সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি
neela_rahman
পর্ব_৬৩
নূর সাথে সাথে সাদাফকে জড়িয়ে ধরতেই সাদাফ কাপা কাপা হাতে নুরের মাথায় হাত রেখে বলল ,”কি হয়েছে পা*গলী ?এমন করছিস কেন? ঠিক আছি আমি ।”
নুর নিজের চোখে পানি মুছে বলল ,”আপনার কি হয়েছে সাদাফ ভাইয়া ভাইয়া ?এখানে কেন ?কয়দিন ধরে হসপিটালে ?আপনার চেহারা এমন দেখাচ্ছে কেন?”
সাদাফ নুরের চোখের পানি মুছে বলল একসাথে এতগুলো প্রশ্ন করলে কয়টার উত্তর দিব আর আমি এখানে কেন ওই যে তোর বাপ চাচাকে জিজ্ঞেস কর।
সাথে সাথে হুমায়ূন রহমান ও ফজলুর রহমান একজন আরেকজনের দিকে তাকাল । ফজলুর রহমান বলে উঠলো,”কি বলে ছেলেটা ?নূরের বাপ চাচা মানে ?তাহলে ওর কি হই আমরা ?তালই নাকি ?”
হুমায়ূন রহমান বললো,” আসতে কথা বল ।ও কখন কি বলবে তা ঠিক নেই ।এখন ওর মাথা খারাপ আছে।”
সাথে সাথে রুমে প্রবেশ করল নওরিন আফরোজ সাইমন ও রিমা ঢুকেই দেখল সাদাস্কে জড়িয়ে ধরে আছে নূর সাইমন শত হল ছোট বোন আর যেহেতু অনেক কিছুই জানে তাই একটু গলা কাশি দিল কিন্তু নূরের এসব কিছুই বোঝা এই মুহূর্তে অবস্থানে আফরোজ এসে বলল নুরার ওর মামার বাসায় থাকতে চাচ্ছিল না তাই ওর মামা গাড়ি করে পাঠিয়ে দিয়েছে আমার আর বলা হয়ে ওঠেনি খাবার রান্না করছিলাম তাই ওকে সাথে করে নিয়ে আসলাম একা তো আর রেখে আসা যাবে না।
হুমায়ূন রহমান ও ফজলুর রহমান দুজনই জানে এটা শুধু একটা বাহানা নুরকে এখানে কোন না কোন ভাবে আনবে । তাই বাহানা করে মিথ্যা অজুহাত দেখালো নওরিন আফরোজ।
নুর সাদাফ কে ছেড়ে হুমায়ন রহমান ও ফজলুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বলল বলল ,”বাবা সাদাফ ভাইয়ার কি হয়েছে?”
হুমায়ূন রহমান বলল ,”এমনি ব্যাথা হাতে ব্যথা পেয়েছিল ।তাই প্রচন্ড জ্বর ।তুমি তোমার মামার বাড়িতে ছিলে তাই জানানো হয়নি।”
নূর চোখে পানি মুছে শান্ত হয়ে বিছানায় বসে রইল তাকিয়ে আছে নূরের দিকে এখন যে সাদাফের মনটা কতটুকু শান্ত ঠান্ডা লাগছে কাউকে বলে বুঝাতে পারবে না সাদা তবে রুম ভর্তি লোক না থাকলে সাদাফ একটু নুরকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে শুয়ে থাকতো কিন্তু এ বাপ চাচাদের জন্য তাও পারছে না।
বিরক্ত হয়ে তাকালো সাদা প্রমান রহমানের দিকে হুমায়ুন রহমান ভাল করেই জানে সাদা মনে মনে কি চাচ্ছে কিন্তু এটা এই মুহূর্তে পসিবল না ফজলুর রহমান জানলে আরো মাথা গরম করবে।
সাদাফ বাবাকে চোখ দিয়ে ইশারা করলে অপমান রহমান যেন বুঝেও কিছু বুঝছেনা চোখের ইশারাও যেন ঠিকমতো বুঝতে পারছে না এমন একটা ভাব ধরে উঠে বলল যে খাবার দাবার আয়োজন করেছে তাড়াতাড়ি কর ক্ষুধা লেগেছে অনেক।
সাথে সামিহা বেগম উঠে বললেন আমিও আয়োজন করছি ভাবি বসেন আপনি অনেকদূর জানি করে এসেছেন আমি সবাইকে খাবার দিচ্ছি নওরিন আফরোজ সত্যি টাইট হয়ে গেছে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে নূরের পিছনে ছুটে ছিল তাই তাই বিছানা পেতে বসলো সবাই নুর বসে রইলো সাদাফের বেডে সাদা ধীরে ধীরে একটু একটু করে গায়ের চাদরে নিচ দিয়ে নূরে হাতটা ধরল নূর যেন হঠাৎ থমকে গেল কতদিন পর সাদা ফুলের হাতটা ধরেছে নূর চমকে বিছানা চাদরের দিকে তাকালো দেখল বিছানা চাদরে নিচ দিয়ে নূরে হাত ধরেছে সাদাফ।
নূর তাকানো সাদাফের চোখের দিকে সাদাফের চোখের ভাষা যেন নূর এখন একটু একটু করে বুঝতে পারে যেন একটু একটু করে অনেক ম্যাচুর হয়ে গেছে নূর সাদাসি বলতে চাই বা কি বুঝাতে চায় এখন যেন নুর কিছুটা ধরতে পারে নুর লজ্জা পেল হাতটা একটু ছাড়ানোর চেষ্টা করল।
তবে বেশি চেষ্টা করতে পারল না কারণ সাদাফের হাতে কেনুলা করা ।সমস্যা হয়ে যাবে তাই নূর ওমনি হাতটা রেখে দিল।
ফজলুর রহমান বলল ,”নুর নিচে আসো নিচে বসে খাও ।সাদাফ কে উপরে খাইয়ে দেওয়া হবে।”
এদিকে রিমা সায়মন্ড নওরিন আফরোজ হুমায়র রহমান ফজলুর রহমান সবাই খেতে বসেছে সামিহা বেগম সার্ভ করছিলেন হঠাৎ করে নূর বলে বসলো আমি খাইয়ে দেই আমি বাসায় একটু আগে খেয়েছি আমার এখন ক্ষুধা নেই।
সাদাফের ঠোটে খেলে গেল একটু মুচকি হাসি। ধীরে ধীরে নূরের হাত ছেড়ে দিল কারণ কতদিন ধরে নূরের হাতে খায় না ।এখন সবার সামনেই নূরের হাতে খাবে দেখি ওর বাপ চাচারা এখন কি করে ?”মনে মনে ভাবলো সাদাফ।
হুমায়ূন রহমান সাদাফের দিকে তাকিয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এই ছেলেকে বুঝানো যে মুশকিল।
ফজলুর রহমান চুপচাপ খাওয়ায় মনোযোগ দিলেন ।এই মুহূর্তে ক্ষুধা পেয়েছে সাদাফের সাথে পরে কথা বলবে ।নূর যেহেতু ছোট নূরের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলবে না ।
এদিকে নুর এসে একটি প্লেটে খাবার নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল সাদাফের বেডের দিকে।
চলবে………..
Neela Rahman
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৩+৩৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭১
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১১+১২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬০
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৩
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৯
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩১+৩২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫১