সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১১৪
সাইমন ধীরে ধীরে উঠে গেল ।সবাই নিচে সাদাফ ভাইয়া এখন নূরের রুমে ।বোমা ফাটালেও বের হবে না এই ফাঁকে যাই একটু রিমার সাথে দেখা করে আসি ।মনে মনে ভাবলো সায়মন।রিমা পড়ালেখা করছিল।
তাই ধীরে ধীরে উঠে গিয়ে রিমার ঘরের সামনে গিয়ে দেখল দরজা চাপানো ।রিমা স্কেল দিয়ে পেন্সিল দিয়ে কিছু একটা ড্র করছে টেবিলে ।সাইমন ধীরে ধীরে দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করতেই রিমা তাকিয়ে দেখলো সায়মন ।রিমা বললো,”কি হল তুমি এই ঘরে কেন ?তোমাকে না বলেছি যখন তখন আমার কাছে আসবে না?”
সায়মন বললো,”ইশ বললেই হল ?আমি আমার বউয়ের কাছে আসবো না? কে আসবে আমাকে আটকাতে শুনি ?আমি কি আর কাউরে ডরাই ভাঙতে পারি লোহার করাই।”
রিমা মুচকি হেসে বললো,” হঠাৎ এত সাহস ?এমনিতে পা টিপে টিপে আসো আজকে যে খুব সাহস নিয়ে আসলে ?”
সায়মন বললো ,”সাদাফ ভাই এসেছে নুরের রুমে ।নিচে সবাই আছে ।এরপর উপরে এরা কেউ আসবে না ।যেহেতু উপরে সাদাফ আছে এই সুযোগে আমি ও একটু এসেছি।”
সাদাফু নুরের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।কি বললো এই মুহূর্তে মেয়েটি ! সাদাফ ভাই নাকে ফুল কিনে দিন?ঠিক আছে নাকে ফুল লাগবে তাই বলে সাদাফ ভাই কেন লাগাতে হল ?”নূর কে সাথে সাথে ছোট্ট একটি ধমক দিয়ে বললো,” তুই কি সবসময় আমাকে সাদাফ ভাই বলে ডাকবি?”
নুর লজ্জা পেয়ে গেল ।মাথা নিচু করে বললো অভ্যাস হয়ে গেছে ।পরিবর্তন করতে পারি না ।কিনে দিবেন নাকের ফুলটা?”
সাদাফ বললো,” নাকের ফুল দিয়ে কি করবি ?তোর তো না ফুটো করা নেই ।”নুর বললো,” আমি দেখেছি সব বিবাহিত মেয়েদের তাদের জামাইরা নাকের ফুল দেয় সে নাকে ফুল পড়ে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে ।আমারও চাই।”
সাদাফ বললো,” তাই ?তুই ও চাস তোকে বিবাহিত লাগুক ?বিবাহিত লাগার নাকে ফুল ছাড়া আরো অনেক উপায় আছে সেগুলো সম্পর্কে কি ধারণা তোর?”
নুর অবাক হয়ে গেল ।ভাবলো অন্য আরকি উপায় আছে ?”
সাদাফ মুচকি মুচকি হাসলো ।নুর কে বললো নিজে নিজে চিন্তা কর আর কি কি হলে বিবাহিত দেখা যায়?”
নুর কোন কিছুই চিন্তা করতে পারছে না ।ওতো পরিবর্তনের মধ্যে মেয়েদের শুধু নাকে ফুলটাই পড়তে দেখে ।কানের গলার হাত তো আগে থেকেই পড়ে থাকে মানুষ।
সাদাফ ঘোর লাগা কন্ঠে নূরের দিকে তাকিয়ে বললো,” আর কতদিন বাকি ?”
নুরের দিকে শুধু চোখে তাকিয়ে দুষ্টু দুষ্ট হাসলো সাদাফ।নূর অনেকক্ষণ বোঝার চেষ্টা করলো সাদাফ ভাই আসলে কিসের কথা বলেছে ?হঠাৎ করে যেন নূরের মনে পরল কিছু একটা সাথে সাথে লজ্জায় নূর দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল।
সাদাফ স্বশব্দে হেসে দিল ।নূরের লজ্জা পাওয়া দেখে তারপর হাসি থামিয়ে দূরত্ব আরেকটু ঘুচিয়ে আনলো ।আরেকটু কাছে এসে বসে দুই হাত দিয়ে নুরের হাত দুটো মুখ থেকে নামিয়ে নূরের দিকে তাকিয়ে বললো,”লজ্জা গুলো জমিয়ে রাখিস একবারে ভেঙে দিব।পরম যত্নে ও ভালোবাসার সাথে নিষ্ঠার সাথে ভেঙে দিব।”
কথাগুলো শুনেই নুর সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলল ।সাদাফ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নূরের দিকে ।অদ্ভুত সুন্দর লাগছে আজকে নুরকে যেন বউ বউ লাগছে ।সাদাফের বুকের ভিতরটা ধীরে ধীরে কম্পন শুরু হল ।কবে আসবে সেদিন যেদিন নূরকে এ বুকের মাঝখানে রেখে নুরের লজ্জাটুকু ভেঙে দিতে পারবে ! নুরকে যত্নের সাথে নিজের বুকে রাখতে পারবে ।ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলতে পারবে নুরকে ।কবে আসবে সেদিন নুরের দিকে তাকিয়ে থেকে এই কথাগুলো ভাবছে সাদাফ।
এদিকে সায়মন এখনো দাঁড়িয়ে আছে রিমার রুমে ।হঠাৎ করে নিচ থেকে নওরিন আফরোজ এর গলা পাওয়া গেল ।উপর থেকে সাদাফ সায়মন রিমা এবং নুরকে ডাকছে ডিনার করার জন্য।
রিমা তড়িঘড়ি করে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো । বললো,” বলেছিলাম এই রুমে এসোনা এখন বের হওয়ার সময় যদি না কেও দেখে তোমার কি অবস্থা হবে?আমাকে তো বকবেই তোমাকেও বকবে এবার।”
সাইমন লজ্জা পাচ্ছে এখন রুম থেকে বের হতে যদি বড় আম্মু দেখে ফেলে তাহলে কি অবস্থা হবে ।সায়মন রিমা কে বললো,” তুই আগে দরজা খুলে বের হ দেখ কেউ আছে কিনা পরে আমি বের হই।”
রিমা তাই করল ।দরজা খুলে আগে এদিক ওদিক তাকালো দেখল কেউ নেই বের হয়ে গেল যাওয়ার সময় ইশারা করে গেলে এক মিনিট পরে বের হতে ।সায়মন এভাবে দাঁড়িয়ে রইল এক মিনিট হতেই দরজা খুলে বের হবে ঠিক এমন সময় সাদাফ নুরের সামনে পড়লো সায়মন।
সাদাফ জানতে চাইলো,” তুই এই রুমে কেন ?”সায়মন বললো,” না একটা কাজে এসেছিলাম রিমাকে ডাকতে দেখি রিমা নেই তাই বের হয়ে যাচ্ছি।”মনে মনে বললো,” তুমি যে আমার বোনের রুমের থেকে বের হলে কিছু বলছি?”
সাদাফ বললো,” তাহলে চল নিচে খেতে যাব আজকে সবাই একসাথে খাব।”
খাবার টেবিলটা আজ যেন পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে ।সবার মুখে তৃপ্তির হাসি ।কেউ মুখ ফুটে বলুক আর না বলুক আজ সবাই খুশি।আজ সব সাদাফের পছন্দের রান্না করা হয়েছে।
ফজলুর রহমান সাদাফের দিকে তাকিয়ে মনে মনে চিন্তা করলেন অফিসের ঝামেলাটা মিটমাট হয়ে গেলেই সাদাফ এর সাথে খোলাখুলি কথা বলবে ।সাদাফ কি সিদ্ধান্ত নেয় তার উপরে ডিপেন্ড করছে উনার পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
নওরিন আফরোজ বললেন,” আজ থেকে যা সাদাফ অনেক রাত হয়েছে ।আজকে যাওয়ার দরকার নেই ।”
সাদা বললো,” মা যেতে হবে আবার সকাল সকাল অফিসে যেতে হবে ।কাল আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তাই আজকে থাকবো না।”
সামিহা বেগম বললেন ,”স্পষ্ট করে বললেই হয় তুই থাকবি না ।না হলে সকাল সকাল তো এখান থেকেও যেতে পারিস ।”সাদাফ চুপ করে রইল।
নুর কোন কথা বলছে না শুধু সবার কথা শুনছে। সাদাফ হঠাৎ মুখ তুলে বললো,”যেদিন কারো সাহায্য ছাড়া নিজের যোগ্যতায় কিছু করে দেখাতে পারবো সেদিন আমি এ বাড়িতে ফিরব এর আগে না।”
ফজলুর রহমানের বুকটা ধক করে উঠল সাদাফের কথাগুলো শুনে ।হ্যাঁ সেদিন উনি তো বলেছিলেন বাপ চাচাদের হাতের ছায়া থেকে বের হয়ে পারলে কিছু করে দেখাক ।সেদিন কথাগুলো রাগের বসে বলেছিলেন তার মানে তো এই নয় ছেলেটাকে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বাইরে রাখবে।
চলবে_
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১১৫
খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করে ড্রয়িং রুমে বসলো সাদাফ। মাথাব্যথা ছিল সন্ধ্যা থেকেই ।সামিহা বেগম কফি তৈরি করছে বললো কফিটা খেয়ে তারপরে যেতে ।তাই সাদাফ বসলো এদিকে হুমায়ুন রহমান বললেন ,”আমার সাথে আয় তোর সাথে একটু কথা আছে।”
সাদাফ উঠে গেল হুমায়ন রহমানের সাথে ।ফজলুর রহমান তাকিয়ে রইলেন ।ফজলুর রহমানের ও যে কথা আছে সাদাফের সাথে তবে আজকে বলবেনা ।আগামীকাল অফিসে ঝামেলাটা শেষ হোক ।একদিনের ছেলেটাকে এত টেনশন দিতে চাচ্ছে না।
অন্য রুমের বেলকনিতে দাঁড়ালেন হুমায়ন রহমান ও সাদাফ।সাদাফ চোখের ইশারায় জানতে চাইলো কি হয়েছে ?হুমায়ূন রহমান হঠাৎ করে সাদাফের গালে হাত দিল ।দিয়ে বললো,” সরি আমার বাবাটাকে আমি মেরেছিলাম।
তুই তো শুধু গালে ব্যথা পেয়েছিস এই তিন চার দিন ধরে আমি তো রাতভর ঘুমাতে পারি নি।কি করে আমি তোর গালের মধ্যে এভাবে মারলাম ভেবেই আমার কলিজা কেঁপে উঠে।
বাবার উপরে রাগ হয়েছে অনেক ?”
জানতে চাইলো হুমায়ূন রহমান।সাদাফ মুচকি হাসলো ।হেসে বাবাকে জড়িয়ে ধরল ।জড়িয়ে ধরে বললো,” না রাগ হয়নি ।আমি জানি তুমি আমাকে কেন মে*রেছ।”
হুমায়ূন রহমান সাদাফের দিকে তাকিয়ে বললেন,” তাহলে বাড়িতে চলে আয় আমার একটু ও ভালো লাগেনা আমার ছেলেটা বাহিরে এভাবে থাকে এটা ভেবেই।
কারো কাছে কিছু প্রমাণ করতে হবে না যা আমার তা সবকিছু আমার ছেলের।আমার ছেলে আমার একমাত্র উত্তরাধিকারী।”
সাদাফ বললো,” না বাবা একটু ধৈর্য ধরো ।বেশিদিন লাগবে না ।তুমি তোমার ছেলেকে এতটা অকর্মণ্য মনে করো না ।খুব দ্রুতই আমি নিজেকে প্রমাণ করবো একটু ধৈর্য ধরো আর তোমার ভাইকে বুঝাও।”
হুমায়ূন রহমান অবাক হয়ে জানতে চাইলেন,” কি বুঝাবো ?”
সাদাফ চোখ দিয়ে ইশারা করছে ।হুমায়ূন রহমান কিছুই বুঝতে পারছে না।
বিরক্ত হয়ে সাদাফ বললো,” বিয়ে করেছি কয়দিন হলো এখনো বাসর রাত করতে পারলাম না ।তোমার ভাইকে বুঝাও সহজে রাজি হয়ে যেতে নাহলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে।”
হুমায়ন রহমান অবাক চোখে তাকালেন ছেলের দিকে ।এত সিরিয়াস কনভারসেশন এর মধ্যেও ছেলের মুখ দিয়ে এসব কথা ?তারপর চোখ রাঙিয়ে বললেন ,”একটু লজ্জা শরম কর বাপ হই তোর ।এসব কথা কেউ বাপকে বলে? কিছু তো নিজের মধ্যে চেপে রাখতে পারিস নাকি?”
সাদাফ মুচকি হেসে ঘুরে বেলকনি থেকে ড্রয়িং রুমের দিকে যেতে যেতে বললো,” পারছি না আর কিছু চেপে রাখতে ।পারছি না তাই তাড়াতাড়ি তোমার ভাইকে বুঝাও না হলে কিন্তু তুলে নিয়ে যাব তোমার মেয়েকে।”
হুমায়ূন রহমান অবাক হয়ে চেয়ে রইলেন ছেলের দিকে ।তবে মনে মনে খুশি ছেলেটা আগের মতো নরমাল হয়ে গেছে ।আবার আগের মত হয়েছে চঞ্চলতা ও দুষ্টুমিতে ভরা।উনি এই সাদাফকেই চায়। হাসিখুশি সাদাফ।
মনে মনে ঠিক করে নিলেন এবার ফজলুরের সাথে কথা বলবে আর ফজলুর কি লুকাচ্ছে তাও জানতে হবে ।উনিও বেলকনি থেকে ধীরে ধীরে ড্রইংরুমে এসে বসলেন।
সাদাফ নূরের দিকে তাকিয়ে বললো,” আজকে তাহলে আসি অনেক দেরি হয়ে গেছে ।আর নূর উপরে যা যেয়ে রেস্ট কর ।আর এত উঠানামা করবি না।”
নুর লজ্জা পাচ্ছে বাবাদের সামনে সবার সামনে নুরের সাথে এভাবে কথা বলায় ।তাই নূর চুপ করে রইল শুধু মাথা নিচু করে বললো,” ঠিক আছে।”
সাদাফ উঠে দাঁড়ালো ।দাঁড়িয়ে নওরিন আফরোজ ও সামিহা বেগমকে জড়িয়ে ধরলো।জড়িয়ে ধরে বললো এখন যাচ্ছি আর নূরের দিকে খেয়াল রেখো ব্যথা হলে ও কিন্তু বলবে না চেপে থাকবে তাই অবশ্যই তোমরা নিজে থেকে বারবার জিজ্ঞেস করবে ওকে?”
সামিহা বেগম সন্তুষ্ট চিত্তে তাকিয়ে রইলেন সাদাফের দিকে ।কতটুকু কেয়ার করে নূরের অথচ নূরের বাবা না জানি কিসের গো ধরে বসে আছেন।মনে মনে ভাবলেন সামিহা বেগম।
ফজলুর রহমান শুনছিলেন সব কথাই ।উনিও জানেন নূরের প্রতি সাদাফের অনেক চিন্তা অনেক কনসার্ন কিন্তু উনার মনে ভয় নুর কখনো মা হতে পারবেনা এই কথাটি শুনেও কি এই ভালোবাসা এই কনসার্ন এই চিন্তা থাকবে নাকি পরিবর্তন হয়ে যাবে ?সাদাফ পরিবর্তন হয়ে গেলে যে আমার নূর সহ্য করতে পারবেনা।
মনে মনে কথাগুলো ভাবলেন ফজলুর রহমান।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়ার সময় নূরের দিকে শুধু একবার তাকালো সাদাফ।এখন আর আলাদা করে নূরের সাথে কথা বলার সময় বা সুযোগ নেই । কিন্তু ললক্ষ্য করলো নুরের মন খারাপ।এই মুহূর্তে কিছু করার নেই তাই চুপচাপ বের হয়ে গেল ।নূরের কেন যেন খারাপ লাগছে সাদাফ ভাই চলে যাচ্ছে তাই।কি হতো যদি এখানে থেকে যেত আজ?সবকিছুতে একটু বেশি বেশি ওনার। না নূরের একটু না অনেক রাগ হল।
কথা বলবে না এই লোকের সাথে নুর ।বলেছিল আজকে থেকে যেতে কিন্তু লোকটি কথা শুনেনি তাই নুর চুপচাপ বসে রইল ।সাদাফ বুঝতে পেরেছে নুরের অভিমান তাই মনে মনে ঠিক করেছে বাসায় গিয়ে ফোন করেই বেগম সাহেবার রাগ ভাঙ্গাতে হবে এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
সাদাফ বেরিয়ে গেলে ড্রয়িং রুমে বসলো সবাই ।নওরিন আফরোজ এবং সামিহা বেগম একজন আরেকজনের সাথে কথা বলছেন ।নওরিন আফরোজ আড় চোখে বারবার খেয়াল করছে সায়মন ও রিমা কে ।আল্টিমেটাম দিয়েছিল বাড়িতে দুজন লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলবি না ।তাই বোঝার চেষ্টা করছেন ওনার কথা শুনেছে নাকি শুনেনি ?আজকে আবার কথা বলবে সায়মনের সাথে ।সায়মন কি বলে কি ভাবে সেটিও বুঝতে হবে ।তারপরে উনি চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
নওরিন আফরোজ যে আড় চোখে সাইমনকে একটু পরপর খেয়াল করছে এটি সায়মন ও বুঝতে পারল ।ভিতরে ভিতরে শুকনো ঢোক গিলছে বারবার সায়মন না জানি বড় আম্মু কি জিজ্ঞেস করবে ?সায়মন কি উত্তর দিবে মনে মনে ভয় পাচ্ছে।
এদিকে সামিহা বেগম নুরের দিকে তাকিয়ে বললো,” উপরে চল ওষুধগুলো খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেই ।তারপর চুপটি করে ঘুমিয়ে থাকবি।আজকে অনেক হাঁটাচলা করেছিস রেস্ট নিতে হবে চল।”
নুর চুপচাপ উঠে গেল ।উঠে সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে গেল নিজ রুমে।ফজলুর রহমান ক্ষণে ক্ষণে শুধু বারবার নুরের দিকে তাকিয়ে থাকে ।ভিতর থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল ফজলুর রহমানের ।
হুমায়ূন রহমান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ফজলুর রহমানের দিকে ।দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখলেন উনি নূরের দিকে তাকিয়ে আছে।
চলবে__
Neela Rahman
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৭
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ১০৬+১০৭+১০৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬০
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৩
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪১
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১৩+১৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৩
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৯+৩০
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪৩
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪২