#সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি
পর্ব_৩৫
#neela_rahman
সাদাফ নুরের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে ঝুঁকে এলো নূরের কানের পাশে ।তারপর বলল ,”তোর নখ ছিল তুই নখ বসিয়েছিস বলেছিলাম সুদ সহ ফেরত দিবো আমার দাঁত আছে তাই এখন তোকে দাঁত বসিয়ে দিব ।বলার সাথে সাথে নূরের গলায় মুখ গুঁজে দিয়ে মোটামুটি হালকা জোরে একটি কা*মড় খেলো সাদাফ।
নুর চি*ৎকার করবে তার আগেই নূরের মুখ চে*পে ধরে মুখ উঠিয়ে বললো নে সুদ সহ ফেরত দিলাম।”
“কিছু কিছু কষ্ট অনেক সুখের হয় এটাও মনে খরচ সেরকম ।তোকে আজকে আমি প্রথম সুখময় য*ন্ত্রণা দিলাম ।যখন বুঝবি তখন এই য*ন্ত্রণা তুই বারবার পেতে চাইবি।”
বলেই কা*মড় দেওয়া স্থানে ছোট ছোট করে চু*মু একে দিল সাদাফ।
রিমা চোখ বন্ধ করে ফেললো।
সায়মন: চোখ খোল।
রিমা: ………..চুপ।
সায়মন: কি হলো কে জানে রিমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসলো।তবে ধীরে ধীরে যেনো কোন তাড়া নেই।
রিমা সাথে সাথে নিজের জামা খামচে ধরলো।
সায়মন রিমার দিকে তাকালো।
সাইমন চোখ খোলার সাথে সাথেই গালে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসে গেল ।থা*প্পরের চো*টে সায়মন ধপাস করে বিছানা থেকে পড়ে গেল ।পড়ে গিয়ে দেখল খাটের নিচে গড়াগড়ি খাচ্ছে ।তার মানে এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিল ও ।রিমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেছিল বলতে পারেনা।
সামনে টেবিলে রাখা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সাড়ে বারোটার মতো বাজে ।ও রিমার জন্য অপেক্ষা করছিল কখন রিমা প্রজেক্ট শেষ হবে রিমার রুমে গিয়ে বোঝা পড়া শেষ করবে ।কোনমতে বিছানা ধরে উঠে দাঁড়ালো সায়মন ।দাঁড়িয়ে চিন্তা করল এখন যাবে কিনা ।
পর মুহুর্তে চিন্তা করল এখনই যেতে হবে কিছু বোঝাপরা যা আজকের মধ্যে শেষ করতে হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ চুপি চুপি বের হয়ে রিমার রুমের দিকে গেল সায়মন ।গিয়ে দেখল রুম হালকা করে চাপানো ।রিমা এখনো টেবিলে বসে কিছু একটা কাজ করছে ।স্বপ্নের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে ।কোনোমতে ভ*য়ে ভ*য়ে রিমার রুমের ভিতরে ঢুকলো মনে মনে ভাবল স্বপ্ন রিপিট না হলেই হয়।
ফজলুর রহমান আজকেও রাতে ঘুমাতে পারছে না ।সাদাফ হুমায়ুন রহমানকে ডেকে নিয়ে কি কথা বললেন এটা মনে মনে ভাবছেন আর বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছেন ।সামিহা বেগম বললেন ,”গতকাল দেখলাম ঘুমাতে পারছেন না এখনো ঘুমাচ্ছেন না সমস্যা কি ?মনে কোন কথা থাকলে আমার সাথে শেয়ার করেন।”
ফজলুর রহমান আমতা করে বলল ,”তোমাকে একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম জানিনা কিভাবে নিবে ?”
সামিহা বেগম বলল ,”ভনিতা না করে বলেন কি হয়েছে ?”
হুমায়ূন রহমান বলল ,”আচ্ছা সাদাফ কে তোমার নূরের জন্য কেমন লাগে?
মানে সাদাফ আমার ভাইয়ের ছেলে সেটা ঠিক আছে এ বাড়ির ছেলে সব থেকে ভালো ছেলে কিন্তু কখনো যদি এমন হয় সাদাফ নুর কে চায় তখন তোমার কি প্রতিক্রিয়া হবে?”
সামিহা বেগম ঝটপট বিছানায় উঠে বসলেন ।বসে বলল ,”কি বললেন ?আপনি আবার বলেন তো শুনি আমি কি কানে ভুল কিছু শুনলাম কিনা?”
মানে আমাদের সাদাফ আমাদের নুরকে বিয়ে করতে চাইবে এটা কি বলতে চাইছেন?
হুমায়ুন রহমানও উঠে বসলো। বসে হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে ইশারা করলেন ।সামিহা বেগম হালকা একটি চিৎকার দিয়ে ফজলুর রহমানকে জড়িয়ে ধরলেন ।জড়িয়ে ধরে বললেন ,”আপনার মেয়েকে সাদাফ বিয়ে করতে চাইবে এর থেকে সৌভাগ্যের আর কি হতে পারে ?আমি তো সারাদিন চিন্তা করতাম কোন বাড়িতে ওকে গছিয়ে দেবো আল্লাই জানে।
আজকে তো খুশিতে আমি সারারাত ঘুমাতে পারবো না ।সাদাফ যদি আমার মেয়ের জামাই হয় তাহলে তো আমার চেয়ে খুশি দুনিয়াতে আর কেউ হবে না ।আর আপনার মেয়েও সারা জীবন আপনার বাড়িতেই থাকবে।”
ফজলুর রহমান খুশি হলেন বউয়ের কথা শুনে ।সাথে সাথে অবাক হলেন মেয়ের প্রতি তার এই ধরনের চিন্তাভাবনা দেখে।
আর বিয়ের পিছনে যুক্তি শুনে আরো অবাক হলেন।
তবে কিছুটা ভারমুক্ত হলেন ফজলুর রহমান ।শত হলেও সামিহা বেগম নূরের মা অবশ্যই তার একটি মতামতের মূল্য রয়েছে ।তাই ভ*য় পাচ্ছিলেন উনি এটা যেন মনে না করেন নিজের ভাইয়ের ছেলে দেখে বিয়ে দিতে চাইছে বা এরকম ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা করেছে।
সামিহা বেগম গলা ছেড়ে বলল ,”সত্যি বলুন না আপনি সত্যি বলছেন সাদাফ চাইবে নুর কে ?যদি এ কথা সত্যি হয় না আমি সাদাফ কে কালকে থেকে মেয়ের জামাই হিসেবে আদর করবো।”
সামিহা বেগমের ছেলেমানুষি দেখে ফজলুর রহমান হাসলেন ।বললেন ,”এখনো চায়নি তবে চাইতে পারে ।আমার মনে হচ্ছে সাদাফ নুরকে পছন্দ করে ।ভাইজান কিছু একটা জানে আমাকে সংকেত দিয়েছে কিন্তু আমি দুইদিন ধরে শুধু ভাবছিলাম।”
এদিকে নুরের হাত-পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে সাদাফের কথা শুনে ।সাদাফ নুর কে ছেড়ে উঠে বসলো ।বসে নিজে চুলগুলো ব্যাক ব্রাশ করতে করতে বলল ,”নূর রুমে যা ।আর সত্যিই এভাবে হুটহাট রাত রাতে বেলা আমার রুমে চলে আসিস না।
যথেষ্ট বড় হয়েছিস আশা করি এতোটুকু বুঝতে পারিস তোকে দেখলে আমার নিজেকে নি*য়ন্ত্রণ করতে অনেক কষ্ট হয় ।নিজের রুমে যা নুর।”
নুর কোনমতে বিছানা থেকে উঠে বসে নিজের গায়ের ওড়না ঠিক করে নিলো।তারপর বললো,”আপনি কি সত্যি সাবা আপু কে বিয়ে করবেন?”
সাদাফ বললো,” তুই চাস না করি?”
নুর না বলে মাথা ঝাকিয়ে সাথে সাথে দৌড় লাগালো রুমের বাইরে ।সাদাফ নুরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে একটু দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।
চলবে………..
Neela Rahman
কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ
#সুখময়_যন্ত্রনা_তুমি
#neela_rahman
#পর্ব_৩৬
পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবাই একসাথে খেতে বসেছে সবার শেষে নেমেছে নূর ।রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে গিয়েছে ।ইদানিং নূরের ঘুমাতে দেরি হয় নওরিন আফরোজ নূরের দিকে তাকিয়ে বললেন ,”কিরে নূর তোর এত উঠতে দেরি হয় কেন রে আজকাল ?স্কুল আছে কই তাড়াতাড়ি উঠবি তা না সবার পরে তুই উঠিস।
হঠাৎ নওরিন আফরোজ বললেন কিরে এই গরমের মধ্যে তুই এত ঘোমটা দিয়ে এসেছিস কেন? নীলা রহমান
নুর চুপচাপ আমতা আমতা করতে করতে বলল ,”আমার গরম লাগছে না একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে তাই ।”
সাদাফ জানে কেনো নুর ঘোমটা দিয়ে এসেছে ।কাল যে দুষ্টুমির ছলে ভুল করে ফেলেছে সাদাফ।এমন একটা জায়গায় কা*মড় দিয়েছে যেখানে নূরের দাগ হয়ে গিয়েছে এখন সর্ব*নাশ যদি কেউ ঘুমটা সরিয়ে ফেলে তাহলে তো দেখে ফেলবে ।সাদাফ আর চোখে দেখতে লাগল নূরকে।
নওরিন আফরোজ বলল ,”২ দিন হল মাত্র জ্বর গিয়েছে আবার ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে জ্বর আসবে না তো আবার ?”
বলেই কপালে হাত দিলেন দেখলেন না তাপমাত্রা ঠিক আছে।
সামিহা বেগম নুরের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করে তাকালেন সাদাফের দিকে ।ওনার এমনি খুব পছন্দ সাদাফ আর উনি তো আজকে থেকে ঠিক করে রেখেছেন সাদাফ কে নিজের মেয়ের জামাইয়ের মত ট্রিট করবে তাই নূরের দিকে মনোযোগ না দিয়ে চুপচাপ চলে গেল সাদাফের কাছে।
গিয়ে সাদাফ কে মাছের বড় মাথাটা দিলেন যেটা সব সময় সাদাফের বাবা অর্থাৎ হুমায়ণ রহমানকে দিতেন ।উনার খুব পছন্দ ছিল কিন্তু আজকে সবাই অবাক হয়ে গেল মাথাটা সাদাফের প্লেটে দেওয়ায়। নীলা রহমান
ফজলুর রহমান অবাক হয়ে তাকালেন সামিহা বেগমের দিকে ।চোখ রাঙালেন ।মনে মনে বললেন ,”কি করছে মাথা মোটা মহিলা কাল শুধু বলেছিল সাদাফ আর নুরের কথা উনি তো আজকে থেকে সাদাফ কে মেয়ের জামাই বানিয়ে বসে আছে।”
সামিহা বেগম চোখ রাঙানো দেখলেও বিশেষ পাত্তা দিলেন না ।মাথাটা তুলে দিয়ে সাদাফের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল ,”খা বাবা সুন্দর করে মাথাটা খা।
সারাদিন কত প্রেসার তোর উপরে? বাড়িতে ঝামেলা অফিসের ঝামেলা সব তোকে দেখতে হয় তোর মাথাটা খাওয়া দরকার বাবা খা।”
হুমায়ূন রহমান বুঝতে পারলেন সামিহা বেগমের মতলব তবে বাবা হিসেবে উনি খুশি হলেন নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে যাক কেউ তো আছে বলার আগে সবকিছু বুঝে গিয়েছে।
এদিকে সাদাফের সামিহা বেগমের ব্যবহার দেখে কাশি উঠে গেল ।সামিহা বেগম তাড়াতাড়ি পানি এগিয়ে দিয়ে বললেন ,”খা মনোযোগ দিয়ে খা খাওয়ার সময় এদিক-ওদিক এত তাকাতে হয় না।
আর কি খাবি বাবা তোর তো গুড়ের পায়েস অনেক পছন্দ আজকে তোর জন্য আমি গুড়ের পায়েস রান্না করবো ।ঠিক আছে ?”
কথাটা শুনেই নওরিন আফরোজ সাথে সাথে তাকালো সামিহা বেগমের দিকে।
বুঝতে পারছে না সামি হাবিবের আজকে কি হলো সমস্ত মনোযোগ যেন শুধু সাদাফের দিকে টেবিলে যে আরো কেউ আছে ওনার নিজের ছেলে মেয়ে আছে সেটাও ভুলে গিয়েছে সামিহা বেগম।
সাদা চুপচাপ খাওয়া মনোযোগী হল সামিহা বেগমের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে বলল ধন্যবাদ আম্মু বলেই খেতে শুরু করল।
এদিকে সাইমন আর রিমা একজন আরেকজনের দিকে তাকাতে পারছে না গতকাল রাতে কি এমন হয়েছিল সেটা এখনো জানা যায়নি ।পরে জানা যাবে আপাতত দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে না ।মনোযোগ দিয়েছে শুধু খাওয়ার দিকে।
সাদাফের খাওয়া শেষ হয়ে গেলে বেসিনে হাত ধুয়ে মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপল ।যাওয়ার সময় সামিহা বেগমের দিকে তাকিয়ে বলল আম্মু এক কাপ কফি হলে ভালো হয় ।পাঠাবে একটু উপরে।”
সামিহা বেগম সাথে সাথে নূরের দিকে তাকিয়ে বলো ,”এই নূর তাড়াতাড়ি যা উপরে সাদাফের জন্য কফি নিয়ে যা।”নুর অবাক হয়ে গেল নুর কেন নিয়ে যাবে।
সাদাফ সিড়ির কাছে এলো ।উপরে যাবে ঠিক এমন সময় নওরিন আফরোজ বলে বসলো ,”কিরে গতকাল না বিয়ের কথা বলেছিলি ?”সাদাফের পা থেমে গেল।
হুমায়ন রহমানের দিকে তাকিয়ে নওরিন আফরোজ বলল ,”শুনছেন ছেলে যে বিয়ের কথা বলল কিছু কি চিন্তা ভাবনা করেছেন ?কোন মেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন সবাই মিলে দেখি।”
বলেই নরিন আফরোজ সাথে সাথে নূরের দিকে তাকালো।দেখতে চাইলো নূরের কি রিঅ্যাকশন ।
নূর সাথে সাথে চট করে বলল ,”কি দরকার শুধু শুধু একজন মানুষের খরচ বাড়ানোর বলতো আম্মু ?তাকে নতুন করে আলাদা করে কাপড় দিতে হবে তাকে নতুন করে খাওয়াতে হবে কত করতে হবে কি দরকার শুধু শুধু খরচ বানানোর ?
উনি তো মাত্র অফিসে জয়েন করেছে কয় টাকা আর বেতন পাবে বল?”
নওরিন আফরোজ নুরের যুক্তি শুনে..
বোকা হয়ে গেলেন।
নওরিন আফরোজ নূরের দিকে তাকিয়ে বললেন ,”তুই কবে বড় হবি রে সাদাফ কি ওই অফিসের চাকরি করে যে বেতন পাবে ও ওই অফিসের মালিকের ছেলে ও লাভের অংশ পাবে যেমন ওর বাপ চাচারা পায়।
আর একটা বউ পালার মত যোগ্যতা আমার ছেলের আছে ।কিরে সাদাফ কথা বলছিস না কেন?”বললো নওরিন আফরোজ।
হুমায়ূন রহমান ফজলুর রহমানের দিকে তাকালেন ।ফজলুর রহমান সাদাফের দিকে তাকিয়ে বললেন ,”আচ্ছা সাদাফ তুইতো দুইদিন আগে বললি একটি মেয়ে তোর পছন্দ আমরা সবাই চিনি কে মেয়েটি ।নাম তো বললি না ।”
ফজলুর রহমান ও মনে মনে জানতে চায় সাদাফ আসলে নূরের কথা ভাবছে কিনা।
সাদাফ নুরের দিকে তাকাল ।তাকিয়ে বলল ,”যাকে আমি বিয়ে করতে চাই সে মেয়ে নিজে তোমাদের কাছে বিয়ে প্রস্তাব দেবে আমার জন্য ।আমি বলবো না ।”
বলেই হনহনে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেল।
নুর অবাক হয়ে গেল এ কি ঝামেলায় ফেলে গেল সাদাফ ভাই ।নুর কি করে বলবে ও সাদাফ ভাইকে বিয়ে করতে চায় ?নূরের বুঝি লজ্জা লাগে না ?এমন অসভ্য নির্লজ্জ কেন লোকটা ?রাতে তো ঠিকই আমাকে………. ছিঃ মনে মনে কি ভাবছে নূর ।
রাতের কথা ভাবতেই নূরের গায়ে লোমকূপ সব দাঁড়িয়ে গেল ।কিভাবে সবার সামনে বলবে নুর সাদাফ ভাইকে বিয়ে করতে চায় ?এটা কি কখনো সম্ভব নুর যে ছোট ।ছোট একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে বিয়ের কথা বলবে?
চলবে…….
দুঃখিত এডিট করতে একটু দেরি হয়ে গেল।
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭+২৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১১+১২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৯
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২০+২১+২২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৩+২৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১৭+১৮+১৯
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ১৩+১৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৩৩+৩৪