নির্লজ্জ_ভালোবাসা
লেখিকাসুমিচৌধুরী
পর্ব ৩৪ (❌কপি করা নিষিদ্ধ❌)
আয়ান আর তিথিকে একটি স্যাঁতস্যাঁতে, ছোট ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বাইরে মানুষজনের কোলাহল স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে তাদের ধরে নিয়ে আসার আগে চেয়ারম্যান এসে আয়ানের গাড়িতে সত্যি সত্যি মেয়েটিকে দেখতে পেল। তিথিকে এত দূরে, নিজের গাড়িতে দেখে আয়ান যেন মাথায় বাজ পড়া অনুভব করল। মানুষজন কোনো যুক্তি না শুনেই, তাদের অপমান করে ধরে নিয়ে এসেছে অপহরণের দায়ে।
ঘরের মধ্যে আয়ান হাঁসফাঁস করছে। সে অসহায় ক্রোধে নিজের মাথার চুল মুঠি করে টানছে, মাঝে মাঝে হিংস্র গর্জন করে দেওয়ালে সজোরে ঘুষি মারছে প্রতিটি আঘাতে যেন তার রাগ ফেটে বের হচ্ছে।
তিথি ঘরের এক কোণে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। মাথা নিচু করে সে শুধু ফুঁপিয়ে কাঁদছে তার কান্নার শব্দ ছাড়া ঘরের ভেতর আর কোনো স্বর নেই।আয়ান এবার দেয়ালে ঘুষি মারা থামিয়ে, ফুঁসতে ফুঁসতে তীরের মতো তিথির দিকে এগিয়ে এলো। তার চোখে এখন রক্তের মতো লাল রাগ।
“তিথি, সত্যি করে বল, তুই গাড়িতে কিভাবে আসলি?”
তিথি চুপচাপ মাথা নিচু করে কাঁদছে। তার শরীর কাঁপছে, কিন্তু সে একটিও উত্তর দিল না। আয়ানের রাগ যেন বারুদের মতো জ্বলে উঠল।
সে তিথির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে, তার কাঁধ ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে গর্জন করে উঠল।
“তিথির বাচ্চা তিথি! বলবি, নাকি আমি তোর গলা চেপে ধরে এখানেই শেষ করে দেব?”
আয়ানের রাগে তিথি আরও চমকে উঠল এবং কান্নাটা আর্তনাদের মতো বাড়িয়ে দিল।তিথির এমন অসহায় কান্না দেখে আয়ানের ধৈর্য্যের শেষ সীমাও ভেঙে গেল। সে তিথির সামনে থেকে ঝটকা মেরে উঠে দাঁড়াল এবং সজোরে খাটে লাথি মারল।
বাইরে তখন ফিসফিসানির তুমুল ঝড় বইছে। ভিড়ের মধ্যে থাকা লোকজন দুটি ভাগে বিভক্ত একদল বলছে, “পুলিশ ডাকো, ছেলেটাকে জেল খাটাও!”, আরেক দল বলছে, “মেয়েটার সম্মান বাঁচাতে বিয়ে দিয়ে দাও!”
ঠিক সেই সময়, তালাবন্ধ ঘরের দেয়াল ভেদ করে তিথির হাহাকার মেশানো কান্নার আওয়াজ বাইরে ভেসে এলো। সেই কান্না শুনে ভিড়ের মধ্যে থাকা একজন বয়স্ক, অভিজ্ঞ পুরুষ (মুরুব্বি) চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে গলা চড়ালেন।
“দেখছেন চেয়ারম্যান সাহেব? মেয়েটার কান্না শুনেছেন? মনে হচ্ছে ছেলেটা মেয়েটার নিশ্চয়ই কোনো সর্বনাশ ঘটিয়েছে! আমার কী মনে হয় জানেন? বিয়ে দেওয়াটাই একমাত্র ভালো রাস্তা হবে। এই ধনীরা আইন মানে না, টাকা দিয়ে বেরিয়ে আসবেই। কাবিননামায় এমন মোটা অংকের টাকা ধরিয়ে দিন, যাতে সে এই ছেলে এই মেয়েকে চাইলেও ছাড়তে না পারে।”
মুরুব্বি যুক্তি দিলেন।”তাতে মেয়েটার জীবনটা অন্তত বাঁচবে। পুলিশে দিলে তো মেয়েটা সমাজের চোখে চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবে। আর এই ছেলেটার কোনো লাভ-ক্ষতি হবে না।”
বৃদ্ধের সেই রুক্ষ কিন্তু বাস্তব কথায় চেয়ারম্যান মুহূর্তেই সায় দিলেন। তিনি মাথা নেড়ে ভিড়কে উদ্দেশ্য করে দৃঢ় কণ্ঠে আদেশ দিলেন।
“এখনই ব্যবস্থা কর! দেরি নয়! একজন কাজী আর একজন উকিলকে কল করে তাড়াতাড়ি এখানে নিয়ে আয়!”
আয়ান তখনো দেয়ালের দিকে ফিরে ফুঁসছে, আর তিথি কাঁপা গলায় ফোঁপাচ্ছে। তাদের এই মানসিক যুদ্ধক্ষেত্রটি হঠাৎই বিধ্বস্ত হলো।
ধরাম করে দরজা খুলে গেল। কাজী, উকিল, চেয়ারম্যান এবং আরো কয়েকজন গম্ভীর মুখের মুরব্বি সদস্য ভেতরে যেন ঝড় হয়ে ঢুকলেন। তাদের গম্ভীর উপস্থিতিই জানিয়ে দিচ্ছিল, এইবার আর নিছক আলোচনা নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিথি মুহূর্তেই কান্না থামিয়ে দিল তার অশ্রুসিক্ত চোখজোড়া বিস্ময় ও নতুন আতঙ্কে বিস্ফারিত হলো। আয়ানও তীব্র বিরক্তি নিয়ে ঘুরে তাকাল। কিন্তু কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
চেয়ারম্যান শান্ত, ধাতব কণ্ঠে কাজী আর উকিলদের আয়ান আর তিথির দিকে ইশারা করে বললেন।
“এরা দুজনে বর আর কনে।”
এই কথা শুনে আয়ানের চোখ বিস্ময়ে যেন কপাল ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাইল। তিথিরও একই অবস্থা। আয়ান তাড়াতাড়ি চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে প্রায় কেঁদে ফেলার ভঙ্গিতে চেঁচিয়ে উঠল।
“মানে! কী বলছেন এসব? আমরা বিয়ের বর কনে মানে?”
চেয়ারম্যান সামান্যও বিচলিত না হয়ে বললেন।
“হ্যাঁ, তোমরা বিয়ের বর-কনে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাদের এখনই বিয়ে দেব।”
আয়ানের মাথায় যেন একটা আস্ত হাতুড়ি নেমে এলো! সে আর্তনাদ করে উঠল, টলে গিয়ে এক পা পিছনে সরে গেল। তার কণ্ঠস্বর তখন করুণ, কিন্তু জোর।
“কী কী বলছেন এসব! আপনারা পাগল হয়ে গেছেন? তিথি আমার নিজের চাচাতো আপন বোন! কেন আপনারা একটা কথাও বিশ্বাস করছেন না!”
চেয়ারম্যান আয়ানের দিকে একবারও না তাকিয়ে বললেন।
“বোন হয়, চাচাতো বোন। কিন্তু নিজের মায়ের পেটের আপন বোন তো না, তাই না?”
এই নির্দয় উত্তর শুনে আয়ানের রক্ত যেন ফুটতে শুরু করল। তার সমস্ত শরীর যেন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। সে গলার সমস্ত জোর দিয়ে চিৎকার করে বলল।
“আপনারা কী বলতে চাইছেন? আমি তিথির সাথে অশালীন কিছু করেছি, বা তাকে অপহরণ করেছি? এইটাই আপনাদের ধারণা?”
এরপর তার কন্ঠস্বর হতাশায় ভেঙে গেল।
“আচ্ছা, যার জন্য আপনারা এত বড় নাটক সাজালেন, সেই তিথিকেই একবার জিজ্ঞেস করুন না! আমি তাকে অপহরণ করেছি কিনা, বা খারাপ কিছু করেছি কিনা!”
কথাটা বলেই আয়ান পাগলের মতো তিথির দিকে ঘুরে দাঁড়াল। সে তার শক্ত, কাঁপা আঙ্গুলটা তিথির মুখের দিকে তাক করে গর্জন করে উঠল।
“তিথি! তুই নিজের মুখেই বল আমি তোর কে হই? বল এদেরকে! তোর সাথে খারাপ কিছু করেছি কিনা, বল এক্ষুণি!”
তিথি সাথে সাথে দুই দিকে না-সূচক মাথা নাড়িয়ে উপস্থিত মানুষদের বোঝাল যে আয়ান কোনো খারাপ কিছু করেনি।
কিন্তু তিথির এই নীরব ভঙ্গি বা মাথা নাড়া মানুষের মনে আরও গভীর সন্দেহ জাগিয়ে দিল। একজন মুরুব্বি সদস্য তিথির দিকে ঝুঁকে এসে স্নেহমিশ্রিত কঠিন কণ্ঠে বললেন।
“জানি, মা, তুমি ভয়ে না করছো। নিশ্চয়ই এই ছেলে তোমাকে হুমকি দিয়েছে, তাই তুমি মুখ খুলতে পারছো না। দেখো মা, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা যা করছি, তোমার ভালোর জন্যই করছি।”
তিনি আরও ভালো করে বুঝিয়ে বললেন।
“তুমি বিয়ে করে নাও। কাবিননামার ভয়ে ছেলেটা তোমাকে ছাড়তে পারবে না। তোমার সম্মান রক্ষা হোক এই অবস্থাতেই আমরা তোমাদের দুজনকে বিয়ে দিচ্ছি।”
তিথি লোকটার কথা শুনে আরও বেশি মুষড়ে পড়ল। তার আর্তনাদ আরও তীব্র হলো। ভয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় সে কোনোমতে উচ্চারণ করল।
“না না! আপনারা মারাত্মক ভুল বুঝছেন! আয়ান আমার ভাই হয়, শুধু ভাই! এর বাইরে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই! প্লিজ, আপনারা এসব আবোল-তাবোল কথা ভাইয়াকে নিয়ে বলবেন না!”
কিন্তু উপস্থিত সদস্যদের চোখে তখন একরোখা জেদ। তিথির হৃদয়বিদারক আকুতি তাদের কানে পৌঁছাল না। তাদের সব কথা বাতাসে মিশে গেল। এক প্রকার জোড় করেই সেই বিস্ময়কর, অযাচিত আয়ান আর তিথির বিয়েটি সম্পন্ন করা হলো। আয়ান আর তিথির কোনো প্রতিরোধই কাজে এলো না।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই, আয়ানের পকেট থেকে মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হলো। একজন মুরুব্বি, চোখে কঠিন দৃষ্টি নিয়ে, আদেশের সুরে বললেন।
“আজকে এবং আগামীকাল পশু পর্যন্ত তোমরা দুজন আমাদের গ্রামেই থাকবে। অনেক দিন ধরে গ্রামে কোনো নতুন বিয়ে হয় না। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীকাল তোমাদের দুজনের জন্য একটা ছোটখাটো আনন্দের অনুষ্ঠান করব।”
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে https://www.facebook.com/profile.php?id=61581114900558 লেখিকার পেইজ ফলো দিয়ে রাখেন!
হসপিটালের পরিবেশ আর্দ্র ও ভারী। করিডোর জুড়ে যেন হাহাকারের একটি হিমশীতল স্রোত বইছে। খান বাড়ির সদস্য আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিলাপ আর কান্নায় বাতাস রুদ্ধ হয়ে আসছে। থানা থেকে যে বিকৃত লাশটি আনা হয়েছে, কালো জামা দেখে সবাই প্রায় নিশ্চিত এইটাই তাদের তিথি! কারন তিথিও কালো জামা পড়ে ছিল।
ভয়াবহতা ছিল লাশের শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে। মেয়েটির মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না কেউ ব্লেড জাতীয় ধারালো কিছু দিয়ে মুখটা চিরে বীভৎসভাবে নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়,বর্বরোচিত নির্যাতনের পর গোপন স্থানগুলিতেও গভীর আঘাতের চিহ্ন। এই দৃশ্য দেখার পর সবাই ধরে নিলেন, এই পাপের শিকার তিথিই হয়েছে।
তনুজা খান বিরামহীনভাবে জ্ঞান হারাচ্ছেন। তাঁর জ্ঞান ফিরলে তিনি আবার চিৎকার করে ওঠেন। আশিক খানের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তাই তাঁকে শক্তিশালী ইনজেকশন দিয়ে জোর করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।
শিহাব, আরশি, শান্ত চৌধুরী, মিনহা চৌধুরী সবাই উপস্থিত। আরশি নিজের মাকে হারানোর মতো করে রোশনি খানকে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। তিথি তাদের মাঝে নেই এই নির্মম সত্যটা আরশির বিশ্বাস হচ্ছে না।
অন্যদিকে, আরিফুল খানের বুক যেন যন্ত্রের মতো চলছেন। তিনি আয়ানকে কিছুতেই ফোন করে পাচ্ছেন না বারবার বন্ধ বলছে। তিনি নিজেকে মিথ্যা সান্ত্বনা দিচ্ছেন,হয়তো বন্ধুর বাসায় আছে, কাল ঠিক ফিরে আসবে।কিন্তু পরক্ষণেই তাঁর চোখ ভিজে যায় তিথির কথা ভেবে।কে এমন নিষ্ঠুর মানুষ, এই নিষ্পাপ মেয়েটার সাথে এত বড় পাপ করল? এই প্রশ্নটাই তাঁর আত্মাকে বিঁধছে।
আনোয়ার খান বেঞ্চে বসে দুই হাতে চোখ চেপে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠছেন। তিনি কিছুতেই মানতে পারছেন না যে তিথির সাথে এত বড় একটা অবিচার হলো। আল্লাহ তায়ালা এতটা কষ্টদায়ক, নৃশংস মৃত্যু তিথির জীবনে লিখে রেখেছিলেন, ভাবতেই তাঁর কলিজা ছিঁড়ে আসছে। আরফাও হিমি খানকে জড়িয়ে ধরে নীরবে কান্না করছে।
শিহাবের চোখ থেকেও অশ্রু বাঁধ ভাঙা জলের মতো গড়িয়ে পড়ল। মেয়েটা সত্যি অনেক ভালো ছিল। কত মজা, হাসি,দুষ্টুমি তাদের কত স্মৃতি! সেই সব ভাবতেই শিহাবেরও যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। সামান্যতম সে বিশ্বাস করতে পারছে না তিথির সাথে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, আর তাদের সেই প্রাণবন্ত তিথি এখন এই পৃথিবীতে আর নেই।
অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডে,,,
রৌদ্রের মুখে সব শুনে তুরা নিজের ভারসাম্য হারাল। তার মুখ থেকে শুধু আর্তনাদ বের হচ্ছিল। তুরা যেন হুশ হারিয়ে পাগলের মতো আচরণ করতে শুরু করল। রৌদ্র কোনোভাবেই তুরাকে শান্ত করতে পারছিল না।আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে, রৌদ্র লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে একটি ইমারজেন্সি ফ্লাইট ধরল। দীর্ঘ পথ বাকি, তাই তাৎক্ষণিক রওনা হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
বিমানের সংকীর্ণ আসনে তুরা অবিরত চিৎকার করে কান্না করছে। তার শরীর অনবরত কাঁপছে, সে রৌদ্রের বুকে আছড়ে পড়ছে, যেন তার হৃদয়ের সমস্ত শোক এভাবে বের করে দেবে।
“ও আল্লাহ! আমার বোন! আমার বোনের কিছু হয়নি! এটা মিথ্যা! সব মিথ্যা! আল্লাহ, তুমি আমার বোনকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারো না! আমার বোন আছে! আমি বাড়ি গেলেই সে আমাকে ‘আপু’ বলে জড়িয়ে ধরবে! সব মিথ্যা বলেছে!”
রৌদ্রের চোখ নিজেদের অজান্তেই ভিজে গেছে। সে দাঁতে দাঁত চেপে তুরাকে বুকের সাথে শক্ত করে আঁকড়ে ধরল, এবং মিথ্যে সান্ত্বনা দিতে দিতে বলল।
“তুরা, প্লিজ শান্ত হ। তিথির কিছু হয়নি! দেখিস, হয়তো বাংলাদেশে আমাদের দরকার, তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসার জন্য কেউ হয়তো মিথ্যা খবর রটিয়েছে।”
তুরা সেই কথায় একবিন্দুও শান্ত হলো না। তার হাহাকার শুনে বিমানের বাকি যাত্রীদের অনেকে অসহায় চোখে তাদের দেখছে, কারো কারো চোখ থেকেও জল গড়িয়ে পড়ছে। রৌদ্রের চোখ থেকেও ফোঁটায় ফোঁটায় জল পড়ছে, যা তুরার চুলে মিশে যাচ্ছে। তুরা আবারও গলা ফাটিয়ে আর্তনাদ করে উঠল।
“ওহ আল্লাহ গো! তুমি আমার বোনটার কিছু হতে দিও না! আমার এইটুকু কলিজার বোনটাকে তুমি রক্ষা করো!”
তুরা আবার কাঁদতে কাঁদতে রৌদ্রের শার্ট মুঠি করে ধরে, তার বুকে মাথা চেপে ধরে বলল।
“রৌদ্র ভাইয়া, আপনি কসম কেটে বলেন না আমার বোনের কিছু হয়নি! আল্লাহকে বলেন, তিনি যেন আমার বোনকে সুস্থ রাখেন! আমি বাড়ি গেলেই যেন দেখতে পাই আমার কলিজার টুকরা বোনটা আমাকে দেখে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে ‘আপু’ বলে ডাক দেয়!”
নিজের কষ্ট ভুলে রৌদ্রও তুরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে গভীরভাবে বলল।
“হ্যাঁ তুরা, তুই শান্ত হো। আল্লাহ নিশ্চয়ই কিছু করেনি তিথিকে। তিনি অবশ্যই আমাদের তিথিকে সুস্থ রেখেছেন। আমরা বাড়ি গেলেই দেখবি, তিথি হাসিমুখে তোকে দেখে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরবে।”
রানিং…!
শুনো পাঠকবৃন্দ রীচেক দিতে পারেনি কারন আমি সত্যি সত্যি বিয়ে খেতে এসেছি অনেক ভীড়ের মধ্যে আছি তাও আমি গল্প লিখা বাদ দিলাম না কোনো রকম করে লিখে দিয়ে দিলাম বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেইখো ধন্যবাদ সবাইকে আর একটা কথা তিথি আর তুরা এক বাড়ির বউ হয়ে গেল কি ভাগ্য…! 😌😄
Share On:
TAGS: নির্লজ্জ ভালোবাসা, প্রিঁয়ঁসেঁনীঁ
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৫
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩৯
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ১৮
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা গল্পের লিংক
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ২৬
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ২৭
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৫৩
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ২৩
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৪৮
-
নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩৫