প্রণয়েরব্যাকুলতা সাদিয়া পর্ব৮
ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশটা। পরিবেশটা যেন থম মেরে রয়েছে। ঝড় আসার পূর্বাভাস বোধহয়। অন্ধকারে ছেয়ে গেছে প্রাকৃতি মনে হয় যেন সন্ধ্যা নেমেছে। বৈশাখ আসতে না আসতেই হানা দিচ্ছে কাল বৈশাখী। লাইব্রেরীতে বসে আছে নীরা আর মৌমিতা। সেদিন বৃষ্টির কথা ভেবে আবহাওয়ার এই অবস্থা দেখে বাইরে পা বারানোর আর সাহস করেনি সে।
আকাশে মেঘ ডাকছে। মুহুর্তের বজ্রপাতে কেঁপে উঠছে মাটি। ফিক করে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। দমকা হাওয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশ। কলেজ টাইম শেষ হওয়ার পর অনেক ছাত্রছাত্রীই আটকে গেছে এই কাল বৈশাখীর তান্ডবে। কান চেপে বসে আছে মৌমিতা। লাইব্রেরীর দরজা জানালা সব বন্ধ। অন্ধকারে মোবাইলের ফ্ল্যাসটা জ্বালিয়ে রেখেছে। কেমন একটা ভয় ভয় লাগছে তার। নীরারও একই অবস্থা মৌমিতার হাত চেপে বসে আছে।
কোথা থেকে হন্তদন্ত হয়ে তাজ এসে ঢুকলো লাইব্রেরীতে। তার পিছনেই আছে রাদীফ। তাজ এসে ধপ করে বসে পড়লো মৌমিতার পাশে আর রাদীফ নীরার পাশে।
পাশে কারো সাড়া পেতেই পাশ ফিরে তাকালো মৌমিতা। তাজ চোখ বন্ধ করে বসে আছে। মৌমিতা কোনো কথা বলল না। এই মুহূর্তে তার ভয় লাগছে। ঝগড়া বা উল্টো পাল্টা কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। হঠাৎ বিকট শব্দে কাছে পিঠে কোথাও একটা বাজ পড়লো। সাথে সাথে মৌমিতার কান চেপে ধরলো তাজ।
চমকে উঠে তাজের দিকে তাকালো সে। তাজ তার খুব কাছে। তাজের গরম নিঃশ্বাস আঁচড়ে পড়ছে মৌমিতার মুখশ্রীতে । কেঁপে উঠলো মৌমিতা। অস্থির হয়ে তাজ শুধালো – ভয় পেয়েছো ?
মৌমিতা মাথা নাড়ল, বুঝালো না। বলতে বলতেই আবার বিকট শব্দে বাজ পড়লো কেঁপে উঠলো সে। তাজ সাথে সাথে বুকে আঁকড়ে নিল মৌমিতাকে। মাথায় হাত বুলিয়ে বলল – ভয় পেও না আমি আছি তো।
তাজের স্পর্শে কেঁপে উঠলো মৌমিতা। আজ তাজের স্পর্শে কেমন অন্যরকম একটা অনুভুতি লাগছে তার। কেমন একটা ভালোলাগা, ভালোবাসা, কেয়ার, অস্থিরতার মিশ্র অনুভূতি। কই আগে তো লাগেনি। সরে আসতে চাইলো সে। তাজ আরও শক্ত করে নিজের সাথে জড়িয়ে নিল মৌমিতাকে।
নীরা গোল গোল চোখে তাকিয়ে আছে তাজ আর মৌমিতার দিকে। কি হচ্ছে সবটাই যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কি চলছে এদের মধ্যে? গলা খাঁকারি দিল রাদীফ। দুষ্ট হাসি হেসে বলল – আমার ভাইপোর দিকে নজর দিও না।
চকিত হয়ে পাশে তাকালো নীরা। এতক্ষন তাজ আর মৌমিতার দিকে এতটাই বিভোর ছিল যে পাশে রাদীফকে খেয়ালই করেনি। আমতা আমতা করে বলল – স্যার আপনি?
- অনেকক্ষণ এসেছি কিন্তু কেউ তো পাত্তাই দিচ্ছে না।
- স্যরি স্যার আমি আসলে খেয়াল করিনি।
- ইটস ওকে।
থেমে গেছে কাল বৈশাখীর তর্জন গর্জন। তবে এখনও ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি আছে। সন্ধ্যা নেমেছে। রাস্তাঘাটে মানুষজন নেই বললেই চলে। কলেজও এক এক করে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎ খেলা করে যায় আকাশ। মৌমিতার বাসা কলেজ থেকে বেশ দূরে। যদিও নীরা আর মৌমিতা সেখানে ভারাই থাকে। কলেজের কাছাকাছি যে বাসাগুলো আছে হয় বাসা পছন্দ হয় না আর যেটা পছন্দ হয় সেটা ভাড়ায় বোনে না। তাই নিজেদের পছন্দমতো আবার ভাড়ায়ও মিলিয়ে বাসা পাওয়ার কলেজ থেকে একটু দূরেই বাসা রেখেছে তারা। এই বৃষ্টিতে তার উপর সন্ধ্যায় কিছুতেই দুটো মেয়েকে একা ছাড়তে নারাজ তাজ আর রাদীফ। একপ্রকার ধরে বেঁধেই নিজেদের সাথে নিয়ে এলো তারা। মৌমিতা কিছুতেই আসতে চায়নি। এভাবে সল্প পরিচিত দুই যুবকের সাথে দুই যুবতী মেয়ের তাদের বাড়িতে যাওয়া মোটেই ভালো কাজ নয়। পেপার পত্রিকা খুললেই এমন অহরহ ঘটনা চোখে পড়ে। কিন্তু মুখ ফুটে কথাগুলো বলতেও পারছে না তাহলে স্যার আর তাজ কি মনে করবেন। যদিও এদের দেখে খারাপ মানুষ মনে হয় না তবে আজকালকার দিনে বিশ্বাসের আছে কে। এই বোকার মতো বিশ্বাস করেই তো মেয়েগুলো বিপদে পড়ে। কিন্তু নীরা এই মেয়েটাও যে বুঝতে চাইছে না। রাদীফ স্যারের বাসা শুনেই নাচতে নাচতে রাজি হয়ে গেছে। অগত্যা সবার জোরাজুরিতে মৌমিতাকেও যেতে হলো তাজের বাড়ি।
নিকষ কালো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ। থেমে থেমে ব্যাঙ ডাকছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করে। জঙ্গলে ঘেরা চারপাশ তার মধ্যে দোতলা একটা বাড়ি। বাড়ির কারুকার্য দেখলে বোঝা যায় বাড়ির মালিক বেশ শৌখিন। তালাবদ্ধ দরজা। অন্ধকারে পকেট হাতরে চাবি বের করলো তাজ। দরজার লক খুলে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো সে। তার পিছু পিছু এলো রাদীফ, মৌমিতা, নীরা। পুরো বাড়ি অন্ধকারে ছেয়ে আছে। কেমন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ। মৌমিতা শক্ত করে চেপে ধরলো নীরার হাতটা। জ্বলে উঠলো বাড়ির সব আলোগুলো। চমকে উঠে তাকালো মৌমিতা। চারদিকে অবাক চোখে দেখছে, বাড়িটার কোনায় কোনায় আধুনিকতার ছোঁয়া। মৌমিতার মনে হচ্ছে এটা বাংলাদেশে নয় ও উন্নত বিশ্বের কোনো বাড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। তাজ এই বাড়িতে থাকে? বাড়ি দেখে তো বেশ ধনীই মনে হচ্ছে। কিন্তু তাজের চলাফেরা তো সব সাধারণ মানুষের মতোই। হয়তো তার পছন্দই সাধারণের মতো চলাচল। আর মাথা ঘামালো না মৌমিতা।
তাজ বলল – তোমারা ফ্রেশ হয়ে এসো আমি খাবার সার্ভ করছি।
মৌমিতা অবাক হয়ে বলল – আপনি রান্না করতেও পারেন?
- না সার্ভেন্টরা করেছে।
- কই কাউকেই তো দেখলাম না। পুরো বাড়ি তো খালি।
- তারা সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কাজ করে। সন্ধ্যা হলেই চলে যায়।
- ওহ আচ্ছা।
- হুম যাও ফ্রেশ হয়ে এসো।
ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসলো চারজন। খাবার খেতে খেতে মৌমিতা বলল – এত বড় বাড়িতে আপনারা মাত্র দুজনই থাকেন?
তাজ উত্তর দিল – হুম কেন কোনো সমস্যা?
- না এমনি জিজ্ঞেস করলাম। আচ্ছা রাদীফ স্যার আপনি বিয়ে করবেন না , বয়স তো কম হলো না।
বিষম খেল রাদীফ। ঠোঁট টিপে হাসছে তাজ। নীরা রাদীফের দিকে পানি এগিয়ে দিল। হাতের কাছে পানি পেয়ে ঢকঢক করে পুরো গ্লাস খেয়ে ফেলল রাদীফ।
নীরা বলল – আহ মৌমিতা তোর কি বুদ্ধিসুদ্ধি হবে না? কি বলছিস এগুলো।
- কেন স্যার হয়েছে বলে উনি কি বিয়ে করবেন না আইবুড়ো থাকবে?
রাদীফ বলল – করবো তো, আগে আমার ভাইপোকে বিয়ে করিয়ে ঘাড় থেকে নামাই তারপর।
- তাহলে আর হলো আপনার এই সিঙ্গেলই মরা লাগবে। এমন রসকষহীন আগুন চোখা শয়তানকে কোন মেয়ে বিয়ে করে কপাল পুড়বে?
অগ্নী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাজ। ঠোঁট টিপে হাসছে রাদীফ। তাজকে আর একটু উস্কে দিতে বলল – কি বলছো আমাদের তাজের মতো ছেলেই হয় না।
- হ্যা হ্যা আগুন চোখা শয়তান, ড্যামনা বুড়ো, আধু ভাই, রসকষহীন এত কোয়ালিটি সম্পন্ন ছেলে আজকালকার যুগে কোথায় পাবেন?
কটমট করে তাকিয়ে আছে তাজ। নীরা চাপা স্বরে মৌমিতাকে বলল – অনেক বলেছিস চুপ যা এখন। ভুলে যাস না আমরা এখন তাজ ভাইয়ার বাড়িতে আছি। এই জঙ্গলের মধ্যে যদি আমাদের মেরে গুম করে দেয় কাক পক্ষীতেও টের পাবে না।
চুপসে গেল মৌমিতা। ঠিকই তো, আর তাজের যে রাগ। সত্যিই যদি মেরে দেয়। চুপ করে গেল সে।
খাওয়া-দাওয়ার পাঠ চুকিয়ে মুভি দেখতে বসলো চারজন। আজ সারারাত ভুতের মুভি দেখার প্ল্যান করেছে তারা। ভয়ে হাত পা হিম হয়ে যাচ্ছে মৌমিতার। তবুও এক চোখ চেপে অন্য চোখ দিয়ে মুভি দেখে নিচ্ছে সে। তাজের হাতটাও শক্ত করে আকড়ে ধরে আছে সে। তাজ ভাবলেশহীন ভাবে মুভি দেখে যাচ্ছে। তার চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে সে কোনো রোমান্টিক মুভি দেখছে। এপাশ ফিরে নীরা আর রাদীফকে একবার দেখে নিল মৌমিতা। দুটোই ভয়ে জড়সড়। পারলে গলা জড়িয়ে এখনই কেঁদে দেয়। কিন্তু তাজ , এই ছেলের কি ভয় ডর বলতে কিছু নেই। একদম শান্তভাবে এত ভয়ংকর একটা মুভি কিভাবে দেখে নিচ্ছে, হাউ?
মুভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছে মৌমিতা, নীরা আর রাদীফ। মাত্রই মুভিটা শেষ হলো । এদের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল তাজ। আর একটু ভালোভাবে তাকাতেই ভ্রু কুঁচকে এলো তাজের। ঘুমের মধ্যে রাদীফের এক আঙ্গুল স্পর্শ করেছে মৌমিতার হাতে। ভ্রু কুঁচকে কতক্ষন ধরে রাদীফের আঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে আছে তাজ , ইচ্ছে তো করছে আঙুলটা কেটে ফেলতে কিন্তু হাজার হলেও কাকাই। খুব সাবধানে আঙুলটা সরিয়ে দিল তাজ। ঘুম থেকে ডেকে তুললো। মৌমিতাকে নিজের কোলে তুলে নিয়ে বলল – নীরাকে নিয়ে রুমে এসো।
অগত্যা নীরাকে কোলে তুলে নিতে হলো রাদীফকে। দম যেন বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা মেয়ে নাকি বালির বস্তা। কি খায় যে হাতির মতো ওজন? নীরাকে কোলে নিয়ে রাদীফের চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়ার উপক্রম। তবুও অনেক কষ্টে থেমে থেমে নিয়ে গেল রুমে। বিছানায় পাশাপাশি দুই বান্ধবীকে শুইয়ে দিয়ে দুজনের শরীরে আলাদা আলাদা দুটো কাথা জড়িয়ে দিল তাজ আর রাদীফ।
মৌমিতার মাথার কাছে বসলো তাজ, রাদীফকে বলল – তুমি যাও আমি আসছি।
রাদীফ চলে গেল। তাজ নিজের ওষ্ঠদ্বয় ছুঁইয়ে দিল মৌমিতার ললাটে। রুমের লাইট বন্ধ করে অন্য রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল।
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। পাখির কিচিরমিচির ধ্বনিতে ঘুম ভেঙে গেছে মৌমিতার। ঘুম ভেঙে নিজেকে বিছানায় দেখে বেশ অবাক হলেও পাশে নীরাকে পেয়ে বিষয়টাতে আর মাথা ঘামালো না সে। উঠে গিয়ে জানালা খুলে দিয়ে লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিল। মনটা যেন প্রশান্তিতে ভরে গেল। চারদিকে শুধু গাছপালা, বাড়ির পিছন দিকে ছোট একটা ফুলের বাগানও রয়েছে। কাল রাতে অন্ধকারে কিছুই দেখা হয়নি। ব্যস্ত শহরের কোলাহল এই স্থানটায় নেই বললেই চলে। কাল এই জঙ্গলে আনার চেয়ে ওদের নিজেদের বাসায় পৌছে দিলেই তো পারতো এখানে আনার কোনো মানে হয়? তবুও শহরের বুকে এই গাছপালার সমরহে এক টুকরো প্রশান্তির স্থান খুঁজে পেল মৌমিতা। ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো।
রান্নাঘর থেকে টুকটাক আওয়াজ শুনে সেদিকেই এগিয়ে গেল সে। এত সকালে কোনো সার্ভেন্টরাই আসেনি। তাজ ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে সবার জন্য। গোল গোল চোখে মৌমিতা পর্যবেক্ষণ করছে তাজকে। নুপুরর শব্দ শুনে তাজ হাতের করতে করতেই শুধালো – গুড মর্নিং, ঘুম ভালো হয়েছে?
- হুম। আপনি রান্না করতেও পারেন?
তাজ মুচকি হাসি দিয়ে বলল – এই টুকিটাকি পারি।
- তাও ভালো আমি তো তাও পারি না। আচ্ছা আপনার বাবা মা কোথায় উনাদের তো দেখলাম না। উনারা এখানে থাকেন না?
থমকে গেল তাজের হাতজোড়া। চোখ দুটো লাল হয়ে যেন রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। হুংকার দিয়ে উঠলো তাজ। হাতের কাছে রাখা কাঁচের বাটিটা ছুঁড়ে ফেলল ফ্লোরে। চিৎকার করে বলল – কেউ নেই আমার। কোনো বাবা মা নেই আমার। কেউ নেই।
কেঁপে উঠলো মৌমিতা। হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু করেছে। তাজকে কেমন হিংস্র লাগছে। এই রূপে এই প্রথম দেখল সে তাজকে। ভয়ে গুটিয়ে গেল মৌমিতা। তাজের চিৎকার শুনে দৌড়ে এলো রাদীফ আর নীরা। তাজ একটার পর একটা জিনিস ভাঙছে। মৌমিতার দিকে তেড়ে যেতেই রাদীফ দৌড়ে গিয়ে জাপটে ধরলো তাজকে। নীরাকে বলল – এখনই মৌমিতাকে নিয়ে এ বাড়ি থেকে চলে যাও।
মৌমিতা রান্নাঘরের এক কোনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপছে। তাজের এমন হিংস্র রূপ দেখে নীরার আর কিছু বলা বা জিজ্ঞেস করার সাহস হলো না। তাজকেও ধরে রাখা যাচ্ছে না। রাদীফ শক্তিতে পারছে না তাজের সাথে। দৌড়ে গিয়ে নিজেদের ব্যাগ এনে মৌমিতাকে টেনে নিয়ে তাজের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেল নীরা।
চলবে….
পরের পর্বটি পেতে পেইজে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ
Share On:
TAGS: প্রণয়ের ব্যাকুলতা, সাদিয়া
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ৭
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ২৮
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ৩
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১৯
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১০
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ২৯
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১৮
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ১১
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ৯
-
প্রণয়ের ব্যাকুলতা পর্ব ৩৭