নির্লজ্জ_ভালোবাসা
লেখিকাসুমিচোধুরী
পর্ব ৪২ (গভীর ভাবে ১৮+ এলার্ট)
❌ ১৮+ সতর্কতা ❌
এই কনটেন্টটি শুধুমাত্র ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের দেখার অনুমতি নেই।
অতিরিক্ত রোমান্স যারা পছন্দ করেন না, দয়া করে এটি এড়িয়ে চলবেন।
আয়ান তিথিকে আলতোভাবে কোলে তুলে নিয়ে নিজের রুমে আসল। সে নিজেই কাঁধ দিয়ে সশব্দে দরজাটা বন্ধ করল। এরপর মুহূর্তে এক ঝটকায়, তিথিকে ধরে এনে বিছানার নরম গদিতে ফেলে দিল।
তিথির দিকে তাকিয়ে আয়ানের চোখ দুটো যেন উত্তেজনায় জ্বলছে। সে খাটের পাশে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে, গম্ভীর, চাপা স্বরে বলল।
“যে কন্ট্রোলটা নিজের শারীরিক ইচ্ছেগুলো দমন করে রাখার চেষ্টাটা আমি এতদিন ধরে সামলে এসেছি, যখন থেকে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক চাহিদাগুলো বুঝতে শিখেছি, তুই সেই বাঁধটা আজ চূর্ণ করে দিলি! তোর আদর চাই তো? ঠিক আছে! দাঁড়া, তোকে আদর করছি! এমন আদর করব যে, কালকে তুই এই বিছানা ছেড়ে সহজে হাঁটতেও পারবি না।”
কথাটা শেষ হতেই, আয়ান আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে যেন বহুদিনের ক্ষুধার্ত শিকারি তার শিকারকে দেখছে এক ঝাপটে তিথির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল!
আয়ান এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে তিথির ওপর ভারী হয়ে চেপে বসল। তার মুখটা বিদ্যুৎ গতিতে এগিয়ে গিয়ে অধিকারের সাথে তিথির কোমল ঠোঁট জোড়া গিলে নিলো। সেখানে আদরের লেশমাত্র ছিল না, ছিল কেবল বন্য দখলদারি। তীব্র চুম্বনের মধ্যেই সে হিংস্রভাবে কামড় বসাতে শুরু করল, যেন প্রতিশোধ নিচ্ছে!
কামড়ের তীব্র জ্বালায় তিথি নিজের অজান্তেই আয়ানকে একবার সরাতে চাইল, তার হাতটা হালকা করে আয়ানের পিঠে ঠেকল।
তিথির এই ক্ষীণ প্রতিরোধ আয়ানের উত্তেজনাপূর্ণ ক্রোধকে যেন আরও জ্বালিয়ে দিলো। সঙ্গে সঙ্গে সে দুই হাতে তিথির দুটি কব্জি ধরে বিছানার সাথে পিন করে দিলো। এরপর তার আগ্রাসী মুখটা তিথির ঠোঁটে আরও চেপে ধরল, যেন ছুরি দিয়ে চিড়ে ফেলছে! মনে হচ্ছে,এই কামড় বা চুম্বন নয়, বরং শারীরিক লড়াইয়ের মাধ্যমে আয়ান তার গভীরতম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এই নিষ্ঠুর, নীরব ঝগড়ার যন্ত্রণায় তিথির চোখ থেকে বাঁধ ভাঙা জলের মতো অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
আয়ান দীর্ঘ, নির্মম এক ঝগড়ার পর তিথির ঠোঁট ছাড়লো। এই অগ্নিপরীক্ষার শেষে তিথির ঠোঁট কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছে। আয়ান তিথি দুজনেই হাঁপাচ্ছে লাগল, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস রুমে স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে।
যন্ত্রণা আর আকস্মিকতায় তিথি কাঁদো কাঁদো স্বরে, কষ্টে শ্বাস নিতে নিতে আয়ানকে বলল।
” ব্যাথা দিচ্ছো কেন? আমি তোমায় আদর করতে বললাম, তুমি এইভাবে আঘাত করছো কেন?”
আয়ান তখনো নিজের সংযমহারা অবস্থায় হাঁপাচ্ছে। তিথির ঠোঁটের ঝরে পড়া তাজা রক্ত সে নিজের জিভ দিয়ে ধীরে ধীরে চেটে নিলো, তার চোখে ছিল দখলদারির এক তীব্র চাহনি। এরপর কঠিন অথচ উত্তেজক স্বরে সে বলল।
“ডোন্ট বি আপসেট আদরে একটু-আধটু ব্যাথা তো লাগেই। এখনো তো আসল ব্যাথার কাজই শুরু হয়নি!”
কথাটা শেষ করেই আয়ান যেন নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। সে নিঃশ্বাসের উত্তাপ ছড়াতে ছড়াতে তিথির ঘাড়ের নরম মাংসল অংশে কষে দাঁত বসিয়ে দিলো। কামড়ের তীক্ষ্ণ যন্ত্রণায় তিথির মুখ থেকে একটা চাপা, কাতর চিৎকার বেরিয়ে এলো।
“আহহহ আয়ান!”
আয়ান তখনও থামল না। সে যেন এক বন্য ঘোরে। তিথির ঘাড়, গলা, কাঁধ যেখানে যেখানে তার মুখ পৌঁছাল, সেখানেই সে একের পর এক গভীর চুমু এবং হিংস্র কামড় বসিয়ে যেতে লাগল, যেন সম্পূর্ণ শরীরে নিজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করছে। এই তীব্র নেশায় তিথি যেন নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সে শুধু যন্ত্রণা ও শিহরণের এক মিশ্রণে মৃদু গোঙানির মতো শব্দ করে আয়ানের প্রতিটি ছোঁয়া গ্রহণ করতে লাগল।
আয়ানের ছোঁয়া ক্রমশ অধিক গভীরতায় প্রবেশ করতে লাগল। আয়ান অপেক্ষার অবসর না রেখে দাঁত ব্যবহার করে তিথির ইনারের বাঁধন ছিঁড়ে দিলো। এরপর তিথির সারা শরীরে সে তৃষ্ণার্তের মতো চুমু খেতে শুরু করল। এই তীব্র আবেগ ও উত্তেজনার মুহূর্তে তিথি হাঁপাতে হাঁপাতে আয়ানের চুল মুঠো করে ধরে দিলো এবং আলতো করে খামচে ধরল, যেন তাকে আরও নিবিড়ভাবে কাছে চাইছে।
তিথি তীব্র উত্তেজনার স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। সে যেন আর কোনো বাঁধ মানতে রাজি ছিল না। নিজের অদম্য বাসনা মেটাতে সে বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে নিজেই আয়ানের ট্রাউজারের ফিতা ঝট করে টেনে খুলে ফেলল!
তিথির এই আকস্মিক এবং সাহসী কাণ্ড দেখে আয়ান মুহূর্তের জন্য থমকে গেল, তারপর তার ঠোঁটে চওড়া, দুষ্টুমির এক হাসি ফুটে উঠল। সে দম নিয়ে টিপ্পনী কেটে বলল।
“বাহ্! বেশি সাহস দেখাচ্ছিস তুই? দাঁড়া, আজ তোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি মজা কাকে বলে!”
কথাটা শেষ করেই আয়ান আগ্রাসী ভঙ্গিতে তিথির শরীরের নিম্নাংশের নিচের কাপড়ের অংশটুক ও খোলে ফেলল। এরপর বিন্দু মাত্র দেরি না করে, আয়ান নিজের শরীর থেকে সবটুকু পোশাক ছুঁড়ে ফেলে, তিথিকে জাপটে ধরে কম্বলের নিচে আশ্রয় নিলো।
মুহূর্তের মধ্যে, আয়ান আর কোনো প্রস্তুতি বা সময়ক্ষেপণ করল না। উত্তেজনার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে সে তীব্র, হিংস্র হয়ে তিথির গভীরে চলে গেল! সেই প্রথম, আকস্মিক আঘাতেই যন্ত্রণায় তিথির মুখ থেকে একটি তীক্ষ্ণ, আর্তনাদ বেরিয়ে এলো।
“আআআআহহহ্!”
আয়ান তখনো নিজের উন্মাদনায় মত্ত। সে তিথির মাঝে মেতে উঠল।
তিথিও এই যন্ত্রণা ও অভূতপূর্ব সুখের তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। সে আয়ানকে দু’হাতে অত্যন্ত শক্ত করে জড়িয়ে ধরল, যেন সে এই মুহূর্তের তীব্রতা থেকে জীবনেও এক মুহূর্তের জন্য মুক্তি পেতে চায় না।
বেশ কিছুক্ষণ পর, যখন উত্তেজনা চরম সীমায।তিথির চোখ থেকে অবিরত ধারায় নেমে পড়লো অশ্রু। বাংলায় যাকে বলে সুখের কান্না তিথি ঠিক সেই আনন্দের আতিশয্যের কান্না করছে।এভাবেই আয়ান পুরোটা রাত তিথির ওপর নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে থাকল। যখনই সে শক্তির অভাবে একটু নুয়ে পড়ত, তখনই তিথির উষ্ণ বুকে আছড়ে পড়ে ক্ষণিকের জন্য শান্ত হতো, আর আবার শক্তি সঞ্চয় করে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত।
ঠিক ভোরের আলো ফোটার আগে, ফজরের আযানের সুর যখন শোনা গেল, আয়ান নিজের শরীরের শেষ শক্তিটুকুও তিথির গভীরে ঢেলে দিলো। এরপর সে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে তিথির বুকে মাথা রেখে, লম্বা শ্বাস টানতে টানতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। তিথিও যন্ত্রণার পাশাপাশি চরম সুখে শরীর সম্পূর্ণ শক্তিহীন হয়ে পড়ায়, সেও আয়ানের বাহুডোরে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ল।
সকালবেলা খান বাড়ির বিশাল এলাকাটা যেন নবরূপ নিয়েছে। রঙিন ফুল, আলোকসজ্জা আর ঝালর দিয়ে পুরো বাড়িটা চকমকে করে সাজানো হচ্ছে। একসঙ্গে দুটি বিয়ে তাই আয়োজনের কোনো ত্রুটি নেই। আত্মীয়-স্বজনদের আগমনে বাড়িটা এখন কোলাহলে মুখরিত। আজ গায় হলুদ এবং কাল বিয়ের তারিখ।
তুরা ঘুম থেকে উঠে, তাড়াতাড়ি নিজেকে গুছিয়ে নিচে নামতেই দেখল পুরো বাড়িতে সাজ সাজ রব। রৌশনি খান, হিমি খান এবং তনুজা খান সকলেই কর্মব্যস্ত, কাজের লোকদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তুরার পেটে তখন আগুনের মতো ক্ষিদে জ্বলছে। সে তনুজা খানের কাছে গিয়ে প্রায় আবদারের সুরে বলল।
“মা! পেটটা চোঁ চোঁ করছে, কিছু খেতে দাও না? খুব ক্ষিদে পেয়েছে!”
তিথির কথা শুনে তনুজা খান স্নেহভরা হাসি হাসলেন। তিনি বললেন।
“আরে, তিথিও কাল রাত থেকে অভুক্ত। যা তো মা, ওকেও ডেকে নিয়ে আয়।”
“আচ্ছা মা।”
কথাটা বলেই তুরা প্রায় ছুটে তিথির রুমে এলো। কিন্তু রুমে এসে দেখে ঘর একদম ফাঁকা। তুরা প্রথমে ভাবল, ‘নিশ্চয়ই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।’ এই ভেবে সে ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে বারান্দায় উঁকি দিলো কিন্তু না, সেখানেও কেউ নেই। তুরা ভ্রু কুঁচকে গেল। সে তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমের দরজায়ও চোখ বুলিয়ে দেখল, সেখানেও নেই!
ঘটনা কী? তিথি এত সকালে সব ছাপিয়ে কোথায় উধাও হলো? নিচে তো সাজসজ্জার ভিড়ে ছিল না! এইসব নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে তুরা যখন হতচকিত হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসছে, ঠিক তখনই আরফার সঙ্গে মুখোমুখি হলো। আরফা তুরাকে দেখেই খিলখিল করে হেসে মশকরা করে বলল।
“কী রে নতুন বউ! সকাল সকাল কার খোঁজে এত অস্থির? মনে হচ্ছে রৌদ্র ভাইয়াকে খুঁজে পাচ্ছিস না, তাই না?”
তুরা লজ্জায় আরক্ত হয়ে মাথা নামিয়ে বলল।
“না আপু, আমি আসলে তিথিকে খুঁজছিলাম।”
“কেন, সে ঘরে নেই?”
“না আপু, সবখানে দেখলাম, কোথাও নেই।”
“ওহ্! আচ্ছা চল তো, একবার ছাদের দিকে যাই। মনে হয় ছাদে আছে, ওই মেয়ের তো আবার ভোরে ছাদে ঘোরার বাতিক আছে।”
কথা শেষ করে তুরা আর আরফা, তিথির সন্ধানে দুজনে মিলে ছাদের দিকে পা বাড়াল।
,,,,,,
ধীরে ধীরে তিথির জড়তা ভরা ঘুম ভাঙল, আর সে অনুভব করল তার পুরো শরীরের ওপর যেন পাথরের মতো ভারী কিছু চেপে আছে। তিথি কষ্টে, ধীরে ধীরে চোখ মেলে, আর চোখ খোলেই যখন নিজেদের বুকের ওপর আয়ানের মাথা দেখল, তিথি যেন তাত্ক্ষণিক বিদ্যুতের শক খেল।
তারপরই তিথি বুঝতে পারল, তার শরীরটা যেন এক ফোঁটা শক্তিহীন, আর প্রত্যেকটা অঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা, বিশেষ করে তলপেট থেকে প্রস্রাবের জায়গাটা পর্যন্ত তীব্র দপদপানি। তিথি যেই আয়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে যাবে, তখনই তার দৃষ্টি গেল শরীরের দিকে তার এবং আয়ান, দু’জনের গায়েই এক টুকরো কাপড়ের সুতোও নেই! তারা দু’জনেই সম্পূর্ণ নগ্ন! এমন লজ্জাজনক ও ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে তিথি আতঙ্কে কাঠ হয়ে গেল, এবং তার গলা চিরে এক ভয়াবহ, বিকট চিৎকার বেরিয়ে এলো।
“আআআআআআআআআআআআ!”
তিথির সেই গলা ফাটানো আর্তনাদে আয়ানের ঘুম চমকে ভেঙে গেল। সে ধড়মড়িয়ে উঠে, দুই কানে হাত চেপে ধরে দেখল তিথিই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আয়ান রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠল।
“কী রে! সকাল সকাল কানের পর্দা ফাটানোর পরিকল্পনা করেছিস নাকি? শা**লী, রাক্ষসী কোথাকার!”
তিথি যেন আকাশ থেকে পড়া অবস্থা। তার মুখটা ভয়ে ফ্যাকাসে হয়ে গেল। সে তোতাপাখির মতো কাঁপা কাঁপা গলায় বলল।
“আ.আ. আমি… আমি তোমার ঘরে কেন? আর, আর আমরা দুজনে এমন অবস্থায় কেন?”
তিথির এই নির্বোধের মতো প্রশ্নে আয়ান বুঝে গেল যে, তার নেশার ঘোর কেটে গেছে এবং এখন আর তিথির কিছু মনে নেই। আয়ান এক ঝটকা দিয়ে তিথির ওপর থেকে নেমে এলো। আয়ানকে সম্পূর্ণ নগ্ন দেখে তিথি আতঙ্কে সঙ্গে সঙ্গে কম্বলের ভেতরে গুটিসুটি মেরে লুকিয়ে গেল এবং ছিঃ ছিঃ করতে করতে বলল।
“ছিহ্, ভাইয়া, ছিহ্! তোমার একটুও লজ্জা করছে না নিজের বোনের সামনে এইভাবে উলঙ্গ হয়ে থাকতে? ছিহ্!”
আয়ান তখন তাড়াতাড়ি কোমরে একটি তোয়ালে পেঁচাতে পেঁচাতে তিথির দিকে হিংস্র দৃষ্টি দিয়ে বলল।
“যদি এতটাই সতীপনা দেখাতি, আর ভাই বলে মানতি,তাহলে কাল রাতে আমার আদর পেতে তুই পাগলের মতো ছটফট করতিস না! এখন নেশা ছুটে গেছে তো? শরীরের ক্ষুধা মিটেছে তো?তাহলে আর এক সেকেন্ডও দেরি না করে এই মুহূর্তে বেরিয়ে যা আমার রুম থেকে!আর কক্ষনো আমার রুমে ঢুকার চেষ্টা করবি না।”
আয়ানের কথাগুলো শুনে তিথি যেন হতবাকের শেষ প্রান্তে চলে গেল। সে তাড়াহুড়ো করে কম্বলের আড়াল থেকে মাথা বের করে আয়ানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল।
“মা… মানেটা কী? আমার শরীরের ক্ষুধা মানে কী বলছো? কাল রাতে ঠিক কী হয়েছে? আর আমি তোমার ঘরে কেন?”
আয়ান হিংস্রভাবে তিথির দিকে ঝুঁকে এসে, চোখে আগুন নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল।
“যা হয় এক জন স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে! সেটাই হয়েছে, বঝেছিস? এখন আর সতী সাজতে হবে না! এখনি বের হ আমার রুম থেকে!”
তিথির মুখটা সচরাচর ফ্যাকাসে হয়ে গেল। আয়ানের অস্পষ্ট ইঙ্গিত সে পুরোপুরি না বুঝলেও, তার ভেঙে পড়া শরীর আর অসহ্য ব্যথা স্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছিল কাল রাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা ঘটেছে। এইসব ভাবতে ভাবতেই তার চোখ গেল বিছানার দিকে সাদা চাদরে লালচে রক্তের ভয়াবহ দাগ! এই রক্ত দেখেই তিথি নিশ্চিত হয়ে গেল কাল রাতে আয়ান তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। কিন্তু এত বড় সর্বনাশ কীভাবে হলো? এই চিন্তা আসতেই তিথি কান্নায় ভেঙে পড়ল, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করল।
তিথির কান্না দেখে আয়ান চরম বিরক্তিতে গজগজ করে বলল।
“শোন! এই নেকামো ঢঙের কান্না আমার সামনে দেখাবি না। আবেগ দেখানোর ইচ্ছে থাকলে নিজের রুমে গিয়ে দেখা!”
তিথি ভীষণ ঘৃণা নিয়ে আয়ানের দিকে তাকাল। আয়ান যে এতটা নিচু মনের হতে পারে, তিথি তা কোনোদিনও কল্পনা করেনি। তিথির মাথায় তখন একটাই চিন্তা আয়ান হয়তো সুযোগ নিয়ে জোর করে তার ইজ্জত লুটে নিয়েছে। এই ভাবনাতেই সে ঘৃণায় চোখ ছোট করে আয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল।
“ছিহ্ ভাইয়া! ছিহ্! তোমার সাথে আমার মনোমালিন্য ছিল, কখনো তোমাকে পছন্দ করতাম না সেটা আলাদা কথা। কিন্তু তাই বলে তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করে দেবে? এখন আমি কীভাবে মুখ দেখাবো? আমার বিয়ে কী করে হবে? আমার হবু জামাই কি আমাকে গ্রহণ করবে? তুমি আমার গায়ে এইভাবে কলঙ্কের ছাপ বসিয়ে দিলে! এর মানে কি তুমি এই জঘন্য উপায়ে আমার ওপর প্রতিশোধ নিলে?।”
রানিং…!
জানি না কেমন হয়েছে প্লিজ কিছু ভুল হলে আমাকে মাফ করবেন। আর গল্প দিতে দেরি হলো কারেন্ট ছিলো না তাই৷ এখন কারেন্ট আসলো আর সাথে সাথে পোস্ট করলাম৷ প্লিজ প্রিয় পাঠকরা কিছু মনে করিও না🙏🥺
Share On:
TAGS: নির্লজ্জ ভালোবাসা, প্রিঁয়ঁসেঁনীঁ
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৪৫
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৭
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা গল্পের লিংক
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩২
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৪৭
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৯
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩৯
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৪
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৮
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩৬