Golpo romantic golpo নির্লজ্জ ভালোবাসা

নির্লজ্জ ভালোবাসা পর্ব ৩৮


নির্লজ্জ_ভালোবাসা

লেখিকাসুমিচৌধুরী

পর্ব ৩৮ (❌কপি করা নিষিদ্ধ❌)

শিহাবের কথা শেষ হওয়ার পর হল রুমটা আবারো স্থবির, থমথমে হয়ে গেল, যেন মুহূর্তের মধ্যে সব শব্দ নিঃশেষ হয়ে গেছে। সবাই বিস্ফারিত চোখে রৌদ্র আর তুরার দিকে তাকিয়ে আছে। তুরাও মাথা নিচু করে আছে। রৌদ্রও যন্ত্রণা নিয়ে সামান্য মাথা নিচু করে আছে।

আনোয়ার খান ভীষণ শান্ত কিন্তু কঠিন কণ্ঠে ধীরে ধীরে এগিয়ে এলেন রৌদ্রের সামনে। তিনি রৌদ্রের দিকে তাকিয়ে বললেন।

“রৌদ্র, শিহাব যা বলছে, সব কি সত্যি? তুরা কি সত্যিই তোর কাছে গিয়েছিল?”

রৌদ্র কিছু বলল না, শুধু নিঃশব্দে মাথা নিচু করে রইল।

আশিক খানও এগিয়ে এসে তুরার সামনে দাঁড়ালেন। তিনি ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বললেন।

“তুরা! তুই নিজের মুখেই স্বীকার কর, সব কি সত্যি? তুই আর রৌদ্র বিয়ে করেছিস?”

তুরাও মাথা নিচু করে রইলো। আতঙ্কে তার শরীর কাঁপছে, কিছু বলতে পারছে না। গলা দিয়ে যেন ভয় আর অপরাধবোধের শক্ত দলা আঁটকে আছে।

আশিক খান এবার অসহ্য রাগে হল ঘরের নিস্তব্ধতা ভেঙে ধমক দিয়ে বললেন।

“কী হলো তোর? চুপ করে আছিস কেন? উত্তর দে! বল, সব কিছু সত্যি নাকি?”

তুরা আর নিজেকে এক মুহূর্তও সামলাতে পারলো না। বিদ্যুতের ঝলকের মতো ছুটে গিয়ে সে আশিক খানের পা আঁকড়ে ধরল। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার কণ্ঠস্বর প্রায় শোনা যাচ্ছিল না।

“বাবা, আমি জানি না আমি কী করেছি, কত বড় অপরাধ করেছি! কিন্তু হ্যাঁ, আমি রৌদ্র ভাইয়ার কাছে গিয়েছিলাম! আর আমরা দু’জন বিয়েও করেছি! বাবা, আমি রৌদ্র ভাইয়াকে ভালোবাসি! প্লিজ, আমাকে ওর থেকে আলাদা করো না!”

তুরার কথা শুনে আয়ানের চোখ আচমকা কপালে উঠে গেল। সে প্রায় চেঁচিয়ে বলল।

“কীহহহ! তুই পাসপোর্ট, ভিসা পেলি কখন?”

তুরা কাঁদতে কাঁদতে বলল।

“পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া চলে গিয়েছি।”

আশিক খানের কলিজা কেঁপে উঠল। সুইজারল্যান্ডে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া গিয়েছিল এ কি কোনো সাধারণ মেয়ের কাজ? তিনি মুহূর্তে তুরাকে বলপূর্বক তুলে রাগে সজোরে থাপ্পড় মারতে নিবেন, তার আগেই আশিক খানের হাত বিদ্যুতের বেগে কেউ ধরে ফেলল। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল শিহাব!

শিহাবকে দেখে আশিক খান অটোমেটিক্যালি মাথা নিচু করলেন। তুরা একবার শিহাবের দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে ফেলল। শিহাব শান্ত কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠে আশিক খানের উদ্দেশ্যে বলল।

“মারছেন কেন আঙ্কেল? শুধু পাগলামি করেছে বলে? কিন্তু এইখানে তুরার একবিন্দুও অপরাধ নেই। আসলে, ভালোবাসা হচ্ছে এমন এক অন্ধ শক্তি, যা সময়, স্থান, পাপ, পুণ্য কোনো কিছুই বিচার করে না। তীব্র প্রেম যখন মাথায় চেপে বসে, তখন সে কেবল প্রিয় মানুষকে পাবার জিদ ছাড়া আর কিছু বোঝে না। আমি সেই ভালোবাসার তীব্র কর্ম বুঝি, আঙ্কেল। আমিও একসময় কাউকে মন-প্রাণ উজাড় করে ভালোবেসেছিলাম। তাই আমি মনে করি, তুরা কোনো অপরাধ করেনি। ওকে মারবেন না, দয়া করে।”

শিহাব কঠিন, কিন্তু ব্যথাতুর দৃষ্টিতে আবার তুরার দিকে তাকিয়ে বলল।

“আজ তুরা যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যেই তীব্র আবেগের শিকার, সেই জায়গায় আমিও একদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম। শুধু একটা জিনিসই আলাদা আমি চেয়েছিলাম তুরাকে,আর তুরা চাইছে রৌদ্রকে।”

শিহাব এবার আশিক খানের দিকে তাকিয়ে, হাত বাড়িয়ে বলল।

“তাই আঙ্কেল, তুরাকে মারবেন না। ভালোবাসার পাগলামি যখন একবার মাথায় চড়ে বসে, তখন দুনিয়ার নীতি-নিয়ম, সময়, দূরত্ব কোনো কিছুরই তোয়াক্কা থাকে না। তার চোখে কেবল প্রিয় মানুষটির মুখ ছাড়া আর কিছু ভাসে না। তাই তো তুরারও হুঁশ ছিল না। পাগলামি করে সে ছুটে যায়নি, তীব্র ভালোবাসার টান তাকে বিদেশের মাটিতে টেনে নিয়ে গেছে। আপনারা সবাই শিক্ষিত মানুষ, আমি বিশ্বাস করি, এই গভীরতম মানবীয় আবেগ আপনারা বুঝবেন।”

শিহাব এবার আনোয়ার খান আর রৌদ্রের সামনে এলো। তার দৃষ্টি আনোয়ার খানের চোখে নিবদ্ধ।

“আর আঙ্কেল, আপনি রৌদ্রকেও মারবেন না। এখানে কিন্তু রৌদ্রের এক চুলও দোষ নেই। আপনারা মনে করে দেখুন, রৌদ্র কিন্তু নিজে থেকেই আমার আর তুরার পথ থেকে সরে গিয়েছিল। সে কিন্তু আমাদের সম্পর্কের মাঝে বাঁধা হতে চায়নি। কিন্তু নিয়তির লিখন! সেইদিন রৌদ্র সরে গেলেও, সে নিজের ভালোবাসার বীজটা অর্থাৎ তুরার প্রতি নিজের মায়া রেখে গেছে। আর সেই মায়ার বাঁধন তাকে ছেড়ে থাকতে পারেনি, তাই পাগলের মতো ছুটে গেছে তার কাছে। আসলে, কাউকে ভালোবাসতে সময় লাগে না। আর ভালোবাসাকে কেউ ইচ্ছে করে মনে জন্ম দেয় না বরং এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হৃদয়ে ফিল হয়, গভীরে প্রভাব ফেলে, এক অনির্বাণ অনুভূতিতে পরিণত হয় আর সেই অনুভূতিকেই আমরা ভালোবাসা বলে গ্রহণ করি।”

শিহাব আবার বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্ট গোপন করে কয়েকটি গভীর শ্বাস নিলেন,তারপর যেন উপদেশকারীর ভঙ্গিতে বলল।

“ভালোবাসা কখনো ডেকে আসে না। ভালোবাসা হচ্ছে প্রকৃতির নিয়মের মতো এটা হঠাৎ করেই একজনের ওপর জন্ম নেয়, যেমনটা তুরার না চাইতেও রৌদ্রের প্রতি অনিবার্যভাবে জড়িয়ে গেছে। ভালোবাসা এমন এক অদম্য শক্তি, যা কখনো পাপ-পুণ্য দেখে না, কখনো চরিত্রের সার্টিফিকেট চায় না। ভালোবাসার কাছে সুখ একটাই আমি যাকে ভালোবাসি, তার সাথে সারাজীবন কাটাতে পারলেই পৃথিবীর সব সুখ আমার কাছে স্বর্গ হয়ে আসে।”

শিহাব এবার হল রুমের সবার দিকে দর্পের সাথে দৃষ্টি ঘুরিয়ে বলল।

“অনেকে বলে, একজন নেশাখোর, একজন চরিত্রহীন কিংবা একজন কাপুরুষ এমন মানুষের প্রতি ভালোবাসা কি আসতে পারে, কখনোই না? কিন্তু এইটা ভুল ধারণা। ভালোবাসা সম্ভাবনা দেখে না,এটি প্রত্যেকটি হৃদয়ে আসতে পারে। আমি আবারো বলছি, ভালোবাসা কখনো পাপের বিচার করে না, সময় দেখে না, সামাজিক মানদণ্ড দেখে না। এই অসহনীয় অনুভূতিটা শুধু তারাই বুঝবে,যারা নিজেদের মন প্রাণ দিয়ে কাউকে ভালোবেসেছে!”

শিহাব এবার স্নেহমাখা দৃষ্টিতে তুরার দিকে তাকিয়ে বলল।

“তাই তুরাও কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেনি। আপনারা সবাই কী মনে করবেন বা কী করবেন এসব কিছু সে একবারও ভাবেনি। সব কিছু ছেড়ে সে তার প্রিয় মানুষের কাছে ছুটে গেছে। সে ভেবেছে, তার কাছে গেলে সে মনের আসল সুখ পাবে। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে গেলে, এর থেকে বড় কিছু চাওয়া থাকে না, সুখ নামক জিনিস টা আর কারও কাছে থাকে না শুধু মাএ প্রিয় মানুষটার কাছেই থাকে।”

এবার শিহাব শ্রদ্ধাভরে বাড়ির সকলের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়াল। তার কণ্ঠস্বর আবেদনময়।

“আমি আপনাদের বাড়ির জামাই হিসেবে নয়, একজন বড় ছেলে হিসেবে বলছি আপনারা দয়া করে এই দুজনের গভীরতম অনুভূতিগুলো মেনে নিন। দুজন মানুষকে এক করে দিন। এতে আপনরাও ভালো থাকবেন, দুটি ভালোবাসাও ভালো থাকবে, এবং দুটি মানুষও শান্তিতে ও সুখে থাকবে।”

শিহাব এবার একান্তভাবে আরশির দিকে তাকিয়ে বললেন।

“যদি মনে করেন, আমার মানতে কষ্ট হবে আমি তুরাকে ভালোবাসি, ওদের মিলটা কি আমি দেখতে পারবো? জেনে রাখুন, এই শিক্ষাটা আমি পাইনি, আপনাদের মেয়ে আমাকে দিয়েছে। ভালোবাসা হচ্ছে সেই শক্তি, যে নিজের প্রিয় মানুষকে অন্য কারও পাশে হাসি খুশি দেখলে তার সুখ কামনা করে। সে বলে, ‘তুমি সুখে আছো? এতেই আমি খুশি। এর থেকে বেশি কিছু চাইনা আমি।’ হ্যাঁ এইটাই হচ্ছে ভালোবাসার শক্তি প্রবিএ ভালোবাসা।তাই,আমি বলছি আমি তুরাকে খুশি দেখে ভালো আছি! আমি তুরাকে চিরকাল হাসি খুশি মুখ দেখতে চাই। তাই দয়া করে আপনারা ওদের ভালোবাসাটাকে মেনে নিয়ে দুজন কে এক করে দিন। এটাই… এটাই আমার শেষ অনুরোধ!”

শিহাবের কথা শেষ হতেই আশিক খান, আনোয়ার খান এবং বাড়ির সকলের চোখের কোণে জল জমে উঠল। আরশি তো নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শিহাব যে এইভাবে, নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে, এত সুন্দর করে অনুভূতিগুলোর মহত্ত্ব বুঝিয়ে দেবে, তা আরশি কোনোদিনও কল্পনা করেনি। রৌদ্র-তুরাও স্তব্ধতা কাটিয়ে চরম অবিশ্বাস আর মুক্তির আনন্দ নিয়ে তাকিয়ে আছে।

আনোয়ার খান শিহাবের কাঁধে হাত দিয়ে গর্বের সাথে চাপড় দিয়ে বললেন।

“তোমার কথাগুলোর উত্তর আমার দেওয়ার ভাষা নেই! কী বলবো বাবা! আমি সত্যিই গর্বিত তোমাকে নিয়ে। তোমার মতো এত উদার মনের ছেলে যেন হাজারো ঘরে জন্ম হয়!”

আশিক খান এগিয়ে এসে তিনিও শিহাবের কাঁধে হাত রাখলেন। গলা ধরে আসা কণ্ঠে বললেন।

“আমিও আজ বড় হয়ে তোমার কাছে হেরে গেলাম, বাবা! আজ যেই জিনিসগুলো আমরা বুঝিনি, সেইগুলো তুমি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে। তাই আমি আমার মেয়ের ভালোবাসা মেনে নিলাম!”

আশিক খান এবার আনোয়ার খানের দিকে তাকিয়ে চঞ্চল হাসি হেসে বললেন।

“কী ভাই! আমাকে বেয়াইসাহেব বানাবে না?”

আনোয়ার খান উচ্চস্বরে হো হো করে হাসতে হাসতে বললেন।

“তুই তো আমার অলরেডি বেয়াইসাহেব হয়ে আছিস! তুই যদি হতে চাস, তাহলে দ্বিতীয় বার আবার বেয়াইসাহেব বানাবো!”

আনোয়ার খান আবার অদম্য উৎসাহে সকলের উদ্দেশে বললেন।

“কালকে দুইটা আয়োজন হবে এই বাড়িতে! কালকে দুইটা বিয়ে আয়ান-তিথি, তুরা-রৌদ্রের! আর এক সেকেন্ডও দেরি নয়! চল,আমরা এখনি কাজে লেগে পড়ি!”

মুহূর্তে আবারো খান বাড়িতে আনন্দের বিস্ফোরণ ঘটল। শিহাব যন্ত্রণা মিশ্রিত এক শান্ত হাসি দিয়ে রৌদ্রের দিকে তাকাল। আস্তে করে মুঠি পাকিয়ে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাইক জানালো ‘বেস্ট অব লাক’। তারপর শিহাব দৃঢ় পদক্ষেপে বাড়ির বাহিরে বের হয়ে আসলো।

শিহাব বাড়ির বাহিরে আসতেই রৌদ্র যেন ঝড়ের বেগে দৌড়ে এসে শিহাবকে পিছন থেকে জোর করে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল! গলা কেঁপে যাওয়ায় প্রায় ফিসফিস করে বলল।

“আমি… আমি তোর কাছে চিরঋণী হয়ে গেলাম রে ভাই! ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না তুই আমাকে কত বড় একটা জিনিস পাইয়ে দিলি! থ্যাংক ইউ! থ্যাংক ইউ সো মাচ!”

শিহাব সামনে দিকে ঘুরে, আস্তে করে রৌদ্রের পিঠে হাত রেখে বলল।

“ধন্যবাদ দিয়ে আমাকে ছোটলোক করতে চাইছিস?”

রৌদ্র না সূচক মাথা নেড়ে জোরালো কণ্ঠে বলল।

“ছোট না! আমি তোর জন্য গর্বিত হতে চাই! তুই যে কী করলি, তা শুধু আমি জানি!”

শিহাব রৌদ্রের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে হাসলো।

“বন্ধু হিসেবে এইটুকু কি করতে পারি না?”

রৌদ্র দ্রুত শিহাবের হাতে হাত মিলিয়ে বলল।

“শুধু বন্ধু না! তুই আমার ভাই, আমার রক্তের সম্পর্ক, আমার দুলাভাই, সব কিছু!”

শিহাব কৌতুকে রৌদ্রের কাঁধে ধাক্কা মেরে বলল।

“বেয়াদব! আরশি তোর ছোট, আমি তোর দুলাভাই হই কোন হিসেবে রেএএ?”

রৌদ্রও শিহাবের কাঁধে হাত রেখে খিলখিল করে হাসতে হাসতে বলল।

“হি হি হু হু! তুই আমার দুলাভাই হয়ে গেলি… না না ভুল! বোন জামাই হয়ে গেলি!”

শিহাব রৌদ্রকে হালকা ধাক্কা মেরে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল।

“হে হে হা হা! তুই আমার সতীন থেকে সমুন্দী হয়ে গেলি!”

রৌদ্র আনন্দে হাততালি দিয়ে প্রায় নেচে উঠল।

“বাহ্! বাহ্!”

শিহাব হাত উঁচিয়ে ছন্দ মিলিয়ে বলল।

“সেই! সেই!”

রৌদ্র হতাশার ভান করে কপালে হাত দিয়ে বলল।

“কপাল! কপাল!”

শিহাব তার পাশে দাঁড়িয়ে, মেয়েলি ঢঙে কপালে হাত দিয়ে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

“সবিই কপাল!”

রাতের বেলা শিহাব বাহির থেকে ঘুরে, দিনের সমস্ত ভার কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে, মনটাকে একটুখানি শান্ত করে বাড়িতে ফিরল। গভীর নীরবতার মধ্যে রুমে পা রাখতেই, মুহূর্তের মধ্যে কেউ তাকে পিছন দিক থেকে দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ধরল। শিহাব আচমকা একটা ঝাঁকুনি খেল। সেই বরফশীতল স্পর্শে সে যেন তাত্ক্ষণিক অবশ হয়ে গেল। স্পর্শটি ঠান্ডা হলেও, তার শিরায় শিরায় এক গভীর পরিচিতি বইয়ে দিল মনে হলো, এই আলিঙ্গন তারই, যার জন্য সে এত বড় ত্যাগ স্বীকার করেছে।

রানিং…!

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply