প্রণয়েরব্যাকুলতা সাদিয়া পর্ব৬
- কামড়িয়েছি বেশ করেছি আরও কামড়াবো।
- ইচ্ছে করছে এক থাপ্পরে উড়িয়ে দিতে।
মৌমিতা গালটা এগিয়ে দিল, গালে ইশারা করে বলল – মারুন থাপ্পর যদি না উড়ি আজকে আপনার খবর আছে।
- কয়টার খবর?
- ১৩ টার খবর।
রাগ উঠে গেছে তাজের। ঠাস করে একটা থাপ্পর লাগিয়ে দিল মৌমিতার গালে। ছলছল করে উঠলো মৌমিতার চোখ জোড়া। মাথাটা ভনভন করে ঘুড়ছে। এত জোরে কেউ থাপ্পর মারে নাকি। ওটা হাত নাকি লোহা। ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিল মৌমিতা। ভরকে গেল তাজ। একবার নিজের হাতের দিকে তাকাচ্ছে তো একবার মৌমিতার গালের দিকে। ও এভাবে মারতে চায়নি কিভাবে যেন হয়ে গেছে। মেয়েটার গালটা লাল হয়ে গেছে। মায়া লাগছে তাজের। অপরাধীর মতো বলল – স্যরি আমি বুঝতে পারিনি।
মৌমিতা কেঁদেই যাচ্ছে থামার কোনো নাম গন্ধ নেই।
তাজ আবার বলল – স্যরি আর কেঁদো না। ভুলবশত হয়ে গেছে। আমি তোমাকে মেরেছি তো দরকার হয় তুমি আমাকে মারো তবুও আর কেঁদো না।
মৌমিতার কান্না থেমে গেছে। ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠেছে। সে তো এতক্ষন মনে মনে এটাই চাইছিল। এই নিয়ে দুটো থাপ্পর মেরেছে এই ব্যাটা। এর শাস্তি তো পেতেই হবে।
এক হাতে থু থু দিল মৌমিতা। দুই হাতে ভালোভাবে ঘষে গায়ের সর্বশক্তি দিয়ে তাজের গালে এক থাপ্পর লাগিয়ে দিল। কিন্তু একি মৌমিতার হাতের থাপ্পর যেন তাজের গালে লাগেইনি। সে যেমন ছিল তেমনই আছে। এত জোরে থাপ্পর মারার পরও এই লোকের কিচ্ছু হলো না। হতভম্ব হয়ে মৌমিতা একবার নিজের হাতের দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার তাজের গালের দিকে। থাপ্পরটা মনে হয় আস্তে লেগেছে তাই তাজের কিছুই হয়নি। নিজের হাতে নিজের গালে একটা কষিয়ে চড় মারলো মৌমিতা, ঠিক যতটা জোরে তাজের গালে মেরেছিল। নিজের চড়ে নিজেই ছিটকে গেল। আরেক দফায় হতবম্ব মৌমিতা। নাহ চড়টা তো বেশ জোরেই ছিল কিন্তু তাজের কিছু হলো না কেন?
এদিকে পেট ফেটে হাসি আসছে তাজের। অনেক কষ্টে নিজের হাসি চেপে রেখেছে বেচারা। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। এবার হো হো করে হেঁসেই ফেলল। হাসতে হাসতে যেন মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা।
তাজ হাসছে। এই প্রথম তাজের মুখে হাসি দেখলো মৌমিতা। কি সুন্দর সেই হাসি। নিঃসন্দেহে এই হাসিকে তার দেখা শ্রেষ্ঠ হাসির কাতারে ফেলতে পারবে মৌমিতা। মুগ্ধ হলো সে আজকালকার ছেলেমেয়েদের ভাষায় যেটাকে বলে ক্রাশ। হ্যা এই আগুন চোখা শয়তানের হাসির উপরই যেন ক্রাশ খেল মৌমিতা। তাজের হাসির ঝংকার যেন মৌমিতার হৃদয়ে ঘন্টি বাজিয়ে দিচ্ছে। নিজের ভাবনায় নিজেই চকিত হলো সে। নিজেকে ধাতস্থ করে সামনের হাস্যজ্জ্বল যুবককে জিজ্ঞেস করলো – হাসছেন কেন?
হাঁসি থামালো তাজ। আজ যেন কত বর্ষ পর এভাবে হাসলো সে। শেষ কবে প্রান খুলে হেসেছিল মনে নেই তার। মনে থাকবে কি করে তার জীবনে সে কখনও হেসেছে কিনা সেটাই তো জানে না সে। বুঝ ক্ষমতা হওয়ার পর প্রান খুলে হাসা হয়নি তাজের। নিজেকে সামলে শান্ত কন্ঠে বলল – তোমার ঐ কোমল হাতের চড় আমার কিছুই করতে পারবে না মেয়ে। তবে নিজের গালে নিজে চড় মারাটা বেশ ছিল ।
বলে আবার ফিক করে হেসে দিল।
লজ্জা পেল মৌমিতা। মা ঠিকই বলে বয়সে বড় হলেও ভিতর থেকে এখনও বাচ্চামো স্বভাবগুলো যায়নি তার। লজ্জায় এলোমেলো দৃষ্টি ফেলছে মৌমিতা। তাজ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মৌমিতার দিকে। মেয়েটা লজ্জাও পেতে জানে। মৌমিতার এই লজ্জা মাখা মুখটা মুগ্ধ করেছে তাজকে। এই মুহূর্তে মৌমিতাকে তাদের কাছে সরবরে সদ্য ফোঁটা কোনো পদ্মফুলের ন্যায় মনে হচ্ছে। যার স্নিগ্ধতার পরশে ভরিয়ে দিচ্ছে তাজের হৃদয়।
মৌমিতা আর দাঁড়ালো না। লোকটা কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। নিশ্চই মনে মনে ভীষণ তিরষ্কার করছে তাকে। লম্বা লম্বা পা ফেলে স্থান ত্যাগ করলো সে।
রাতের নিকষ কালো অন্ধকার কেটে সূচনা হলো নতুন এক ভোরের। নতুন এক ভোর , নতুন এক সূর্য, নতুন এক বছর। বাংলা সনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। আজ বৈশাখের প্রথম দিনে। পুরো বাংলা মেতে উঠেছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। কলেজে আজ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও সেখানে যাবে না মৌমিতা। ছোট বেলা থেকেই টিভিতে দেখছে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা, মেলা। কখনও বাস্তবে দেখার সুযোগ মিলেনি। আজ সারাদিন ঘুরে ঘুরে সেই অনুষ্ঠানগুলো দেখারই প্ল্যানিং করেছে মৌমিতা। সকাল সকাল নীরাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে সে। প্রথমেই রমনায় যাবে।
রিকশা থেকে দুই বান্ধবী নেমে দাঁড়াতেই সামনে এসে দাঁড়ালো লম্বা চওড়া দুই যুবক। ভ্রু কুঁচকে তাকালো মৌমিতা। সেই চেনা মুখগুলো ভেসে উঠলো তার চোখের সামনে, তাজ আর রাদীফ । এই দুই বান্দা এখানে কি করছে? পাশে তাকিয়ে দেখে নীরা উসখুশ করছে। ফিসফিস করে নিশাকে বলল – এরা এখানে কেন?
- স্যার জানতে চেয়েছিল পহেলা বৈশাখে আমাদের কোনো প্ল্যানিং আছে কিনা। আমি বলে দিয়েছিলাম বুঝতে পারিনি এখানে চলে আসবে।
- তা বুঝবি কেন? এখন দেখ কি কি হয়।
এগিয়ে এলো রাদীফ , মুচকি হেসে বলল – আমরা এসেছি বলে তোমাদের কোনো সমস্যা হয়নি তো।
মেকি একটা হাসি দিয়ে মৌমিতা জবাব দিলো – না না স্যার কি যে বলেন আপনারা এসেছেন আমাদের আরও ভালো লাগছে।
- বাই দ্যা ওয়ে তোমাদের সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে এই লাল পাড়ের সাদা শাড়ি সাথে আবার ঝুমকা। আমি বিমোহিত।
মৌমিতা হেসে বলল – কি যে বলেন না স্যার। আপনি একটু বেশি বেশিই বলছেন।
- আরে না আমি একদম সত্যিই বলছি। তাজকে জিজ্ঞেস করে দেখো না , কি রে তাজ বল বলে তাজের দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠলো রাদীফ। তাজ হিংস্র বাঘের মতো ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখনই চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে।
মৃদু চিৎকার করে উঠল রাদীফ। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বলল – একদম বাজে লাগছে তোমাকে। কি একটা শাড়ি লাল পাড়ের সাদা শাড়ি আজকাল এসব কেউ পড়ে নাকি? এত সুন্দর সুন্দর কানের দুল থাকতে ঝুমকো দিয়েছো কেন?
হতভম্ব মৌমিতা নীরা দুজনেই। স্যারের হঠাৎ কি হলো পাগল টাগল হয়ে গেল নাকি? নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলো মৌমিতা নাহ সব ঠিকই তো আছে। আশে পাশেও তাকিয়ে দেখলো ওর মতো অনেক মেয়েরাই লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়েছে, সাথে ঝুমকাও।
মেকি হাসলো রাদীফ, মাথা চুলকে বলল আমরা ওদিকটায় যাই?
স্টেজে রবীন্দ্র সংগীত গাইছে শিল্পিরা। বাহ কি মধুর কন্ঠ। ক্ষানিক দাঁড়িয়ে নীরব শ্রোতা হয়ে শ্রবন করলো মৌমিতা। অতঃপর এগিয়ে চললো সামনের দিকে। মৌমিতা আর নীরা সামনে হাঁটছে আর তাদের পিছু পিছু তাজ আর রাদীফ হাঁটছে।
কিছুটা হেঁটেই দেখা মিললো একটা ছোট্ট পিচ্চি ছেলে, ফুল বিক্রি করছে। পিচ্চি হয়তো জানেও না সে নিজেও একটা ফুল। ব্যাগ থেকে একটা চকলেট বের করে পিচ্চিটার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল –
” শুভ নববর্ষ “
পিচ্চিটা একগাল হেসে বলল – শুভ নববর্ষ আফা। ফুল নিবেন?
- দেও তো দেখি।
পিচ্চিটা একটা বেলীর মালা বের করে মৌমিতার হাতে দিল আর বলল – এইটা নেন আফা, আপনারে ভালো মানাইবো।
- কিন্তু আমি তো একা পড়তে পারবো না তুমিই পড়িয়ে দেও।
- আইচ্ছা।
পিচ্চিটা বেলীর মালাটা ধরতেই ছো মেরে নিয়ে গেল তাজ। পিচ্চিটাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো এটার দাম কতো ?
- ৫০ ট্যাকা পকেট থেকে কচকচে পাঁচশ টাকার একটা নোট বের করে দিল তাজ।
- ভাঙতি নাই ভাই।
- ভাঙতি লাগবে না পুরোটাই তুমি রাখো।
পিচ্চিটা বোধ হয় ভীষণ খুশি হলো। হাসি মুখে বলল – আল্লাহ আপনাগো ভালা করুক। দোয়া করি যেন সারাজীবন একসাথেই থাকবার পারেন।
মৌমিতা কিছু বলতে যাবে এর মধ্যে ওর হাত টেনে নিল তাজ। হকচকিয়ে উঠলো মৌমিতা। পরম যত্মে বেলীর মালাটা হাতে পড়িয়ে দিল মৌমিতার। মৌমিতা হতবম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে।
মেলায় এসেছে মৌমিতা আর নীরা। ওদের সাথে তাজ আর রাদীফও এসেছে। এমন ভীরযুক্ত স্থানে এসেছি বিরক্তির চড়ম পর্যায় চলে গেল তাজ। এই ভীরের মধ্যে আবার বেশিভাগই ছেলে। এই ছেলেদের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে মেলায় ঢুকবে মৌমিতা ভাবতেই চোয়াল শক্ত হয়ে এলো তাজের। গম্ভীর কন্ঠে বলল – অন্য কোথাও চলো এখানে ঢোকার কোনো প্রয়োজন নেই।
মেলার প্যা পু শব্দে তাজের কথা বোধ হয় শুনতে পায়নি কেউ। তারা ইতোমধ্যে ভীর ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাজ গিয়ে দাঁড়ালো মৌমিতার কাছে। আগলে নিল নিজের সাথে যাতে অন্য কোনো পুরুষের স্পর্শ তার শরীরে না লাগে। সে জানে না এই মেয়ের প্রতি তার কিসের এত টান, এই মেয়ের জন্য তার ভিতরটা এত পোড়ে কেন, এই মেয়েকে এক পলক দেখার জন্য কেন মনটা এত ছটফট করে । কোনো প্রশ্নের উত্তরই জানে না। সে শুধু জানে এই মেয়ের মধ্যেই তার প্রশান্তি খুঁজে পায়, এই মেয়েটার পাশে সহ্য করতে পারে না আন্য কাউকে। এই অনুভুতির নাম কি? এ কেমন অনুভূতি? তাও জানা নেই তাজের। মাঝে মাঝে মনে হয় এই মেয়ে কি জাদু জানে? কোনো ভাবে তাকে জাদু টোনা করে বশ করেছে।
তাজের ভাবনার মধ্যেই খেয়াল করলো ভীরের একটা ছেলে বারবার মৌমিতার কোমড়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। রেগে গেল তাজ, মাথায় যেন রক্ত উঠে গেছে। চোখ দুটো রক্তিম বর্ন ধারন করেছে। নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরলো ঐ ছেলেটার হাত। চিৎকার করে উঠল ছেলেটা। সাথে সাথে মুখটা চেপে ধরলো তাজ । মুখ চেপে ছেলেটাকে নিয়ে গেল শান্ত জায়গায়। ছেলেটার হাতটা ছেড়ে দিল। ছাড়া পেয়ে ছেলেটা যেন স্বস্থি পেল। বারবার হাতটা ঝাঁকিয়ে দেখছিল , হাতটা কেমন লাল হয়ে গেছে কিন্তু তার জন্য যে এর থেকেও ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করে আছে বুঝতে পারেনি। হঠাৎই ছেলেটার বুক বরাবার লাথি মারলো তাজ। ছিটকে মাটিতে পড়লো ছেলেটা। হুংকার দিয়ে উঠলো তাজ, চিল্লিয়ে বলল – হাউ ডেয়ার ইউ? তোর সাহস হয় কি করে ওকে ছোঁয়ার চেষ্টা করার।
ছেলেটার কলার ধরে মাটি থেকে টেনে তুলল তাজ, সোজা নাক বরাবর এক ঘুষি মারলো। নাক ফেটে রক্ত পড়ছে, সেদিকে খেয়াল নেই তাজের। সে ইচ্ছে মতো মেরে যাচ্ছে ছেলেটাকে তবুও যেন তার মেজাজ ঠান্ডা হচ্ছে না। মার খেতে খেতে ছেলেটা কেমন নেতিয়ে পড়েছে।
অনেকক্ষন তাজকে খুঁজে পাচ্ছিল না রাদীফ। তাই ওকে খুঁজতে খুঁজতে এদিকটায় চলে এসেছিল সে। এসেই পরিস্থতি দেখে আঁতকে উঠলো রাদীফ। সেই হিংস্রতা যা আজ থেকে বহু বছর আগে দেখেছিল। তবে কি তাজ আবার না না হতে পারে না। দৌড়ে গেল তাজের কাছে। পিছন থেকে জাপটে ধরলো। আস্থির কন্ঠে বলল – কি করছিস তাজ? ছেলেটা যে মরে যাবে।
শান্ত হলো না তাজ। হুংকার দিয়ে বলে উঠলো – মেরে ফেলবো ওকে আমি। কেটে ফেলবো ওর হাত, ও ঐ হাত দিয়ে আমার মৌ কে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে।
চমকে গেল রাদীফ, অবাক হয়ে বলল – তোর মৌ?
থেমে গেল তাজ । নিজের বলা কথায় নিজেই অবাক। অস্ফুট স্বরে শুধু আওড়ালো – আমার মৌ?
মিনিট খানেক পরই ভ্রু কুঁচকে রিদীফের দিকে তাকালো তাজ, জিজ্ঞাসা করলো – ওরা কোথায়?
- মেলার মধ্যে।
- ওখানে অতগুলো ছেলের মধ্যে ওদের একা ফেলে চলে এসেছো। বয়স হয়েছে বুড়ো হয়েছো এখনও দায়িত্বজ্ঞানহীনই রয়ে গেলে।
- একদম বাজে কথা বলবি না আমি যথেষ্ঠ ইয়ং।
- এইসব কথা আমাকে না বলে কিছু মেয়েদের গিয়ে বলো কাকাই দেখো কোনো মেয়ে পটাতে পারো কিনা। লজ্জা হওয়া উচিত তোমার বুড়ো হয়ে চুলে পাক ধরতে শুরু করেছে আর তুমি এখনও সিঙ্গেল ছিঃ।
- তুই কিন্তু আমাকে অপমান করছিস।
- তোমার মান আছে নাকি যে আমি অপমান করবো। তোমার যদি মান বলতে কিছু থাকতে তাহলে এতদিনে মেয়ে পটিয়ে বিয়ে করে বছর বছর বাচ্চা পয়দা করতে।
- মুখ সামলে কথা বল আমি তোর কাকা হই। তোর বাপের মতো।
- বাপের মতো বাপ তো আর না। যাই হোক আমি ওদের কাছে যাচ্ছি তুমি এটাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করো।
দীর্ঘশ্বাস ফেলল রাদীফ। ছেলেটা বদলে যাচ্ছে কিন্তু বদলানোর সাথে সাথে বহু বছরের পুরনো সেই হিংস্রতাও যে ফিরে আসছে।
চলবে….
পরের পর্বটি পেতে পেইজে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ
Share On:
TAGS: প্রণয়ের ব্যাকুলতা, সাদিয়া
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১৬
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ২৬
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ৫
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১১
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১২
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ২৭
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১০
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ৪
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ২৯
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১৭