, তুমি কখনো ঠিক হবে না আমি জানি। থাকো, আমিও সুন্দর সুন্দর ছেলেদের সাথে ফ্লার্ট করবো..”
বলেই যেতে নেয়, তবে সাদ সুমনার হাত ধরে টেনে এক পাশে নিয়ে বসায়। এক হাতে জড়িয়ে বলে,
-“না না জান, এমন করো না। শোনো শোনো জরুরি কথা,..”
সুমনা সাদের দিকে না তাকিয়েই বলে,
-“কি..?”
-“তোমাকে একদম বারবিডল লাগছে বেবি..”
সুমনা প্রশংসা শোনে গলে যায়। মুখে হাসি ফুটে উঠে। সাদ আবার বলে,
-“ভাইয়ার বিয়েটা খালি শেষ হোক, তারপর আমি আমার মিশনে নেমে যাবো..”
সুমনা কিছুটা লজ্জা পাওয়ার বান করে। তা দেখে সাদ বলে,
-“থাক বেবি এতো কষ্ট করে নাটক করতে হবেনা, আমি জানি তুমি নির্লজ্জ।”
সুমনা কটমট চোখে তাকাতেই সাদ থতমত খেয়ে ফের মুচকি হেসে বলে,
-“ইয়ে মানে, বিয়ের পর আমরা আমাদের ছেলের নাম রাখবো ইলেকট্রন, আর মেয়ের নাম রাখবো প্রোটন, কেমন?”
সুমনা সাদের মুখপানে চেয়ে কিছু একটা ভেবে চিন্তিত হয়ে বলে,
-“তাহলে নিউট্রনের কি হবে…”
সাদ বলে,
-“ওটা পরে দেখা যাবে..”
চলবে…..
[ মনে হচ্ছে রাইটিং ব্লকে পড়েছি। লিখতে গেলে গুলিয়ে যাচ্ছে সব। ]
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি, আড়ালে তুমি সাইদা মুন, সাইদা মুন
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৫
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৮
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৩
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৪
-
আড়ালে তুমি পর্ব -২৮
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ১৩
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ২০
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৬
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩১
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৪