#বি_মাই_লাভার
#পর্ব- ৯
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
দিলশাদের নাক মুখ প্রচন্ড লাল হয়ে আছে। বার কয়েক হাঁচিও দিয়েছে। একজন পরিচারিকা এসে ডায়নিং এ খাবার রাখতেই নৈঋতা এলো।তার পাশে বসার জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলো।এমনটাই বরাবর হয়ে এসেছে কিন্তু দিলশাদ থামিয়ে দিয়ে বলল,
“নট নাও কিড্ডো।ওখানেই বোসো।”
“ঠান্ডা জ্বর? “
“হুম, দূরে থাকো।তোমার ইমিউনিটি সিস্টেমের বারোটা বাজাতে চাইছি না।”
“কান্ট ইউ সি? আ’ম আ পারফেক্ট হেলদি পারসন?”
দিলশাদ কথা বলে চুপচাপ তাকিয়ে রইলো তার দিকে।এই মেয়েটার মস্তিষ্কে গতকালের কথাটা কতটুক আছে সেটা তাকে জানতে হবে, বুঝতে হবে।এই ভিলায় সবকিছু, সব ঘড়ি কিংবা ক্যালেন্ডার চব্বিশ ঘন্টা পিছিয়ে চলছে।গতকাল হটকারিতায় সে নৈঋতাকে রশীদ পরিবারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল।কিন্তু নৈঋ এখনো সবটা জানার জন্য প্রস্তুত নয়।
“আজ রেগুলার চেকাপ আছে।”
“কিন্তু গতকাল…..
” গতকাল কি কিড্ডো?”
নৈঋতা ভাবলো যদি গতকাল তার চেকাপের ডেট থাকতো তাহলে দিলশাদ তাকে নিয়েই যেতো।বিগত বছরে এটা মিস হয়নি একবারের জন্যও।তাই তার মস্তিকে থাকা স্মৃতিগুলো নিছক স্বপ্নই।দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে সামনে থাকা নাম মাত্র কফি মেশানো দুধটা মুখে দিতেই মুখ কুঁচকে নামিয়ে রাখলো মগটা টেবিলে।
“কিড্ডো ফিনিশ দ্যাট।”
“হরেবল, জাস্ট হরেবল হানি বিয়ার। আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
দিলশাদ পুনরায় একজনকে কিছু বলতেই এক গ্লাস উষ্ণ দুধ এনে দিলো।নিজ হাতে কফি মিশিয়ে তার দিকে এগিয়ে দিতেই নৈঋতা সেটা আস্তেধীরে শেষ করলো।দিলশাদ হাত বাড়িয়ে ন্যাপকিন তার দিকে এগিয়ে দিয়ে মনে মনে বলল,
“আমার হাতের কফি ছাড়া তোমার সামান্য সকাল শুরু হয় না বেবি গার্ল আর তুমি কি না আমার থেকে দূরে যেতে চাও? নো কিড্ডো, ইউ আর নট এলাউড।”
ব্রেকফাস্ট শেষ করেই লাইব্রেরি বই পড়ছিল।হ্যারি পটার সিরিজটা এই মাত্রই শুরু করেছে সে। বই পড়তে পড়তে কখন চোখ লেগেছে সেটা বুঝতেই পারেনি।একজন পরিচারিকা তার থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। উদ্দেশ্য তাকে পাহাড়া দেওয়া, খেয়াল রাখা। বেশ খানিকটা ঘুমের পর দিলশাদের কথা যেন কেউ তার কানে ফিসফিস করে বলল।ঘুম জড়ানো শরীরে দিলশাদের মাস্টার বেডরুমের দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করলো। দিলশাদ বিছানায় শুয়ে আছে।গাল অত্যাধিক লাল হয়ে আছে।নৈঋতা জ্বর মাপার চেষ্টা করলো কিন্তু বুঝতে পারলো না।এক হাত নিজের কপালে অন্য হাত দিলশাদের কপালে রাখলো। এরপর ধীরে ধীরে তার কপালে গাল ঠেকিয়ে দেখলো বেশ গরম দিলশাদের কপাল। পরিচারিকাকে বলে একটু পানি এনে জলপট্টি দিচ্ছিলো তার কপালে।হাত, বুকের উপরের অংশ মুছিয়ে দিচ্ছিলো সেই মুহুর্তেই কলিং বেল বেজে উঠলো। নির্জনা এসেছে জানালো এক পরিচারিকা।তাকে উপরে আসতে দিবে কি না অনুমতি নেওয়ার জন্য।
“নিচে বসতে বলো।আর হ্যাঁ দশ মিনিট পর আসতে বলবে।”
আস্তে-ধীরে সব কাজ শেষ করে দিলশাদের ফোনটা সাইলেন্ট করলো। নাইট স্যুটের বোতামগুলো লাগিয়ে গলা অবধি কম্ফোটার টেনে দিয়ে অপেক্ষা করলো নির্জনার।নির্জনা ভেবেছিল দিলশাদ ব্যস্ত বলে তাকে নিচে বসতে বলা হয়েছে কিন্তু নৈঋতার আদেশে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এটা বুঝতেই রাগ তরতর করে বাড়লো।
“নৈঋতা তুমি এখানে কি করছো?”
“বাড়িটা আমার। আমার এখানে থাকাটা কি খুব অস্বাভাবিক?”
“দিলশাদ ঘুমোচ্ছে আর তুমি?কিছুটা লজ্জা রেখে চলো।”
“হানি বিয়ারের কাছে আসতে আমার লজ্জা করতে হবে কেন?আমার কোনো গোপনীয়তা নেই তার কাছে।আমার একমাত্র অভিভাবক সে।”
“আর আমার হবু স্বামী।তুমি নিজের চোখে নিজেকে কী দেখো? ‘হানি বিয়ার’ এর ছোট্ট প্রিন্সেস? শোনো নৈঋতা, এই বাড়ির রানি হতে যা লাগে, তার একটাও তোমার নেই। তুমি বই পড়ো, দুধ খাও, আর দারোয়ানের মেয়ের মতো ঘুরে বেড়াও। বাস্তবটা স্বীকার করতে শিখো—তুমি অতীত, আমি ভবিষ্যৎ।”
“আমি কখনো বলিনি আমি রানী হতে চাই।আর আমি যদি রানী হতে চাইতাম আপনি এই বাড়িতে পা অবধি রাখতে পারতেন না।”
“দেখি কতদিন দাঁড়িয়ে থাকো তুমি এই দেয়ালের ভরসায়!”
“অল দ্যা বেস্ট।”
নৈঋতা বেরিয়ে যাওয়ার সময় দিলশাদের বেডরুমের দরজায় একটা লাথি মারলো।লাথির শব্দে ঘুম ছুটলো দিলশাদের। নির্জনা তার দিকে এগিয়ে গেলেও তাকে হাত ইশারায় থামিয়ে দিয়ে বলল,
“তুমি এখানে কেন?”
“আমি আমাদের সম্পর্কটাকে আরো একটা সুযোগ দিতে চাই।নৈঋতাকে নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।ও থাকুক এখানে।ওর আট বছরের মায়া কাটাতে অন্তত তোমার আট মাস তো লাগবে?”
দিলশাদ জবাব দেওয়ার আগেই ভিলার বাইরে ডান পাশে বেশ সোরগোল শোনা যাচ্ছে।দিলশাদ দ্রুত পায়ে জানালায় তাকাতেই দেখলো নৈঋতা লেটেস্ট মডেলের কাস্টমাইজড গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে গেট দিয়ে। দারোয়ান গেট খুলতে নারাজ কিন্তু গাড়ির স্পিড ধীরে ধীরে বাড়ছে।এই মুহুর্তে গেট না খুললে সজোরে আঘাত আনবে দেয়ালে।দিলশাদ চিৎকার করে গেট খুলে দিতে বলল। এক সেকেন্ডের ব্যবধানে নৈঋতা বেরিয়ে গেল গেট দিয়ে।এক মুহুর্ত অপেক্ষা না করে চেঞ্জ করে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে এলো দিলশাদ। জ্বর এখন মাথায় উঠেছে যেন। বাইক বের করে সে ছুটলো গাড়ির পিছনে।একটাই ভয় তার। নৈঋতা স্টার্ট করা শিখেছে কিন্তু সে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করতে পারে না।মোড় এলে গতি কিভাবে কমাতে হয় জানে না।এতো রাগ কেন উঠেছে তার?
নির্জনা ভয়ে চুপসে বসে আছে।দিলশাদ বেরিয়ে যাওয়ার আগে তার দিকে তাকিয়ে বলেছিল,
“আই সোয়্যার নির্জনা,আমার বেবি গার্লের কিছু হলে আমি তোমার থেকে গুনে গুনে হিসেব নিবো।কি বলেছো তুমি? জবাব রেডি রেখো।”
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দিলশাদ নৈঋতার দেখা পেল।সে তার সমানে সমানে গতি রেখে তাকে চিৎকার করে বলল,
“কিড্ডো, গতি কমিয়ে নাও। আমি সামলে নিবো।প্লিজ তোমার পায়ে ধরে বলছি।তুমি যা চাইবে তাই হবে।”
“তবে বলুন আমায় মুক্তি দিবেন?আমাকে আমার মতো করে বাঁচতে দিবেন।”
“তুমি আমায় ছাড়া থাকতে পারবে?”
“হ্যাঁ কি না?”
“না, আমি তোমাকে…..
” তাহলে কথার আর প্রয়োজন নেই।ভালো থাকবেন।কেমন?”
গাড়ির গতি বাড়তেই নত হলো দিলশাদ।রাজি হলো।সব কথায়।তার কথা অনুযায়ী গাড়ি থামালো নৈঋতা।গাড়ি থেকে নামতেই তাকে নিজের সাথে শক্ত করে মিলিয়ে নিলো। কপালটা এসে ঠেকেছে দিলশাদের বুকে।নৈঋতা অনুভব করলো দিলশাদ প্রচন্ড রকম কাঁপছে।যেন ভীষণ ভয় পেয়েছে সে।
“হানি বিয়ার?”
“তুমি যা চাও, তাই হবে কিড্ডো।কারণ তোমাকে হারানোর সাহস আমার নেই।”
চলবে (রেসপন্স ভালো হলে আগামীকাল একটা সারপ্রাইজ পর্ব দিবো)
#বি_মাই_লাভার
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
#পর্ব-১০
নৈঋতা ধীরে ধীরে হাত রাখলো দিলশাদের কপালে।জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে।তিন মিনিটের মাথায় কালো গাড়ির বহর এসে থেমেছে খানিক দূরে। দিলশাদ নৈঋতার দিকে খানিকটা ঝুঁকে কিছু একটা বলার পূর্বেই জ্ঞান হারিয়ে পড়লো। নৈঋতার কাধে এসে ঠেকলো ওর মাথাটা। দুই হাতে আগলে ধরার সময়টুক মেয়েটার শরীর পেলো না।ভর সামলাতে না পেরে দুজনেই পড়ে যাচ্ছিলো।দিলশাদের ব্যক্তিগত সহকারী এসে দ্রুত সামাল দিয়েছে।
শহরের বিলাসবহুল হাসপাতালের টপ ফ্লোরের এক ভি আই পি কেবিনে ঘুমিয়ে আছে দিলশাদ।তার পায়ে খানিকটা অংশ কেটেছে।ড্রেসিং চলছে, বা হাতের শিরায় ক্যানোলা লাগানো।ধীরে ধীরে যাচ্ছে ফ্লুইড। এখানে আসার দশের জন্য চেতনা ফিরেছিল তার।কিছু বলেনি কেবল নৈঋতার দিকে তাকিয়ে ছিল।তাকে কাছেও ডাকে, চলেও যেতে বলেনি। কি অদ্ভুত তাদের সম্পর্কটা। নৈঋতার ফর্মাল গার্ডিয়ান দিলশাদ, প্রতিটা কাগজ পত্রে যার স্বাক্ষর, সম্পর্কে সে মামার বন্ধু।একমাত্র পরিবার।অথচ তার প্রতি একটা নিষিদ্ধ অনুভূতির জন্ম হচ্ছে ধীরে ধীরে নৈঋতার মনে।প্রথম দিকে সে নিজেও তো বুঝতে পারেনি এসবের মানে কি।কেন যন্ত্রণা হয় নির্জনাকে দেখে।এই অনুভূতির সাথে নির্জনা প্রতিদিন তাকে পরিচিত করাচ্ছে।অথচ পৃথিবীর নিয়ম মাফিক এই সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ কি আছে? তাছাড়া নৈঋতা নিজেও তো চাইছে পালাতে।দিলশাদের কাছে সে কেবল তার কিড্ডো।সেই ছোট্ট মেয়েটা যে মেয়েকে সে এনেছিল লা’শের ভিড় থেকে, দায়িত্ব নিয়ে।
নির্জনার কোনো একটা কথাও সত্য হতে দিবে না নৈঋতা।সে তাকে ভুল প্রমাণ করে দিবে। দিলশাদের প্রতি তার কোনো অনুভূতিকে গুরুত্ব দিবে না। নিজের হাত নিজে খামচে ধরেছে, হাতে দাগ বসে যাচ্ছে। নির্জনা ততক্ষণে কেবিনের দরজায়।
“হানিবিয়ার ঘুমাচ্ছে আন্টি।বিরক্ত না করি তাকে।”
“হানি বিয়ার নয় নৈঋতা। মামা ডাকো অথবা আংকেল।”
দুটো শব্দ ভীষণ ভারী লাগছে তার কাছে তবুও নৈঋতা কপালে ভাঁজ ফেলে জিজ্ঞেস করলো,
“ঠিক কেন তাকে আমি মামা ডাকবো?”
“হানিবিয়ার সে নয়।সম্পর্কে তোমার মামার বন্ধু হয়।আর মামার বন্ধু মানে মামা।”
“যদি সে বলে তবেই আমি ডাকবো।অন্য কারোর কথাতে নয়।”
“তুমি কি জানো তুমি কতোটা বেয়াদব একটা মেয়ে।তোমার জন্য আমার বিয়েটা ভরা মজলিসে থেমে আছে।তুমি সেদিন ছিলে না বলে দিলশাদ যায়নি আমাকে নিজের করে আনতে।তুমি ইচ্ছে করে লুকিয়েছিলে তাই না?যাতে ও তোমাকে খুঁজতে যায়?”
“একই প্রশ্ন বার বার করে কি লাভ?তুমি বলেছিলে তুমি তোমাদের মাঝে কোনো ডিস্টারবেন্স চাও না।আমি চলে গিয়েছিলাম।”
“আজ বললেও শুনবে?”
“কি বলতে চাইছো?”
“আমি বলতে চাইছি তুমি আজকে, এই মুহুর্তে নিজের মতো করে চলে যাও। সিকিউরিটির চোখ ফাঁকি দেওয়া তোমার পক্ষে কঠিন হবে না।ফিরে এসো না আমাদের জীবনে।নৈঋতা তুমি যেখানে যাবে কেবল একটা অপ্রত্যাশিত মানুষ হয়েই থাকবে।কেন হিসেব করো না তুমি? কোন মা তার দুধের বাচ্চাটাকে ফেলে যায়?কার জন্মদিনে তার পুরো পরিবার হত্যা হয়? একটা মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গে? তুমি আমাদের সবার জীবনে চন্দ্রদশা হয়ে আছো। দিলশাদকে বাঁচতে দাও, তোমাকে বাঁচানোর প্রতিদান এভাবে দিও না।”
“আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।হানিবিয়ার যখন উঠবে তার সাথে কথা বলে আমি চলে যাবো।”
“কারণ সে যেন তোমার সেখানে যেতে পারে আর তুমি তাকে নিজের মতো করে আবার আটকাতে পারো?সিডিউস করে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারো?”
“তোমার এসব কথায় আমি আমার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলবো না।আমার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি নিয়েছি।”
“আপাতত এখান থেকে যাও। অন্তত এই মুহুর্তে তোমার প্রয়োজন নেই।”
নৈঋতা জবাব না দিয়ে একটা বার দিলশাদের দিকে তাকালো।নিজের ফোনটা নিয়ে আসেনি।লিফটের G বাটনে প্রেস করে অপেক্ষা করতে লাগলো। পনেরো তলা বহুতল ভবনের বারো তলাতে ছিল। আট তলায় আসার পর লিফট খুলে গেল। ভিতরে প্রবেশ করলো দুই জন নারী।নৈঋতা এক পাশে চেপে তাদের জায়গা করে দিয়েছিল।তারা কোনো রোগী সম্পর্কে কথা বলছে। ধীরে ধীরে চোখ ভারী হয়ে যাচ্ছে তার। এক অচেনা ভারী ভাব চোখের পাতায়।ত্রিশ সেকেন্ড পরেই জ্ঞান হারিয়ে সে ঢলে পড়লো লিফটের ফ্লোরে।
****************
চোখ মেলে পাশে নির্জনাকে দেখে পুনরায় চোখ বন্ধ করলো দিলশাদ। রাশভারী কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“তুমি এখানে?”
“তো কে থাকবে? আমরা লিগ্যালি হাজবেন্ড ওয়াইফ হতে চলেছি।”
“কিড্ডো কোথায়? জ্যাক?”
দিলশাদের কথা শুনে তার বডিগার্ড জ্যাক এসে দাঁড়ালো সামনে।তার দিকে তাকিয়ে দিলশাদ বলল
“কিড্ডো কোথায়?”
” ম্যাম…
“ও বাড়ি ফিরেছে। গা কুটকুট করছিল বলল।আমি বললাম ফিরে শাওয়ার নিতে।”
নির্জনার কথায় পাত্তা না দিয়ে জ্যাকের দিকে তাকিয়ে দিলশাদ বলল,
“কিড্ডো অর্কিডে ফিরলে তুমি এখানে কেন জ্যাক?ও কার সাথে ফিরেছে? মিস মনিকাকে কল করে আমাকে আপডেট জানাও। কিড্ডো কি করছে।”
দিলশাদ চোখ বন্ধ করে ঘটনাগুলো চিন্তা করতে লাগলো।নৈঋতার জেদী রূপটা এখনো চোখে চোখে ভাসছে যেন।ও শাজলীন, শাজলীনরা কারোর দখলদারি পছন্দ করে না। নৈঋতা ধীরে ধীরে সেই সব বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে। ভয় হলো তার, এই মেয়েটার পিছনে শত্রুর অভাব নেই।গত দিনের ঘটনার পর সবার দৃষ্টি থাকবে তার দিকে।
ঠিক সেই সময় জ্যাক এসে জানালো,
” চিফ, লেডি অর্কিডে ফিরেনি। এমনকি নিচ থেকে গার্ড জানাচ্ছে লেডি নিচেই নামেনি।”
দিলশাদ এক মুহুর্ত অপেক্ষা না করে উঠে বসলো।দ্রুত নামতেই হাতের শিরায় টান লাগছে।ক্যানোলা খুলে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে যেতে যেতে জ্যাককে নির্দেশনা দিলো আইটি ডিপার্টমেন্টকে কল দিতে।
নির্জনা বাধা দিতে চাইলেও শুনলো কে?কিন্তু নির্জনা জানে মিনিট ত্রিশ পূর্বেই এই শহর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে নৈঋতার অবচেতন দেহ। হয়তো এখন বন্দী আছে কোনো এক অন্ধকার কক্ষে।দিলশাদ পেতে পেতে অনেকটাই দেরী হয়ে যাবে।
চলবে?
রেসপন্স করিয়েন তোহ্
Share On:
TAGS: বি মাই লাভার, সাদিয়া খান
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
বি মাই লাভার পর্ব ৪
-
বি মাই লাভার পর্ব ১১+১২
-
বি মাই লাভার পর্ব ৩
-
বি মাই লাভার পর্ব ২
-
বি মাই লাভার পর্ব ১৩+১৪
-
বি মাই লাভার গল্পের লিংক
-
বি মাই লাভার পর্ব ৭+৮
-
বি মাই লাভার পর্ব ৫+৬
-
বি মাই লাভার পর্ব ১