তোমার_হাসিতে
ফারহানাকবীরমানাল
৭.
ঘুম না এলে রাতের দৈর্ঘ্য দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হয়। মনের অশান্তি এই সময়কে আরও লম্বা করে। আজ আমার ঘুম আসছে না। কম্বল মুড়ি দিয়ে এপাশ ওপাশ করছি। কম্বল মুড়ি দিয়ে জেগে থাকা ভীষণ ঝামেলার। মাঝেমধ্যে কুমির মত করে বাইরে এসে নিঃশ্বাস নিতে হয়।
মুখের উপর থেকে কম্বল সরিয়ে মাথা বের করে রাখলাম। বাতাস ঠান্ডা। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। আমার মনে হয় কোন মানুষ একা একা রাত জাগতে পারে না। কথার বলার জন্য কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হয়। মানুষ না থাকলে মোবাইল। মোবাইল না থাকলে অন্যকিছু। একদম নিঃসঙ্গ নির্ঘুম রাত্রী যাপনের চেয়ে কষ্টের আর কিছুই নেই। কিচ্ছু না!
হঠাৎই বিছানায় উঠে বসলাম। বালিশের পাশে রাখা পানির বোতল ঠোঁটে লাগিয়ে ঢকঢক করে বেশ খানিকটা পানি পান করে ফেললাম। ভীষণ রকমের অস্বস্তি হচ্ছে। সারা শরীরে অসম্ভব ব্যাথা। শোবার আগে একটা ব্যাথার ওষুধ খাওয়ার দরকার ছিল৷ আমার জানা মতে ঘরে ব্যাথার কোন ওষুধ নেই। নাপাও নেই। দেখি কাল ভালো দেখে একটা ব্যাথার ওষুধ কিনব।
সকালে ঘুম ভাঙল মায়ের ডাকে। মা আমার মাথার কাছে বসে আছে। ঘুম জড়ানো চোখে মায়ের দিকে তাকালাম। গলার স্বরে সামান্য বিরক্ত ঢেলে বললাম, “এত সকালে ডাকছ কেন?”
“এত সকাল নেই৷ নয়টা বাজে।”
হুড়মুড় করে বিছানায় উঠে বসলাম।
“এত বেলা হয়ে গেছে আর এখন ডাকছ?”
“আগেও ডেকেছি। তুই উঠতে পারিসনি।”
“ভালো করেছ। একটা বাটিতে সকালের নাস্তা গুছিয়ে দাও। আমার কাজ আছে।”
“কী কাজ আছে? কয়েকদিন ধরে দেখছি সকাল হতে না হতেই বেরিয়ে যাস। সন্ধ্যার পর ফিরিস। এত সময় কোথায় কী করিস?”
হঠাৎই কোন জবাব মাথায় এলো না। অন্যদিকে তাকিয়ে চুপ করে রইলাম। খুব সহজে মিথ্যে বলা যায় না। কথা গুছিয়ে নিতে সময় লাগে। মা বলল, “কথা বলছিস না কেন?”
“বাদশার মামার বাড়িতে যাই।”
“রোজরোজ সেখানে কী কাজ?”
“বাদশার মামার ধানিজমি আছে। সেখানে ধান কা’টার কাজ চলছে। কাজের লোকগুলো ভীষণ ফাঁকিবাজ। কাজ ফেলে গল্পগুজব করে। ওর মামা বলেছে আমরা যেন একটু দেখেশুনে দিই।”
“পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে না?”
“না মা। হচ্ছে না। বাংলা স্যার একটা এসাইনমেন্ট করতে দিয়েছে। গ্রামের এইসব নিয়েই। বাস্তব নোট লাগবে। সেদিক থেকে উপকার হচ্ছে।”
“তা ভালো। তবে টিফিন বাটি করে খাবার নিতে হবে না। হাত-মুখ ধুয়ে আয়। খাইয়ে দিচ্ছি।”
ট্যাপের পানি ঠান্ডা। চোখ-মুখে ছড়াতেই শরীরে কাঁপুনি ধরে যায়। বেশ খানিকক্ষণ সময় নিয়ে দাঁত ঘষলাম। মুখ হাত ধুয়ে ঘরে ঢুকতেই মা বলল, “হা করো। কাপড় পরতে পরতে খাইয়ে দিচ্ছি।”
সকালের নাস্তায় ডিম খিচুড়ি। খিচুড়ির স্বাদ ভালো। মন ভরে যায়। সবকিছু গুছিয়ে ফোন হাতে নিতেই চমকে উঠলাম। বাদশার মামার কল। একটা দু’টো না। তেরোটা মিসকল। তড়িঘড়ি করে কল ব্যাক করতে মামা বললেন, “বাবা সাজ্জাদ, আমরা বাড়িতে থাকছি না। শ্বশুর বাড়ি থেকে দাওয়াত এসেছে। সবাই সেখানে যাচ্ছি। আজকে আর কাজে এসো না।”
আমি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। মামা বললেন, “কাল পরশু চলে আসব। তোমাকে জানাব। এর আগে কাজে আসতে হবে না।”
“ঠিক আছে মামা।”
মা ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখ-মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। খিচুড়ির অর্ধেকটা এখনও থালায় পড়ে আছে। মা বলল, “আর দুই মিনিট দাঁড়িয়ে যা। দুপুরে কখন খাস না খাস।”
“আজকে আর যাব না। মামা তার শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছে।”
“ভালো হয়েছে। এই নে। প্লেট ধর। বাকিটা নিজে খা।”
সত্যিই মা আমার হাতে থালা ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল। যেতে যেতে বলল, “বাইরে কোথাও যাস না। ঘরে বসে বই পড়। শীতের রোদে ঘুরলে অসুখ করে।”
খাওয়া শেষ করে মায়ের কাছে গেলাম। মা রান্নাঘরে বসে আলু কাটছে।
“বাড়িতে কেউ নেই?”
“না নেই। সবাই নতুন বউয়ের বাড়িতে গিয়েছে।”
“কেন?”
“খালাম্মা নতুন বউকে দেখতে চাইছিলেন। তোর ফুফুও তো সরাসরি দেখেনি। তাই সবাই গেল।”
“দুপুরে খেয়ে আসবে?”
“সে কথা জানি না। রান্না করতে বলে গিয়েছে। এইতো সবকিছু প্রায় গুছিয়ে ফেলেছি। শেষ হলে রান্না চাপাব।”
চুলার পাশে রাখা ঝুড়ি থেকে একটা শশা তুলে বাইরে চলে এলাম। কালকের তেঁতুলগুলো খুঁজে পাচ্ছি না। বাড়ির কেউ হয়তো খেয়ে ফেলেছে। নতুন করে তেঁতুল পাড়তে হবে। বিকেলে জায়েদার সাথে দেখা করতে যাব। মেয়েটার তানহার ব্যাপারে কিছু জানলো কি-না শুনতে হবে। তেঁতুল গাছের কাছে যেতেই তিমুর সাথে দেখা। গাছের গোঁড়ায় বসে মাথা নিচু করে রেখেছে। আমাকে দেখে মুখ তুলল না। তরল গলায় বলল, “তেঁতুল পাড়তে এসেছ?”
“হ্যাঁ এসেছি। পাড়া তেঁতুল খুঁজে পাচ্ছি না।”
“পাবেও না। কাল রাতে আপা ওগুলো লবণমরিচ দিয়ে খেয়ে ফেলেছে। সবগুলোই খেয়েছে। তেঁতুল খেয়ে তার দাঁত টক হয়ে গেছে। সকালে কিছু খেতে পারেনি।”
“সমস্যা নেই। কিন্তু তুই এখানে?”
“এখানে থাকতে তোমার পারমিশন নিতে হবে?”
“সে কথা বলতে চাইনি।”
“তাহলে কী বলতে চেয়েছ?”
“বাড়ির সবাই তানহাদের বাড়িতে গেল। আর তুই এখানে। তুই গেলি না কেন?”
“ছোট মামা আমাকে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। তার ধারণা তার হবু শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমি উল্টোপাল্টা কথা বলে ফেলব। এতে তার মানসম্মান নষ্ট হবে।”
“এমন বলছে! কিন্তু কেন?”
“ছোট মামার ধারণা আমার মাথায় কোন সমস্যা হয়েছে৷ মাথার নাট বল্টু ঢিলে হয়ে গেছে। যে কোন সময় যে কোন কিছু করে ফেলতে পারি। শুধু ছোট মামা না। মায়ের ধারনাও কিঞ্চিৎ তেমনই৷ সে বলেছে– বাসায় গিয়ে আমাকে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাবে।”
“সাইকিয়াট্রিস্ট মানে পা’গ’লের ডাক্তার?”
“সস্তা বুদ্ধির লোকেদের কাছে তেমনই। তবে পা’গ’ল কখনো সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যায় না।”
“তাই নাকি? তাহলে কারা যায়?”
তিমু খুব সিরিয়াস গলায় বলল, “যারা পা’গ’ল হতে চায় না একমাত্র তারাই সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যায়।”
আমি ওর কথা শুনে হেসে ফেললাম। তিমুর কোন প্রতিক্রিয়া হলো না। সে ওভাবেই বসে রইল। আমি বললাম, “গাছের গোড়া থেকে সরে যা। গাছে উঠব।”
“জায়েদা তোমার কাছে অনেক স্পেশাল তাই না?”
তিমুর কথার জবাব দিলাম না৷ ঘরের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। তিমু আমার পেছনে দৌড়ে এসে বলল, “আমিই চলে যাচ্ছি। ভুলভাল প্রশ্ন করে বিব্রত করছি না।”
সে ঘরে ঢুকে গেল। আমি গাছের উপরে উঠলাম। তেঁতুল পাড়া শেষ। নামব। ঠিক সেই মুহূর্তে তিমু ছুটে এলো। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, “বড় মামানি ডালে দেওয়ার জন্য দুইখানা তেঁতুল দিতে বলেছে।”
“নিচে ফেলেছি। কুড়িয়ে নিয়ে যা।”
তিমু ঠিক দু’খানা তেঁতুল হাতে নিয়ে ঘরের মধ্যে চলে গেল। পেছনে ঘুরলো না।
মা মুরগি কা’ট’ছে। তিমু মায়ের পাশে বসে পেঁয়াজ রসুন ছিলছে। সে আমাকে দেখে একটু নড়েচড়ে বসল। মা বলল, “তিমুর জন্য তেঁতুল রাখিসনি?”
“তিমু তেঁতুল খেতে পছন্দ করে না। টক জাতীয় কোন খাবারে ওর রুচি হয় না। তবে ফুচকা খায়। খুব ভালো খায়।”
মা হাসল। তিমুর দিকে তাকিয়ে বলল, “ফুচকার টকেও কিন্তু তেঁতুল থাকে।”
তিমু মায়ের কথার জবাব দিলো না। উঠে চলে গেল। আমিও ওর পেছনে গেলাম। সে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আমি যেতেই পেছনে ঘুরে গেল। আমি বললাম, “তোর স্বপ্ন সত্যি হয় না তিমু। স্যার আমাকে কোন পুরষ্কার দেননি। শুধু আমি কেন, কাউকেই আর কোন পুরষ্কার দেননি।”
সে কথার জবাব দিলো না। পেছনে ঘুরে রইল। আমি বললাম, “স্বপ্ন কখনো সত্যি হয় না তিমু। অহেতুক এসব কথা বলে লোকেদের বিভ্রান্ত করবি না। দেখ, তোর এই স্বপ্নের চক্করে সবার সাথে যেতে পারি না।”
তিমু শব্দ করে নাক টানলো। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল, “আমার ম’রে যেতে ইচ্ছে করছে। খুব ইচ্ছে করে। শুধু শুধু এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন মানে হয় না। কোন মানে হয় না।”
“এসব কী কথা?”
“জানি না। আমি কিছু জানি না।”
বলেই হনহনিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেল। এই মেয়ের ভাবসাব আমার মাথায় ঢোকে না। কখন কী বলে, কী করে কোন কিছুই বুঝতে পারি না। খুবই রহস্যময় চরিত্র।
দাদিদের ফিরতে দুপুর গড়িয়ে গেল। তানহাদের বাড়ি থেকে না খেয়ে আসতে দেয়নি। ঘরে ঢুকতেই দাদি বললেন, “আমরা যেতেই কত যত্ন করল দেখলে? সেই মুহূর্ত বাড়ির কর্তাকে কল দিয়ে বাজারে পাঠিয়ে দিলো। আজকালকার যুগে এমন সোহবত ক’জনের আছে?”
রাঙা দাদি বললেন, “ছেলের মা মেয়ের বাড়িতে গিয়েছে। তা-ও প্রথম। যত্ন না করলে হয় নাকি?”
“তবুও! সবাই এমন হয় না। বড় বউয়ের বাড়িতেও কত গিয়েছি। কই এমন যত্ন তো করেনি। আর মেয়েটাকে দেখলে? কেমন সুন্দর করে মাথায় কাপড় দিয়ে থাকে।”
“তোমার কথা আর বলো না আপা। ছোট ছেলের বিয়ে হয়ে পারেনি যে ঢং শুরু করেছ৷ তানহা মেয়ে ভালো৷ ওদের বাড়ি যত্ন-আত্তি ভালো। তাই বলে বড় বউকে টানতে হবে কেন?”
“এক বাড়ির দুই বউ। তুলনা দিলে তেমন কোন ক্ষ’তি হয় না।”
“তোমাকে একটা কথা বলি আপা। শেষ পর্যন্ত তোমার কপালে কোন ছেলের বউয়ের ভাত জুটবে না। দরকার হলে লিখে রাখো।”
রাঙা দাদি ভাবলেশহীন মুখ নিয়ে গেস্ট রুমের দরজা লাগিয়ে দিলো। দাদি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “এখানে দাঁড়িয়ে কী শুনছিস?”
“কিছু শুনিনি। আমার কানে তুলো লাগানো।”
দাদি আর কিছু বললেন না। বিস্মিত মুখে এদিক ওদিক চাইতে লাগলেন।
রোদটা একটু পড়তেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বাদশার সাথে দেখা করতে হবে। নদীর পাড়ের দিকে যেতে বলেছে। ওইদিকে নাকি ওর কিসব কাজকর্ম আছে।
নদীর দিকে দুপুরের পর থেকে লোকের আনাগোনা বাড়ে। মানুষজন হাঁটতে আসে। মাঝবয়েসী থলথলে চর্বিযুক্ত মানুষগুলো সিমেন্টের বেঞ্চিতে বসে বাদাম খায়। গল্পগুজব করে৷ আজকে কেউ নেই। বাদশা একা একটা বেঞ্চিতে বসে ঝিমোচ্ছে। আমি ওর পাশে গিয়ে বসলাম। একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বললাম, “কেমন আছিস?”
বাদশা বলল, “আছি ভালো। তোর জন্য ভালো খুব একটা কাজের সন্ধান পেয়েছি।”
“কী কাজ?”
“আমার বাবার পরিচিত এক ব্যবসায়ী আছে। হোসেন উদ্দীন নাম। ভদ্রলোকের ধানের বিশাল কারবার। গ্রাম থেকে ধান কিনে চাল বানিয়ে বিক্রি করে। লাখ লাখ টাকার ব্যবসা।”
“এখানে আমার কাজ কী?”
“মামা বাড়ির ওদিকে প্রায় সব ঘরে ধান ওঠে। ওরা সে-সব ধান রাখে না। বিক্রি করে দেয়।”
“আমি কী করব?”
“দালালি করবি।”
“মানে!”
“আহা! অমন করে লাফিয়ে উঠলি কেন? দালাল শুনতে খারাপ লাগল? যাইহোক তুই ওসব দালালি করবি না। তুই ট্রেইডার হিসাবে থাকবি।”
“মধ্যস্বত্বভোগী?”
“একদমই তাই। হোসেন উদ্দীন কাকা গতকাল রাতে আমাদের বাড়িতে এসেছিল। বাবাকে ধানের কথা বলতেই আমার এই বুদ্ধি মাথায় এসেছে।”
“উনি আমার কথামতো ধান কিনবে কেন?”
“তুই লাভ দু’টাকা কম খাবি৷ বড় বড় ব্যবসায়ীদের দূর্বলতা কী জানিস? ওরা কোথাও চার পয়সা লাভ পেলেই সেদিকে ঝুঁকে পড়ে। ওই যে বলে না– ‘ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।’ ওরা এই বাক্য খুব মানে।”
বাদশা তক্ষুণি আমাকে হোসেন উদ্দীনের কাছে গিয়ে গেল। সালাম দিয়ে চাচা সম্মোধন করতেই তিনি বললেন, “শুধু চাচা বলবে না। হোসেন উদ্দীন চাচা বলবে।”
আমি চোখ বড় করে বাদশার দিকে তাকলাম। বাদশা ঠোঁট চেপে হাসছে।
হোসেন উদ্দীন চাচার সাথে অনেক কথা হলো। তিনি আমাদের প্রস্তাবে সরাসরি রাজি হলেন না। নিমরাজির ভাব ধরে বললেন, “দেখো। সুযোগ সুবিধা হলে অবশ্যই ভেবে দেখব। তোমার নম্বরটা দিয়ে যাও। আমার কাছে দিতে হবে না। সবুজের কাছে দিয়ে যাও। ওই যে ওখানে যে ছেলেটা বসে আছে ওর নাম সবুজ।”
ওখান থেকে বের হওয়ার পর বাদশা বলল, “খুব ঘুঘু লোক। সবদিক হাতে রেখে চলে। তবে তুই কোন চিন্তা করিস না। দুই টাকা কম শুনে চোখ যা জ্বলছিল না।”
আমি হাসলাম। বাদশার সাথে কথা বাড়ল না। সে তার কাছে চলে গেল। আমি এলাম জায়েদার সাথে দেখা করতে। মেয়েটা আজ শাড়ি পরে এসেছে। খোঁপায় বেলিফুলের মালা জড়িয়ে রেখেছে। আপ্রাণ চেষ্টা করছে যেন তাকে একটু বয়স্ক মনে হয়। আমাকে দেখেই সে হাসল। চিবুক বুকের সাথে লাগিয়ে বলল, “আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।”
চলবে
Share On:
TAGS: তোমার হাসিতে, ফারহানা কবীর মানাল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
তোমার হাসিতে পর্ব ১০
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি গল্পের লিংক
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৩
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ১
-
তোমার হাসিতে গল্পের লিংক
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৫
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ২
-
তোমার হাসিতে পর্ব ২
-
তোমার হাসিতে পর্ব ১২
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ৩