নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব ১
🚫এলার্ট🚫 নিজের থেকে সাত বছরের ছোট বাচ্চা সুলভ চাচতো বোনের সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে চাচাতো ভাই।মেয়েটির বয়স মাত্র পনেরো বছর।।মেয়েটি ছাড়া পাওয়ার জন্য আকুতি মিনুতি করলেও ছাড়েনি ছেলেটি বরং টেপ দিয়ে মুখ আটকে দিয়েছিলো..যখন নেশা কেটে যায় ছেলেটির তখনই বুঝতে পারে সে কতো বড়ো ভুল করে ফেলেছে..বাচ্চা মেয়েটির নগ্ন শরীরের দিকে তাকিয়ে গায়ের উপর চাঁদর দিয়ে ঢেকে দিয়ে কিছু না বলে উঠে চলে যায় রুম থেকে আর সেই রাতে পাড়ি জমায় সুদুর কানাডায়..কিন্তু কিছু জিনিস কি আর চাপা যায় রুমেত সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায় কিছুক্ষন আগের সেই জঘন্য ঘটনাটা।।!
কিছুক্ষন আগের ঘটনা……
বিয়ে বাড়ির চারিদিকে আনন্দ উল্লাসে ভরপুর..গান বাজনা লাইটিং এর আলো সারা বাড়ি জুড়ে।।আজ চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলে ইশান চৌধুরীর বিয়ে।।বিয়ে বাড়িতে মানুষে ভরপুর তবে কারোর কোনো ধারনা নেই এর পর কি হতে যাচ্ছে।দোতলার কর্নারের বিশাল রুম টা আজ অন্ধকারে ছেয়ে আছে.. ঘরের মাঝে আলতো গোলাপি আলো জলছে..সোফার উপর সুয়ে আছে সাদি। পুরো নাম সাদিকুর চৌধুরী সাদি..সাদীর চোখ অসম্ভব লাল শরীর তার অস্থির..আজ তার প্রেমিকার সাথে তার বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এটা সে মেনে নিতে পারছে না।সাদির শ্বাস দ্রুত চলছে..গলা শুকিয়ে আসছে..সোফার পাশেই খালি পড়ে আছে দুটো বিদেশি হুইস্কির বোতল..সাদির সারা শরীর কাপছে অজানা এক আগুনের উত্তেজনায়।।মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে এক অদ্ভুদ গোঙানি.. নিজেই নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করছে সাদি..!
তখনই রুমের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ পিহু..পুরো নাম আদিবা চৌধুরী পিহু..পরনে লেহেঙ্গা বিয়েতে মজা করছিলো সে কিন্তু চাচির কথা শুনে উপরে আসে সাদিকে ডাকতে..কিন্তু সাদির এমন গোঙানি শুনে পিহু কিছুটা ভড়কে যাই।।ধীরে ধীরে সাদির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ভিতু কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে…
-“ভাইয়া তোমার কি হয়েছে…?
সাদি টেনেটুনে চোখ খুলে উঠে বসে সোফার উপর..তারপর পিটপিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে পিহু দাঁড়িয়ে হুট করে পিহুকে জড়িয়ে ধরে.. পিহু কেপে উঠে..সাদির মুখ ঠেকেছে পিহুর পেটে..সাদি চুমু তে ভরিয়ে দেই পেট তারপর বিড়বিড় করে বলে…
-“আমার না অনেক দুঃখ ভুলিয়ে দিবি পিহু..!
-“কি দুঃখ ভাইয়া…!
-“ভুলিয়ে দিবি বলনা.. সাদি কিছুটা বাচ্চামি আচরন করে বলে উঠে..!
পিহু অবাক হয় সাদি ভাইকে সে সব সময় কম কথা বলা গম্ভীর রাগী অবস্থাই দেখেছে এই রুপে কখোনো দেখেনি..তাই কিছু না ভেবে পিহু উত্তর দিলো..
-“চাচি নিচে ডাকছে চলেন..খেতে হবে আপনি নাকি সারাদিন খান নাই..!
-“আমার অনেক কষ্ট রে পিহু..খেতে ইচ্ছা হয় না..!
-“আগে চলুন চুপচাপ..বলেই পিহু সাদির হাত ধরে টেনে তুললো সাথে সাথে সাদির শরীরে কারেন্ট এর মতো শক লাগে..পিহুর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকায়।।নিজের ভিতরে পুরু*ষত্বের চাহিদা জেগে উঠে..নিজের সামনে সুন্দরী পিহুকে দেখে মোহিত হয়ে যায় সাদি..সাদির চাহিদা তীব্র বেগে জেগে উঠে ঠিক তখনই…
-“আরে ভাইয়া আসো বলেই পিহু সাদিকে টানতে থাকে..!আরে ভাইয়া..পিহু সম্পুর্ণ কথা শেষ করার আগেই সাদি তার ঠোঁটজোড়া নিজের দখলে নিয়ে নেই।।অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পিহু ভয় পেয়ে যায়।।দুই হাত দিয়ে সাদির বুকে কিল ঘুসি দিতে থাকে এতে সাদিকে এক চুল ও নড়াতে পারে না বরং সাদি আরো উত্তেজিত হয়ে যায়!!ঠোঁটের চুম্বন গভীর থেকে গভীর হচ্ছে এক সময় সাদি পিহু কে ছেড়ে দেয় সাথে সাথে পিহু জোরে জোরে দোম নিতে শুরু করে।। পিহু কিছু বলতে যেতেই সাদি পিহুকে কোলে তুলে বিছানাই ছুড়ে দেই..আর নিজের শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে এগিয়ে যেতে থাকে পিহুর দিকে…পিহু ভয়ে পিছাতে শুরু করে তার গলা দিয়ে স্বর বেরোচ্ছে না..সাদি শার্ট টা ছুড়ে মারলো বিছানায়..তারপর ঝাপিয়ে পড়লো পিহুর উপর।পিহু কেদে উঠলো। সাদি পিহুর ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে বেশখানিক্ষন পর ছেড়ে দিয়ে পিহুর গিলায় ঠোঁট ছোয়াল..পিহু এবার সাদির হাতে কামড় দিলো..সাদি চোখ তুলে গোলাপি আলোয় হাত দেখে পিহুকে বললো..
-“তাহলে চল কে কাকে কত বেশি বাইট করতে অয়ারে দেখা যাক..!
বলেই সাদি পিহুর লেহেঙ্গা খুলতে শুরু করলো পুহু ধাক্কা দিয়েও সরাতে পারলো না..সাদির শক্তপোক্ত পুরুষালী শরীরের কাছে তার শরীর চুনোপুঁটি।। এক পর্যায়ে সাদি জোরপূর্বক পিহুর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে শিরু করে..পিহুর আর্তনাদে পুরো ঘর কেপে উঠে..যেহেতু সাদির রুম সাউন্ড প্রুভ আর বাইরে গান বাজনা চলছে সেহেতু পঞ্চাদশী পিহুর আর্তনাদ কেও শুনলো না..সাদির উন্মাদনা বেড়ে গেলো..ফলস্বরুপ পিহু গোঙরাতে গোঙরাতে এক সময় জ্ঞান হারালো..চোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পড়লো নোনাজল..হটাৎ সাদির ফোন বেজে উঠাই সাদির ঘোর কাটে..তারপর সে বুঝতে পারে কত বড় ভুলটাই না সে করেছে।কিছু না ভেবেই ডয়ার থেকে পাসপোর্ট বের করে নিয়ে এক কাপড়ে বেরিয়ে যায় সাদি..!
নিজের ছেলেকে রেগে চলে যেতে দেখে আতিয়া বেগম মনে করলো পিহু করেছে।। ছোট থেকে পিহু আর সাদির সাপে নেউলে সম্পর্ক।। আতিয়া বেগম নিজের মনে মনে বক্তে বক্তে উপরে উঠলেন সিড়ি বেয়ে।।সাদির রুমের সামনে এসে দরজা ধাক্কা দিতেই আতকে উঠলেন আতিয়া বেগম..তার চোখ আটকে গেছে…চিল্লিয়ে জোরে কেদে উঠলেন তিনি দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো নিথর পিহুকে…সারা বিছানায় লাল রক্তের দাগ.. তার বুঝ মতে অসুবিধা হলো না একানে কি হয়েছে..আতিয়া বেগম এর চিৎকার এ সবাই রুমে এসে হামলে পড়লো..সবার চক্ষু চড়ক গাছ…পিহুর বড় বোন কেদে উঠে ছুটে গেলো নিজের বোনের কাছে..!
ইলিয়াস চৌধুরী বেশ রেগে গেলো পিহুর অবস্থা দেখে..সাথে সাথে নিজেদের পারিবারিক ডাক্তার কে ফোন দিলো..আতিয়া বেগম আর পিহুর বড় বোন মেহু মিলে পিহুকে জামা কাপড় পরিয়ে দিলো.. মেয়েটার শ্বাস খুব ধিরে চলছে..বিছানার এক কোনে বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ইলিয়াস চৌধুরী নিজের ছেলে এমন কান্ড করবে তাও বাপ মা মরা মেয়েটার সাথে..এরকম সিক্ষা সেতো তার ছেলেদের দেই নি..ইশান সাদির ফোনে কল দিচ্ছে অনবরত কল এতক্ষন ঢুকলেও এক ফোন বন্ধ ইশান বেশ রেগেই বলে উঠে…
-“বাবা ওই অমানুষ্টার ফোন অফ..!
-“ইলিয়াস চৌধুরী গভীর চিন্তায় বিমত্ত..কি থেকে কি হয়ে গেলো…মেহু ভিজা তোয়ালে দিয়ে পিহুর সমস্ত শরীর মুছিয়ে দিলো পিহুর কেপে উঠলো অচেতন অবস্থাতেই…ডাক্তার আসলে পিহুর অবস্থা দেখে বলে উঠে এটা তো রে*প কেস আমি চিকিৎসা করতে পারবো না..!
এবার ইলিয়াস চৌধুরী হুংকার দিয়ে বলে উঠে আগে আমার মেয়েকে বাচান তারপর কেস দেখবেন বলেই হাতের মোবাইল এ থাকা পুলিশ এর নাম্বারে ফোন লাগিয়ে বের হয়ে যায় রুম থেকে সাথে যায় ইশান ও..!
আতিহা বেগম কেদে উঠে তার ছেলে এমন জঘন্য কাজ কিভাবে করলো সে নিজেও তো ডাক্তার এই মাসেই ডিগ্রি আনার জন্য কানাডা যাওয়ার কথা সে কিভাবে করতে পারলো এসব।। ডাক্তার পিহুকে দেখে স্যালাইন দিলো সাথে ব্যাথা আর ঘুমের ইঞ্জেকশন দিলো..তারপর আতিয়া বেগম কে উদ্দেশ্য করে বললো….
চলবে……
নিষিদ্ধ_চাহনা
সুচনা_পর্ব
লেখিকাসারাচৌধুরী
-(নতুন একটা ডাক্তার+রোমান্টিক+রিভেঞ্জ রিলেটেড গল্প নিয়ে আসলাম..তোমাদের ভালো রেসপন্স পেলে পরের পর্ব দিবো গল্পটা রানিং রাখবো নইতো ডিলেট করে দিবো..দেখা যাক তোমাদের রেসপন্স পাই নাকি)-
Share On:
TAGS: নিষিদ্ধ চাহনা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১১
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২২
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২৩
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২১
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৮
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২৪
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৫
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৪
-
নিষিদ্ধ চাহনা গল্পের লিংক