জেন্টাল_মন্সটার
লামিয়ারহমানমেঘলা
পর্ব_১৫
খান মেনশনে হুট করে অনেক গুলো মেহমান এসেছে। আসরাফ খান তাদের জন্য কাজ ফেলে রেখে বাড়িতে আসছে। মাধবী বেগমকে বলে দিয়েছে তাদের আপ্যায়ন করতে।
মাধবী বেগম তাদের খুব আপ্যায়ন করছে।
আদ্রিতা রান্না শেষ করে লিভিং রুমে অনেক মানুষ দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যায় রুমে।
মাধবী বেগম সার্ভেন্ট দের ডেকে নাস্তা দিতে বলেন।
রেভেন কাজ শেষ করে লিভিং রুমে ফিরে আসে।
মাধবী বেগম রেভেনকে দেখে বলে,
“বাবা তুমি যাও নি?”
“নো আন্টি বসের কাজ শেষ হলো মাত্র। বসের রুমটা কোন দিকে?”
“উপরে।”
“ওকে।”
রেভেন উঠে চলে যায়।
রেভেনকে দেখে রওশান মির্জা এবং তার স্ত্রী নিপা বেগম বললেন,
“এটা কে আপা?”
“এটা হলো আমার আদ্রিসের সেক্রেটারি।”
“দেখে মনে হলো এ দেশের নয়।”
“হ্যাঁ ও রাশিয়ান।”
“ও আচ্ছা রাশিয়ান।”
“জি।”
“আমার ছেলেও যাবে বলছিল।”
“কিন্তু কিসের জন্য? “
“না ওই মাস্টার্স টা করার জন্য।”
মাধবী বেগম বেশ অবাক হলেন।
“আপনার ছেলের মাস্টার কমপ্লিট নাই?”
“জি না।”
“কেন?”
“বাবার যা আছে জানেন ই ত। ছেলেটা পড়ালেখা করতেই চায় না৷”
এমন সময় আসরাফ খান ভেতরে প্রবেশ করে।
“হেই মি মির্জা কেমন আছেন। সরি আমি লেট হয়ে গিয়েছি।”
“আরে না না আমারাত মাত্র এলাম।”
আদ্রিসের রুম থেকে বেরিয়ে ঐশী চলে যায় মিশুর রুমে।
মিশু ফোনে কথা বলছিল। ঐশীকে দেখে মিশু ফোন কেটে দেয়।
“হে ঐশী কি হয়েছে? “
“আদ্রিতাকে সায়েস্তা করার উপায় বলো।”
“ও আবার কি করল?”
“ও আদ্রিসের কানে উল্ট পাল্টা বলেছে।”
“কি উল্ট পাল্টা?”
“বলছিল মিশু আপু কারোর সাথে কথা বলে।”
“কিহ। এ কথা আদ্রিতা জানল কিভাবে?”
“জানিনা। আমিত শুনছিলাম এমন বলছিল। তখন আমি বললাম যে আদ্রিতা তুমি এইসব কি বলছো। তখন আদ্রিস ভাই আমাকে বকা দিল। আমাকে ভুল প্রমাণ করে আদ্রিতা সে কি হাসি। “
“ও এমন করেছে?”
“হ্যাঁ।”
“চলোত।”
মিশু রেগেমেগে ঐশীকে নিয়ে আদ্রিতার রুমে চলে আসে।
আদ্রিতা মাত্র গোসল করে বের হয়েছে।
পরনে সুন্দর একটা জামা। আদ্রিস এনেছে ওর জন্য।
মিশুর তা দেখে আরও রাগ উঠে যায়।
মিশু গিয়ে আদ্রিতার গালে চড় বসিয়ে দেয়।
আদ্রিতা অবাক হয়ে যায়।
“ক কি হয়েছে?”
“বেয়াদব আমার নামে নালিশ করবি তুই আমার নামে।”
আদ্রিতার চুল ধরে কথাগুলো বলছিল মিশু। আদ্রিতা যন্ত্রণায় মৃদু আওয়াজ করে,
“আজ আপু লাগছে ছাড়ো।’
” কেন ছাড়ব বেয়াদব। থাপ্পড় মেরে তোর দাঁত ফেলে দেব। তুই কিভাবে আমার কথার অবাধ্য হস হ্যাঁ? “
“আমি কি করেছি?”
“তুই আদ্রিস ভাইকে কি বলেছিস?”
ঐশী এতক্ষণ দেখছিল সবটা। এবার সে মিশুকে আদ্রিতার থেকে ছাড়িয়ে আনে।
“থাক আপু ছেড়ে দেও। ভুল করেছে। মাফ করে দেও।”
আদ্রিতা অবাক হয়ে যায়।
“কিন্তু আমি করেছি টা কি?”
“আবার কথা বলিস।”
“থাক থাক আপু চলো তুমি।”
মিশুকে নিয়ে ঐশী চলে যায়।
আদ্রিতা তাকিয়ে রয় সে দিকে।
“কেন এত ঘৃণা করো আপু? আমিত সব সময় তোমার থেকে ভালোবাসা পেতে চাই। বড্ড ভুল করি কি?”
ঐশী মিশুকে টেনে নিয়ে আসে।
“ছাড়ো আমাকে ওকে আরও দু’টো চড় মারতে দেও।”
“ওকে এভাবে শাস্তি দেওয়া যাবেনা। ও তাহলে এই একই কাজ আবার করবে।”
“তাহলে কি করব?’
“প্লান আছে। সায়েস্তা হয়ে যাবে।।অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকবে। কেউ ওকে দেখতেও যাবেনা। তখন কি হবে? নিজেই বুঝবে সে ভুল মানুষের সাথে পাঙ্গা নিয়েছে।”
“হ্যাঁ ঠিক বলেছিল।”
“ওকে চলো।”
রেভেন আদ্রিসের রুমের দরজায় নক করে,
“কাম ইন।’
” বস সব কাজ শেষ।”
রেভেন কথাটা বলে সামনে দেখে। প্রিয়া বসে পায়ের উপর পা তুলে।
আদ্রিস রেভেনকে দেখে ইসারা করে চুপ করতে বলে।
রেভেন চুপ হয়ে যায়। প্রিয়াকে দেখে রেভেন কেন জানিনা চোখ সরাতে পারেনা। ওই যে আছেনা ইচ্ছে থাকলেও আমরা মাঝে মধ্যে নিজের দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। বেয়াহার মত এক দিকে তাকিয়ে থাকি। যেন ওই মানুষটির ভেতর খুবই অদ্ভুত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। অথছ অন্যের চোখে সে আর ৫ টা মানুষের মত সাধারণ। ভালোবাসার চোখে তা অসাধারণ হয়ে ওঠে।
“রেভেন।’
রেভেনের ধ্যান ফিরে,
” বস।”
“বসো ওখানে।”
রেভেন কাউচে বসে।
প্রিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
“ভাই।”
“আমি আছিত প্রিয়া। মরে গেলে না ভয় পেতি। তোর ভাই বেঁচে আছে। কেন এত চিন্তা করিস।”
প্রিয়া, আদ্রিসকে জড়িয়ে ধরে,
“আই মিস ইউ ভাই।”
আদ্রিস বোনের কপালে চুমু খায়।
“মিস ইউ টু মাই জান।”
“তাহলে আমি যাই?”
“হুম।”
প্রিয়া বেরিয়ে যায়।
আদ্রিস রেভেনের দিকে তাকায়। তার দৃষ্টি তখনো প্রিয়ার দিকে স্থির।
“রেভেন।”
রেভেন কেঁপে ওঠে মৃদু।
“ইয়েস বস।”
“কাজ হয়েছে?’
” হ্যাঁ। আপনার ফোনটা দিন। আমি এক্সেস ঠিক করে দিচ্ছি।”
আদ্রিস ফোন দেয়।
রেভেন ঠিক করে দেয়। ক্যামেরা অন হয়ে গেছে।।
“২৪ ঘন্টা এই এপস এ গেলে আপনি দেখতে পাবেন কি হচ্ছে।”
“ওকে থ্যাংকস। লাঞ্চ করে যাবি এখান থেকে।’
“নো বস।’
‘রেভেন আমরা অফিসে নেই। এত ফর্মাল হওয়ার কিছুই নেই। “
রেভেন হাসে,
“ভাই আজ না। অন্য কোন এক দিন।”
রেভেন বেরিয়ে যায়। আদ্রিস হাসে। তার চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। কোন ভাবেই নয়।
হটাৎ আদ্রিসের দরজায় নক করার শব্দ,
“কে?”
“সাব আমি ময়না। আপনাকে বড় সাব নিচে ডাকছে। তাড়াতাড়ি আইতে কইছে।”
” যাও আসছি।”
“আইচ্ছা।”
সার্ভেন্ট চলে যায়।
আদ্রিস রেডি হয়ে নিচে আসে।
আদ্রিসকে দেখে নওশাদ মির্জা এবং তার স্ত্রী নিপা বেগম খুশি হয়ে যায়।
“ও মাই গড আদ্রিস এত বড় হয়ে গিয়েছে?”
আদ্রিস নিচে নেমে সোজা তাদের সামনে বসে।
“হ্যাঁ। আদ্রিস নওশাদ আঙ্কেল আর ওনার স্ত্রী।”
“আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুম সালাম বাবা। তুমিত একেবারে রাশিয়ান দের মত হয়ে গিয়েছো। ঘটনা কি মেয়ে ঠিক করে রাখছো নাকি রাশিয়ান?”
আদ্রিস হাসে,
“জি না। আমার বিয়ে হলে সবাই দেখবে। আদ্রিস খান বিয়ে করেছে। আমার ওয়াইফ হচ্ছে আকাশের তারা বুঝছেন আঙ্কেল। চাইলেও ছোঁয়া যায়না।”
“ওয়াউ। ছেলেকে দেখেছেন। বিয়ের আগে থেকেই এত কেয়ারিং।”
“কেয়ারিংত হতেই হবে আঙ্কেল। আমার ওয়াইফের আমি ছাড়া কেউইত নেই। ওর আই কেন সে, থাকতেও নাই আই গেস। “
“কেন রাশিয়ানদের মা বাবা হয়না?”
“আমার ওয়াইফ রাশিয়ান হবে কে বলল আপনাকে?”
“তা সে শুভাকাঙ্ক্ষী কে বাবা?”
“টাইম উইল সো এভরিথিং আঙ্কেল।
আপনরা চা নিন প্লিজ।”
“হ্যাঁ হ্যা তুমি নেও বাবা।”
আদ্রিস চায়ের কাপ হাতে নেয়।
আসরাফ খান, স্ত্রীর দিকে তাকালেন।
মাধবী বেগম মাথা নাড়ায়।
“আদ্রিস ওনারা এখানে কেন এসেছে জানো?”
“মম লাঞ্চ করি আগে এরপর এইসব নিয়ে কথা বলা যাবে।”
“হ্যাঁ। তোমার খালা খালুও এসেছে।”
“কই আমাদের দেখা হলোনা যে।”
“ওরা হয়ত ঘুমিয়ে গিয়েছে। আমি ডেকে আনছি।”
মাধবী বেগম উঠে যায়।
পুরো খান পরিবারের সবাই লাঞ্চ টেবিলে বসেছে। শুধুমাত্র একজন বাদে সে হলো আদ্রিতা।
আদ্রিসের চোখ জোড়া আদ্রিতাকে খুঁজছে। পাশে থাকা প্রিয়া ঝুকে জিজ্ঞেস করে,
“কাকে খুজছো ভাই?’
” ইউ নো বেটার দ্যান মি।”
“আসবে না।’
” কেন?”
“তুমি চলে যাওয়ার পর আদ্রিতাকে টেবিলে খেতে আসতে দেখলে আম্মু প্রচন্ড রাগ করত আর নিজে না খেয়ে উঠে যেত। তাই ও সব সময় নিজের রুমেই অথবা কিচেনের ফ্লোরে বসে খায়। আমিও ওর সাথেই খাই তবে আজ আম্মু ফোর্স করল।”
আদ্রিসের চোয়াক শক্ত হয়ে যায়। হাত মুঠো করে নেয়। রাগ কপালে স্পষ্ট।নিজের বাবার দিকে তাকিয়ে আছে আদ্রিস।
কি সুন্দর হেঁসে হেঁসে খাচ্ছে।
অথচ সে দিন তাকে ওয়াদা করেছিল,
“আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওর খেয়াল আমি রাখব।”
আদ্রিসের রাগ হচ্ছে তার সাথে খারাপও লাগছে। এমন মিশ্র অনুভুতি তার আগে কখনো হয়নি। মেহমান বাড়িতে সিনক্রিয়েট করাটা বোকামি। তাই আদ্রিস চুপ থাকে। সার্ভেন্ট খাবার সার্ভ করে দিয়েছে। আদ্রিস দেখে নেওয়াজ খান কি সুন্দর খাবার খাচ্ছে হাসি মুখে।
সবাই আনন্দ করছে শুধুমাত্র তার আদ্রিতা বাদে।
“সরি জান। যদি জানতাম তোকে এই নরকে ফেলে দিচ্ছি তাহলে কখনো তোকে ফেলে যেতাম না।”
প্রিয়া আদ্রিসের হাতের উপর হাত রাখে। আদ্রিস মাথা তুলে তাকায়। তার চোখ ছলছল।
প্রিয়া অবাক হয়ে যায়। তার ভাই আসলেই পাগলের মত ভালোবাসে আদ্রিতাকে।
প্রিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
হটাৎ করেই চিৎকার করে ওঠে,
“আদ্রিস ভাইয়া। তোমার সভাব গেলনা।”
আদ্রিস আচমকা প্রিয়ার চিৎকার শুনে অবাক হয়ে যায়।
“যাও তুমি তোমার সাথে বসবই না।”
মাধবী বেগম মেয়েকে শাসিয়ে বলেন,
“প্রিয়া কি আচরণ এইটা। বড় ভাইয়া তোমার ‘
” ত কি হয়েছে? ভাইয় যাবা?’
আদ্রিস বুঝতে পারে। সে উঠে দাঁড়ায়,
“হ্যাঁ হ্যাঁ আমারো শখ নেই। তোর লাঞ্চ তুই একা কর।”
আদ্রিস চলে যায় সোজা। প্রিয়া মৃদু হাসে। খেতে বসে। মাধবী বেগম রাগি কন্ঠে বলেন,
“প্রিয়া এইটা কি। আদ্রিস তোমার বড় ভাই। যাও ডেকে নিয়ে এসো।”
“সরি আম্মু। দোষ মনে হয় আমারি। আমি যাই খাবার নিয়ে যাই। এমনিতেও ভাইয়া আর আসবে না।”
“হ্যাঁ যাও খাবার দিয়ে এসো।”
প্রিয়া উঠে কিচেনে চলে যায়।
কেউ না বুঝলেও ঐশী ঠিকই বুঝেছে। আদ্রিস রেগে নিজের রুমে যাবে। আদ্রিতার রুমের দিকে কেন গেল। ঐশীর প্রচন্ড রাগ হতে লাগে তবে এখন বলার কিছু নেই। সবাই আছে সামনে।
আদ্রিতা টেবিলে বসে আছে।
আদ্রিস নক না করেই ভেতরে প্রবেশ করে। দরজা খট করে খোলার শব্দ পেয়েে আদ্রিতা দ্রুত ওড়না পরে নেয়।
আদ্রিসকে দেখে শান্ত হয়।
“ও আপনি? ভয় পেয়ে গেছিলাম।”
আদ্রিস বিনা বাক্যে আদ্রিতাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে। হটাৎ এমন কান্ডে আদ্রিতা ফ্রিজ হয়ে গিয়েছে।
আদ্রিস বেশ কিছুক্ষণ আদ্রিকে চেপে ধরে রাখে যেন পারলে নিজের ভেতর ঢুকিয়ে নেয়।
আদ্রিতার এবার নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। আদ্রিস সেটা বুঝতে পেরে আদ্রিতাকে নিজের সামনে আনে। আদ্রিতার কোমড় সে তখনে জড়িয়ে নিজের সাথে চেপে ধরে রেখেছে।
আদ্রিস, আদ্রিতার মুখের দিকে তাকায়। ওর বাম গালটা লাল হয়ে আছে।
আদ্রিস ভ্রু কুঁচকে নেয়। আদ্রিতার গালে স্পষ্ট চড়ের দাগ। ফর্সা শরীরে আঘাতের চিহ্ন বেশি জেগে থাকে,
“কে মেরেছে তোক?”
হটাৎ এমন প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে যায় আদ্রিতা।
“ক কে মারবে? “
আদ্রিস হুট করেই আদ্রিতার চোয়াল শক্ত করে চেপে ধরে।।ব্যাথায় কুঁকড়ে ওঠে আদ্রিতা।
“কে মেরেছে সত্যি সত্যি বল? আমি বাদে তোকে কেউ স্পর্শ করবে তাত মেনে নেব না। তোকে যন্ত্রণা দেওয়ার ভাগ টুকুও আমি কাউকে দেব না। “
“আ আহ লাগছে।”
“দ্রুত বল। আমার রাগ উঠে যাচ্ছে।”
“আ আমি আহ..”
আদ্রিস এবার সোজা আদ্রিতার ঠোঁটে হামলা করে। পরিস্থিতি বুঝে বেআক্কল বনে যায় আদ্রিতা।
চলবে?
[ আপু, বাবুরা কাল চলে যাবে। আমি একটু ফ্রি হতে পারব। ইনশাআল্লাহ দু’টো গল্প দিতে পারব। আজকের জন্য এতেই খুশি হও। রেসপন্স করো দয়া করে ]
Share On:
TAGS: জেন্টাল মন্সটার, লামিয়া রহমান মেঘলা
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১৪
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১১
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১০
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৯
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৬
-
জেন্টাল মন্সটার গল্পের লিংক
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ২
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৪
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৩