bhooter golpo

সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা 


আজকে কোন গল্প নয় একটা বাস্তব ঘটনা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। 

আজকের ঘটনাটা আমাদের পাঠিয়েছেন, ওনার নাম মোঃ রায়হান আহমেদ ” ঘটনার স্থান  রাজশাহী জেলার ” বোয়ালিয়া থানার কোন এক গ্রামে। 

আসছালামু আলাইকুম নিশাদ ভাই ” আমি মোঃ রায়হান। আজ আমার সাথে ঘটে যাওয়া সত্য একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি , তো কথা না বলে ঘটনায় চলে যাই। 

 আমি যখন ক্লাস ৮ পড়তাম তখন 

ফেব্রুয়ারি মাসে শেষের দিকে আমার সাথে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। 

 আমি একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করি যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি সাদা কাপড় পড়া আমার কাছে আসেন আর আমাকে বলেন 

তুমি কী আমার সাথে যাবে 

এই স্বপ্নের কথাটা আমি বাসায় কাউকে বলিনি কারণ সবাই চিন্তা করবে, বিশ্বাস ও করবেনা তাই। 

কিন্তু সমস্যা তখন হলো যখন এক রাত আমি বাসা থেকে হারিয়ে যাই ” আমি বাড়ি থেকে হাড়িয়ে যাওয়ায়

আমার পরিবারের সবাই আমার খোঁজ করে কিন্তু পাই না। 

 আমি হঠাৎ কিভাবে হাড়ালাম সেটা জানিনা, প্রায় দুই দিন পর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল, আমি দেখলাম আমি একটা বাঁশঝাড়ের মধ্যে পড়ে আছি শরীরের অনেক অংশই কেঁটে গেছে। 

 আমি সেই বাঁশঝাড়ের মধ্যে থেকে বেড়িয়ে চিৎকার করতে থাকি আর নিজের বাসার খোঁজ করি তারপর অনেক কষ্টে বাসায় আসি 

বাসার সবাই আমাকে দেখে কান্নাকাটি করতে শুরু করে কারণ ২ দিন থেকে আমি নিখোঁজ 

ঠিক তার পরের দিনই আমার আম্মু একটা ভয়ংকর দৃশ্য দেখে যে 

আমি ফ্রিজ থেকে কাঁচা মাছ বের করে খাচ্ছি আর আমার চোখ দুটো সম্পূর্ণ লাল হয়ে গেছে 

আম্মু চিৎকার করে সবাইকে ডাকে 

আমার আব্বু আর কয়েকজন লোক মিলে আমাকে একটা ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে 

এই অস্বাভাবিক আচরণ এর জন্যে আমাদের এলাকার এক হুজুরকে ডাকেন। 

 তিনি এসে বলেন আমাকে একটা মারাত্মক জ্বীন ধরেছে 

আর সে আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চাই, হুজুরের কথায় মা বাবা বলেন হুজুর আপনি কিছু করেন 

কিন্তু হুজুর বললেন 

তিনি কিছু করতে পারবেন না অন্য কোন হুজুরকে ডাকতে হবে 

সেই রাতে আমরা খুব জ্বর আসে কিন্তু পরের দিন সকালে জ্বর চলে যাই 

আব্বু খোঁজ করে একজন হুজুর কে পান ওনি কবিরাজি করেন ওনার নাম ছিলো আজিজুল 

হুজুর বাসায় আসে আর সব কথা শুনেন আমি আমার স্বপ্নের কথা গুলো বলি 

ওনি আমার রুমে একা গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন আর

 তার কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এলেন 

হুজুর বলেছিলেন জ্বীনের সাথে আমাকে কথা বলতে হবে ওনি পারবেন না 

হুজুর আমাকে বলল আজকে রাতে আমাকে একা আমার রুমে থাকতে হবে আর সারা রাত জেগে থাকতে হবে 

রুমে শুধু মোমবাতি জ্বালানো থাকবে 

হুজুর আমাকে বলেন আমি যেনো স্বপ্নে দেখা সেই জ্বীনের কথা মনে করি 

যদি জ্বীনটা রুমে আসে তাহলে মোমবাতি গুলো নিভে যাবে 

তারপর একটা সালাম দিয়ে বলতে হবে মোরাজ আপনি কি এসেছেন তার পর তার কাছে শুনতে হবে কেনো তিনি আমার সাথে এই রকম করছেন 

আমি প্রথমে রাজি হই নাই কিন্তু পরে আব্বু জোর করে রাতে আমাকে রুমে ঢুকিয়ে দেই 

আমার রুমে শুধু দুইটা মোমবাতি ছিলো

ভাই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিলো পুরা আমি ভয়ে ভয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজার ধাক্কা দিলাম তারপর আম্মু দরজা খুলে দিল বাহিরে সবাই ছিলো

 হুজুর বলল কাজ হয়েছে কী

হুজুরের কথায় আমি বলে দিলাম আমি ঘুমিয়ে গেছিলাম 

হুজুর এই কথা শুনে আমাকে ইচ্ছে মতো গালি দেই আর 

বলে আজকেও তাই করতে হবে না হলে জ্বীন আমাকে ছাড়বে না তাই বাধ্য হয়ে পরের দিন রাতে ওই সেম ভাবে আমাকে ঘরের মধ্যে রেখে দিলো তবে আজকে আমার কাছে ফোন ছিল 

কিন্তু নিশাদ ভাই বিশ্বাস করেন রাত প্রায় ৪ টার সময় হঠাৎ করে মোমবাতি নিভে যাই আমার রুমটা খুব বেশী ঠান্ডা হয়ে যাই 

আমি ভয়ে চুপ করে ছিলাম হুজুরের সব কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি 

নিশাদ ভাই আমার কলিজা টা তখন বেড়িয়ে আসে যখন একটা খুব খুব ভয়ংকর কন্ঠ 

বলে উঠলো 

আমি জানি তোকে কেনো এখন রাখছে 

তোকে আমি ক্ষমা করবোনা তুই আমার মেয়েকে মেরেছিস 

ভাই আমি প্রায় শেষ হয়ে গেছিলাম হাত-পা অবশ হয়ে গেছিলো প্রায় ওই কন্ঠটা এতো ভয়ংকর ভাই কোন ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না 

ভাই চিন্তা করেন ১৫ বছর বয়সী একটা ছেলে ওই রকম একটা সিচুয়েশন পড়লে কী অবস্থা হবে 

ভাই মনে হচ্ছিল আমি আজকেই মরে যাব 

তাও কোনো মতে আমি শুধু এইটুকু বলতে পারছি যে 

দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি জানিনা আমি কখন আপনার মেয়েকে মেরেছি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেন। 

 তখন ভাই ওই জ্বীন টা বললো যে 

আমি আজ থেকে অনেক দিন আগে একটা কালো বিড়ালকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলাম ও বিড়ালটাই ছিলো ওই জ্বীনের মেয়ে 

 আসলে  সত্যি সত্যি নিশাদ ভাই এই ঘটনা ঘটার কয়েকদিন আগে আমিই একটা কালো বিড়ালকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলাম খুব আর ওটাই ছিল ওই জ্বীনের মেয়ে আর আমি তাকে মারার জন্য সেই জ্বীন আমার সাথে এই রকম করছেন 

আমি কাঁদতে কাঁদতে দুই হাত জোড় করে বললাম 

আমি জানতাম না বিড়ালটা আপনার মেয়ে ছিলো দয়া করে আমাকে খমা করে দেন সেই দিন আমি প্রায় মরন কান্না কেঁদে ছিলাম 

তারপর জ্বীনটা বললো 

একটা শর্তে ক্ষমা করবো তোকে তোকে আমার মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর আমাকে ৪ টা কালো ছাগল দিতে হবে। 

আমি থোতলাতে থোতলাতে বললাম 

ঠিক আছে আমি রাজি।

তারপর কী হলো বুঝলাম না আমি ঘাড়ে প্রচুর ব্যাথা অনুভব করি আর অজ্ঞান হয়ে যাই 

তারপর মনে হয় সকালে সবাই আমার রুমে এসে আমার জ্ঞান ফিরাই 

আমার জ্ঞান আসতেই আমি কাঁদতে কাঁদতে সব কথা বললাম 

তখন হুজুর বললেন 

কাজ হয়েছে 

হুজুর আমার আব্বুকে বলল যে ৪টা কালো ছাগলের ব্যবস্থা করতে আর রাতে আমাকে নিয়ে তার বাসায় যাবে

সব কথা মতো সেই দিন সন্ধ্যায় আমাকে আর ৪টা ছাগল নিয়ে হুজুরের বাসায় যাই আব্বু ও সাথে যাই 

হুজুর আমাকে একটা ঘরের মধ্যে নিয়ে যাই ঘরটা ছিল পুরো খালি শুধু একটা মাদুর পাতা ছিল 

হুজুর আমাকে বলল জ্বীন টা এই রুমে আসবে ওর মেয়েকে নিয়ে আমাকে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর বলতে হবে রুমে রাখা ছাগল গুলো নিয়ে যেতে 

তারপর রুমের একদিকে ছাগল গুলো রেখে আমাকে বসিয়ে দিল আর কয়েকটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়ে হুজুর চলে গেলো 

কিছুক্ষণ পর মোমবাতি গুলো নিভে গিয়ে ঘরটা পুরো ঠান্ডা হয়ে গেল আমার মনের মধ্যে খুব ভয় করছিলো 

ওই দিনের মতো 

ওই ভয়ংকর কন্ঠটা বলল আমার মেয়ে এসেছে ওর কাছে ক্ষমা চা। 

তখন আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম 

আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি অজান্তেই এই ভুল করে ফেলেছি আমাকে ক্ষমা করে দেন দয়া করে ক্ষমা করে দেন আর এই রুমে ৪টা কালো ছাগল আছে আপনি যেমন বলেছিলেন তেমন এগুলো নিয়ে যান

সেই ভয়ংকর জ্বীনটা বললো 

ঠিক আছে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম আমি আর তোমার কাছে আসবো না আর কোন ক্ষতি করবো না 

জ্বীনটা কথা গুলো বলার পর 

সেই রাতের মতো ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করতে লাগলাম আমি আর অজ্ঞান হয়ে গেলাম 

তারপর হুজুর আর আব্বু এসে আমার জ্ঞান ফেরালো 

আমি দেখলাম রুমের ছাগল গুলোও ছিল না 

হুজুর বলল আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিক হয়ে গেছে 

আর সমস্যা নেই 

তারপর আমাকে ঝাড়া দিয়ে দিলেন আর একটা তাবিজ দেন ৭ দিন দেওয়ার জন্য তারপর তাবিজটা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে 

তারপর থেকে আর কোনো খারাপ ঘটনা ঘটে নাই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাই 

ভাই এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি 

ভাই এইটা আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক ঘটনা বিশেষ করে ওইযে হুজুর যেই কাজ গুলো করতে বললেন আর ঘরের মধ্যে ওই জ্বীনের সাথে কথা বলা আমি মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত মনে থাকবে ভাই। 

এই ছিলো রায়হান ভাইয়ের ঘটনা। ধন্যবাদ রায়হায় ভাইকে এত সুন্দর একটা ঘটনা আমাকে লিখে পাঠানোর জন্য। ঘটনাটা রায়হান ভাইয়ের নিজের লেখা। 

আপনারাও আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া বা আপনার জানা ঘটনা বলতে পারেন আমাকে। আমি লিখে পোস্ট করবো। তো দেরি না করে আপনার জানা ঘটনা থাকলে কমেন্ট করুন এখনি।

রায়হান ভাইয়ের সত্য ঘটনাটা আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

Share On:



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 


0 Responses

Leave a Reply