সুখময় যন্ত্রনা তুমি
neela_rahman
পর্ব_১০৪+১০৫
হুমায়ূন রহমান বাড়ির দরজা লক করা দেখেই সাথে সাথে চমকে উঠলেন ।বাড়ি দরজা তো লক থাকার কথা না বাহিরে থেকে ।ফজলুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বললেন বাড়ি তালা কেনো?”
ফজলুর রহমান বললেন ,”তাতো জানি না।ফোন দিচ্ছি দাড়াও।”
হুমায়ূন রহমান বললেন ,”তাড়াতাড়ি ফোন দে ।টেনশন হচ্ছে আমার ।কেন যেন মনে হচ্ছে কিছু ঠিক নেই ।কোথায় গেল সবাই ?আমাদের কিছু জানালো না কেন?”
ফজলুর রহমান ফোন দিলেন সামিহা বেগমকে ।সামিহা বেগম ভুল করে ফোন রেখে গিয়েছেন তাই ফোন দিলেন সাইমন কে ।কয়েক রিং হওয়ার সাথে সাথে সায়মন ফোন ধরতেই ,” ফজলুর রহমান বললেন কিরে তোরা সবাই কোথায় ?বাড়ি বাইরে থেকে তালা কেন ?কি হয়েছে আমাদের ফোন দিস নি কেন?”নীলা রহমান
সাইমন বলল ,”বাবা আমরা সবাই হসপিটালে এসেছি ।নূরের ভীষণ জ্বর তাই হসপিটালে নিয়ে এসেছিলাম। তোমরা অফিসে ব্যস্ত ছিলে হয়তো কোন ঝামেলা হয়েছে তাই ।আর নতুন করে টেনশন দিতে চাইনি তাই আমরাই নিয়ে এসেছি নুরকে হসপিটালে। এক কাজ করো তোমরা হসপিটালে চলে এসো।”
হুমায়ূন রহমানের হৃদয়টা থমকে উঠল কথাটি শুনে ।নুর হসপিটালে !কি হয়েছে কি এমন জ্বর যার জন্য হসপিটালে নিয়ে গেছে ? এমনকি ওনাদেরকে জানায়নি পর্যন্ত।
নওরিন আফরোজ এর উপর ভীষণ রাগ হলো হুমায়ুন রহমানের ।এরকম নাদানের মত কাজ কি করে করল ?বাড়ির কাউকে জানায়নি এদিকে হঠাৎ করে মনে পড়ল সাদাফ জানতে পারলে কি করবে ?
ও তো পাগল হয়ে যাবে ।এই মুহূর্তে অফিসের টেনশন তার উপর যদি শুনতে পারে নূরের শরীরের কথা তাহলে তো ভেঙে পড়বে সাদাফ।ফজলুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বললেন ,”সাদাফকে কি জানাবো?”
ফজলুর রহমান বললেন ,”আগে আমরা যাই যেয়ে দেখি ।এই মুহূর্তে সাদাফ কে জানালে ও সহ্য করতে পারবে না ।এমনি অনেক টেনশনের মধ্যে আছে ।আগে চলো আমরা যেয়ে দেখি কি হয়েছে তারপর না হয় জানানো যাবে।”
হুমায়ূন রহমান মনকে বোঝাতে পারছে না ।বারবার ছেলের কথা মনে পড়ছে ।ছেলে যখন প্রশ্ন করবে কেন আমাকে জানালে না তখন কি উত্তর দিবে হুমায়ূন রহমান?
এদিকে সাদাফ ড্রয়ার থেকে নুরের লাল টুকটুকে শাড়ি পরা বিয়ের ছবিটি বের করে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল ।অদ্ভুতভাবে হাত কাঁপছে সাদাফের ।
থেকে বারবার নূরের কথা মনে পড়ছে ।এমন ভাবে নুরকে নিয়ে ভাবতে হয়নি কখনো সাদা ফের আজ শুধু যেন মিস করছে না বা অনুভব করছে না একটা ভয় একটা দ্বিধা সংশয় নিয়ে মনে পড়ছে নূরকে। নুরকে হারানোর ভয় জেকে ধরেছে সাদাফের ভিতর ।
কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছে না সাদাফ।সাথে সাথে টেবিল থেকে মোবাইলটি নিয়ে ফোন লাগালো নূরের নাম্বারে ।রিং হচ্ছে কেটে যাচ্ছে রিং হচ্ছে কেটে যাচ্ছে ।কিন্তু ফোন ধরছে না নুর ।সাদাফের হৃদয়টা বারবার কেঁপে উঠছে।
এদিকে সাদাফ ড্রয়ার থেকে নুরের লাল টুকটুকে শাড়ি পরা বিয়ের ছবিটি বের করে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল ।অদ্ভুতভাবে হাত কাঁপছে সাদাফের ।
থেকে বারবার নূরের কথা মনে পড়ছে ।এমন ভাবে নুরকে নিয়ে ভাবতে হয়নি কখনো সাদা ফের ।আজ শুধু যেন মিস করছে না বা অনুভব করছে না একটা ভয় একটা দ্বিধা সংশয় নিয়ে মনে পড়ছে নূরকে। নুরকে হারানোর ভয় জেকে ধরেছে সাদাফের ভিতর ।
কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছে না সাদাফ।সাথে সাথে টেবিল থেকে মোবাইলটি নিয়ে ফোন লাগালো নূরের নাম্বারে ।রিং হচ্ছে কেটে যাচ্ছে রিং হচ্ছে কেটে যাচ্ছে ।কিন্তু ফোন ধরছে না নুর ।সাদাফের হৃদয়টা বারবার কেঁপে উঠছে।
ছয় বছর আগে আমেরিকা যাওয়ার তিন দিন আগে যখন মারামারি করে বাসায় ফিরেছিল সাদাফ রক্তাক্ত অবস্থায় মনে পরল সেই বিভীষিকাময় দিনটির কথা ।ভীষণ মেরেছিল সাজিদকে অর্থাৎ আকাশ আহমেদকে ।এতটাই মেরেছিল এতটাই মেরেছিল শুধু জানে মরে যায়নি তবে চেহারার অবস্থা খা*রাপ করে দিয়েছিল।পুরো মুখ যেনো থেতলে দিয়েছিলো সাদাফ।
তাই কি চেহারার এত পরিবর্তন ?কোনোভাবে কি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিল চেহারার ?করাতেও পারে।ধনী ছিল সাজিদদের পরিবার ।হয়তো কাটা ছেঁড়া চেহারা নিয়ে থাকতে চাইনি তাই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছে যার জন্য সাদাফ চিনতে পারছিল না।
এই সেই সাজিদ যে সেদিন ১০ বছরের নুরকে কোলে নিয়ে চু*মু খেয়েছিল ।নিজের বউ বলে দাবি করেছিল সবার সামনে।বলেছিল বড় হয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে।বউ বানাবে।
কথাটি সেদিন মেনে নিতে পারেনি সাদাফ।যদিও বন্ধু ছিল তারপরও নুরকে কোলে নিয়ে এভাবে চুমু খাওয়া কোনভাবে সহ্য করতে পারেনি সাথে সাথে সেই দিনই চরমভাবে আঘাত করেছিল সাজিদকে ।বন্ধুরা না আটকালে হয়তো মেরে ফেলত এতটা রাগ এতটা হিংস্রতা কখনো সাদাফ নিজের মধ্যে অনুভব করেনি ।সেদিনই প্রথম অনুভব করেছে ।নূরের গায়ে একটি স্পর্শ পর্যন্ত সহ্য করতে পারবে না সাদাফ।এবার সেটা যে কেউ দেক। বন্ধু হোক বা অন্য কেউ নূরের গায়ে কোন স্পর্শ সাদাফ ছাড়া অন্য কেউ করতে পারবে না।
পুলিশ কেস করতে চেয়েছিলো সাজিদের পরিবার কিন্তু ভিডিও ফুটেজ এবং বন্ধু-বান্ধবের বয়ান অনুযায়ী সাজিদ আগে শুরু করেছিল মা*রামারি তাই দুই পরিবার নিজেদের সম্মান রক্ষায় পুলিশ কেস করেনি তাই সবকিছু সমঝোতা করে ফেলেছিলেন হুমায়ূন রহমান। তিন দিনের মধ্যেই আমেরিকা পাঠিয়ে দিয়েছিল সাদাফ কে।
যদিও সাদাফ যেতে প্রস্তুত ছিল না ।কিন্তু বুঝিয়ে শুনিয়ে নুরকে বিয়ে দিয়ে তারপর সাদাফ কে পাঠানো হয়েছিল ।হুমায়র রহমান ভেবেছিলেন নুর তখন ছোট বুঝেনা সাদাফ হয়তো বড় হলে বা কিছুদিন পর হলে ভুলে যাবে।
কিন্তু এই ভালোবাসা এই টান যে ভোলার মত ছিল না তা তখনও বুঝতে পারেনি হুমায়ূন রহমান।
তড়িঘড়ি করে হসপিটালে এসে পৌছলেন দুই ভাই ।এসেই দেখলেন নূর ক্যাবিনে শুয়ে আছে জ্ঞান নেই ।তবে ব্লাড নেওয়া হচ্ছে সিস্টার সব টেস্ট করানোর জন্য ব্লাড নিচ্ছে ।বাড়ির সবাই দাঁড়িয়ে আছে ক্যাবিনে।
ফজলুর রহমান সামিহা বেগমের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললেন ,”আমাদের জানাওনি কেন ?একা একা হসপিটালে চলে এসেছ যদি রাস্তায় কিছু হয়ে যেত?
সায়মন কতটুকু ছেলে ?ও একা একা কি করে সামলাবে? সবগুলো মেয়ে মানুষ তোমরা আমাদের জানাও নি কেন?
আর নুরের কি হয়েছে সত্যি করে বল ?জ্বরের জন্য তো হসপিটালে আসার কথা নয়?”
সামিহা বেগম ফজলুর রহমানকে ইশারা করলেন ক্যাবিন থেকে বের হয়ে আসতে ।ফজলুর রহমান কেবিন থেকে বের হয়ে আসলে সামিহা বেগম কেবিনে দরজা চাপিয়ে দিয়ে বললেন ,”নূরের আসলে দুইদিন ধরে পিরিয়ড হয়েছে।সময়ের আগে হয়েছে ভীষণ ব্যথা।
যখন দেখলাম আর সহ্য করতে পারছে না আমাদেরও কেমন টেনশন হচ্ছিল তাই নিয়ে এসেছি । জ্বর ও ছিলো।”বলেই সামিহা বেগম তাকালেন ফজলুর রহমানের দিকে ।ফজলুর রহমানের কলিজাটা কেঁপে উঠল যেন ভয়ঙ্কর কোন কথা শুনছেন বা মনে পড়ে গেল ফজলুর রহমানের ।উনি মাথা ঘাম মুছতে লাগলেন।
চলবে__
সুখময়যন্ত্রনাতুমি
neela_rahman
পর্ব_১০৫
সাদাফ বারবার অধৈর্য হচ্ছে ।অধৈর্য হাতে কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন দিচ্ছে বারবার নুরকে কিন্তু নূর ফোন ধরছে না ।নুর কি তবে ঘুমিয়ে গেছে ?আচ্ছা ওর কি ব্যথা কমেছে ?একবারও তো ফোন দিয়ে জানতে চাইলো না নুর ?কি হতে পারে ?ঘুমিয়ে গেল নাকি ?পরে চিন্তা করল তাহলে মাকে ফোন দিয়ে দেখি।
নওরিন আফরোজ কে ফোন দিল কিন্ত নওরিন আফরোজ তো ফোন নিয়ে যায়নি তাই নওরিন আফরোজের ফোনও কেউ ধরছে না ।এবার খুব চিন্তিত হচ্ছে সাদাফ।কেমন যেন লাগছে বুকের ভিতর উসখুস করছে ।ফোন দিলো সায়মনের মোবাইলে ।তিন চার রিং হওয়ার পর সাইমন ফোন ধরল ।ফোন ধরে ব্যস্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল নূর কোথায় ?নূরের কি হয়েছে ফোন ধরছে না কেন?”
সায়মন কি উত্তর দিবে বুঝতে পারছে না।আমতা আমতা করতে লাগলো ।তারপর ভয়ে ভয়ে বলল ,”ভাইয়া আমরা সবাই হসপিটালে ।নূরের শরীরটা ভীষণ খারাপ ।পেটে ভীষণ ব্যথা ছিল আর জ্বর ১০২ এর উপরে তাই হসপিটালে নিয়ে এসেছি ।আব্বু আর বড় আব্বু ও হসপিটালে এসেছে কিছুক্ষণ আগে আমরা সবাই হসপিটালে এসেছি ।তবে নূরের জ্ঞান নেই। টেস্ট করতে দিয়েছে ।ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে নূর ঘুমাচ্ছে।”
কথাগুলো শুনে সাদাফ কি বলবে বুঝতে পারলো না যেন চুপ হয়ে গেল । বাকশক্তি যেনো হারিয়ে গেছে সাদাফের।কোন রিয়্যাকশন নেই ।যেনো ঝড়ের আগের নিরবতা।কিছুক্ষণ পর শুধু বলল ,”কোন হসপিটালে ?”
সাইমন ভয়ে ভয়ে বললো,” এভার কেয়ার হসপিটালে।”
হসপিটালের নাম শুনতেই সাদাফ সাথে সাথে ফোন কেটে দিল।
এদিকে নূরের হালকা হালকা জ্ঞান ফিরেছে ।জ্ঞান ফিরেই পিট পিট করে তাকিয়ে দেখলো আসে পাশে।ফজলুর রহমান আর হুমায়ূন রহমানে কে সামনে দাঁড়ানো দেখলো ।নূর পিটপিট করে চোখ খুলে দুজনের দিকে তাকিয়ে শুধু একবার বলল সাদাফ ভাই।
হুমায়ূন রহমান চুপ হয়ে গেলেন। ফজলুর রহমান বললেন,” আসবে মা তোমার সাদাফ ভাই রাস্তায় আছে আসবে ।তুমি উত্তেজিত হয়ো না ।নূরের মাথায় হাত বুলিয়ে কথাগুলো বলতে লাগলেন ফজলুর রহমান ।নুর আবার চোখ পিটপিট করে তাকালো ।ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার কারণে বেশিক্ষণ চোখ খুলে রাখতে পারছে না নূর ।তবে ব্যথা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।
নুর বলল ,”তাড়াতাড়ি আসতে বলো। আমার তো ঘুম চলে আসছে ।সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে ।তাড়াতাড়ি আসতে বলো।”বলে আবার চোখ বন্ধ করে ফেলল নূর।
ফজলুর রহমান ও হুমায়ুন রহমান যেনো পাগল প্রায়। একদিকে অফিসের ঝামেলা আরেক দিকে নুর।
ফজলুর রহমান অসহায় দৃষ্টিতে তাকালেন বড় ভাই হুমায়ূন রহমানের দিকে ।হুমায়ূন রহমান যেন ছোট ভাইয়ের আকুলতা বুঝতে পারলেন ।ফজলুর রহমান বললেন ,”ভাইজান সাদাফকে বলেন তাড়াতাড়ি আসতে ।আমার মেয়ের ঘুম চলে আসছে ।ঘুম আসার আগে যেন চলে আসে।”
হুমায়ূন রহমান বুঝতে পেরেছিলেন তারপরও যেন এতটুকু কথার অপেক্ষা করছিলেন ।তাড়াতাড়ি ব্যস্ত হাতে ফোন দিলেন সাদাফকে কিন্তু সাদাফ ফোন ধরছেনা ।সাদাফ ফোন ধরবে কি করে সাদাফ গাড়ি চালানোতে ব্যস্ত ।এত দ্রুত ড্রাইভ করছে যে ওর এদিক-ওদিক আর কোন খবর নেই। কতো দ্রুত নুরের কাছে পৌঁছাবে সেই চিন্তায় ড্রাইভ করছে সাদাফ।
সাদাফের যেন মনে হচ্ছে ২০ মিনিট ধরে নয় যেন ২০ জনম ধরে কার ড্রাইভ করছে কিন্তু দূরত্ব মেটাতে পারছে না।যেন শত শত ক্রোর মাইল দূরত্ব নুরের সাথে তৈরি হয়ে গিয়েছে সাদাফের ।সময়ের পর সময় পার হয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটা মিনিট প্রত্যেকটা মুহূর্তে যেন বছরের চেয়েও দীর্ঘ মনে হচ্ছে সাদাফের এর কাছে। নীলা রহমান
অতঃপর এভার কেয়ার হসপিটালে সামনে এসে গাড়ি থামতেই দারোয়ানের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে চাবি দিয়ে বলল ,”দ্রুত পার্ক করিয়ে দিন কাওকে দিয়ে।”
বলেই হসপিটালের ভিতরে ছুট লাগানো সাদাফ।
হসপিটালের লবিতে পৌঁছতেই বুঝতে পারলো নুর কোন ফ্লোরে তার তো জানা হয়নি।ব্যতিব্যস্ত হয়ে মোবাইল খুজতে শুরু করলো সাদাফ। কিন্ত কোথাও মোবাইল পাচ্ছে না । বুঝতে পারলো গাড়ীতে রেখে এসেছে।সাথে সাথে রিসেপশনে কাছে গিয়ে বলল ,”আমাকে একটি ফোন দিন ।আমাকে একটু ফোন করতে হবে জরুরি।”
রিসেপশন থেকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করল সায়মন।
হাঁপাতে হাঁপাতে জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে কোনমতে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সাদাফ জিজ্ঞেস করল ,”নূর কোথায় ?কোন ফ্লোরে আসতে হবে ?তাড়াতাড়ি বল ।”
সাইমন বলল ,”৭ নং ফ্লোরে চলে এসো ।লিফটের ছয় চাপলেই হবে ।সাথে সাথে ফোন রেখেই দৌড় লাগালো সাদাফ লিফটের এর কাছে । লিফ্ট গুলো সব ব্যস্ত পেল যেন এক মিনিট সময়ও সহ্য হচ্ছে না সাদাফের।
তাই দৌড়ে চলে গেল সিঁড়ির কাছে ।সিঁড়ি বেয়ে পাগলের মত উঠতে লাগলো সাদাফ।
দুটি ফ্লোর উঠেই সাদাফ একটি লিফট ফাঁকা পেল ।সাথে সাথে লিফটের ভিতরে গেল । অধৈর্য্য হচ্ছে বারবার ।দেখতে লাগলো কতক্ষনে ৬ নাম্বার ফ্লোরে আসবে ।ঠিক মিনিট দুয়েকের মধ্যে ৬ নং ফ্লোরে উঠে গেল সাদাফ।তাড়াতাড়ি লিফ্ট থেকে নেমেই ব্যস্ত হয়ে দৌড়ে লাগালো। কিন্ত কোন ক্যাবিনে যাবে? ক্যাবিনের কথা তো জিজ্ঞেস করা হয়নি কত নাম্বার কেবিনে আছে।
তাই একটি একটি করে সব কেবিনেই উকি মারতে লাগলো সাদাফ।দরজা খুলে না পেয়েই বললো, ” সরি।”
এভাবে দু-একটা কেবিন উঁকি মারতেই কাঙ্ক্ষিত ক্যাবিন টি পেয়ে গেল ।যেখানে বাইরে দাঁড়িয়ে দেখলো দরজা হালকা খোলা। ধীরে ধীরে সাদাফ এগিয়ে গেলো ক্যাবিনের দিকে। নিঃশ্বাস আটকে যাচ্ছে সাদাফের। এক পা দু পা করে ক্যাবিনের ভিতরে আসতেই দেখল নূর চোখ পিটপিট করে তাকালো সাদাফের দিকে ।সাদাফ ও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নূরের দিকে।
যেন শত শত মাইল পার করে এসেছে এই একটি শুভ দৃষ্টির জন্য ।সাদাফের যেন জীবনটা বের হয়ে যাচ্ছে ।নূরের দিকে অপলক চেয়ে আছে ।নুরেরে যেন মনে হচ্ছে নিঃশ্বাসটা একটু স্থির হলো সাদাফ কে দেখে।নিভু নিভু নয়নে তাকিয়ে রইল সাদাফের দিকে।
কিন্তু ঘুমটা বড্ড বেইমানি করছে নূরের সাথে। চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে পারছে না নুর।খুব কষ্ট হচ্ছে ।কিন্তু নূর কষ্ট করবে।চোখ বন্ধ করবে না নুর।দেখবে চেয়ে চেয়ে তার সখের পুরুষ টি কে।
চলবে__
Share On:
TAGS: নীলা রহমান, সুখময় যন্ত্রণা তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৮৫
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৮৪
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২০+২১+২২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৮৩
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭৩
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৬
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯২
-
সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭+২৮
-
সুখময় যন্ত্রনা তুমি পর্ব ৯৫