#আড়ালে_তুমি
#সামিয়া_সারা
#কাজিন_রিলেটেড_গল্প
পর্ব -৪৪
-ফোন কোথায় তোর?
কথাটা চেঁচিয়ে বলে উঠলো আয়েশা আক্তার। শিমু জাহান কোনো রকমে তাকে টেনে সরিয়ে বললেন,
-আমি কথা বলছি। এই সামান্য বিষয়ে বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলতে হয়?
-সামান্য ? নীল এতো কথা বলে গেল! ওর বাবা কত কথা বলল কল করে। এমন দায়িত্বহীন মেয়ে হবে কেন? কাউকে কিছু না জানিয়ে কোনো কাজ করার শিক্ষা দিয়েছি ওকে?
-দোষ তো ইনুর একার দেওয়া যায় না। ওকে না হয় কল করে পায়নি। কিন্তু আমাদের তিনজনের কাছেও কল করেছিল। দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার অভাব আমাদের ও আছে।
শিমু জাহান ইনায়াকে টেনে তোলেন। বহুদিন পরে মায়ের হাতে চড় খেলো ইনায়া,মাথার মধ্যে এখনো ঝিমঝিম করছে। কোনো রকমে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। ছলছল চোখে আয়েশা আক্তারের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন। রুবিনা ইয়াসমিন এগিয়ে এসে ইনায়াকে বললেন,
-যাও ঘরে যাও। আর না বলে এভাবে বেড়িয়ে আসবে না কখনো। ফোন তো আমাদের দরকারের জিনিস,তাই না?
ইনায়া মাথা ঝাঁকিয়ে হুঁ বলল। রুবিনা ইয়াসমিন পুনরায় বললেন,
-দরকারের জিনিস যদি দরকারে কাজে না লাগে তাহলে বিষয়টা খারাপ না? সব সময় ফোন খোলা রাখবে।
ইনায়া মাথা নাড়িয়ে উপরে চলে যায়। নীলের ঘরের দরজা বন্ধ। দরজার সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে চুপচাপ। নীলকে ডাকতে গিয়েও আর ডাকলো না। নিজের ঘরে গিয়ে ফোন খুলে হাতে নিতেই থমকে যায় ইনায়া। ৩৪৪ টা মিসড কল নীলের নাম্বার থেকে। কাঁপা হাতে কল ব্যাক করে নীলকে। তবে কয়েকবার কল দেওয়ার পরেও নীল ফোন তোলে না। এরই মাঝে আনান দ্রুত পায়ে ইনায়ার ঘরে প্রবেশ করে। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। ইনায়ার গালে হাত রেখে বলল,
-কী হয়েছে ইনু? গালে কী হয়েছে?
ইনায়া দু পা পিছিয়ে যায়। বলে,
-কিছু না..
ইনায়ার করা অবহেলা গুলো একেবারে দৃশ্যমান। আনান আরো কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। দুএক বার কথা আগানোর চেষ্টা করেও কিছু না বলে চুপচাপ বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।
.
.
.
নীল বিরক্ত মুখে ইনায়ার নাম্বার টা দেখে। কপাল কুঁচকে ফোনের স্ক্রিন থেকে সরিয়ে দিয়ে কল করে আরানকে। সামনে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আরান। দুবার কল দেওয়ার পরে আরান কল ধরেই বলল,
-বল বল
-ব্যস্ত?
-হ্যাঁ, নির্বাচন নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছি। কোনো দরকার? বল
-আগামীকাল ভার্সিটিতে আসবি। শর্মীকে নিয়ে অবশ্যই। আমি ইনুকে সামলে রাখতে পারছি না। শর্মী সাথে থাকলে ওর মন টাও ভালো থাকবে।বুঝেছিস কী বলতে চেয়েছি?
-হ্যাঁ,আসবো যাহ্।
-ওকে।
-শোন নীল…
-হু
-স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফারিন নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে…
-ফারিন মানে?
-ফারিন চৌধুরী…
নীলের কপালের বিন্দু ঘাম। ফোন বাম হাতে রেখে ডান হাতে কপাল মুছে বলল,
-আমায় আজ বলছিস?
-তফসিলের ঘোষণা হওয়ার আগে তো জানা যায় না দোস্ত..
-শোন ইহান!
-আরান…আমি আরান।
নীল দেয়ালে সজোরে হাত মুঠো করে রেখে কল কেটে দেয়। কপাল তর্জনী আর বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে রাখে। মুহুর্তেই আরান আবার কল করে। নীল কয়েকবার নিশ্বাস ফেলে কল ধরলো। আরান একটু সাহস দিয়ে বলল,
-দুদিনের বৈরাগী ও,ভাতেরে বলবে অন্ন। ক্ষমতার দিকে শূন্য থাকবে।
-আরান,আমি এতোকিছু জানতে বা বুঝতে চাই না। দেওয়ান নীলের ছড়ানো জালের পরিধি তুই জানিস। আমার আর ইনুর মধ্যে কোনো বাধা না আসলেই আমি ভালো। তবে তুই আগে থেকে খবর রাখলে,মিস চৌধুরী এই পথে আসতেই পারতো না।
আরান কোনো জবাব দেয় না। নীল পুনরায় বলল,
-মানুষ বিকল্প চায় আরান। তোকে আমি একজনের বিকল্পে তৈরী করে দিয়েছিলাম। তবে তোর বিকল্পে যেন অন্য কেউ না আসে। মনে রাখিস।
-আমি মিটিং এ আছি,কাল দেখা হচ্ছে। Don’t worry.
নীল কিছুতেই শান্ত হতে পারছে না। কার পরিকল্পনা কেমন,কে কী ছক কষছে তা ভেবে চিন্তায় পড়ে যায়।
.
.
.
সামিরা আনানকে ম্যাসেজ দিয়ে বসে রয়েছে প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গিয়েছে। অবশেষে আনানের ছোট্ট একটা রিপ্লাই পাওয়া যায়,
“বলো..”
“কেমন আছেন?”
“ঠিকঠাক”
“আমি কেমন আছি শুনবেন না?”
“না”
“ভারী আজব মানুষ তো আপনি..”
আনান বিরক্ত হয়ে ফোন উল্টিয়ে রেখে দেয়। সামিরা পুনরায় ম্যাসেজ দিল।
“শুনেন”
“শুনেন আনান ভাই”
“আনান ভাই,শুনছেন?”
“বলো”
“আপনাকে অনেক দিন ধরে একটা কথা বলতে চাই”
“বলো”
“এখন না,তবে একদিন নিশ্চিত বলব”
“ওকে”
“পড়া নিয়ে হেল্প করবেন না?”
“০১৯৭২৯২৯৪০,রিসান ভাইয়ার নাম্বার। কল করে শুনে নিও।”
সামিরা দাঁত কিড়মিড় করে ফোনের দিকে তাকায়। বিড়বিড় করে বলল,
-এই খাটাশ কে আমি কল দিব!??? ইয়ামপসিবল! হুহ!
রাগে ফুঁসছে সামিরা। তবে ইনায়াকে কল করতে গিয়েও করে না। সে সময়ে ইনায়ার নাম্বার থেকে কল আসে সামিরার কাছে। সামিরা চোখ বড় করে ফোনের দিকে তাকিয়ে দ্রুত কল রিসিভ করে। আদুরে গলায় বলল,
-ইনু..
-কেমন আছিস?
-ভালো ভালো..তুই?? রেগে আছিস এখনো?
-রেগে থাকলে কল করতাম না।
-হু হুঁ তাইতো। শোন! আনান ভাই এমন কেন?
-কেমন?
-বললাম পড়াশোনা তে হেল্প করতে,সে আমাকে রিসান ভাই এর নাম্বার দিয়ে দিলো।
-ওমা! নিজের বউ এর কাছে পর পুরুষের নাম্বার দেয় কেউ?
-সেটাই তো! কী অদ্ভুত,তোদের বাড়ির ছাদে কচু গাছ লাগাবি তো।
-ঠিক আছে ভাবি। কিন্তু কেন?
-তোর ভাই এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য রোজ দুবেলা আমাকে কচু গাছের সাথে গ*লায় দড়ি দিতে হবে।
ইনায়া না চাইতেও হেঁসে ফেলে। সামিরা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলল,
-যাক! ননদিনীর মন ভালো ভালো হয়েছে।
-হু ভাবিজি। শুনুন,আমাকে একটা উপকার করেন।
-বলো ননদিনী।
-একটা লাল, সিল্কের শাড়ি দরকার…
-আমার তো শাড়ি ই নেই।
-তা আমি জানি, কিন্তু তোকে কিনে দিয়ে যেতে হবে,তবে একদম আড়ালে…
-আচ্ছা,কখন লাগবে?
-সন্ধ্যার মধ্যেই। শোন,নীল ভাই বিকালে অফিসে যায়, ফ্যাক্টরি তেও আজ ভিসিটং ডে। তাই তুই বিকেলেই আসবি,আর স্কুল ব্যাগে শাড়ি টা আনিস।
সামিরা ইনায়াকে থামিয়ে বলে ওঠে,
-আনান ভাই থাকবে তো?
-হ্যাঁ রে বাবা,থাকবে। আমি তোকে ফোনে টাকা পাঠাবো? না কি এসে নিবি?
-আমার কাছে আছে, সামনাসামনি ই দিস।
-আচ্ছা,থ্যাঙ্কিউ ভাবিজি… লাভিউ।
-আমিও লাভিউ। রাখছি। আল্লাহ হাফেজ।
.
.
.
বিকাল ৫টার মধ্যেই একেবারে র*ক্ত লাল সিল্কের শাড়ি নিয়ে দেওয়ান বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সামিরা।ব্যাগের ভেতরে শাড়ি নিয়ে চুপিচুপি ঢুকতেই আনায়া এসে সামনের উপর দাঁড়ায়। সামিরা চমকে বুকে হাত রেখে বলল,
-কী রে অনু! এভাবে কেউ ভয় দেখায়?
আনায়া কপাল ভাজ করে। টেনে টেনে বলে,
-ভয় পেলে কেন তা বলো আগে? কী এনেছো?
-কোথায়?
-ঐ যে ব্যাগে…
-কোচিং থেকে আসলাম তো,ইনু উপরেই না?
-হুম হুম।
-আচ্ছা আমি দেখা করে আসি।
সামিরা কথাটা বলেই দ্রুত পায়ে পাশ কাটিয়ে উপরে চলে যায়। ইনায়ার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ব্যাগটা হাতে দিয়ে বলল,
-অনু তো একটা ডিটেক্টিভ রে!
ইনায়া ব্যাগ টা খুলে শাড়ি বের করে। নিজের গায়ের উপর শাড়ি টা ধরে বলল,
-কেন ? কী করেছে?
-আমাকে বলে যে,ব্যাগে কী এনেছি।
-হুম,আমার বোনতো,তাই বুদ্ধিমতী।
-আমারও ননদ…
ইনায়া আড় চোখে সামিরা কে দেখে হেঁসে ফেলে। বলে,
-চল,আনান ভাইয়ার রুমে গিয়ে হামলা করি!
সামিরা লজ্জায় মাথা নিচু করে। কথা ঘুরাতে ইনায়াকে বলে,
-লাল শাড়ি ই কেন হঠাৎ?
-বলছি বলছি..
-আন্টিদের থেকে একটা নিলেই হতো।
-লজ্জা লাগে…
-তো এটা পড়বি যখন, লজ্জা লাগবে না?
-কেউ তো জানবেই না।
-মান কী ইনু? কী পরিকল্পনা করেছিস বলতো?
-নীল ভাই বলেছে,লাল তার ভালো লাগে। আর তার কাছে নাকি আকর্ষণীয় লাগে। এজন্যে…
সামিরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ইনায়ার দিকে।বলে,
-তুই শুধু ভাইয়ার জন্য শাড়িটা পড়বি?
ইনায়া দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলল,
-হুঁ..
-বাহ বাহ! একটা ক্যামেরা সেট করে রাখবি,আমাদের জন্য।
-উফফ্ মজা নিস না। আমি অনেক চিন্তাতে আছি। যদি বকা দেয়?
-দিলে তুই আমাকে যা বলবি আমি তাই করবো।
-আর মা*রলে?
-তোর বাড়ির ছাদে নিজে এসে কচু গাছ লাগাবো,তারপর যা বলেছিলাম তাই করবো।
ইনায়া শুকনো ঢোক গিলে বলল,
-নীল ভাই এর সামনে দাঁড়ালে আমার হাঁটু কাঁপে দোস্ত। আর শোন… উনি সূচনা নামের একটা মেয়েকে পছন্দ করেন..
-এসব গল্প কই পাস?
-আরে সত্যি! নাহলে আমি এতো উতলা হতাম? নিজের নাম্বার ও দিয়েছে মেয়েটাকে।
সামিরা বড় করে হা করে। চোখ দুটো বড় বড় করে মুখে হাত দিয়ে বলে,
-কী বলিস! তুই আর দেরি করিস না একদমই। আজই জানিয়ে দে মনের কথা।
-হ্যাঁ,নীল ভাই হলো আকাশের চাঁদ। সবাই হা করে তাকিয়ে থাকে। ক্লাসে যখন ঢোকে,সবাই এমন করে তাকায় মনে হয় ছেলে দেখেনি কখনো।যেন জীবন্ত চাঁদ হেঁটে হেঁটে আসছে…
সামিরা একটু নাটকের সুরে বলল,
-উমমমম্ তাহলে তো একদমই দেরি করা ঠিক না।
ইনায়ার ভয় ভয় চাহনি দেখে গাল হাত রেখে মুচকি হেসে অস্পষ্ট স্বরে বিড়বিড় করে বলল,
-আপনার নীল ভাই আপনাকে কেমন ভালোবাসে তা আপনাকে বলল তো তিনি আমাকে গায়েব করে দিবেন,কারন সে তো আপনার প্রেমে বদ্ধ উ*ন্মাদ…!
.
.
ইনায়ার ঘরের দরজা বন্ধ ঘন্টা খানেক হয়ে গিয়েছে। আনান এক ঘন্টা আগেও একবার দরজার সামনে থেকে এসে ঘুরে গেছে। এতোক্ষণ ইনায়ার সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা নক করে। ইনায়া লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে শাড়ি লুকাতে ব্যস্ত। সামিরা কে উদ্দেশ্য করে বলল,
-দরজা খোল, কিন্তু স্লো মোশনে। সিনেমার নায়িকাদের মতো।
সামিরা এক পা এক পা করে আগায়। হালকা হালকা হেলে দুলে এগিয়ে যায়। ওরনা আস্তে আস্তে ঠিক করে। চুল আস্তে আস্তে সরিয়ে কানের পিছনে গোঁজে।আস্তে আস্তে দরজা খুলে খুব আস্তে করে নিজের চুলে ঝাঁকি দেয় মাথা ঘুরিয়ে নেয়। তার মনে গানের সুর বাজছে,” লালালা না,লালালালালালা।”
তবে দরজা খুলে আনানের গম্ভীর চেহারা দেখে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল সামিরা।
আনানও এ অসময়ে সামিরাকে দেখে কপাল ভাঁজ করে বলল,
-তুমি?
সামিরা মাথা নিচু করে চুল ঠিক করে জবাব দেয়,
-হু আমি…
আনান হাঁফ ছেড়ে ভেতরে ঢোকে। আড় চোখে গম্ভীর কণ্ঠে সামিরার দিকে তাকিয়ে বলে,
-তুমি কি সব সময় কাভি খুশি কাভি গাম এর পূজা ক্যারেক্টারে ঢুকে থাকো?
সামিরা ঠোঁট উল্টিয়ে জবাব দেয় ,
-সে কে?
-kareena as pooja!
ইনায়া আলমারি লক করে এগিয়ে এসে বলল,
-আমরা ওসব মুভি টুভি দেখি না ভাইয়া। আর আমার বান্ধবীকে রাগাবে না একদম।
-রুম লক ছিল কেন?
-এমনি।
-রুম লক ছিল কেন ইনু?
আনানের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে সামিরা আনানের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়।বলে,
-আজব তো! ওর ফ্রেন্ড এসেছে,ও রুম লক করবে না?
-না
-আপনি কে ওকে বলার! ইনু আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে। ভাই বলে কি স্বাধীনতা দিবে না?
আনান হাত মুঠো করে মাথা হালকা কাত করে তাকিয়ে থাকে সামিরার দিকে।
.
.
.
দেওয়ান বাড়ির তিন গিন্নি সকলের খাবারের আয়োজন করছে। ইনায়ার মুখে চিন্তার ছাপ। আর নীল গম্ভীর ভাবে বসে রয়েছে। ইনায়া ইশারায় কয়েকবার ডাকার চেস্টা করে। তবে নীল তাকায় না কোনোভাবে। অবশেষে সকলেই সামনেই বলে,
-নীল ভাই..আমার উপর রাগ করেছেন খুব?
নীল ইনায়ার দিকে তাকায়। তবে কোনো জবাব দেয় না। শিমু জাহান খাবার বেড়ে বলল,
-এসব রাগ নিয়ে ভাবতে হবে না। খেয়ে নাও সবাই।
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু তাড়াতাড়ি করে খেয়ে নেয় ইনায়া ।তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আলমারি থেকে বের করে র*ক্ত লাল শাড়ি টা। বেশ অনেক্ষণ সময় নিয়ে শাড়ি পরে ঠোঁটে নেয় টকটকা লাল লিপস্টিক। চুলে চিরুনি করে ছেড়ে রাখে। চুলগুলো কোমড় ছাড়িয়ে নেমে গিয়েছে। আয়নার সামনে আরেকটু এগিয়ে চোখে কাজল টেনে নিল। তারপর চোখ পিট পিট করে শাড়ির আঁচল হাতে ছড়িয়ে দিয়ে মাথা নিচু করে বলল,
-“আমি আপনাকে ভালবাসি..নীল ভাই..
(চলবে……)
#Running
#episode:44
Written by #Samia_Sara
Story name: #আড়ালে_তুমি
আমার প্রিয় পাঠক পাঠিকারা, গল্পটি নিয়ে আপনাদের মন্তব্য শুনতে চাই। একদম সব্বাই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন,কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে। আর আগের পর্বে এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালোবাসা নিবেন
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৩
-
আড়ালে তুমি পর্ব -২৯
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৪
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৩
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৭