৪ বছরের চুক্তির মা
পর্ব ১
❌🚫 সতর্কবার্তা 🚫❌[এই গল্পটি কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক (১৮+) পাঠকদের জন্য।যারা ১৮ বছরের নিচে, বা এ ধরনের লেখা পড়তে অস্বস্তি বোধ করেন, অনুগ্রহ করে এখনই পড়া বন্ধ করুন।]
ভাগ্যের চরম হাস্যকর পরিহাসে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই সারারাত স্বামি নামক মানুষটার শারিরীক ক্ষুধা নিবারন আর ভোর রাত থেকেই মাত্র এক মাস বয়সি মা হারা বাচ্চা কে নিজের বুকের দুধ খাওয়ানোর অভিনয় করতে হচ্ছে..বাচ্চা টার নাম ইরিনা তালুকদার অরু..!
কাল এই বাড়িতে আসার এক মুহুর্ত আগেও জানতাম না এই লোকটাকে আমার বিয়ে করতে হবে..আমি শুধুই জানতাম একটা বাচ্চা কে দেখতে হবে বাচ্চার মা নেই..কিন্তু আমি বাচ্চার মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করেও কিছু উত্তর পাইনি..পেয়েছি এক ভারি নিশ্বাস এর শব্দ..!
পুরান ঢাকার নাম করা তালুকদার বাড়ি..আব্রাহাম তালুকদার এর নাম অনুযায়ী এ বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়…কিন্তু বর্তমানে সেখানে বসবাস রত ও এক মাত্র উত্তরাধিকারী ফারিস তালুকদার শুভ্র বাদে থাকার মতো কেও নেই..শুভ্র ঢাকার এক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির মালিক…!
শুভ্র তার এক মাত্র মেয়ে অরুকে দেখাশোনার জন্য একজন বিশ্বস্ত আয়া খুজ্জিলেন..একদিন শুভ্র সোফাই বসে মেয়েকে ঘুম পড়াচ্ছিলেন তখন বাড়ির কাজের লোক রহিম মিয়া এসে শুভ্র কে বলেন একটা মেয়ের খোজ পেয়েছে তবে বয়স অল্প..শুভ্র প্রথম এ রাজি না হলেও পরে নিজের মেয়ের মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে যায়..!
ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ে যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমার চোখ গেলো ডাইনিং এর সোফার দিকে মামা আর দুই জন লোক কথা বলছে.. এক জন কে আমি চিনি গ্রামেই বাড়ি রহিম দাদা…!কিন্তু কি কথা বলছে তাতে আমি কান না দিয়ে সোজা বাইরে চলে গেলাম..যাওয়ার আগে পিছনে তাকাতেই লোকটার সাথে আমার চোখাচোখি হয়ে গেলো আমি লজ্জায় মাথা নুইয়ে বের হয়ে গেলাম..!
সোফায় বসে আছে সয়ং শুভ্র তালুকদার রহিমের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে ছুটে এসেছেন তিনি.. নিজের মেয়েকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা মা এনে দিতে চাই সে..সে জন্যই মি. নাজমুল হুদা আমার ম্বমার সাথে কথা বলছিলেন..মামা প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে বিশ লক্ষ টাকার কথা শুনে এক পায়ে রাজি হয়ে যায় কিন্তু শুভ্র বাধাই অন্য এক বিপত্তি..সে একটা চুক্তি পত্র এগিয়ে দেই নাজমুল হুদার কাছে….চুক্তি টা এমন ছিলো…
❝আগামী চার বছরের জন্য আমার ভাগ্নীকে শুভ্র তালুকদার এর বাচ্চার মা হয়ে থাকবে.. তার সকল পড়াশোনা আর যাবতীয় খরচ শুভ্র তালুকদার বহন করবে. আমি বিশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমার ভাগ্নিকে শুভ্র তালুকদার এর কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি চার বছরের জন্য আর চার বছরের আগে আমি যদি ভাগ্নি কে ফেরত পেতে চায় তাহলে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দিবো❞
ন্সজমুল হুদা টাকার গরমে অন্ধ হয়ে রাজি হয়ে গেলেন সাথে শুভ্র বিশ লক্ষ টাকা নাজমুল হুদার দিকে এগিয়ে দিলো…নাজমুল হুদা এক পলক টাকা গুলোর দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে বললো আমার ভাগ্নি টা ছোট যদি কোনো ক্ষতি করে ফেলেন..?
-সেই দায় ভার আমার।। শুভ্র গম্ভীর কন্ঠে বললো..!
-কবে নিয়ে যাবেন..? নাজমুল হুদা চোখ চিকচিক করে জিজ্ঞাসা করলেন..!
-এক্ষনি আমার একটু ওর সাথে কথা বলার সুজোগ করে দিন…!
-আচ্ছা বাবা বসো চা নাস্তা কিছু দিবো নাজমুল হুদার স্ত্রী মারজিয়া বেগম বললেন…
-নাহ আমি যা বলছি তাই করেন…!শুভ্র বিরক্তিকর কন্ঠে বলে উঠে..!
ডান পাশের ওই কর্নারের রুমে আছে নাজমুল হুদা বলার সাথে সাথেই শুভ্র চলে গেলো ওই রুমে…..
সকাল সাতটা বেজে গেছে আমার এক পাশে সুয়ে আছে শুভ্র নামক পুরুষটি..আর আমার অন্য পাশে তার মেয়ে অরু…আমি সিদরাতুল সারা..বয়স মাত্র চৌদ্দ.. ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারানোর পর থেকে মামা বাড়িতে বড় হয়েছি..সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম এর পর খাবার খেয়ে দিন কেটেছে কোনো কোনো রাতে খাবার পড়েনি পেটে মামির মার খেয়েও দিন কেটেছে স্কুলে পড়াশোনার সৌভাগ্য ছিলো না বল্লেও চলে সপ্তাহে একদিন স্কুলে যেতে দিতো সেভাবেই ক্লাস নায়নে উঠেছি..!
আমি একটু নড়েচড়ে উঠতেই অরু কেদে উঠলো সাথে আমি নিজেও ব্যাথায় ককিয়ে গেলাম…চোখ মুখ খিচে অরুর দিকে তাকিয়ে……
চলবে………
৪বছরেরচুক্তির_মা
সুচনা_পর্ব
লেখিকাSবোকাফুল (ছন্দনাম)
-(বিঃদ্রঃ সসম্পুর্ণ ভিন্ন এক গল্প.. ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন আশা করি ভালো লাগবে।।রেসপন্স পেলে পরের পর্ব দিবো)-
Share On:
TAGS: চার বছরের চুক্তির মা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৮
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১১
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৪
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৩
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৩
-
চার বছরের চুক্তির মা গল্পের লিংক
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৫
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৪(ক+খ)