📗গল্পঃ জ্বীনের প্রতিশোধ
📝লেখকঃ মোঃ নিশাদ
📜পর্বঃ ৫
—————————————————–
দুজনে ঝগড়ার পর্যায়ে চলে যাওয়ায়, ওস্তাদ তান্ত্রিক আমাকে বলেন।
ঠিক আছে বড় বার গেড়ে গেছিস তাইনা। তোকে আমি দেখে নিবো। ।
কথাটা বলে রেগে চলে যান আমার ওস্তাদ তান্ত্রিক, ওনি চলে যাবার তিনদিন পর আমি বুঝতে পারি, আমার উপর ওনি কালোজাদু করছে, আমার সব ক্ষমতা শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আমার সাথে খারাপ কিছু হচ্ছে বুঝতে পেরে আমিও উল্টো আমার ওস্তাদ তান্ত্রিকের উপর কালোজাদু করি, আমিও ওনার সব শক্তি কেরে নেয়ার জন্য সাধনা করতে থাকি।
ওনি আমার প্রথম ওস্তাদ তান্ত্রিক ওনার কাছে আমি প্রথমে শিক্ষা নিলেও এখন ওনার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী, তাই তান্ত্রিক আমার কিছুই করতে পারেনি
উল্টো আমি তান্ত্রিকের অনেক বড় ক্ষ*তি করছি, ওনি ওনার কাছে যত জ্বীনকে বন্ধি করে রেখেছিলো সবগুলো জ্বীনকে আমি মুক্ত করে দেই৷ ওনার কাছে থাকা জ্বীনগুলো মুক্ত হয়ে ওনার উপরে রা*গের বসে ওনার দুটো পা অচল করে দিয়ে চলে যান।
কাহিনি এখানে থেমে থাকেনি, ওস্তাদ তান্ত্রিককে হাড়িয়ে দেবার পর ওনি, বড় তান্ত্রিকের কাছে যান
ওনার কাছে গিয়ে আমার নামে বিচার দেয়ার বড় ওস্তাদ তান্ত্রিক আমার কাছে আসেন, এসে বলেন, জলিল এসব কি শুনছি, নিজের শিক্ষক ওস্তাদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে ওনার সব শক্তি ক্ষমতা শেষ করে দিলে
বড় তান্ত্রিকের কথায় আমি বললাম, আমি তো ইচ্ছে করে কিছু করিনি। ওনি আমাকে আগে কালো জাদু করায়, আমি ওনাকে জবাব দিয়েছি এতে আমার দোস হবে কেনো। ওনি কেন আমার উপর কালোজাদু করতে গেলো। ওনি আমাকে কালোজাদু না করলে আমিও ওনার ক্ষ*তি করতাম না৷
আমার কথায় বড় তান্ত্রিক বললেন, তবুও নিজের ওস্তাদকে বুঝাতা, আমাকে জানাতা।
ওনার কথার জবাবে রেগে গিয়ে বলে উঠলাম, সবটা কি আমারি দোষ, ওনার কি কোন দোস নেই, আপনি ওনার হয়ে আমাকে কথা শোনাচ্ছেন কেনো কিছু হাদিয়া পেয়েছেন নাকি ওনার কাছ থেকে।
আমার কথায়, বড় তান্ত্রিক আমার উপর রেগে নানা রকম উল্টো পাল্টা কথা বলতে থাকে, এনার সাথেও শুরু হয় আমার তর্ক ঝ*গড়া এক পর্যায়ে মারামারি।
সাধারণ মানুষেরা ঝ*গড়া হলে সেটা তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু তান্ত্রিকের সাথে তান্ত্রিকের ঝ*গড়া মা*রামা*রি লাগলে সেটা আর তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা, তাদের সাথে যুদ্ধে যুক্ত হয় জ্বীনেরা, জ্বীনেরা যুদ্ধে ইচ্ছে করে না জড়ালের তাদের বাদ্য করা হয়।
বড় তান্ত্রিক ও আমার মাঝে ঠিক সেটাই হইছে, ওনার সাথে আমার মা*রামা*রি হওয়ায় ওনার সাথে থাকা জ্বীনেরা ও আমার সাথে থাকা জ্বীনদের যুদ্ধ লেগে যায়।
সেই যুদ্ধে আমি দুটো জ্বীনকে হাড়ালেও যুদ্ধে জয়লাভ করি৷ আমি বড় তান্ত্রিককে হাড়িয়ে দেই, ও তার সাথে থাকা সকল জ্বীনকের মুক্ত করে দেই৷
যুদ্ধ করে দুজন তান্ত্রিককে হাড়ানোর ফলে এলাকায় আমার নাম ডাক বেড়ে যায়, সবাই জ্বীন ভূত রিলেটেড কোন সমস্যা পড়লে সোজা আমার কাছে আসতো।
এভাবে চলতে থাকে দিন।
এক রাতে আমার হঠাৎ মনে পড়ে, আচ্ছা আমিতো আমার শক্তি প্রয়োগ করে অনেক জ্বীনকে আমার কাছে বন্ধি করে তাদের দিয়ে কাজ করাই, কিন্তু আমার কাছে তো কোন পরী নেই, আমি একটা পরী চাই৷ একটা পরীকে বন্ধি করতে চাই।
জলিল দাদার কাছে কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছেন শাহাদাৎ ও জয়নাল, পরীর কথা শোনার পর শাহাদাৎ বললেন, তারপর কি করলা দাদা, তুমিকি পরীকে বস করতে পারছো, তোমার কাছে বন্ধি করছো।
জলিল দাদা: হ্যাঁ করছি৷ আমি পরী বন্ধি করার জন্য উঠে পড়ে লাগি, আমার শক্তি প্রয়োগ করে সাধনা করে জোর পূর্বক একটা পরীকে আমার কাছে বন্ধি করি।
____সেই পরীকে বন্ধি করার পর, পরী আমাকে অনেক অনুরোধ করে ছেড়ে দিতে৷ কিন্তু আমি পরীর কোন কথা না শুনে অন্য জ্বীনদের মত পরীকে দিয়েও কাজ করাতে থাকি।
এভাবে চলতে থাকে সময়।
একদিন আমার কাছে একজন লোক আসে। ওনি আমার কাছে এসে বলে ওনার মেয়েকে জ্বীনে ধরছে, আমার আগে অনেক কবিরাজকে দেখালেও কোন আশার আলো দেখতে পাননি, কোন কবিরাজি নাকি সেই জ্বীনটাকে মেয়েটার শরীল থেকে ছাড়াতে পারেনি।
লোকটার কথায়, আমি ওনাকে বলি আমি আপনার বাড়িতে জাবো আপনার মেয়ের শরীল থেকে সেই জ্বীনটাকেও তাড়াবো, এর বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা আমাকে দিতে হবে।
আমার কথায় সেই লোকটা রাজি হয়ে যায়।
আমিও সর্ত মোতাবেক ওনার বাড়িতে গিয়ে ওনার মেয়ের শরীলে ভর করা সেই জ্বীনটাকে হাজির করি।
আমি আমার কবিরাজি জিবনে, সহজে কখনও হাড়িনি, আমি নিজেকে এতটা শক্তিশালি করেছি যে কখনও ভাবিনি কোন জ্বীন আমাকে হাড়াতে পারে।
আমি লোকটার মেয়ের শরীলে জ্বীনটাকে হাজির করার সাথে সাথে সেই জ্বীনটা কোন কথা না বলে আমার বুকে প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে।
জ্বীনটার আ*ঘাতে আমি মাটিতে পড়ে যাই ওদিকে মেয়েটার শরীলে সেই জ্বীনটা হাজির হয়ে হাসতে হাসতে আমাকে বলতে থাকে।
কিরে ব্যাথা পেয়েছিস, আহহহ রে এর থেকেও তোকে একটা ব্যাথা সহ্য করতে হবে। তোর সাহস তো কম না আমাকে হাজির করিস।
জ্বীনের কথায় আমি ভয় না পেয়ে উঠে দাড়াই আর জ্বীনটাকে বলি, কাকে ভয় দেখাচ্ছিস, আমাকে ভয় দেখানোর আগে আমার বিষয়ে একটু খোজ নিয়ে দেখ, আমি যেমন তেমন কবিরাজ না রে। তোকে ভালোই ভালোই একটা কথা বলি, এই মেয়েটার শরীল ছেড়ে চিরতরে ছেড়ে যা নইলে কঠিন শাস্তি দিয়ে মেরে ফেলবো।
____আমার কথায় জ্বীনটা হাসতে হাসতে বলে, খুব বড় কবিরাজ হইছিস তাইনা, কথাটা বলে আমি কিছু না করার আগেই সেই জ্বীনটা আমাকে আবারো প্রচন্ড জোরে আ*ঘাত করলেন।
জ্বীনটা আমাকে এত জোরে আ*ঘাত করে যে আমি আঘাতের ফলে সেখানেই জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলি৷
____আমার যখন জ্ঞান ফেরে তখন আমি ঐ লোকটাকে বলি, আমি বুকে প্রচন্ড আ*ঘাত পাবার কারণে বুকে অনেকটা ব্যাথা হচ্ছে। আমি আজকে আসি সুস্থ হলে আপনার বাড়িতে আবার আসবো আপনার মেয়ের চিকিৎসা করাতে।
কথাটা বলে বাড়িতে চলে আসি আমি৷
এর ঠিক পরেরদিন থেকে সেই জ্বীনটা আমার পিছনে লাগে। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়েও ওর কিছু করতে পারিনি, আমার সাথে থাকা জ্বীন, পরী ওদেরকে বিষয়টা জানালে ওরা বলে, ওদের থেকে ঐ জ্বীনটা খুবি শক্তিশালী এরা সবাই ঐ জ্বীনটার কিছুই করতে পারবেনা।
_____আমি এতদিন ভাবতাম আমি একাই শক্তিশালী, কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছিলাম, শক্তির উপর শক্তি থাকে।
এই ঘটনার পর, আমি দূর্বল হতে থাকি, আমার শরীল খা*রাপ হতে থাকে।
আমি সব জায়গায় ঐ জ্বীনটাকে দেখতাম। জ্বীনটা এত ছোট কারণে আমার পিছনে লাগবে ভাবতে পারিনি।
এভাবে ভয়ের মাঝে কে*টে গেলো কয়টা দিন
এমনি একদিন, আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি, সেই শক্তিশালি জ্বীনটা আমাকে ধরে এক অজানায় নিয়ে গেছে।
_____আমি জ্বীনটাকে জিজ্ঞেস করায় সে উওর দিলো, তোকে জ্বীন রাজ্যে ধরে নিয়ে আসা হইছে, তুই অন্যায় ভাবে আমার জ্বীনদের নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে বন্ধি করে রাখিস, নানা অপকর্ম করিস, বিনা কারণে জ্বীনকে মেরে ফেলিস, তাই তোর বিচার হবে।
তারপর_____
Next____
🔴আপনারা পোষ্টে লাইক কমেন্ট করেন না কেন.??😤😤 আপনারা অনুপ্রেরণা দিলে পরবর্তী পর্ব আপলোড দিব..!!👍❤️
—————————————————–
অবশ্যই লাইক👍 করবেন এবং কমেন্টে💬 জানাবেন গল্পের এই পর্বটা কেমন ইন্টারেস্টিং ছিল….!!😜
—————————————————–
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন..!🧭
—————————————————-
আপনারা প্রত্যেকেই গল্পটা ধৈর্য সহকারে সম্পুর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন এবং পড়বেন। গল্পের মধ্যে ভুল-ক্রুটি হতেই পারে এটা স্বাভাবিক, ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন…!!🙏
🌼—-ধন্যবাদ—-🌼
—————————————————–
Share On:
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE