নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব_১২
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫অনুমতি বাদে কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ🚫
পিহু হিস হিস করে সাদির কানের কাছে নিজের মুখ নিয়ে বলে……
-“উহু ফেল্টুস ডাক্তার আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না..!
এই ফেল্টুস কথাটায় সাদির রাগ লাগে যার জিবনে ফেল নামে কোনো শব্দ নেই তাকে এই পুচকি মেয়ে ফেল্টুস বলছে সাহস কত।সাদি পিহুকে ছাড়িয়ে উঠে দাড়াই।। গটগট হেটে রুমের দরজার সামনে যায় উদ্দেশ্য বের হয়ে যাওয়া।নইতো এই মেয়ে তার হাতে মার খাবে অগনিত।সাদি দরজার কাছে এসেও থেমে যায়।
যদি পিহু অসুস্থ হয়ে পড়ে উলটা পালটা কিছু করে ফেলে,,সাদি নিজের হাত দিয়ে নিজের চুল গুলো জোরে টেনে ধরে,, সব অসহ্য লাগছে তার,,সাদি টি টেবিল এর উপর থেকে পানির বোতল নিয়ে পানি খেয়ে নেয় ঢক ঢক করে।তারপর রুমের লাইট অফ করে ড্রিম লাইট জালিয়ে বিছানার দিকে অগ্রসর হয়।উদ্দেশ্য বিছানার উপর থেকে লাপটপ টা নিয়ে বেলকোনিতে চলে যাবে।তাহলে এই পাগল কে আর সহ্য করা লাগবে না সাথে সাথে পিহুর উপর ভালোভাবে নজর রাখতে পারবে তবে এই ঠান্ডায় বাইরে বেলকোনিতে থাকবে কিভাবে।
সাদি চুপিচুপি ওয়াড্রব থেকে কম্ফর্টার বের করে নেই তারপর বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখে পিহু এক ধ্যানে বসে আছে ড্রিম লাইট এর আবছা আলোয় পিহুকে অন্যরকম লাগছে মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে।সাদি পা টিপে টিপে বিছানার পাশে গিয়ে লাপটপ এ হাত দিয়ে নিতে যাবে ঠিক তখনই পিহু সাদির হাত ধরে হেচকা টান দেয়।
ফলসরুপ সাদির বলিষ্ঠ দেহ কম্ফর্টার সহ পিহুর চুনোপুটি শরীরের উপর গিয়ে পড়ে।সাদির গরম নিঃশ্বাস পিহুর মুখে এসে লাগছে,, পিহু পিট পিট করে চোখ খুলে দেখলো সাদি পিহুর দিকেই তাকিয়ে আছে সাদির নাকের সাথে পিহুর নাক লেগে যাবে প্রায়।পিহুর তখন মস্তিষ্কে কিছু নেই,,নেশায় মত্ত সে,,সাদি উঠতে চাইলে পিহু সাদিকে জড়িয়ে ধরে,,।
পিহুর স্পর্শ পেয়ে সাদির হটাৎ কেমন অনুভব শুরু হয়।। সাদি নিজেকে বুঝায় এক ভুল আবার করা উচিত নয় তবে পিহুর পাগলামি বাড়তে শুরু করে,,পিহু সাদির টি শার্ট এর উপরে সাদির বুকে কামড়ে দেই,, সাদি ঠোঁট কামড়ে সহ্য করে নেই।সাদি নিজের কন্ট্রোল হারাচ্ছে শেষ অব্দি না পেরে বিছানার কর্নারে আসে তারপর পিহুর মুখ নিজের এক হাতের আজলায় নিয়ে আসে আর এক হাত এর ভর দিয়ে উচু হয়।
পিহু সাদির দিকে নেশালো দৃষ্টিতে চেয়ে আছে জেনো সাদির কোনো চকলেট আর সেটা পিহুর জন্যই।সাদির নিজের ও ঘোর লেগে যাচ্ছে। সাদি পিহুর মুখের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে…
-“এসব কি হচ্ছে পাগল হয়েছিস…?
পিহু চোখ পিটপিট করে খুলে বলে…
-“আপনার ঠোঁটের পাশে কালো কুচকুচে তিলটা অনেক সুন্দর জানেন ফেল্টুস ডাক্তার।
সাদি একটা জোরে নিঃশ্বাস ফেলে গরম নিঃশ্বাস পিহুর মুখে আচড়ে পড়ে। সাদি নিজের ঘোর লাগা দৃষ্টি দিয়ে পিহুকে বলে…
-“কি চাইছিস..এক ভুল আবারো করি..?
পিহু ঘোর লাগা কন্ঠেই বলে উঠে..
-“ফেল্টুস ডাক্তার আপনার গালে টোল পড়ছে ইশ কি কিউট।
সাদি বিরক্ত হয়ে গেলো সে বলছে কি আর এই মেয়ে রিপ্লাই দিচ্ছে কিসের।সাদির ভাবনার মাঝেই পিহু সাদির গলা জড়িয়ে ধরে যার কারনে সাদি পিহুর মুখের খুব কাছে চলে যায়,, সাদি নিজের কন্ট্রোল হারাচ্ছে এখন,, সাদি কোনোমতে পিহুকে জিজ্ঞাসা করে….
-“এতো কাছে ডাকছিস সামলাতে পারবি তো আমাকে..?
সাদির কথার মানে ঘোরে থাকা পিহু বুজতে পারে না সে সাদিকে আরো কাছে টানতে চাই,, সাদি কন্ট্রোল হারিয়ে পিহুর গলাই মুখ ডুবিয়ে দেই।পিহু সাদির চুল টেনে ধরে এতে সাদি আরো উত্তেজিত হয়ে যায়।সাদি পিহুর ঘাড়ে কামড়ে দেই তারপর পিহুর মুখ আজলে ধরে বলে….
-“জান আমি কন্ট্রোল হারাচ্ছি তুই শেষ আজ।
পিহু সাদির দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে সাদি সেই দৃষ্টিতে আরো মাতোয়ারা হয়ে যায়..সাদি পিহুর নরম গোলাপি ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছোয়ায়।পিহু কেপে উঠে.. সাদি এক টানা উঠে বসে পিহুকে বসায়। পিহু বিরক্তি তে চোখ মুখ কুচকালে সাদি পিহুর কপালে শুকনো একটা চুমু দিয়ে বলে উঠে…
-“জান..?
-“হু…?
-“আবারো তোর সান্নিধ্যে এসে একই ভুল করতে যাচ্ছি মাফ করে দিস।
সাদির কথা শুনে পিহু সাদির আরো কাছে আসে,, সাদি এক টানে নিজের টি-শার্ট খুলে ফেলে,,তারপর বেড সাইড টেবিল এর ডয়ার থেকে কিছু একটা বের করে,,পিহু সাদির বুকের সাথে সাথে লেগে আছে,, সাদি জানে এই মেয়ের সাথে থাকলে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়বে আর সে পিহুর সাথে আবার ভুল করতে চাই না।
সাদি ডয়ার থেকে একটা ইঞ্জেকশন বের করে নিজের হাতে পুশ করে তারপর আবার নিয়ে নিজের বুকে লেপ্টে থাকা পিহুর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে..
-“সরি জান.. এ ছাড়া উপাই নেই..আমি একবার ভুল করেছি আর সেই ভুলের শাস্তি সরুপ সবার কাছে ঘৃনিত আবার সেই ভুল করতে পারবো না।একটু কষ্ট হলেও অপেক্ষা করবো।
কথাটা বলেই পিহুর হাতে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে,,পিহু একটু উহ করে উঠে ঠান্ডা হয়ে যায়।সাদি সিরিঞ্জ বের করে ডয়ারে রেখে দেই,,এটা ঘুমের ইঞ্জেকশন ছিলো হাই ডোজ এর,, সাদি জানতো এটা করা ছাড়া আর উপাই নেই।সাদির চোখেও ঘুম ধরা দিলো পিহুকে ভালো করে সুইয়ে দিয়ে সেও কম্ফর্টার গায়ে দিয়ে সুয়ে পড়লো একটু পরেই পিহু তার বুকের মাঝে এসে জড়িয়ে ধরলো,,সাদি জানে মিনিমাম বারো ঘন্টা ঘুমাবে পিহু,, তাই সাদি আর সরালো না পিহুকে নিজেও পিহুকে বুকের সাথে জড়িয়ে পাড়ি জমালো ঘুমের দেশে।।
সময় চলে যায় বাতাসের মতো,,চারিদিকের পরিবেশ আজ রোদজ্জল। চৌধুরী বাড়ি টাও জেনো প্রান ফিরে পেয়েছে,, আতিয়া বেগম রান্না ঘরে রান্না করছে।ইলিয়াস চৌধুরী সোফাই বসে খবরের কাগজ পড়ছে। এখন বসতে পারে তবে হাটতে পারে না,,হুইল চেয়ারে করে নিয়ে এসে সোফাই বসিয়ে দেয় ধরে আতিয়া বেগম।পিহু কলেজ গিয়েছে সামনে পরিক্ষা মেয়েটার এখন আর ক্লাস মিস করা যাবে না।সাদি সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে।
সে রাতের পর কেটে গেছে ছয় টা মাস,,সাদিরা দেশে ফিরেছে ছয় মাস প্রায়।সাদি বর্তমানে সিটি হসপিটালে হার্ট সার্জন হিসেবে নিয়োজিত। অল্প কয়দিনেই বেশ নাম ডাক হয়েছে সাদির। সাদির সাথে পিহুর অনেক দুরুত্ব হয়ে গেছে।সাদি সকালে বের হয় রাতে সন্ধাই আসে,,কোনো কোনো দিন অনেক রাত হয়ে যায়।পিহুর সাথে এখন শুক্রবার এও দেখা হয় না।একই বাড়িতে থেকে দুজনের দূরত্ব অনেক।
সাদি হসপিটালের কেবিনে বসে ভাবতে থাকে সেদিনের কথা…
ফ্লাসব্যাক…
সাদির ঘুম ভেঙে যায় ফোনের কর্কস আওয়াজে,, সাদি ফোন রিসিভ করে কথা বলে হসপিটালে আর্জেন্ট দরকার তার।।পিহুর দিকে তাকিয়ে দেখে তার খোলা প্রসস্ত বুকে এখোনো ডুবে আছে ছোট্ট পিহু।সাদি জানে পিহু আরো অনেক্ষন ঘুমাবে তাই কাগজে দরজার পাসওয়ার্ড আর কোথাই কি খাবার আছে লিখে রেখে বেড সাইট টেবিল এ রাখে,,পরে পিহুর কপালে একটা চুমু দিয়ে সাদি ফ্রেশ হয়ে নেয়।
ফ্রেশ হয়ে দেখে সকাল দশটা বেজে উনিশ মিনিট সাদি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যায় হসপিটালে উদ্দেশ্য,, হসপিটালে গিয়ে একটা সার্জারির জন্য রেডি হয়।
প্রায় চার ঘন্টা সার্জারি শেষ এ সাক্সেস হয়ে অপারেশন থিয়েটর থেকে বেরিয়ে আসে সাদি সহ কিছু ডাক্তার।তারপর সাদি ইলিয়াস চৌধুরীর কেবিনে গিয়ে কথা বলে আতিয়া বেগম কে নিয়ে ক্যান্টিনে খাওয়া দাওয়া করে। আতিয়া বেগম কে আবার কেবিনে দিয়ে সাদি চলে যায় নিজের কেবিনে। এভাবে কেটে যায় তিনদিন।
আজ সন্ধাই সাদিরা চলে যাবে দেশে, পিহুর সে কি আনন্দ,,সাত টার ফ্লাইট এ ইলিয়াস চৌধুরী কে তুলে দেওয়া হয় আর রাত নয়টার ফ্লাইট এ সাদিরা চলে আসে বাংলাদেশ এ।
দেশে আসার পর থেকে সাদি লক্ষ করেছে এক অত্যান্ত চঞ্চল পিহুকে,,সাদি যদিও যানতো পিহু চঞ্চল তবে এ এক অন্য পিহু,,পিহু সাদির সাথে ভালোভাবেই কথা বলে। সাদিও তেমন একটা প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না।আর এখন তো দেখায় হয় না।সাদির ভাবনার মাঝেই কেনিনের বাইরে থেকে কেও একজন নক করলো সাদি ভিতরে আসার অনুমতি দিলে একটা ছেলে আর একজন মধ্যবয়স্ক লোক ভিতরে ঢুকে।
সাদি বসতে বলে সামনে তাকাতেই ছেলেটি উতফুল্ল হয়ে বলে উঠে..
-“সাদি ভাইয়া আপনি..?
চলবে…..
-(পাঠিকারা গেজ করো ছেলেটি কে,, বলতে লারলে কালকে আর একটা পর্ব দেওয়ার ট্রাই করবো এই পর্বটা কেমন লেগেছে বলে জাও আশা করি ভালো লাগবে,,সবার রেসপন্স বাড়ে আর দিন দিন কমে আহ কি শান্তি)-
Share On:
TAGS: নিষিদ্ধ চাহনা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৮
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১১
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ৬
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১০
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৩
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৬
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৫
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৭