তোমার_হাসিতে (১০)
ফারহানাকবীরমানাল
আমার ঘরের দক্ষিণ পাশে একটা জানালা আছে৷ জালানায় নীলচে রঙের পর্দা টানানো। পর্দায় রোদ পড়েছে। ভালো লাগছে দেখতে। গত সাতদিন ধরে বিছানায় শুয়ে আছি। হাঁটাচলা বন্ধ। বাবা ভীষণ রকমের রাগ করেছেন। সেদিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর তিনি পায়ের ব্যাপারটা জানলেন। আমি তখন বিছানায় শুয়ে আপেল চিবচ্ছি। তিনি হুড়মুড় করে ঘরের ভেতরে ঢুকে এলেন। তীক্ষ্ণ গলায় বললেন, “পা কে’টে’ছে শুনলাম। কতটুকু কে’টে’ছে?”
“খুব একটা কা’টে’নি। পা পিছলে খালের ভেতরে পড়ে গিয়েছিলাম। পানি ভেতরে লাঠিসোঁটা পোঁতা ছিল। ওতেই সামান্য কে’টে’ছে। তেমন সিরিয়াস কিছু না।”
“ভালো।”
বাবার মুখে ভালো শব্দটা মানতে পারলাম না। বিস্মিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইলাম। বাবা শান্ত ভঙ্গিতে আমার সামনে বসলেন। বরফ শীতল গলায় বললেন, “আজকের পর বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ। কলেজে যাবে, বাড়িতে ফিরবে। পা ঠিক না হওয়ার পর্যন্ত খাট থেকেও নামতে পারবে না।”
“বাথরুমেও যেতে পারব না?”
বাবা শক্ত চোখে তাকালেন। আমি মুখ ঘুরিয়ে ফেললাম। বাবা বললেন, “আমি তোমার সাথে মজা করছি না। ঘর থেকে বের হলে অন্য পাটাও ভেঙে ফেলব।”
“ঠিক আছে। বের হবো না।”
ভেবেছিলাম আরও কিছু শুনতে হবে। তবে তেমন হলো না। বাবা বেশ খানিকক্ষণ সময় নিয়ে পায়ের অবস্থা দেখলেন, তারপর বেরিয়ে গেলেন। বাবা বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মুহূর্তে মধ্যে তিমু ঢুকলো। ফিসফিসিয়ে বলল, “তোমায় কী বলল?”
“কিছু বলেনি।”
“কিছুই বলেনি! আমি তো ভাবলাম মাথায় তুলে আছাড় মা’র’বে।”
“ভালো কথা।”
“হু, ভালোই! তারপর বলো তোমার কী অবস্থা?”
“কী অবস্থা দেখতে পারছিস না?”
“বাইরে দেখে কী মানুষের ভেতরের অবস্থা বোঝা যায় নাকি?”
“পাকা পাকা কথা না বলে এখান থেকে যা।”
“আমার কিছু জিজ্ঞেস করার ছিল।”
“কী?”
“তোমার পায়ের এমন অবস্থা হলো কীভাবে? আর যখন এমন হলো বাড়ির কাউকে বললে না কেন?”
“তোকে এত কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।”
“তুমি আমার উপর রেগে যাচ্ছো কেন? এমন করছ যেন তোমার এই অবস্থা জন্য আমি দায়ী।”
“আমার কিছু ভালো লাগছে না। কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।”
“আমি চলে গেলে তুমি খুশি হবে?”
“হ্যাঁ, হবো।”
তিমু আর এক মুহুর্তও দাঁড়াল না। বেরিয়ে চলে গেল। তারপর থেকে সে আর আমার ঘরে আসেনি। অন্যকেউও আসে না। সারাদিন একা এক ঘরে বসে থাকা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার। তবে কিছু করার নেই। মা সারাদিনে সময় পায় না। তবু ছুটে এসে এটা ওটা দিয়ে যায়। মোবাইলটাও নষ্ট হয়ে গেছে। ওটা থাকলে যাইহোক সময় কাটানো যেত। বই পড়তে বিরক্ত লাগে। সারাক্ষণ ঘুমানো সম্ভব না। ঘুম আসে৷ সব মিলিয়ে ভয়ংকর অবস্থা।
সারাদিন শুয়ে বসে জানলার দিকে তাকিয়ে দিন কে’টে যায়। সকালের দিকে একটা পাখি এসে সামনের গাছে বসে। গান গায়। তার কণ্ঠ খুবই করুণ শোনায়। কী ভেবেছিলাম আর কী হলো! একটু ভালো হলে কী হতো? এমন কী হতে পারত না– আমি সুস্থ শরীরে ধানের কাজ শেষ করেছি, বই রিভিউ দিয়ে হাজার টাকা পুরষ্কার পেয়েছি, এদিক-সেদিক করে আংটি বানানোর টাকা জোগাড় হয়ে গেছে।
ছোট চাচার বিয়ের খুব বেশিদিন বাকি নেই। হাতে গোনা সময়। এর মধ্যে টাকা জোগাড় করে আংটি বানানো সোনার পাথর বাটির মতো। অসম্ভব! দীর্ঘশ্বাস ফেলে জানালার দিকে তাকালাম। হালকা বাতাসে ওড়া কথার মত আমার কানে একটা কথা এসেছে। ছোট চাচা বলেছে– মানুষের নামে অপবাদ দিলে তার ফল ভোগ করতে হয়। আমার পায়ের এই অবস্থা তানহার নামে মিথ্যে কথা বলার জন্য।
আধশোয়া হয়ে সাত পাঁচ ভাবছি হঠাৎই মা ঘরের ভেতরে ঢুকে এলো। মায়ের পেছনে বাদশার মামা। আমাকে দেখতে এসেছেন। ভদ্রলোক এগিয়ে এসে আমার কপালে হাত রাখলেন। কোমল গলায় বললেন, “পায়ের ব্যথা এখন কেমন?”
“ব্যথা কমতে শুরু করেছে। হাঁটতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।”
“তা ভালো।”
মা পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎই কী মনে করে বেরিয়ে গেল। মা বের হওয়ার পরপরই ছোট চাচা ঢুকল। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করল, “আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না।”
মামা বললেন, “সাজ্জাদ আমার ভাগ্নের সাথে পড়াশোনা করে। ভালো বন্ধু। দু’দিনের জন্য আমাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। গিয়েই তো এই অঘটন ঘটলো। তাই দেখতে এলাম।”
“সাতদিন পরে?”
“কাজের চাপে সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না।”
“বাদশার ছোট চাচা।”
“জ্বি আচ্ছা, আচ্ছা।”
মামা মাথা দোলালেন। ছোট চাচা চোখমুখ শক্ত করে বেরিয়ে গেল। ভালো-মন্দ কিছু জিজ্ঞেস করল না। মামা বিব্রত মুখে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলেন। ছোট চাচা আগে এমন ছিল না। মানুষের সাথে খুব হেঁসে হেঁসে কথা বলত। চাকরি পাওয়ার পর থেকে গম্ভীর হয়ে গেছে। মামা খাটের কোণায় বসে মাথা নিচু করে রেখেছেন। যেন কিছু বলবেন, আবার বলবেন না– এই দ্বিধায় আটকে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রসঙ্গ ঘোরালাম।
“মামা, বাদশা কোথায়? সেদিন বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার পর আর একবারও আমার সাথে দেখা করতে আসেনি।”
মামা একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললেন। চিকন গলায় বললেন, “বাদশার জ্বর। বিছানা ছেড়ে নামতে পারছে না।”
“সেকি কথা! জ্বরে পড়ল কীভাবে?”
মামা উঠে গিয়ে দরজা ভেজিয়ে দিলেন। পকেট হাতড়ে বেশ কিছু টাকা বের করে আমার হাতের মধ্যে গুঁজে দিলেন। গলার স্বর অনেকখানি নিচু বললেন, “তোমার পারিশ্রমিক।”
“মামা, আমি তো কাজ শেষ করিনি। এত টাকা কেন দিচ্ছেন?”
“তোমায় ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিতে এলাম।”
মামা হাসলেন। আমি ভীষণ অবাক হলাম। বিস্মিত গলায় বললাম, “বাকি ধান কা’টার কী করলেন? শেষ মুহূর্তে অতটুকু জমির ধান, লোক খুঁজে পেয়েছিলেন?”
“লোক খোঁজার প্রয়োজন পড়েনি। বাদশা করেছে।”
“বাদশা করেছে!”
“হ্যাঁ। তোমাকে বাড়িতে রেখে বাদশা আমার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। অনুরোধের সুরে বলল– মামা, আপনাকে একটা কথা বলার আছে।
তখন আমার মেজাজ খুব গরম। অর্ধেকের বেশি ধান মাঠে পড়ে আছে, শেষ মুহূর্তে লোক কোথায় পাব। ভীষণ তিরিক্ষি সুরে বললাম– কী বলতে চাস? কোথা থেকে আনাড়ি এক ছেলে ধরে এনেছিস। কাজের কাজ তো কিছু পারল না। উল্টে ঝুলিয়ে রেখে গেল। শেষ মুহূর্তে লোক কোথায় পাব?
বাদশা বলল– বাকি ধান আমি কাটব।
বাদশা কখনো এইসব কাজের ধারে ঘেঁষে না। আমি ওর কথা শুনে ভীষণ অবাক হলাম। সে বলল– তোমার টাকার খুব প্রয়োজন। মাকে আংটি গড়িয়ে দেবে। তাই কাজ করতে এসেছিল।
আমার খুব মায়া হলো। আহা! এমন ছেলে আজকালকার যুগে কোথায় পাওয়া যায়। বাদশা বলল– মামা, তুমি অন্য লোক দেখো না। আমি কাজ করব। যা হয় সব টাকা সাজ্জাদকে দিয়ে দিও।”
আমি কী বলব বুঝতে পারলাম না। হাসপাতালে এক রাত কাটানোর পর ডাক্তার সাহেব ওষুধপত্র লিখে ছুটি দিয়ে দিলেন। বাদশা বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। মা’কে বলল, “খালে পড়ে পা কে’টে ফেলেছে। হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম।”
ওর কথায় বাড়িতে তুলকালাম কান্ড শুরু হলো। দাদি এমন ভাব শুরু করলেন যেন দুনিয়া উল্টে গিয়েছে। বাদশা ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিলো। আমার কাঁধে হাত রেখে বলল, “অতিরিক্ত চিন্তা করবি না। ঠিকমতো ওষুধপত্র খাবি। যা হয় ভালোর জন্য হয়।”
এরপর সে আর আমাকে দেখতে আসেনি। মনে রাগ ছিল, কষ্টও ছিল কিছু। বন্ধু বলতে ওই একজনই। এমন বিপদের দিনে সে আমাকে দেখতে আসেনি। ভেবেছিলাম আর কখনো কথা বলব না।
মামা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
“ছেলেটা এমনভাবে বলল যে রাজি না হয়ে উপায় পেলাম না। সারাদিন রোদের মধ্যে ধান কে’টে জ্বরে পড়ে গেল।”
“বাদশা কেমন আছে? ডাক্তার দেখিয়েছেন?”
“দেখিয়েছি৷ ওর মা’কে কিছু বলা বারণ। সে শুনলে দুশ্চিন্তা করবে।”
“মামা, আমার একটা কাজ করে দেবেন?”
“কী কাজ করব বাবা?”
“আমার মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে। একটা চিঠি লিখব। বাদশাকে দিতে পারবেন?”
“পারব।”
মা উঠে গিয়ে টেবিলের ওপরের রাখা খাতা কলম এনে দিলেন। লিখতে শুরু করব ঠিক সেই সময়ে মা এলো। চেয়ার টেনে ট্রে রাখতে রাখতে বলল, “না জানিয়ে এসেছেন। ঘরে তেমন কিছু নেই। যা ছিল তাড়াহুড়োর মধ্যে বানিয়েছি। নিন, একটু খান।”
মামা হাসি-হাসি মুখ করে নুডলসের পিরিচ হাতে নিলেন। ভাবলাম মাকে বেরিয়ে যেতে বলল। তবে বলার প্রয়োজন পড়ল না৷ মা নিজে থেকেই বেরিয়ে গেল। লিখতে বসলাম। কলম চলছে না। গলা ধরে আসছে। চোখের সামনে একটা দৃশ্য ভাসছে। বাদশা কোমরে গামছা বেঁধে ধান কাটছে। ওর কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছে। জীবনের প্রথম কাজ। বেশ অসুবিধে হচ্ছে। তবুও যথাসম্ভব মসৃণভাবে করার চেষ্টা করছে। একটু পরপর পানি খাচ্ছে। রোদের খুব তাপ। দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। এ সবকিছু আমার জন্য। সকল পরিশ্রমের মূল্য আমায় দিতে বলেছে। এই পৃথিবীতে ক’জন মানুষের এমন ভাগ্য হয়?
বহুকষ্টে কয়েক লাইন লিখলাম।
‘শুনলাম জ্বরে পড়েছিস। ঠিকমতো ওষুধ খাস। সারাদিন ঘরে বসে শুয়ে থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়। ভীষণ ক্লান্ত লাগে। বাইরে নিয়ে যাবে এমন কেউ নেই। তুই সুস্থ হলে তোর হাত ধরে বেশ খানিকটা পথ হাঁটব। ঠিকমতো ওষুধ খাবি। নিজের যত্ন নিস।’
আর কিছু লিখতে পারলাম না। অথচ খুব গুছিয়ে কয়েকটা কথা বলার দরকার ছিল। ধন্যবাদ জানানো উচিত ছিল। নাহ! সবার সাথে ধন্যবাদ শব্দটা যায় না। বাদশাও তেমনই একজন। এরপর থেকে ওকে আর কখনো ধন্যবাদ জানাব না।
মামা খাওয়া শেষ করেই বেরিয়ে গেলেন। তার কিসব কাজ আছে। দেরি করার সময় নেই। মামা চলে যাওয়ার খানিকক্ষণ পর ফুফু এলো। সাতদিনের ভেতরে দ্বিতীয়বার তার এ ঘরে আসা। খাটের কোণে বসতে বসতে বলল, “বিশিষ্ট ভদ্রলোক। খুব আদব কায়দা। পরের ছেলেকে দেখতে এসেছেন। ফল মিষ্টি নিয়ে এসেছেন। আজকাল এমন লোক পাওয়া যায় না।”
আমি তার কথার জবাব দিলাম না, হাসলাম। ফুফু বলল, “তোর পায়ের কী অবস্থা?”
“ভালো।”
“হাঁটতে পারিস?”
“পারি।”
“অসুবিধে হয় না?”
“না।”
ফুফু চলে গেল। যাওয়ার সময় দরজা ভেজিয়ে দিয়ে গেল। আমি টাকাগুলো গুণে দেখলাম। সাত হাজার দুশো। আমার কাছে হাজার খানেক আছে। এখনও দশ হাজার। টাকাগুলো বালিশের কভারের ভেতরে লুকিয়ে রাখলাম। আশার রাস্তা দেখি না। তবুও আশা রাখতে ইচ্ছে করে। মনে হয় এই বুঝি সব টাকা হাতে পেয়ে যাব।
সবকিছু কেমন ঝিমিয়ে গিয়েছে। কোথাও চঞ্চলতা নেই। শীতের ঠান্ডা বাতাস প্রকৃতিতে রুক্ষ করে ফেলেছে।
এরপরের দুদিনও একই রকম কাটল। পায়ের অবস্থা ভালো। শুঁকিয়ে এসেছে। সেলাই কাটানোর মত হয়নি। দু’বার ড্রেসিং করিয়েছি। ওষুধ চলছে। হাঁটতে পারছি। খানিক আগে একা হেঁটে জানালার পাশে এসে বসেছি। দিনের আলো ম’রে এসেছে। সন্ধ্যা নেমে যাবে। অল্প অল্প বাতাস বইছে। তিমু ঘরের এলো। নরম গলায় বলল, “একটা কথা বলার আছে।”
“কী কথা?”
“দুপুরের পরে তোমাকে দু’জন ছেলে খুঁজতে এসেছিল। মা ওদের বিদেয় করে দিয়েছি।”
“কেন?”
“তোমায় ডাকছিল। মা ভাবল খেলতে ডেকেছে। তাই ওদেরকে চলে যেতে বলেছে।”
“ওহ!”
“একটা কথা জানতে চাইব?”
“না। জায়েদার ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।”
তিমু হকচকিয়ে গেল। জড়ানো গলায় বলল, “কীভাবে বুঝলে?”
“কোনভাবে বুঝলাম না।”
কথা বাড়ল না। পরদিন দুপুরে বাদশা এলো। তার জ্বর সেরে উঠেছে৷ পুরোপুরি নয়, তবে হাঁটতে চলতে পারছে। সে এসেই আমাকে নানান প্রশ্ন করতে লাগল। সব প্রশ্ন জায়েদাকে নিয়ে। বিরক্ত মুখে বললাম, “তোকে এসব কে বলেছে? তিমু?”
“নাহ! তিমু কেন বলবে? তিমু সাথে আমার কথা হয়নি।”
“তাহলে কে বলেছে?”
“জায়েদা। আজ সকালে সে আমাদের কলেজে এসেছিল। তোর খোঁজ করতে।”
“আমার খোঁজ করতে? তুই কীভাবে বুঝলি?”
“আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করল তোকে চিনি কি-না।”
ভ্রু কুঁচকে ফেললাম। জায়েদা আমার খোঁজে কলেজে গিয়েছে ব্যাপারটা হজম হলো না।
চলবে
Share On:
TAGS: তোমার হাসিতে, ফারহানা কবীর মানাল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ১
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ৩
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৫
-
তোমার হাসিতে পর্ব ১১
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ২
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৪
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি গল্পের লিংক
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৭
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৬
-
তোমার হাসিতে গল্পের লিংক