Golpo romantic golpo চার বছরের চুক্তির মা

৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৪


বছরেরচুক্তির_মা

পর্ব_০৪

লেখিকাসারাচৌধুরী -বোকাফুল (ছন্দনাম)

সারার হৃদয় ভেঙে কান্না আসছে..কান্না করতে করতে তার চোখ ফুলে গেছে তাও জেনো চোখের পানির বাধ সাজছে না..শুভ্র এতে প্রচুর বিরক্ত..একটা মেয়ে এতোটা কান্না করে কিভাবে সামান্য কারনে..শুভ্র বিরক্তিতে চোখ কুচকে সারার দিকে একটা পানির বোতল এগিয়ে দিলো..সারা দেখেও না দেখার মতো করে আবার কান্না শুরু করলো..সে তো কল্পনাও করেনি এমন এক নিষ্ঠুরতম চরম সত্যি তার জিবনে আসবে…!

কিছুক্ষন আগে শুভ্র তার মোবাইল এ ধারন করা একটা ভিডিও দেখায় সারাকে। সেখানে স্পষ্ট দেকা যাচ্ছে যে সারার মামা বলছে যে সে তার আসল মামা না বা রক্তের কেও না…!

সারা জ্ঞান হারানোর আগেই শুভ্র দরজার পাশে এসে দাড়িয়েছিলো..তার উদ্দেশ্য ছিলো নাজমুল হুদা কে ডাকা.. কিন্তু এসে সে সামনা সামনি হয় আর এক সত্তির..!

নাজমুল হুদা রুম থেকে বের হতেই শুভ্রর মুখোমুখি হয়ে একটু চমকে উঠে কিন্তু কিছু না বলে তিনি শুভ্র কে বলেন সামনে সোফাই আসতে মারজিয়া বেগম সারা কে গুছিয়ে নিয়ে আসছে..!

শুভ্র কিছু না বলে নাজমুল হুদার পিছনে চলে আসে কারন তার মেয়েদের প্রতি একটা আলাদা ঘৃনা আছে আর সে এখন তার মেয়ের জন্য চুক্তির মা নিতে এসেছে সেহেতু তার পাস্ট জানা শুভ্রর উচিত বলে মনে হয় না..!

শুভ্র সোফাই গিয়ে বসতেই নাজমুল হুদা বলে উঠে…

-আসলে একটা কথা বলার ছিলো বাবা…?

-শুভ্র কিছু গম্ভীর স্বরে বলে উঠে..হুম বলেন…?

-আসলে সারা আমার আপন বোনের মেয়ে না বা আমি ওর কোনো মামা না…..?

-শুভ্র ভাবলেশহীন ভাবে বলে.. ওহ…!

-আসলে এগারো বছর আগে সিলেট এর এক মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি আর মারজিয়া.. সেখানেই এই মেয়েকে পাই..মেয়েটি হারিয়ে গিয়েছিলো…আমরা ওর পরিবার খুজে ছিলাম তবে পাইনি.. বাচ্চা টা নিজের নাম অব্দি বলতে পারছিলো না।।তিন বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে তো ফেলে আসা যায় না..তাই সাথে নিয়ে এসেছিলাম..!

বলে দোম ছাড়লো নাজমুল হুদা..এবার শুভ্রর ভ্রু কুচকে গেলো..শুভ্র ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করলো তাহলে মেয়েটা আপনার রক্তের ই কেও না..?

-নাহ…(নাজমুল হুদা শান্ত কন্ঠে বলেন)

-আমিতো মনে করলাম আপনার সৎ কোনো বোনের মেয়ে তাই আপনি ওর মামা লাগেন দূর সম্পর্কের হলেও..!

-নাহ বাবা..আমরা ভেবেছিলাম ওকে আমাদের মেয়ের মতোই রাখবো তবে ও আসার পর রাস্তায় ও আমাকে বলে ডাকে আর আমার কোনো বোন ছিলো না তাই আমিও ভাবলাম আমার কোনো বোন থাকলে আমার ভাগ্না ভাগ্নি ও আমাকে মামা বলে ডাকতো..!

-তাহলে আপনি ওকে যে টাকার বিনিময়ে কাজ করতে পাঠাচ্ছেন…?শুভ্র চোখ কুচকে জিজ্ঞাস করলো নাজমুল হুদাকে..!

-নাজমুল হুদা হতাশার নিশ্বাস ছেড়ে বললেন..আমরা ওকে এত বছর বড় করলেও ওর প্রতি এক ফোটা মায়া জন্মে নি..!দেখতে সুন্দর হওয়াই অনেক পাত্র আসে কিন্তু যৌতুক চাই এখন কার যুগে..আর সেখানে তুমি ওকে বিশ লক্ষ টাকায় নিয়ে যাচ্ছো চার বছরের জন্য আমারি তো লাভ চার বছর পর আসার পর ওকে কোনো বুড়োর সাথে বিয়ে দিবো তখন আরো লাভ..!

নাজমুল হুদার এমন নিচু মন মানুষিকতা দেখে শুভ্র র মাথায় রাগ উঠে গেলো তবুও শান্ত কন্ঠে নাজমুল হুদাকে বললো…

-ওকে একেবারে নিয়ে যেতে হলে কত টাকা নিবেন মি.নাজমুল হুদা..?

-শুভ্রর মুখে নিজের নাম শুনে চমকে উঠলো নাজমুল হুদা তবুও বললেন..নাহ থাক একে বারে কি করতে দিবো..!আছে থাক এই চুক্তি যা আছে থাক পরের তা পরে ভাববো..!

-শুভ্র জানে নাজমুল হুদা প্রচন্ড লোভি একজন মানুষ তা এতক্ষনে বুজে গেছে সে..তাই শুভ্র বুদ্ধি করে বল্লো ভেবে দেখেন ত্রিশ লাখ দিবো একে বারে নিয়ে যায়..!আর সমস্যা নাই না দিলেও কি চার বছরের জন্য নিয়ে যাচ্ছি এখন আপনার বেপার..!

-শুভ্রর কথা সুনার পর লোভে চোখ চিক চিক করে উঠলো নাজমুল হুদার কোনো কিছু না ভেবেই বলে দিলেন হ্যা নিয়ে যাও আমি বাচি..!

শুভ্র তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে একটা স্টাম্প আর একটা চেক এগিয়ে দিলো নাজমুল হুদা চেক হাতে নিয়ে দেখলো বড় বড় করে লিখা ত্রিশ লক্ষ টাকা..তাই সে আর কিছু না পড়েই স্টাম্প এ স্বাক্ষর করে দিলো…!

শুভ্র রহিম কে চোখের ইশারা করে সারার রুমে চলে গেলো দপা দপ পা ফেলে.. রুমের ভিতরে গিয়ে দেখলো মারজিয়া চেয়ারে বসে বসে নক কাটছে আর মেজেতে পড়ে আছে সারা..শুভ্রর রাগ তর তর করে বেড়ে গেলো তবুও কিছু না বলে সারাকে কোলে তুলে নিলো…….

চলবে……

-(আগামী পর্বে অনেক কিছু খোলাশা করে দিবো..তোমাদের এতো রেসপন্স পেয়ে আমার লেখার আগ্রহ বেড়ে গেছে.. আজকের পর্ব কেমন হয়েছে বলে যাবা আশা করি ভালো লাগবে)-

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply