Golpo romantic golpo আড়ালে তুমি সব পর্বের লিংক সাইদা মুন

আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৩


#আড়ালে_তুমি |০৩| (ফানি)

#_সাইদা_মুন

মেঘকে দেখেই, সুমনা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মেঘকে, রুদ্র তার দিকে তাকিয়ে সিস বাজায়।

মেঘ সেদিকে তাকাতেই দেখে, বড় গাছটার নিচে বসে আছে কপালে ওয়ানটাইম ব্যান্ডেজ, রুদ্র চোখের ইশারায় সামনে যেতে বলছে। আর তার সাথের সবাই মেঘকে জহুরি দৃষ্টিতে দেখছে।

বেচারি মেঘ ধীরে ধীরে রুদ্রের সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়ায়,

-” জ..জ্বী ভাইয়া।”

রুদ্র ভ্রু কুঁচকে বলে,

-” তা আগে র‍্যাগ দিবো, নাকি পানিশমেন্ট?”

মেঘ চমকে তাকায় রুদ্রের দিকে। দুজনের চোখে চোখ পড়তেই, হঠাৎ যেন থমকে যায় দুজনেই। মেঘ তাকিয়ে আছে রুদ্রের শীতল চাহনিতে আর রুদ্র আটকে গেছে বড় বড় দুটি ভয়ার্থ চোখের দিকে।

দুজনকে এভাবে তাকাতে দেখে পাশে থেকে অর্ণব রুদ্রের কানের পাশে একটু ঝুঁকে বলে,

-” উহুম উহুম, শাস্তি দিতে ডেকেছিস, ভুলে প্রেমে পড়েছিস বোধহয়।”

সাথে সাথে সবাই হাসতে শুরু করে, রুদ্রকে টিজ করতে লাগে।

রুদ্র চোখ সরিয়ে নেয়, চোখে রোদচশমা লাগাতে লাগাতে বলে,

-” রুদ্র চৌধুরীর চয়েজ এত খারাপ না।”

মেঘ নাক ফুলিয়ে তাকায় রুদ্রের দিকে। যা রুদ্র চশমার আড়াল থেকে স্পষ্ট দেখছে মজা লাগে ব্যাপারটা তার। তখনই সায়ান পাশ থেকে বলে,

-” দোস্ত, এভাবে বলিস না। মেয়েটার মধ্যে কিসের কমতি আছে, কতো কিউট! আমি তো ক্রাশ খেয়েছি ও সুন্দরির উপরে! আহা রে আহা রে…”

বেচারা গানটা শেষ করার আগেই সারা তার কান টেনে বলে,

-” শা*লা লুই*চ্চা! তোর ক্রাশ খাওয়া জন্মের মতো ছুটাবো আজকের রুটিনে তকে সান্ডার সুপ খাইয়ে তর ব্রেন ওয়াশ করবো.. “

-” আরে বেবি, জানু, মনু রাগো কেনো… আমি তো মজা করছিলাম! আমার চোখে তো তুমিই বিশ্বসুন্দরী। তুমি ছাড়া অন্য নারী চোখেই দেখি না।”

বলেই মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে,

-” এই আপা, আপনি কি পোলা?”

-” পোলা না, মাইয়া। যখন দেখছিস না, তো আপা ডাকলি কেমনে? তোরে তো দাঁড়া…”

বলতেই সায়ান দৌড়ে গিয়ে রুদ্রের পেছনে লুকায়, তার পেছনে সারাও তাকে ধরতে আসে। আর এদিকে সবাই হাসছে। এবার রুদ্রের ফ্রেন্ড রাহুল ওদের থামিয়ে বলে,

-” হয়েছে, বন্ধ কর। যেই কাজে এসেছি আগে সেইটা শেষ করি।”

অনুপমা এবার মেঘের সামনে গিয়ে ক্রোধ নিয়ে জিজ্ঞেস করে,

-” এই মেয়ে, তুমি রুদ্রর উপর পাথরের টুকরো ছুঁড়ে মেরেছিলে কেন? আবার কালকে ক্লাসে গিয়ে যখন জিজ্ঞেস করলাম, কী সুন্দর মিথ্যা কথা বলে দিলে! এত সাহস কোথা থেকে আসে?”

মেঘ ভয়ে মাথা নিচু করে ফেলে,

-” আ… আমি কিছু করিনি।”

তখন পাশ থেকে সবাই ধমকে উঠে,

-” একদম মিথ্যা বলবে না! আমরা জানি তুমি ছুঁড়েছো ইট।”

মেঘের মুখটা চুপসে যায়, গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।

রুদ্র গম্ভীর গলায় বলে,

-” কে বলেছে তোমায় এই কাজ করতে?”

মেঘ এবার মাথা নিচু করেই বলে,

-” সত্যি আমি ইচ্ছা করে মারিনি। কালকে আমাদের ফার্স্ট ক্লাস ছিল। আমি আর সুমনা দু’তলায় উঠতেই আমি কিছুর সাথে উষ্টা খাই, উল্টে পড়তে গিয়েও বেঁচে যাই। নিচে তাকিয়ে দেখি একটা পাথরের টুকরো, তাই অন্য কেউ যেনো এভাবে অসাবধানে পড়ে না যায় এজন্য এটা নিচে ছুঁড়ে ফেলেছিলাম।”

রুদ্র অনেক মনোযোগ দিয়ে শুনে তারপর বলে,

-” ওহ! তাই অন্যকে বাঁচাতে আমার মাথায় মারলে? ওয়াও, হোয়াট এ নোবেল জব! তোমাকে তো মেডেল দেওয়া উচিত।”

মেঘ কান্নার মতো মুখ করে বলে,

-” না না, আমি নিচে ভালোভাবে আশেপাশে দেখেছি, কেউ ছিল না। কিন্তু যখন ছুঁড়লাম তখন আপনি কোথা থেকে উড়ে আসলেন আর আপনার মাথায় পড়েছে! আই’ম সো স্যরি! আর এমন হবে না।”

-” উহু! স্যরি বললেই তো হবে না। তোমার নাম কী?”

-” মেঘ…মেঘ আহমেদ।”

পাশ থেকে রাহুল টিটকারি মেরে বলে,

-” তো জমিনে কী করছো? তোমার তো আকাশে থাকার কথা! উল্টাপাল্টা জায়গায় থাকছো বলেই যার তার মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছো।”

সবাই হেসে উঠে।

-” তা মিস মেঘ, এখন চলুন প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে। আপনার বিচারটা সেখানেই হবে।” বলেই চোখ টিপ মারে রুদ্র।

মেঘ আঁতকে উঠে। প্রিন্সিপালের কানে গেলেই তার মাকে ডাকাবে আর তার মায়ের কাছে এমন একটা খবর গেলেই পড়ালেখা বন্ধ করাতে তাদের বেশি সময় লাগবে।

-” না না, দয়া করে প্রিন্সিপাল স্যারকে বলবেন না।”

অনুপমা তিক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

-” যাকে মেরেছো, সে এই কলেজের প্রত্যেক টিচারের প্রিয় স্টুডেন্ট, প্লাস প্রিন্সিপালের বেস্ট ফ্রেন্ডের ছেলে। তারা কি তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবে? অলরেডি তারা তোমার খোঁজ করছে।”

মেঘ এবার অসহায় হয়ে রুদ্রের সামনে গিয়ে বলে,

-” প্লিজ ভাইয়া, প্রিন্সিপাল স্যারকে বলবেন না। আপনার কাছে ছোট বোন হিসেবে রিকোয়েস্ট করছি।”

“ছোট বোন” কথাটি শুনতেই রুদ্রর নাক মুখ কুঁচকে আসে,

-” এই যে! আমার অলরেডি দুইটা ছোট বোন আছে। নতুন করে কোনো পাতানো বোনের দরকার নেই। এতোজনকে সম্পত্তির ভাগ দিতে পারবো না।” 

-” তাহলে এমনি মানুষ হিসেবেই একটু দয়া করুন। আপনি যা বলবেন তাই শুনবো, যেই পানিশমেন্ট দেবেন, সেটাই মেনে নেবো।”

রুদ্র এবার শয়তানি হাসে,

-” উমম তাহলে, এই তোরা বলতো কী শাস্তি দেওয়া যায়?”

সায়ান দাঁত কেলিয়ে বলে উঠে,

-” তোর পিএ বানিয়ে ফেল! এসাইনমেন্ট করিয়ে নিতে পারবি, সাথে আমাদেরটাও একটু হয়ে যাবে হিহি।”

রুদ্র একটু ভেবে বলে,

-” উমম, নট এ ব্যাড আইডিয়া…”

তবে অনুপমার কথাটি পছন্দ হয়নি, সাথে সাথে বলে,

-” কী দরকার? এমনি নরমাল শাস্তি দিয়ে বিদায় কর! আবার পিএ বানানোর কী আছে? আমি তো আছি, তোর এসাইনমেন্টে হেল্প করবো না নাকি?”

-” উহু, তোর কষ্ট করার দরকার নেই। আজ থেকে মিস মেঘ আহমেদ আমার পিএ। আমি যখন যা বলবো করবে, যখন ডাকবো এক ডাকে হাজির হবে। ওকে?”

মেঘ সাথে সাথে না বলে উঠে,

-” না না, অন্য শাস্তি দিন। এটা পারবো না।”

কথাটা রুদ্রর গায়ে লাগে খুব। রাহুল অবাক হয়ে বলে,

-” এই মেয়ে, বলছো কী? মেয়েরা শুধু চান্স খুঁজে রুদ্রর আশেপাশে আসার! সেখানে রুদ্র নিজেই তোমাকে তার পাশে থাকার সুযোগ দিচ্ছে, আর তুমি কিনা রিজেক্ট করছো?”

-” কিন্তু আমি তো আর ওইসব মেয়েদের মতো না। উনার আশেপাশে থাকতে চাই না। আমাকে অন্য শাস্তি দিন।”

মেঘের সোজাসাপটা উত্তরে রুদ্রর চোখমুখ শক্ত হয়ে যায়, তার ইগো হ্যামার খায়,

-” এই মেয়ে, হয় এই শাস্তি মানবে, নয়তো প্রিন্সিপালের রুমে চলো। যেকোনো একটা…”

মেঘ চিন্তায় পড়ে যায়, কী করবে। পাশ থেকে সুমনা খোঁচা দিয়ে বলে,

-” রাজি হয়ে যা! ক্রাশটার আশেপাশে থাকতে পারবি।”

মেঘ কটমট করে তাকায়। আবার নিজেও ভাবে, যদি রাজি না হয় তবে প্রিন্সিপাল হয় টিসি দেবে, আর নয়তো মা কে কল দেবে। আর পড়া বন্ধ। এর থেকে রাজি হওয়াই ভালো।

মেঘ রুদ্রর কথায় রাজি হয়। এতে রুদ্র বাঁকা হেসে মনে মনে বলে,

-” আমার অফার রিজেক্ট করা! এর শাস্তিও পাবে।”

মেঘকে একটা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে বলে, অর্ধেক কমপ্লিট, বাকিটা এটা দেখে লিখে দিয়ে যাবে ক্লাস শেষে ক্যান্টিনে। বলে রুদ্র তার গ্যাং নিয়ে চলে যায় নিজের ক্লাসে। কিন্তু মেঘ ক্লাস টাইমে লিখে কাভার করতে পারেনি, তাই তাকে আর পাবে কে! ক্লাস শেষ হলেই ফুরুত হয়ে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ, সব ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে আসে। কালকে কমপ্লিট করে দেবে।

পরের দিন মেঘ একটু তাড়াতাড়িই ঘরের কাজ শেষ করে চলে আসে। মূলত সে রুদ্রর অ্যাসাইনমেন্টটা কমপ্লিট করতেই এসেছে। রাতে নিজের পড়া শেষ করতেই ১টা বাজে, পড়ে আর পারেনি। আবার সকালে তো কাজের মধ্যেই ছিলো, লেখার চান্স নেই।

দু’তলায় এসে এদিক-সেদিক হাঁটাহাঁটি করছে সুমনার জন্য অপেক্ষা করছে। একে আসতে না দেখে মেঘ নিজেই লাইব্রেরিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একে ওকে জিজ্ঞেস করে করে চলে আসে। ক্লাসেও স্টুডেন্টস নেই, তাই ফাঁকা ক্লাসে আর বসেনি। লাইব্রেরির দরজায় পা দিতেই কল আসে, তাই আশেপাশে লক্ষ্য না করেই কল রিসিভ করে কর্নারের একটি চেয়ারে বসে পড়ে। তার অপোজিট পাশে যে কেউ বসে আছে, তা খেয়ালও করেনি।

-” হ্যাঁ হ্যালো, বলো।”

-” ………….

-” তোমার যেই ফ্লেভার পছন্দ, আনতে পারো।”

-” …………

-” আরে, আমার যেকোনো ফ্লেভারেই চলবে। আমার সবই ভালো লাগে।”

-” ………..

-” আচ্ছা, তাহলে চকলেট ফ্লেভারেরটাই আনো। আর আমি লাইব্রেরিতে, ক্লাস তো এখন খালি। তুমি এসে মিসড কল দিও, ক্লাসে চলে আসবো।”

বলে কল রেখে অ্যাসাইনমেন্টটা বের করতে যায়। তখন কারো কণ্ঠে “আস্তাগফিরুল্লাহ” শুনে চমকে সামনে তাকায়।

এদিকে রুদ্র জোরেই বলে উঠে,

-” আস্তাগফিরুল্লাহহহহ!”

মেঘ দেখে, রুদ্র তার অপোজিট পাশে বসা। হাতে কলম, কিছু লিখছিলো হয়তো, তবে এখন তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। মেঘ রুদ্রকে দেখে চুপসে যায়, কালকের জন্য আবার বকবে না তো।

এদিকে রুদ্র, মেঘের কনভারসেশন শুনে বেচারা হজম করতে পারছে না! এই মেয়েকে দেখতে কত ইনোসেন্ট মনে হয়, এর দ্বারা এসবও… 

রাগী চোখে তাকিয়ে বলে,

-” এই মেয়ে, ভার্সিটিতে এসব করতে এসেছো?”

মেঘ ভেবেছে, কালকের কথা বলছে, তাই নিজেকে বাঁচাতে মিনমিন করে বলে,

-” আসলে, কালকে শরীরটা খারাপ ছিলো… তাই করতে পারিনি। তাই আজকে তাড়াতাড়ি চলে এসেছি করতে।”

মেঘ অ্যাসাইনমেন্টের কথা বললেও, রুদ্র ভেবেছে অন্য কিছু! তাই তো বেচারার নাকেমুখে কাশি উঠে যায়।

“মেয়ে বলে কী! এভাবে ওপেনলি এসব কেইবা বলে কাউকে? তাও আবার একটা ছেলেকে।”

রুদ্রকে কাশতে দেখে, জলদি নিজের পানির বোতল বের করে পানি এগিয়ে দেয়। সেও কাশির ঠেলায় পানি খেয়ে একটু শান্ত হয়। আমতা আমতা করে ধমকে বলে,

-” কেউ এসব পার্সোনাল জিনিস ওপেনলি এভাবে বলে নাকি?”

-” ও মা! এখানে পার্সোনালের কী আছে?”

ঠিক তখনই লাইব্রেরিতে পিহু হাজির হয়, মেঘের নিউ ফ্রেন্ড, কালকেই পরিচয়, মেয়েটা অনেক মিশুক। হাতে তিনটা আইসক্রিম। মেঘের সামনে একটা ধরে বলে, এই নাও তোমার চকলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম। আরেকটা সুমনার জন্যও এনেছি।

-” থ্যাংক ইউ ইয়ার! তুমি এখানে আসতে গেলে কেন? আমাকে মিসড কল দিলেই হতো, আমি ক্লাসে চলে আসতাম।”

-” আরে ভাবলাম, এখানেই চলে আসি। ক্লাস শুরুর তো অনেক দেরি আছে।”

রুদ্র এদের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায়। থতমত মুখে মেঘকে জিজ্ঞেস করে,

-” তুমি তখন পিহুর সাথেই কথা বলছিলে?”

মেঘ সরল মনে বলে,

-” হ্যাঁ ভাইয়া।”

-” তাহলে তুমি যে বললে, “কালকে করতে পারোনি, আজকে করবে”ওটা?”

মেঘ নখ কামড়ে বলে,

-” ইয়ে মানে… আপনার অ্যাসাইনমেন্টটা! বাট প্রমিসড, ৩০ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। ইয়ে মানে আসলে, কালকে অসুস্থ ছিলাম, তাই কমপ্লিট করতে পারিনি।”

রুদ্র পুরোপুরি বেক্কল বনে যায়। মেঘকে রীতিমতো ধমক দিয়ে বলে,

-” তো কথা বললে সম্পূর্ণ বলো না কেনো। এভাবে ভেতরে কিছু রেখে অর্ধেক কথা  বলো কেন, বেয়াদব মেয়ে।”

মেঘকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রুদ্র দ্রুত সেখান থেকে ব্যাগ-বই নিয়ে উঠে চলে যায়।

মেঘ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,

-” যাহ বাবা! আমি আবার কী বললাম অর্ধেক?”

বেচারি মেঘ যদি বুঝতো রুদ্র তার কথার কি মানে বুঝেছে এতোক্ষনে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতো। 

রুদ্র নিজের ক্লাসের দিকে যেতে যেতে নিজে নিজেই বিরবির করে,

-“লা হাওলা কুয়াতা, রুদ্র শেইম অন ইউ! তোর ব্রেন কি ডিফল্ট মোডে কাজ করছে নাকি, কিসব ভাবছিলি, ব্রেনে ফিল্টার লাগা ফিল্টার লাগা…… “

এদিকে পিহু অবাক হয়ে বলে,

-” কী ব্যাপার! রুদ্র ভাইয়া এভাবে রিঅ্যাক্ট করে গেল কেন?”

-” কী জানি! শালা সানডা চৌধুরী নিজেই জানে।”

পিহু হেসে বলে,

-” সাবধান! এখানে বলেছো বলেছো, ভাইয়ার সামনে বলতে যেও না।”

এর মধ্যে সুমনাও চলে আসে। পিহু আর সে আড্ডা দিতে থাকে, মেঘ তাদের কথা শুনছে আর লিখছে। লেখা শেষ হতেই উঠে পড়ে। এবার যারটা তার হাতে বুঝিয়ে দিয়ে আসলেই শান্তি!

রুদ্রর ক্লাস খুঁজে খুঁজে বের করে। ক্লাসে পা রাখতে যাবে অমনি কেউ তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছিল, যার ফলে ধাক্কা লেগে পড়ে যেতে নেয় মেঘ। তবে সামনের ব্যক্তি তার কোমর পেঁচিয়ে ধরে ফেলে…

চলবে…

Share On:

TAGS: , ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply