বেলতুলি – [০৯]
লাবিবা ওয়াহিদ
[অন্যত্র কপি সম্পূর্ণ নিষেধ]
মৌনো আশিককে থাপ্পর দিয়েছে, এটা ভার্সিটিতে ছড়াতে সময় লাগল না। হাফসা নেই, এজন্য এখনো এই খবর তার কান অবধি পৌঁছায়নি। মৌনো এরকম এক সাহসিকতা দেখাবে সেটা কারো কল্পনাতে ছিল না। মৌনো যথেষ্ট ভদ্র ধরণার মেয়ে। মাটির দিকে চেয়ে ভার্সিটি আসে আবার মাটির দিকে চেয়েই ফিরে যায়। তাই বুঝি কারো ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না। আশিককে পরীক্ষার পর আর কোথাও দেখা যায়নি।
মৌনো ভার্সিটি থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরল না। গেল রিয়াজ সাহেবের চেম্বারে। ভেবেছে বাবার কাছে আবদার করে বলবে বিরিয়ানি খাওয়াতে নিয়ে যেতে, এমনিতেই শার্টের দুশ্চিন্তা তার উপর আশিকের এই কাণ্ড। এখন রিকশা ধরে বাবার সাথে পুরান ঢাকা না গেলে চলছে না। লাগলে বাবাকে এই ভরদুপুরেই চেম্বার বন্ধ করে দিতে বলবে।
কিন্তু দেখা গেল মৌনোর সকল পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দেয় এশা। রিয়াজ সাহেব রোগী দেখছেন আর এশা আরাম করে এক পাশে বসে পটেটো চিপস খাচ্ছে। পাশেই আরেকটা চিপস আছে, বোনকে দেখতেই চট করে লুকিয়ে ফেলল। এশা এখনো স্কুল ইউনিফর্ম পরা। রিয়াজ সাহেব রোগী দেখার মাঝে মেয়েকে খেয়াল করে কিছুটা বিরতি নিলেন। এশার ব্যাপারটা নিজেই বললেন,
–“জুনায়েদ ফুটবল খেলতে গেছে, এজন্য তোর মাই বলল আমি যেন এশাকে নিয়ে আসি। বাড়ি যেতে চাইল না, তাই চেম্বারেই বসে আছে।”
এশা প্রায়ই এভাবে বাবার চেম্বারে এসে বসে থাকে, চিপস খায়, বাইরে চেয়ে নানান মানুষদের দেখে। বাবার অতি আহ্লাদী মেয়ে কিনা। রিয়াজ সাহেব আবার তার সব মেয়েকেই বেশ আহ্লাদ করেন। এজন্য প্রায়ই তার সমবন্ধুরা তাকে বলেন, ‘আহ্লাদী বাবা, মেয়েদের একদম মাথায় চড়িয়ে রেখেছেন।’
অথচ জুনায়েদের ক্ষেত্রে এই আহ্লাদ খাটে না। সে প্রায়ই বাবার হাতে লাঠির বারি খায়, পাছা লাল হয়। একজন নানু আছেন, ফজি নানু। প্রণভের নানু, তার সাথে আবার জুনায়েদের বেশ সখ্যতা। যখন সে মুখ ফুলিয়ে বিচার দেয় তখন তিনি বলেন,
–“বাবারা ছেলেদের গায়ে হাত তুলেই আহ্লাদ করে। যদি দেখিস তোর পাছা লাল হয় নাই তুই ধইরা নিবি ওই আদরে গ্যাঞ্জাম আছে, ওইযে ফলে কি জানি দেয়? ওহ, ফম্মালির!”
জুনায়ের তখন মুখ ভোতা করে বলে,
–“ওটা ফম্মালির নয়, ফর্মালিন নানু।”
–“হয় হয়, ফর্মালিরই ওইডা। এহন যা। আবার পাছা লাল করে আইস, দোয়া পইড়া ফুঁ দিলে ব্যথা যাইব গা।”
রিয়াজ সাহেব মেয়ের বেজার মুখ দেখলেন, ততক্ষণে তার রোগী বিদায় নিয়েছেন ওষুধপত্র নিয়ে। রিয়াজ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন,
–“হঠাৎ আসলি যে? কোনো সমস্যা হয়নি তো?”
মৌনো চাইল না এশার সামনে বিরিয়ানির কথা উচ্চারণ করতে। বোনকে সে ভালো করেই চেনে। খাবারের কথা শুনলেই গলায় ঝুলে পড়বে। এই গরম মেজাজে বোনকে টানতেও চাচ্ছে না। মৌনো ইশারায় বাবাকে বিরিয়ানির কথা বুঝিয়ে বলল,
–“কিছু টাকা দাও, বই কিনব।”
রিয়াজ সাহেব তাকে বিরিয়ানির টাকাই দিলেন। বললেন,
–“আজ তোর মা খাবার পাঠিয়েছে, আমি আর আমার ছোটো মা এখানেই লাঞ্চ করব। তাই না মা?”
এশা বুক ফুলিয়ে মাথা নাড়ায়। মৌনো আর থাকল না। সে চলে গেল পুরান ঢাকার দিকে। তার ঘুরাফেরা বেশিরভাগ হাফসা, রিমঝিম আর জুনায়েদের সাথেই হয়। তারা যদি না থাকে তবে একাই। মৌনো পুরান ঢাকার যে গলিতে নামল বিরিয়ানির জন্য, একই হোটেলেই সে নিবিড়কে ঢুকতে দেখল। নিবিড়কে দেখে মৌনোর গলা শুকিয়ে কাঠ কাঠ। সে জানে পৃথিবী গোল, তাই বলে নিবিড় আজকেই আসবে? এই একই সময়েই? মৌনোর হঠাৎ মনে পড়ল, গতকাল শেইনা কয়েকবার বলছিল তার কাচ্চি খেতে ইচ্ছে করছে। একদম ভরদুপুরের পুরান ঢাকার কাচ্চি। কিন্তু তার স্কুল থেকে ওখান অবধি যাওয়ার অনুমতি নেই। সে নিয়ে মেয়েটার কী যে মন খারাপ।
আনমনে মৌনোও সেই একই হোটেলে ঢুকে পড়ল। কোথাও কী লেখা আছে, নিবিড় এক হোটেলে ঢুকলে তার প্রবেশাধিকার নিষেধ? নেই তো। মৌনো নিবিড়কে এড়িয়ে যেতে চাইল, কিন্তু নিবিড়ের ডাকে তার থামতেই হলো।
–“মৌনো।”
মৌনো তাকাল, দুজনের চোখাচোখি হলো। প্রখর রোদে নিবিড়ের মুখটা কেমন লাল হয়ে আছে। কপালের কোণ বেয়ে ঘাম ঝড়ছে। ক্লিন শেভ চেহারাটা বেশ ক্লান্ত লাগছে। মৌনো চোখ নামিয়ে বলল,
–“বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করছিল। তাই..”
নিবিড় মৌনোর কথা না শুনে হোটেলের এক লোকের উদ্দেশে বলল,
–“দুই প্লেট কাচ্চি দিন।”
মৌনো চমকে গেল। সে কাচ্চি পছন্দ করে না। সে কখন বলল কাচ্চি খাবে? নিজের পছন্দ কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া কেমন অভদ্রতা? মৌনো নিবিড়কে আটকাতে যেতেই নিবিড় খালি টেবিলের দিকে ইশারা করল। শক্ত কণ্ঠে বলল,
–“বস।”
নিবিড় আর কোনো কথা বলারই সুযোগ দিল না। মৌনোও ঝগড়াঝাঁটি চাইল না। যেখানে সে কখনো তর্ক করে জিততেই পারে না সেখানে অযথা শব্দ অপচয় করে লাভ কী? নিবিড় মৌনোর মুখোমুখি বসল। মৌনো নাক কুঁচকে দেখছে কীভাবে খাবার প্লেটে সার্ভ করছে বড়ো ড্যাগ থেকে। নিবিড় আচমকা নীরবতা ভেঙে বলল,
–“আজ কী বিশেষ কিছু?”
–“না।”
–“তবে হঠাৎ বিরিয়ানি খেতে আসলি যে?”
–“খেতে ইচ্ছে করলে আসব না? এর জন্য বিশেষ দিন হতে হবে কেন?”
খাবার নিয়ে আসতেই নিবিড় চুপ করে গেল। মৌনোর অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নিবিড়ের মুখ বলছে সে আরও অনেক কিছু বলবে। নিবিড় কাচ্চিতে হাত দিলেও মৌনো দিল না। নিবিড় তা দেখে তার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাতেই মৌনো বলল,
–“কী বলতে নিচ্ছিলেন?”
নিবিড় গাইগুঁই করল না, সে সর্বদাই স্পষ্টভাষী মানুষ।
–“শুনলাম কোন ছেলেকে নাকি চড় দিয়েছিস?”
মৌনো অবাক হলো নিবিড়ের কথা শুনে। সে জানল কী করে? নিবিড়ের তো ভার্সিটিতে কী হচ্ছে না হচ্ছে তা জানার কথা নয়। নিবিড়ের স্পাইও নেই সেখানে। রত্না জানলেও জানতে পারে, কিন্তু এই কম সময়ে রত্নার সাথে দেখা হবেই বা কোথায়? আর রত্নাকে যতদূর চিনে, রত্না কখনোই নিবিড়কে তার কথা বলে সময় খরচ করবে না।
–“কী বললেন?”
–“মেরেছিস কিনা সেটা কনফার্ম কর। আমি শিওর নই।”
মৌনো থমথমে গলায় বলল,
–“হুঁ, দিয়েছি।”
–“কেন?”
–“ঠকবাজ ছেলেটা। আমার বান্ধবীকে ঠকিয়ে আমাকে প্রপোজ করতে এসেছে। আমার জন্যই নাকি আমার বান্ধবীর সাথে প্রেম করছে।”
নিবিড়ের চোয়াল শক্ত হলো। মৌনো ভাবল এই বুঝি নিবিড় তাকে রাগ দেখাবে। আজকাল এমন মাতব্বরি কেউ করে? কিন্তু নিবিড় তাকে বলল,
–“আরও দুটো বেশি দিতে পারলি না? আমিও তো ভার্সিটিতেই ছিলাম, দিতি এক ডাক।”
নিবিড় ভার্সিটিতে ছিল? মৌনো চমকে গেল যেন।
–“আপনি ভার্সিটিতে কী করছিলেন?”
নিবিড় গিয়েছিল প্রিন্সিপালের কাছে দরকারে, আগেও একবার যাওয়া হয়েছে তার। কিন্তু কী কাজ সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত। গোপনীয়তা বজায় রেখে বলল,
–“প্রিন্সিপালের দিকে। আসার পথে শুনি তুই নাকি কাকে চড় দিয়েছিস, কনফার্ম ছিলাম না।”
মৌনোর মনে পড়ে গেল, একবার নিবিড়কে সে প্রিন্সিপালের কেবিনে প্রবেশ করতে গেছিল। তাই এ বিষয়ে সে মাথা ঘামায় না। নিবিড় আর সেই ছেলের ব্যাপারে ঘাটল না। কাচ্চির লোকমা তুলল মুখে। মৌনো নিজে খাওয়া বাদ দিয়ে শক্তপোক্ত মানুষটার খাওয়া দেখছে। বহুদিন পর নিবিড়কে সামনে থেকে খেতে দেখছে। নয়তো যা লুকোচুরির সময় কেটেছে। শুনেছে মা নাকি এই সপ্তাহের শুক্রবারে নিবিড়দের দাওয়াত করেছেন। সে এখনো ভাবছে, নিবিড় কেন এখনো তার শার্ট নিয়ে রাগ দেখায়নি?
–“খাচ্ছিস না কেন? ঠান্ডা হয়ে গেলে তোর খবর খারাপ আছে।”
নিবিড়ের হুমকিতে মৌনো বাস্তবে ফিরে এলো, নিজের প্লেটের দিকে তাকাল। নিবিড় গলায় গাম্ভীর্য ফুটিয়েই বলল,
–“খা, ছাত্রজীবনে প্রায়ই এসে খেয়ে যেতাম এখান থেকে। এই কাচ্চিটা অন্যরকম।”
মৌনো এই হোটেলের কাচ্চির সুনাম শুনেছে আগে থেকেই। তবে সে কাচ্চি এড়িয়ে সবসময় তেহারি আর চিকেন বিরিয়ানিটাই খায়। কখনো কাচ্চি মুখে তুলেও দেখেনি। কেন যেন তার কাচ্চি ভালো লাগে না, স্বাদ পায় না সে। কিন্তু আজ খাবার নষ্ট হবে, তার উপর ঘাড়ের ওপর নিবিড়ের হুমকি.. না খেয়েও থাকা যাচ্ছে না। একরাশ বিতৃষ্ণা নিয়েই সে এক লোকমা মুখে পুড়ল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তার তৃপ্তিতে চোখ বুজে এলো। অতি খুদায় কিনা কে জানে, সে পরপর কয়েকবার মুখে পুড়ল। খাসির মাংসটা এত দারুণ হয়েছে, একদম নরম। স্বাদ যেন মাংসের প্রতিটা কামড়ে পাওয়া যাচ্ছে। অস্ফুট স্বরে সে আওড়ায়,
–“এত স্বাদ!”
ঘ্রাণে যা খাচ্ছে পেট যেন ততই খালি হচ্ছে। নিবিড় নীরবে খেতে খেতে মৌনোর খাওয়া দেখছে। নির্ঘাত মেয়েটার খুদা পেয়েছে। নিবিড় জগ থেকে পানি ঢালে। মৌনো ভাবে তার জন্য, সে হাত এগিয়ে নিতেই দেখল নিবিড় নিজেই পান করছে। মৌনো নিজ মনে তাকে গাল-মন্দ করে নিজের নির্ধারিত গ্লাসটায় পানি ঢেলে খেল।
খাওয়া শেষে নিবিড়ই বিলটা দিল, যা মৌনো একদমই আশা করেনি। নিবিড় শেইনা, মা, বাবার জন্যেও নিয়েছে। মূলত শেইনার জন্যই ভার্সিটি হয়ে সোজা এখানে এসেছে। তবে আরেকটি প্যাকেটও আছে। সেটা মৌনো খেয়াল করেনি। সুখের ঢেঁকুর তুলে মৌনো বাইরে দাঁড়িয়ে রিকশার অপেক্ষা করতে লাগল। নিবিড় এক রিকশা ডেকে মৌনোর উদ্দেশে বলল,
–“উঠ!”
মৌনো অবাক হলো। নিবিড় তার সাথে বসে.. একই রিকশায় দুজন! মৌনো বিস্ময়ে হতভম্ভ। এটা কখনোই সম্ভব না। মৌনো কিছু বলতে নিবে নিবিড় ধমকাল,
–“কানে শুনিস না? কথা রিপিট করতে হচ্ছে কেন?”
মৌনো ধমকে মুখ ভার করে রিকশায় উঠতেই দেখল নিবিড় মৌনোর ঝুলে যাওয়া ওড়নাটা মৌনোর কোলে তুলে দিল। কিন্তু নিজে উঠল না। পরপর ভাড়াটা দিয়ে বলল,
–“মেয়ে মানুষ মামা, সাবধানে যাবেন। আমি কিন্তু পেছনের রিকশাতেই আছি।”
বলেই মৌনোর দিকে না তাকিয়ে সে আরেকটা রিকশা ডাকল। মৌনো কিছু বলতে যাবে, আলাদা করে কেনা কাচ্চিটাও মৌনোর কোলে তুলে দিয়ে বলল,
–“বাসায় গিয়ে খাবি। তোর শার্ট আমি সকালেই পেয়ে গেছি। মাথায় চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
নিবিড় নিজের এক হাতেই রিকশার হুডটা তুলে দিয়ে পেছনের রিকশায় গিয়ে বসল। দুটো রিকশা সামনে-পিছে চলছে। মৌনো হুডের ফাঁকে দিয়ে নিবিড়কে একঝলক দেখে নিল। লোকটা রাজার মতো হুড খুলে শক্তপোক্ত মুখ করে বসা। এতক্ষণে বিকাল হয়ে গিয়েছে। বিকেলের নরম রোদ্দুর মানুষটার মুখে এসে পড়েছে। মৌনোর মুখে আজ কোনো ভয় নেই, বিরক্তি নেই, রাগও নেই। আছে বিস্ময়, বিমুঢ়, কোমলতা।
আজ শুক্রবার। বাবা-ছেলে জুম্মার নামাজ সেরে রিয়াজ সাহেবের বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে সোফিয়া খানম ফুঁসে যাচ্ছেন এক নাগাড়ে। এই বাপ-ছেলের ডাক্তার বাড়ির প্রতি আদিখ্যেতা তার কাছে বিষ বৈ আর কিছু লাগে না। মশিউর সাহেবকে গলা উঁচিয়ে বললেন,
–“আমি যে এতগুলা রান্না রাঁধলাম তা চোখে পড়ছে না আপনাদের বাপ-ছেলের? কেউ খেতে ডাকবে আর আপনারাও পেটে গামছা বেঁধে চলে যাবেন?”
মশিউর সাহেব গায়ে আবারও আঁতর মাখলেন। এবারের আঁতরের সুঘ্রাণটা তার বেশ মনে ধরেছে। আঁতরের সাথে ব্যস্ত হয়েই বললেন,
–“তুমি জানতে আজ আমাদের দাওয়াত, তাও রেঁধেছ নিজ খুশিতে। অবশ্য রাঁধতেই পারো, তুমি সৌখিন ভদ্রমহিলা, যার তার বাড়িতে তো আর আমাদের মতো গামছা পেটে দিয়ে খেতে চলে যাবে না।”
–“অপমান করছেন?”
–“একদমই না। তোমাকে অপমান করার সাধ্যি কার?”
সোফিয়া খানম তার তর্ক থামালেন না। দাওয়াতে যাওয়ার মুখে সোফিয়া খানমের এই ঘ্যানঘ্যান তার ভালো লাগল না। তিনি বুঝে পান না স্ত্রীর এত কিসের সমস্যা ওই পরিবার নিয়ে? বিরক্ত হয়ে আজ জিজ্ঞেস করেই বসলেন,
–“আমি বুঝি না সোফিয়া, তুমি কেন ওদের নিয়ে এসব বাজে বকো? কয়েক মাস আগেও তো রাজিয়া আপার সাথে তোমার ভালো সখ্যতা ছিল। এখন হুট করে কী সমস্যা হয়েছে বলবে?”
®লাবিবা ওয়াহিদ
চলবে~~~
[যারা যারা পড়ছেন, রেসপন্স করবেন যেন অন্য পাঠকদের ফিডেও গল্প পৌঁছায়।]
বিঃদ্রঃ রিচেক একটু পর দিচ্ছি। আর এই গল্পের পার্ট কিন্তু আগেরগুলোর চাইতে কিছুটা বড়ো। কথা দিয়েছিলাম ধীরে ধীরে পর্ব বড়ো করব, দেখুন.. হচ্ছে কিন্তু। এবার আপনারাও আপনাদের লোভনীয় মন্তব্য করা শুরু করুন, যেন দৌড়ে দৌড়ে আপনাদের জন্য নতুন পর্ব লিখতে পারি, কেমন?
Share On:
TAGS: বেলতুলি, লাবিবা ওয়াহিদ
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
বেলতুলি পর্ব ১২
-
বেলতুলি পর্ব ৩
-
বেলতুলি পর্ব ২
-
বেলতুলি পর্ব ৪
-
বেলতুলি পর্ব ১৮
-
বেলতুলি পর্ব ১১
-
বেলতুলি পর্ব ৫
-
বেলতুলি গল্পের লিংক
-
বেলতুলি পর্ব ৮
-
বেলতুলি পর্ব ১৭