তোমার_হাসিতে
ফারহানাকবীরমানাল
৩.
রোদ ম’রে এসেছে। খুব বেশি বেলা নেই। এই অল্প বেলায় বেশ কয়েকটা কাজ করতে হবে। প্রথমে তানহার স্কুলের দিকে যাব। এ বছর পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ঠিকই তবুও খোঁজ খবর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ক্লাস সিক্স সেভেনে মেয়েগুলো ভীষণ কৌতুহলী স্বভাবের। সবার ব্যাপারে তথ্য রাখে। প্রেম বিষয়ক হলে তো কোন কথাই নেই। ওদের মধ্যে কারো সাথে কথা বলতে পারে হয়তো কিছু জানতে পারব।
তানহার স্কুল, বাড়ির ঠিকানা সবটাই আমার জানা। খুব বেশি দূরে নয়। একটা রিকশা নিয়ে স্কুলের সামনে চলে এলাম। স্কুল ছুটি হয়েছে। ফাইলপত্র হাতে নিয়ে ছেলেমেয়েরা বের হচ্ছে। আমি গেটের পাশে দাঁড়িয়ে মেয়েদের একটা দলকে ডাকলাম। নরম গলায় বলল, “একটা হেল্প করতে পারবে?”
মেয়েগুলো ঠোঁট চেপে হাসল। এর ওর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করল। সেদিকে নজর দিলাম না৷ আবারও একই কথা বললাম। ওরা বলল, “কী ধরনের সাহায্য করতে হবে?”
“এই স্কুলে একটা মেয়ে পড়ত। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তানহা নাম করে। ওর ব্যাপারে কিছু তথ্য লাগবে।”
“কেন ভাইয়া? মেয়েটা কী আপনার গার্লফ্রেন্ড? আপনার সাথে চি’ট করছে?”
“ধরে নাও তেমন কিছুই। বলতে পারবে?”
ফর্সা মতো মেয়েটা একটু সামনে এগিয়ে এলো। উত্তেজিত গলায় বলল, “তানহার বাবার নাম কী মজিদ মাস্টার? একটাই মেয়ে উনার?”
“হ্যাঁ! হ্যাঁ!”
“আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ি। এমনিতে ভালোই। কিন্তু তার তো বিয়ের কথা চলছে। এইতো কদিন আগে ছেলেপক্ষ দেখতে এসে আংটি পরিয়ে দিয়ে গেছে। পাকা কথা হয়ে গেছে।”
“বুঝিনি।”
“কিছু না ভাইয়া। আপনার জন্য খারাপ লাগছে।”
“খারাপ লেগে আর কী হবে! ওর ব্যাপারে খোঁজ খবর দিতে পারবে কি-না ওইটা বলো।”
“পারব ভাইয়া। কালকেই জানাব। কাল আমার পরীক্ষা আছে। আপনি এই সময়ে এখানে আসবেন কেমন?”
“আচ্ছা আসব। তোমার নাম কী?”
“জায়েদা। মা বাবা রেখেছে। পুরোনো আমলের নাম তাই না বলেন?”
“ভালো নাম। এখনকার নামের চেয়ে বেশ ভালো।”
মেয়েদের দলটা চলে গেল। ওরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছে। জায়েদাকে খোঁচাখুঁচি করছে। আঁড়চোখে দেখলাম জায়েদা মেয়েটা ভীষণ লজ্জা পাচ্ছে। খানিক বাদে বাদে রেগে উঠছে। ইঁচড়েপাকা মেয়েগুলো ভীষণ রকমের দুষ্টু হয়। এক কথার তিন রকমের মানে বের করে মজা পায়।
এদিকের কাজ মিটিয়ে কামারের দোকানে চলে গেলাম। কাস্তে কিনতে হবে। বাদশা বারবার করে বলে দিয়েছে আমি যেন সাথে করে একটা কাস্তে নিয়ে যাই। দু’দিন আগে ওর মামার দুটো কাস্তে হারিয়ে গিয়েছে। নতুন কিনতে পারেনি। কাস্তের দাম কত তা আমার জানা নেই। দোকানদারের সাথে দরাদরি করে একটা কাস্তের দাম দুইশো টাকার মত পড়ল। ঠকলাম নাকি জিতলাম জানি না। জানতে ইচ্ছেও করল না। কাস্তের প্রয়োজন ছিল পেয়ে গেছি।
সন্ধ্যা নেমে গেছে। বাড়ি ঢুকেই কাস্তেটাকে লুকিয়ে ফেললাম। কেউ দেখলে ঝামেলা হয়ে যাবে। নানান ধরনের প্রশ্ন করবে। খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার!
বাড়িতে একটা পরিবর্তন ঘটেছে। ফুফু আসার পর থেকে সন্ধ্যাবেলা হালকা নাস্তার আয়োজন করা হচ্ছে। আজকেও হয়েছে। মুখ হাত ধুয়ে বসার ঘরে চলে গেলাম। ফুফু বলল, “সারাদিন বাইরে বাইরে না ঘুরে বাড়ির একটা দু’টো কাজ তো করতে পারিস।”
দাদি পাশে বসে পান বাটছিলেন। পান বাটা থামিয়ে ফুফুর দিকে তাকালেন। ঝাঁঝালো গলায় বললেন, “কাজের কথা বলিস না। কাজের কথা বলিস না। ছেলেকে কাজের কথা বললে তার মায়ের গায়ে ফোসকা পড়ে যায়।”
ভাবলাম কথার জবাব দেব না। তারপরও দিলাম। খুব কঠিন গলায় বললাম, “ফুফু কোন কাজে হাত দিলেও তো আপনার ফোসকা পড়ে যায়।”
দাদি বললেন, “আমার মুখে মুখে তর্ক করবি না।”
“আমার মা’কে নিয়ে কোন ধরনের বাজে কথা বলবেন না। তাহলে আপনাদের মুখে মুখে কথা বলব না।”
ফুফু কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেল। দাদি বললেন, “সবুর বাড়ি আসুক।”
কথার জবাব দিলাম না। অল্প হেসে ঘরে চলে গেলাম। যেতে যেতে শুনলাম ফুফু ফিসফিসিয়ে দাদিকে কীসব বলছে। কী বলছে সে কথা জানার আগ্রহ জন্মালো না। হেঁটে চলে এলাম।
ছোট চাচার সিগারেটের অভ্যাস আছে। সারাদিনে প্রচুর সিগারেট খায়। বেকার জীবনের হতাশা কাটাতে সিগারেট ধরেছিল তারপর আর ছাড়তে পারেনি। বেকার অবস্থাতেও সে প্রচুর সিগারেট খেত। টাকা কোথায় পেত জানি না। তবে দেখতাম সারাদিনই এখানে ওখানে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে। ফু দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছে। ইদানীং সিগারেটের অভ্যাস কমেছে। বিয়ের কথা শুরু হবার পর থেকেই সে সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা করছে। তবে আজ হঠাৎ সিগারেট হাতে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেল। স্বাভাবিক গলায় বলল, “এই প্যাকেটটা ধর।”
আমি বললাম, “কিসের প্যাকেট?”
“বাড়ির সবার জন্য ফ্রাইড রাইস কিনে এনেছি। তোর মা বলল পড়ছিস তাই ভাবলাম তোর প্যাকেটটা তোর ঘরে দিয়ে যাই।”
“ধন্যবাদ। তবে আমি এসব খাব না। আপনার খাবার আপনি নিয়ে যান।”
“খাবি না কেন? ফ্রাইড রাইস তো তোর খুব পছন্দের ছিল।”
“পছন্দের ছিল না। এখনও আছে। তবে এটা খাব না।”
“কেন?”
“সহজভাবে বলি– আপনি কিনে এনেছেন বিধায় খাব না।”
“আমি কিনেছি বলে খাবি না কেন?”
আমি ছোট চাচার দিকে তাকালাম। অত্যন্ত সহজ গলায় বললাম, “আপনি খুব সহজে সবকিছু ভুলে যান। আমি ভুলি না। গতকাল সন্ধ্যায় আপনি আমাকে একটা প্রশ্ন করেছিলেন। খুবই কুৎসিত ধরনের একটা প্রশ্ন। আপনি বয়সে আমার চেয়ে অনেক বড়। গুরুজন। সম্মান দেখিয়ে আপনার মুখের উপর কিছু বলিনি। এর মানে এই নয় যে মনের দিক থেকে আপনার প্রতি অনুভূতি জমিয়ে রেখেছি। আপনাকে ঘৃণা করি। আপনার এনে দেওয়া জিনিসের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। এতটুকুও না। এটা সামান্য ফ্রাইড রাইস। মণিমুক্তা এনে দিলেও নেই।”
ছোট চাচা কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেল। আমি স্বাভাবিক চোখে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম। সে খাবারের প্যাকেট হাতে ঝুলিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। আর কিছু বলল না।
বাবা বাড়িতে ফিরলেন দশটার পর। ফিরেই আমাকে তার ঘরে ডাকলেন। মা এসে খবরটা দিয়ে গেল। আমি টেবিলের বসে বই পড়ছিলাম। বই বন্ধ করে উঠে দাঁড়ালাম। বাবা কী বলবে জানি না। তবে আমার তার সাথে কিছু কথা আছে।
মায়ের পেছন পেছন ঘরের ভেতরে ঢুকলাম। বাবা দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসে খাটের উপর পা ছড়িয়ে রেখেছে। গায়ে চাদর জড়ানো। তিনি আমার দিকে তাকালেন না। থমথমে গলায় বললেন, “আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে এসো।”
বাবা রাতের বেলায় চা খান না। এখন চাইছেন মানে তিনি আমার সাথে একা কথা বলতে চান। মাকে সরাতে চায়ের কথা বললেন। ব্যাপারটা আমি বুঝলাম তবে কোন প্রতিক্রিয়া দেখালাম না। তিনি নিশ্চয়ই চিন্তা ভাবনা করে রেখেছেন। আমি বেশ আগ্রহ নিয়েই বাবার কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। বাবা বললেন, “আজকাল তোমার নামে অনেক নালিশ শুনছি।”
ইচ্ছে করল বাবার চোখে চোখ রেখে কথা বলি। বললাম না। মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বাবা বললেন, “আমি যেসব কথা শুনেছি সেগুলো কী সত্যি?”
“কী কথা শুনেছেন সেগুলো জানতে বলতে পারব সত্যি কি-না।”
“তুমি বড়দের মুখে মুখে তর্ক করছ। বিশেষ করে তোমার দাদির সাথে ভীষণ বাজে ব্যবহার করছ। কেউ আমার মায়ের সাথে এমন করে কথা বলুক তা আমি চাই না।”
“কেউ আমার মায়ের সাথে বাজে ব্যবহার করুক– সেটাও আমি চাই না। আপনার কাছে আপনার মা যেমন খুব বেশি দামী, আমার কাছেও তাই।”
“কী বলতে চাইছ?”
“আপনি বুঝতে পারছেন না নাকি বুঝতে চাইছেন না?”
“ঠিক করে কথা বলো।”
“দাদি মায়ের কাছ থেকে তার সব গহনা ফেরত নিয়ে গিয়েছে– এ কথা আপনি জানেন?”
“জানি। তোমার মা গহনাগুলো ফেরত দেওয়ার সময় আমাকে জিজ্ঞেস করেনি। আগবাড়িয়ে দিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।”
“আসলেই কী নেই?”
“আমার সামর্থ্য হলে তোমার মাকে নতুন গহনা গড়িয়ে দেব।”
“আপনার সেই সামর্থ্য হবে না। সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এক টাকাও জমানোর সুযোগ পাবেন না।”
“এক সংসারে মিলেমিশে থাকতে হলে অনেক কিছু মানিয়ে গুছিয়ে নিতে হয়। সাক্রিফাইস করতে না পারলে যৌথ পরিবারে থাকা সম্ভব না।”
“সেই সাক্রিফাইজ সবসময় আমার মাকেই করতে হবে কেন? বাড়িতে এতগুলো মানুষ। এরপর মা একা হাতে সব কাজ করে। রান্নাবান্না, ধোঁয়ামোছা সবকিছু।”
“বাড়িতে একটা অনুষ্ঠানের কথা চলছে। এই মুহূর্তে এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি করে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট করো না। পড়াশোনায় মন দাও।”
আমি আর দাঁড়ালাম না। নিজের ঘরে চলে এলাম। বাবাকে খুব করে বলতে ইচ্ছে করছিল– ‘ছেলে হিসাবে, ভাই হিসাবে আপনি অনেক ভালো মানুষ হতে পারেন বাবা। কিন্তু বাস্তবে আপনি একজন কাপুরুষ। যে সবসময় বউকে দমিয়ে রেখে পরিবার ঠিক রাখতে চায়। সাক্রিসাইজের বুলি শুধুমাত্র তার বউ সন্তানের কাছে।’ শুধু ইচ্ছেই করল। কথাগুলো বলা হলো না। ছেলে হয়ে বাপকে এমন শক্ত বলার সাহস করে উঠতে পারলাম না। নিজেকেও কেমন যেন কাপুরষ মনে হতে লাগল। সম্পর্কের বেড়াজালে সবাই এমন করে কাপুরষ হয়ে যায় বুঝি? এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবলাম না। ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে কাজে যেতে হবে। এখন বিশ্রামের খুব প্রয়োজন।
বাদশা তার মামাকে খুব একটা পছন্দ করে না। ভদ্রলোক ভীষণ তিরিক্ষি মেজাজের। কথায় কথায় তেড়েফুঁড়ে ওঠে। স্বভাবও বেশ গম্ভীর। থমথমে মুখে চেয়ারে বসে আছেন। খুব খেয়াল দিয়ে পান বানাচ্ছেন। আমি কাছে তাকে গিয়ে সালাম দিলাম। বাদশা বলল, “মামা, তোমাকে ওর কথাই বলেছিলাম।”
তিনি আমার দিকে তাকালেন। কঠিন মুখে বললেন, “তোমার নাম কী?”
“সাজ্জাদ।”
“পুরো নাম বলো।”
“মোহাম্মদ সাজ্জাদ শিকদার।”
“তাহলে তুমি শিকদার বংশের লোক।”
“জ্বি।”
“ধানের কাজ জানো?”
আমি আঁড়চোখে বাদশার দিকে তাকালাম। বাদশা বলল, “হ্যাঁ মামা জানে। খুব ভালো জানে।”
বাদশার মামা বললেন, “কাস্তে এনেছ?”
“এনেছি।”
“সকালের নাস্তা করে এসেছ?”
“জ্বি।”
“সকালের নাস্তা করে আসবে। দুপুরের বেলাটা আমাদের বাড়িতে খাবে। এর বাইরে দুটো টোস্ট আর দুকাপ চা পাবে। পানি পাবে ইচ্ছেমতো। দিনে বেতন আটশো। এই হিসেবে রাজি?”
আমি মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বললাম। তিনি বললেন, “নয়টার আগে কাজে চলে আসবে। বিকেল পাঁচটার সময় যাবে। এর মধ্যে খাওয়ার জন্য এক ঘন্টা বিরতি নিতে পারবে।”
“জ্বি আচ্ছা।”
“চলো তোমাকে ধানক্ষেতটা দেখিয়ে দিয়ে আসি।”
বাড়ি থেকে ক্ষেতের দূরত্ব বেশ অনেকখানি। হেঁটে যেতে বিশ পঁচিশ মিনিট সময় লাগে। তবে মূল সমস্যা সেখানে নয়। হাঁটতে আমার কোন অসুবিধা হবে না। তবে ধান কাটতে ঝামেলা হতে পারে। আগে-পরে কখনো কা’টা হয়নি। ইউটিউবে দেখে যা বুঝেছি তাতে কতটা কাজ হবে বুঝতে পারছি না। বাদশা মামা ক্ষেত পর্যন্ত গেলেন। কোথা থেকে ধান কাটতে হবে সেসব বুঝিয়ে দিলেন। আমি বললাম, “মামা আপনি যদি প্রথম দুই এক মুটি কা’ট’তে’ন।”
“কেন? আমি কা’ট’ব কেন?”
“আমার মা বলে– গুরুজনেরা কাজে হাত দিলে ওই কাজে বরকত হয়।”
মামার চোখ-মুখের গম্ভীরটা কে’টে গেল। তিনি কাস্তে হাতে বেশ অনেকখানি ধান কা’ট’লেন। হাসি মুখে বললেন, “তোমার কাজ কমিয়ে দিলাম।”
আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসলাম। ধানক্ষেতে অনেক রোদ। সোয়েটার খুলে পাশে রেখে দিলাম। প্রথম প্রথম নানান সমস্যা হতে লাগল। তারপর আস্তে আস্তে মানিয়ে নিলাম। বাদশা আমার অনেক ছবি তুলল। কয়েক মিনিট ভিডিও করে রাখল। মশকরা করে বলল, “প্রমাণ রেখে দিলাম। পরে যেন কেউ তোকে কিছু বলতে না পারে।”
আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম। আসলেই তাই। প্রমাণ রাখতে হবে। মা’কে বিশ্বাস করানো খুব কঠিন কাজ। এতগুলো টাকার ব্যাপারে প্রমাণ রাখাই ভালো।
চলবে
Share On:
TAGS: তোমার হাসিতে, ফারহানা কবীর মানাল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৫
-
তোমার হাসিতে সূচনা পর্ব
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ২
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি গল্পের লিংক
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ১
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৪
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ৩
-
তোমার হাসিতে পর্ব ২
-
তোমার হাসিতে গল্পের লিংক