সত্য ঘটনা :
ঘটনা পঠিয়েছেন ঈসমাইল চৌধুরী*
আসসালামু আলাইকুম আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি। এবারের ডিসেম্বরের ছুটিতে আমি আমার নানু বাড়ি যেতে চাইলাম। আমার মা বাবা কে আমি বললাম আমি নানু বাড়ি যাব। আমার মা বাবা প্রথম প্রথম রাজি হলেন না, কিন্তু বেশি বায়না করার পর আমার মা বাবা রাজি হলেন তারপর আমাকে নিয়ে গেলেন নানু বাড়িতে। যাওয়ার পর আমি যখন আমার নানুর বাড়িতে ঢুকি তখন আমার কি যেন অনুভুতি হলো, আমরা যখন ওখানে পৌছালাম তখন রাত ৯ টা বেজে যায়। আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই শুয়ে পড়লাম। আমার নানুর বাড়িতে নেটওয়ার্ক এর খুব সমস্যা, তাই আমি রাত প্রায় ১ টার সময় বাইরে বের হয় নেটওয়ার্ক এর জন্য। তারপর আমি জানালার পাশে বসছিলাম আর আমি যখন গেম খেলতে লাগলাম হঠাৎ দেখলাম কেউ যেন আমায় ডাকছে। আমি প্রথমে গুরুত্ব দেইনি তারপর আমাকে বারবার ডাকতে লাগলো তাই আমি উঠে সামনে গিয়ে দেখতে লাগলাম আর বলতে লাগলাম কে ডাকছেন আবার পেছন থেকে ডাকতে লাগলো আর তারপর পেছনে তাকাতেই দেখলাম একটা কালো কাপড় পড়া বৃদ্ধ মহিলা।তাকে দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম যে সে আর কেউ নই একটা আত্না, আমি বুঝতে পেরে তাকে বললাম আপনি কে? সে আমাকে শুকনো গলায় বলল আমি এখানে পাহারা দেয়। আমাদের নানু বাড়িতে নতুন একটা ঘর তৈরী হচ্ছে দু তলা বিশিষ্ট। কিন্তু আমি যতদুর জানি যারা এই ঘর তৈরী করছে তারা পাহারাদার রাখেনি, তাহলে ইনি কে?। আমার নানুর বাড়িতে একটা অনেক পুরনো কবর রয়েছে।আমার মা বলত কবর খুব পবিত্র জায়গা। তাই আমি কি যেন ভেবে কবরের ভেতর ঝাপ দিলাম।অমনি বৃদ্ধ মহিলাটি একটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করলো যে আমার কলার টেনে ধরলো কিন্তু সে আমায় ধরতে পারলোনা তারপরেই কবর থেকে একজন সাদা কাপড় পড়া বৃদ্ধ মানুষ বের হলো তার হাতে একটা লাঠি ছিলো এটা দেখে বৃদ্ধ মহিলাটি খুব বড় একটা হুংকার দিলো তারপর আমি ওখানেই অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপরে কি হয়েছিল তা আমার জানা নেই। সকালে আমার মা বাবা আমাকে খুজতে খুজতে দেখতে পেলেন আমি কবরের ভিতরে পড়ে আছি তখন লোকজন ডেকে আমাকে ওখান থেকে উদ্ধার করলেন। এবং আমায় ডাক্তার দেখালেন কিন্তু পারার একজন লোক বললেন কবিরাজ দেখাতে তাই আমার বাবা আমাকে কবিরাজ দেখালেন তারপর আমি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলাম এরপরে আর তেমন যাওয়া হয়না নানু বাড়িতে।
Share On:
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE