সুখময়যন্ত্রনাতুমি
motivationalquotes
motivation
পর্ব ১২৮
neeela_rahman
সকাল ৯ টা।সামিহা বেগম এবং নওরিন আফরোজ দুজন এক সাথে কিচেনে ব্রেকফাস্ট তৈরি করছিল ।যেহেতু আজ হুমায়ন রহমান নেই ফজলুর রহমান নেই ।সাদাফ এবং নুর নেই শুধু বাসায় চারজন ।তাই অল্প করে নাস্তা তৈরি করছে ।উঠেছে ও দেরিতে যেহেতু রিমা সায়মন দুজন আজকের দেরি করে উঠবে।তাই একটুও তাড়াহুড়া নেই।
সায়মন দুলতে দুলতে একটি টি-শার্ট এবং ট্রাউজার পরে সিড়ি বেয়ে নিচে নামছিল ।রান্নাঘর থেকে চোখ পড়লে নওরিন আফরোজ এর ।নওরিন আফরোজ সামিহা বেগমকে বাকি কাজগুলো করতে দিয়ে বললেন,” তুই এগুলো শেষ কর আমি একটু আসছি ।”বলেই এগিয়ে গেল সাইমনের দিকে।
কিছুক্ষণ অপলক চেয়ে রইলো সামনের দিকে ।তারপর সায়মন ও খেয়াল করল বড় আম্মু তাকিয়ে আছে ।সাইমন একটু টঠস্ত হলো ।কারণ জানে বড় আম্মু এখন সবকিছু জানে ভিতরে ভিতরে লজ্জায় এবং ভয় সংকোচ সবই কাজ করছিল সাইমনের।
নওরিন আফরোজ সাইমন এর কাছে এসে বললেন,” আমার সাথে একটু বাইরে আয় কথা আছে তোর সাথে।”
সায়মনের বুকের ভিতর ধুকপুক ধুকপুক করছে ।কিন্তু ঠিক করে ফেললো সাইমন বড় আম্মু যত কিছু বলুক যত চাপ দেক ও রিমাকে ছাড়বে না ।কোনভাবে ছাড়বে না।
বড় আম্মুর পিছন পিছন হেটে সাইমন বাইরে চলে এলো ।মাথা নিচু করে আছে । নওরিন আফরোজ তাকিয়ে আছে সাইমনের দিকে ।তারপর বললেন,” কিছু জিজ্ঞেস করছিস না কেন ?নাকি আগে থেকে আন্দাজ করতে পেরেছিস কি বলবো?”
সায়মন ডান হাত দিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো,” কি আন্দাজ করব কি বলতে চাচ্ছো বলো ?”
কিন্তু চোখ তুলে তাকানোর সাহস করছে না সাইমন।
নওরিন আফরোজ বললেন,”কবে থেকে চলছে এইসব ?এইজে দেখলি বড় ভাই সাদাফ আর নুরের অবস্থা তারপরও তোদের দুজনের মধ্যে এত সাহস কি করে হল ?একই বাড়িতে থেকে আমাদের নাকের ডগার নিচ দিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছিস? ভাবিস নি তোর বাবা বড় বাবা শুনলে কি বলবে মাথায় আসিনি এটা?”
সায়মন আমতা আমতা করে বললো,” কোন কিছুতে ইচ্ছে করিনি বড় আম্মু ।আর তাছাড়া সাদাফ ভাই আর নুরের ব্যাপারটা তো আমরা কেউ জানতাম না তাই না ?এটা তো হঠাৎ করে হয়ে গিয়েছে।”
আসলে সাদাফ এবং নূরের ব্যাপারটা তেমন কেউ জানতো না ।তারা প্লান করছিল কিন্তু এটা তো জানাশোনা ছিল না তাই ছেলেটাকে কি বা দোষ দিবে ! তাই বললেন,” তোর বয়স দেখেছিস ?কত বয়স হয়েছে ২২ বা ২৩ বছর ।এখন কি এসব করার সময় ?এখন কি চাইলেই তোরা বিয়ে করতে পারবি ?কিছুদিন পরই তো রিমার বিয়ের জন্য তোর জোর শুরু হয়ে যাবে ।তখন কি করবি ?তোর তো এখনো লেখাপড়ায় শেষ হয়নি !কোন কাজ করিস না কিছু করিস না ।তুই এখন থেকে যদি এসব করিস তাহলে কি করে হবে বল? আমার নাম নুরুন্নাহার নীলা Nurun Nahar Nila আশা করি মনে থাকবে।
ভালো করে লেখাপড়া কর ।নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর ।যদি রিমার বাবার সামনে দাঁড়ানোর যোগ্যতা করতে পারিস তখন দাঁড়াবি ।কিন্তু তুই এ বাড়ির ছেলে হিসেবে যোগ্য হলেও স্বামী হিসেবে অর্থাৎ একটি মেয়ের দায়িত্ব নেওয়ার মতো যোগ্য হস নি।
সাদাফ কে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ।নিজের টাকায় বাড়ি গাড়ি করে সবকিছু করতে পারছে এজন্য সাদাফের প্রবলেম নেই ।তোকে যদি রাগ করে বের করে দেয় তখন কি করবি?”
সাইমনের চোখ দুটো ছলছল হয়ে গেল । বললো,” আমি জানিনা বড় আম্মু তুমি যেভাবে বলবে সেভাবে করব ।কিন্তু রিমার অন্য কোথাও বিয়ে হতে পারবেনা।
“তুমি চাও লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হই ?আমি প্রতিষ্ঠিত হব কিন্তু রিমার অন্য কোথাও বিয়ে হবে না এটা তোমার কথা দিতে হবে আমাকে।”বললো সায়মন।
নওরিন আফরোজ এর মায়া হচ্ছে সাইমনের উপর। বললো,” ঠিক আছে আমি কথা দিচ্ছি কিন্তু বাড়িতে সবার সামনে রিমা থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখবি। যেন কেউ কিছু বুঝতে না পারে আমি চাই তোদের বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হোক ।সাদাফ ও নুরের মত প্রেম ঘটিত না।
এজন্য আর একটা ইয়ার বাকি আছে ভালো করে লেখাপড়া কর বিজনেসে জয়েন কর ।আমি নিজে তোদের বিয়ের কথা তুলব।”
সায়মন সাথে সাথে নরিন আফরোজ কে জড়িয়ে ধরল ।ধরে বললো,” তুমি কিন্তু কথা দিচ্ছো মনে থাকবে তো?”
নওরিন আফরোজ বললেন,” হ্যাঁ পা*গল ছেলে মনে থাকবে ।আজ থেকে ঠিকঠাক মতো লেখাপড়া করবি ।এক বছর পরে আমি তোকে অফিসে জয়েন করা দেখতে চাই ।প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই ।আমার মেয়েকে তার ঘরে বসিয়ে বসিয়ে আইবুড়ো করতে পারবোনা।”
এদিকে নুরের হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেল ।চোখ পিটপিট করে চেয়ে দেখলো সাদাফের এর সাথে লেপটে ঘুমিয়ে আছে নুর ।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সাদাফের দিকে ।সাদাফ পুরোপুরি ঘুম একদম অবচেতন শিশুর মতো করে ঘুমাচ্ছে ।নূর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সাদাফের সম্পূর্ণ চেহারা দেখতে লাগলো।
চুল নাক চোখ থুতনি সবকিছু অদ্ভুত সুন্দর এবং মায়াবী ।নূর খুঁটিয়ে খুটিয়ে সব কিছুই দেখতে লাগলো ।হঠাৎ কি মনে করে যেন নূর এক আঙুল দিয়ে সাদাফের কপাল থেকে শুরু করে স্পর্শ করতে করতে ঠোঁট পর্যন্ত নামতেই হঠাৎ করে সাদাফের চোখ দুটো খুলে গেল।
নুর চোর ধরা পড়ার মতো থতমত খেয়ে গেল ।আমতা আমতা করে বললো,” না মানে আমার মাত্র ঘুম ভেঙেছে ।আমি জাস্ট এমনি ………….সাদাফ বললো,” জাস্ট এমনি কি ?আমি দেখলাম তুই আমার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিলি।”
নুর অবাক হয়ে গেল ।জানতে চাইলো,” সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছি মানে ?কি করে আপনার সুযোগ নিতে চাইলাম আমি?”
সাদাফ নূরের পুরো শরীর একবার চোখ বুলিয়ে বললো,”এই যে এইভাবে কাপড়-চোপড় ছাড়া একটি চাদরের নিচে আমার গায়ের সাথে লেপটে আছিস তারপর আমাকে এলোমেলোভাবে ছুঁয়ে দিচ্ছিস ঘুমের মধ্যে ?তাহলে তুই আমার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছিলি। আমি স্পষ্ট দেখেছি আমার সুযোগ নিতে চাইছিলি আর একটা ছেলে বুঝতে পারে কোন মেয়ে তার সুযোগ নিতে চাইলে।”
নুর অবাক হয়ে গেল ।নুর তো কখনো সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেনি । তারপরে নুর বললো,” ছেলে মানুষ বুঝতে পারে মেয়েরা সুযোগ নিতে চাইলে ?তাহলে তো ভালো আপনি বেঁ*চে গেলেন আপনার সুযোগ কেউ নিতে পারল না।”
সাদাফ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে নূরের দিকে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে কিন্তু স্পষ্ট আওয়াজে বললো ,”কিন্তু আমি তো চাই আয় আর আমার সুযোগ নে প্লিজ।
আমার এই ২৭ বছরের কুমার জীবনের অবসান ঘটিয়ে দে নুর ।”
নুর অবাক হয়ে গেল ।”কি বলে এই লোকটার ২৭ বছর ধরে কুমার মানে ?গতকাল রাতে বাসর শেষ করল এখন বলছে ২৭ বছর ধরে কুমার ?”নূর কিছুই বুঝতে পারছে না সাদাফের কথা।
আমতা আমতা করে বললো,” কি যা তা বলছেন ?আপনি কি করে ভা*র্জিন হন ?আপনি না গতকাল ………থেমে গেল নূর ।আর বলতে পারছে না।
সাদাফ মুচকি হেসে নুরের দিকে তাকিয়ে নূরের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বললো,”যা করার গতকাল আমি তোকে করেছি তার মানে তুই আর কুমারী নেই ।কিন্তু তুই তো আমাকে কিছু করিস নি তাই আমি এখনো কুমার ।তাই এখনো সুযোগ দিচ্ছি আয় আর আমার সুযোগ নে। আমার এই ২৭ বছরের কুমার জীবনের অবসান ঘটিয়ে দে।
বিয়ের পরও যদি আমার কুমারত্ব তুই নিতেই না পারিস তাহলে তো আমি বন্ধুদের কাছে সবার কাছে ছোট হয়ে যাব। বলবে কি কপাল কি একটা বউ পেলাম বউ আমাকে কিছু করতেই পারে না।”
সাদাফের কথা শুনে নূরের যেন লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে ।কি বলছে লোকটা ?কিন্তু নূর নড়তে চড়তে পারছে না কারণ সাদাফ নুরের মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে রেখেছে ।নুর বললো,” ছাড়ুন আমি উঠবো ।”
সাদাফ বললো ,”না কোন ছাড়াছাড়ি নাই ।আমার সাথে এভাবে লেপ্টে থাকবি ভালো লাগছে আমার।”
এদিকে নুর জোরাজোরি করে উঠতেও পারছে না ।চাঁদের সরালে কি না কি হয়ে যাবে তাই।নুর বললো,” প্লিজ ছাড়ুন আমার কাপড়চোপড় পড়তে হবে ।সাদাফ বললো ,”না কিছু পড়তে হবে না ।আজকে এভাবেই থাকবি।
কিছু যখন করবি না আমাকে তাহলে তোকে এভাবে দেখে আমার চোখের ভা*র্জিনিটি হারাতে দে প্লিজ।”
চলবে__
Neela Rahman
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neeela_rahman
পর্ব_১২৯
অনেক বলাবলির পর নূরকে উঠতে দিল সাদাফ।নুর উঠে চাদর পেচিয়ে ওয়াশরুমে গেল ।ভুলে গেল কাপড়চোপড় নিতে ।সাদাফ শুয়ে রইলো বিছানায়।
হঠাৎ এমন সময় ফোন এলো হুমায়ুন রহমানের ।ফোন রিসিভ করে সাদাফ বললো,” হ্যালো আবার কেন ফোন দিয়েছো ?সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাত সারাক্ষণ কেন ফোন দিচ্ছ বাবা?”
হুমায়ূন রহমান মেকি রাগ দেখিয়ে বললেন ,”বে*য়াদব ফোন দিয়েছি বলার জন্য আজকে হয়তো কাজ শেষ হয়ে যাবে ।বিকালের দিকে টিকিট কনফার্ম করে রাখিস আজকে রাতে আমরা ব্যাক করব।”
সাদাফ বললো ,”আজকে তোমাদের কাজ শেষ হবে না ।কাজ শেষ হবে আগামীকাল ।আগামীকালকে ব্যাক করবে।”
(আমার নাম নুরুন্নাহার নীলা Nurun Nahar Nila) ভেরিফিকেশন এর জন্য আইডির নামে পরিবর্তন হতে পারে ।আইডি কার্ডের সাথে মিলিয়ে নাম রাখতে হয় নীলা অবশ্যই থাকবে তাই হঠাৎ নাম পরিবর্তন হলে ভাববেন না কাকে ফলো দিয়ে রাখছেন ।আবার আনফলো করে দিবেন না।)
হুমায়ুন রহমান বললেন,” না না কাজ আজকে শেষ হয়ে যাবে ।তুই টিকিট কনফার্ম কর ।”
সাদাফ বললো,” বাবা তুমি বুঝতে পারছ না ! আজকে কাজ শেষ হবেনা মানে শেষ হবে না ।তোমাদের কাজ কালকে শেষ হবে ।কালকে টিকিট কনফার্ম করা আছে কালকে তোমরা ব্যাক করবে ।আর বারবার ছেলেকে ফোন করে এভাবে প্রাইভেসি নষ্ট করবে না ।কেমন বাবা তুমি বারবার ছেলেকে ফোন দাও?
বুঝতে পেরেছ কালকে টিকিট কনফার্ম করা আছে ?তোমাদের কাজ কালকে শেষ হবে আজকে রেস্ট নাও ।কালকে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরবে বাই।”
বলেই ফোন কেটে দিলো সাদাফ।
হুমায়ূন রহমান ফোনটির দিকে তাকিয়ে রইলেন ।অবাক নয়নে বুঝতে চাইলেন ছেলে কি বুঝাতে চাইলো ?ছেলে আগে থেকে জানে কাজ শেষ হবে না নাকি ছেলে চাচ্ছে আজ কাজ শেষ হবে না কালকে শেষ হবে?
এদিকে ফোন কে*টে সাথে সাথে বিছানা থেকে নেমে পড়ল সাদাফ।দেখলো নুর কাপড়চোপড় নিয়ে যায়নি কারণ কাপড়চোপড় সাদাফ এর কাছে আলমারির ভিতরে ব্যাগ রেখেছিল।
সাদাফ উঠে আলমারির সামনে গিয়ে নতুন ব্যাগ গুলো বের করল ।সেখান থেকে বের করলো নতুন একটি শাড়ি পেটিকোট ব্লাউজ ।হঠাৎ করে মনে পড়ল আরেকটি ব্যাগ আছে সেখান থেকে একটি ম্যাচিং ইনার বের করে একসাথে করে ওয়াশরুমে দরজায় নক করতে লাগলো।
নুর ওয়াশরুম থেকে সাড়া দিয়ে বললো,” তুই তো কাপড়চোপড় তোয়ালে কোন কিছুই নিয়ে যাসনি ?এমনি ঢুকে গিয়েছিস ।দরজা খোল কাপড় নে।”
নূর সরল মনে দরজা খুলতেই সাদাফ হাত ধরে ফেলল।
নূর ভয় পেয়ে গেল ।শুধু হাত দেখা যাচ্ছে নুরের ।দরজা আড়ালে দাঁড়িয়ে বললো,” এরকম করছেন কেন হাত ধরেছেন কেন ?কাপড়চোপড় দিন বলছি।”
সাদাফ মৃদু হাসলো ।হেসে বললো,” তোর চেহারা না দেখে কাপড়চোপড় কি করে দিব?”
নুর বললো,” প্লিজ কাপড়চোপড় দিয়ে দিন এখন আমি চেহারা দেখাতে পারব না?”
সাদাফ বললো ,”কেন কি এমন করেছিস তুই চেহারা দেখাতে পারবি না ?এই কথা তো আমার বলা উচিত আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে ।আমি চেহারা দেখাতে পারবো না কাওকে ।সবাই জানবে আমার ভা*র্জিনিটি তুই ছিনিয়ে নিয়েছিস।এখন চেহারা দেখা কাপড়-চোপড় নে।”
নূর বললো,” ছিঃ আপনার মাথায় শুধু সারাদিন এসব কথাবার্তা ঘুরে ?কি করেছি আমি রাত্রে বেলা যে আপনি চেহারা দেখাতে পারেন না ?”বলে আর একটু উঁকি মেরে দরজার কোনায় চেহারা বের করল নূর।
সাদাফ সাথে সাথেই নূরের দিকে তাকিয়ে দুষ্ট হেসে বললো,” বেগম নুরজাহান আপনি আপনার শাহজাদা সেলিমকে রেখে একা একা গোসল করতে পারেন না ।এটা ঘোর অন্যায় ।ঘোর অপরাধ।”
বলেই নুর কিছু বলবে বা কোন রিয়েকশন দেখাবে তার আগে সাদাফ দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে গেল ।ভিতরে ঢুকেই নূরের দিকে তাকিয়ে বললো,” এভাবে গোসল করছিস কেনো? চাদর যে ভিজালি এটা কে ধুবে এখন? চাদর রেখেই তো গোসল করতে পারতি?”
নুর লজ্জার সাথে সাথে চোখ নিচু করে ফেললো। পুরো শরীর যুবযুবে ভিজা পানিতে ।চাদর ভিজে যেন নুরের শরীরের অবয়ব সম্পূর্ণই দেখা যাচ্ছে ।নুর কোনমতে নিজেকে ঢেকে আড়াল করে বললো,” গোসল করতে এসেছেন চুপচাপ গোসল করেন আর একটা বাজে কথা বলবেন না।”
নুরের সাথে সাথে চোখ গেল সাদাফের হাতের দিকে। এগুলো শাড়ি ব্লাউজ পেটিকোট সাথে একটি নতুন ইনার যার ট্যাগ এখনো লাগানো আছে ।তার মানে এই লোক তখন ইনার কিনতে গিয়েছিল । ছিঃ ! লজ্জায় নুর সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
বললো,” এগুলো আপনার হাতে কেন ?আর এগুলো আপনি কেন এনেছেন?”
সাদাফ বুঝতে পারল নুর কেন লজ্জা পাচ্ছে ! আরেকটু সামনে গিয়ে ধরে বললো,” তাহলে কি এগুলো ছাড়াই পড়বি? অবশ্য নট ব্যাড। তুই যদি শুধু শাড়ি পেচিয়ে আমার সামনে আসিস আমার কোন সমস্যা নেই ।আমি শুধু শুধু ম্যাচিং করে ব্লাউজ ইনার পেটিকোট এগুলা আনতে গিয়েছিলাম। আমার উচিত ছিল শুধু শাড়ি আনা। তুই আমার সামনে শুধুমাত্র শাড়ি পেচিয়ে থাকবি তাতে বরং আমার লাভ হতো ।ভুল করে ফেলেছি এগুলো তোর জন্য নিয়ে এসে ।ঠিক আছে এগুলো ভিজিয়ে দিচ্ছি তুই আর পড়তে পারবি না ।”বলে যে ভিজাতে যাবে ওমনি নূর সাদাফের হাত ধরে ফেলল।
সাদাফের হাত ধরতে গিয়ে নূর নিজের গায়ের চাদরটি ছেড়ে দিয়েছিল যার কারণে চাদরটি নিচে পড়ে গেল ।সাদাফ হা হয়ে তাকিয়ে রইল নূরের দিকে ।নূর বুঝে উঠতে পারল না কি থেকে কি হয়ে গেল ? জোরে চিৎকার করে উঠল নূর ।সাদাফ সাথে সাথে নুরের মুখ চেপে ধরে বললো,” চুপ কর চুপ কর ।পাশের ফ্ল্যাটে সবাই জেনে যাবে কিছু একটা হচ্ছে।আর এভাবে আমার উপর অত্যাচার না করলে হয়না?
আর এতো চিৎকার করার কি আছে ?কাল এমন কি আছে যা আমি দেখিনি ?আর নতুন করে কি দেখবো ছোটবেলা থেকে দেখছি। আমার সামনে না হলেও হাজারবার গোসল করেছিস আজ এত ঢং করছিস কেন?”
“চুপ করুন তখন আমি ছোট ছিলাম ।”বলেই নুর অন্যদিকে ঘুরেই নিজেকে আড়াল করতে চাইলো।
সাদাফ সাথে সাথে নুরকে জড়িয়ে ধরল নূরকে লজ্জা হাত থেকে বাঁ*চানোর জন্য ।তারপর ধীরে ধীরে কানে কাছে মুখ নিয়ে বললো,” তুই তখনও আমার থেকে দশ বছরের ছোট ছিলি এখনো তুই আমার থেকে দশ বছরের ছোট ।তাই লজ্জা পেতে হবে না আমার বুকে থাক।আর এভাবে আমাকে অত্যাচার করিস না ।রাত ভর পরিশ্রম করে আমি ভিষন টায়ার্ড।তুই ইচ্ছে করে আমাকে দিয়ে ওভার ডিউটি করাতে চাইছিস এভাবে আমার সামনে দাঁড়িয়ে।”
নুর ভয় পেয়ে বললো,” মানে?”
সাদাফ দুস্টু হেঁসে বললো,” মানে বুঝাচ্ছি।”
কি মানে বুঝালো ভাই আমি বলতে পারি না ।ওয়াশরুম থেকে চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে সাদাফ বারবার বলছে চুপ কর ।পাশের ফ্ল্যাটে সবাই জেনে যাবে।
চলবে__
Neela Rahman
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৩+২৪
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৮৩
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭+৮
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৫
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৪
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৪৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৫৮