তোমার_হাসিতে
ফারহানাকবীরমানাল
২.
দিনের বেলা এ ব্যাপারে আর কোন কথা হলো না। সন্ধ্যায় ছোট চাচা আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে গেল। থমথমে গলায় বলল, “খাটের উপর বসো। তোমার সাথে কথা আছে।”
আমি খাটের উপর বসলাম। ছোট চাচা বলল, “তোমার জন্মের ঠিক আছে?”
আমি চমকে তার দিকে তাকালাম। স্বাভাবিক গলায় বললাম, “আছে। আমার জন্মের ঠিক আছে।”
“তানহার নামে কী বলেছ?”
হঠাৎ তুমি সম্মোধনের কারণ পরিষ্কার হলো। অতিরিক্ত রেগে গেলে সে সবাইকে তুমি তুমি করে বলে। আমি তার দোষ দিলাম না৷ হবু বউয়ের নামে এমন কথা শুনলে রেগে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। চাচা আবারও হুংকার দিয়ে উঠল।
“কথা বলছ না কেন? তানহার নামে কী বলেছ?”
“কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে এক ছেলের সাথে দেখেছি। ছেলেটার হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে দু’জনে রিকশায় উঠে গিয়েছে।”
“তোমার কাছে কোন প্রমাণ আছে?”
“না নেই। ছবি তোলার আগেই রিকশায় উঠে গিয়েছিল।”
“প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা মারাত্মক অ’প’রা’ধ। বুঝতে পারলে?”
“পারলাম।”
“এরপর থেকে খুব হিসেব করে কথা বলবে।”
“বলব।”
“তোমার জন্মের ঠিক আছে কি-না জিজ্ঞেস করার জন্য দুঃখিত। তোমার জন্মের সময় আমিও সেখানে ছিলাম।”
আমি কিছু বললাম না। চুপচাপ বসে রইলাম। ছোট চাচা বলল, “তোমার মায়ের থেকে যেসব গহনা ফেরত নেওয়া হয়েছে ওগুলো আমার বাপ তাকে দিয়েছিল। হিসাব অনুযায়ী ওই গহনায় আমারও হক আছে।”
“আর কিছু বলবেন?”
“তুমি এবং তোমার মা যত তাড়াতাড়ি গহনার ব্যাপারটা ভুলে যাবে– ততোই তোমাদের জন্য মঙ্গল।”
“আমাদের মঙ্গল নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। আমি বেঁচে থাকতে মাকে আর কখনো ওই গহনা পরতে দেব না।”
চাচা হয়তো আরও কিছু বলত। দাদিকে দেখে চুপ করে গেল। দাদি বললেন, “ওর সাথে কী কথা বলছিস? তোর ভালো দিন ওদের সহ্য হচ্ছে না।”
“ভালো দিন সহ্য না হওয়া খারাপ কিছু না। ছোট চাচার যখন কাজকর্ম ছিল না তখন আমরা তাকে খুব ভালো করে সহ্য করছি। আপনি পারেননি। উঠতে বসতে খাওয়ার খোঁটা দিয়েছেন। চাকরি পাওয়ার পর থেকে আপনার ব্যবহার বদলে গেছে। নিজের মা এমন করতে পারে আপনাকে না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর হয়ে যেত।”
দাদি কেঁদে ফেললেন। ভেজা গলায় বললেন, “শুনলি তুই? এই ছেলের কথা শুনলি? আমি মা হয়ে তোকে সহ্য করতে পারতাম না। ওরা খুব পারত। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি।”
ছোট চাচা দাদির কথার জবাব দিলো না। আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলল, “সাজ্জাদ নিজের ঘরে যাও।”
মাথা দুলিয়ে নিজের ঘরে চলে এলাম। এইসব ব্যাপার নিয়ে আর ভাবতে ইচ্ছে করছে না। স্যারের দেওয়া বইটা পড়েছি। গল্পের ধরণ খুব সুন্দর। বাচনভঙ্গি ভালো। তবে রিভিউ লেখার কাজটা হয়ে উঠছে না। কী থেকে কী লিখব বুঝতে পারছি না। ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি যেটুকু আইডিয়া পেয়েছি তা ঠিকমতো কাজে লাগতে পারছি না। শুনেছি তিমু অনেক বইপত্র পড়ে। হেল্প করতে পারে ভেবে তিমুকে ডেকে নিয়ে এলাম। তিমু বলল, “বইয়ের রিভিউ লেখা সোজা কাজ। গতমাস দু’টো পুরষ্কার পেয়েছি।”
“খুব ভালো। আমাকে একটু সাহায্য করে দে।”
“দিতে পারি। তবে শর্ত আছে।”
“কী শর্ত?”
“পুরষ্কার জিতলে আমাকেও একটা গিফট দিতে হবে।”
“আচ্ছা দেব। এখন বল কী করে কী লিখব।”
তিমু খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলল। ঘড়িতে রাত দশটার মত বাজে। রিভিউ লেখার কাজ শেষ। ফুফু আমাদের খেতে ডাকতে এলো। বিরক্ত মুখে বলল, “কত রাত হয়েছে সে খেয়াল আছে তোদের? খেতে আয়।”
আমি আগে হেঁটে বেরিয়ে গেলাম। খাওয়ার আয়োজন ভালো। পোলাও, দেশি মুরগির ঝাল, রুই মাছ ভাজা। মাকে দেখছি না। ফুফুই আমাদের ভাত বেড়ে দিলো। নরম গলায় বলল, “কারো কিছু লাগলে চেয়ে নিবি।”
আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসলাম। বইয়ের পুরষ্কার জিতলে এক হাজার পাব। এখনও সতেরো হাজার টাকা জোগাড় করতে হবে। মাসখানেক মধ্যে এত টাকা জোগাড় করা সহজ কিছু না। তেমন কোন কাজকর্মও চোখে পড়ছে না। কি করব না করব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালের দিকে তিমু আমার ঘরে এলো। ঝলমলে গলায় বলল, “রিভিউ জমা দেবে?”
“আরও একদিন সময় আছে। কাল দেব ভাবছি।”
“দিয়ে দাও। সময় নষ্ট করো না। পুরস্কারটা তুমিই পাচ্ছ।”
“কি ভাবে?”
“শেষ রাতের দিকে স্বপ্ন দেখেছি। আমার স্বপ্ন মিথ্যে হয় না।”
“তাই নাকি?”
তিমু কিছু বলার আগে ফুফু তাকে ডাকল। হিসহিসিয়ে বলল, “তোকে না বলেছি সাজ্জাদের সাথে মিশবি না। কথা কানে যায় না নাকি?”
“মিশছি না। সাধারণ দু’টো কথা বলেছি।”
“সাধারণ কথাও বলবি না। এখানে এসে তোমার ধিরিঙ্গিপনা বেড়ে গিয়েছে। বাসায় চলো তারপর দেখছি।”
তিমু অল্প হাসল।
সকালের খাওয়ার সময় দাদি বললেন, “সাজ্জাদের মা, তোমার ছেলে ভুলভাল কথাবার্তা বলতে নিষেধ করে দিও। কালকে বলেছে আমি কিছু মনে করিনি।”
তিমু খাওয়া থামিয়ে দাদির দিকে তাকাল। সহজ গলায় বলল, “কিছু মনে না করলে অতোগুলো কথা বললে কেন?”
দাদি ভীষণ বিরক্ত হলেন। তেঁতো গলায় বললেন, “বড়দের মাঝে কথা বলবে না।”
তিমু বলল, “কথা বলছি না। প্রশ্ন করেছি।”
ফুফু তেঁ তেঁ উঠল। কর্কশ গলায় বলল, “তিমু! ঠিক করে কথা বল। নানি আপু বয়সে তোর চেয়ে অনেক বড়।”
“ভুল কী বলেছি? এসে থেকে নানি আপু বড় মামানির সাথে উদ্ভট ব্যবহার করছে। আচ্ছা নানিআপু, তুমি কী সিরিয়াল দেখা শুরু করেছ? তোমার শাশুড়ি চরিত্র টিপিক্যাল সিরিয়ালের শাশুড়িদের মত হয়ে গেছে। খুবই বিরক্তিকর!”
“তিমু! আজকেই তোর বাপকে কল দিয়ে বলল তোকে এখান থেকে নিয়ে যেতে। তুই এই বাড়িতে থাকতে পারবি না।”
দাদি বললেন, “ওর সাথে রাগারাগি করিস না। ওর কী দোষ? বাচ্চা মেয়ে, যা শুনেছে তাই বলেছে। এখানে ওর কোন দোষ নেই।”
“তাহলে কার দোষ?” মুখ ফসকে কথাটা বলেই ফেললাম। দাদি বললেন, “কে ওর কান ভাঙানি দিচ্ছে বুঝতে পারছি না নাকি? ঘরের মধ্যে দরজা আটকে অতো কিসের ফুসুরফুসুর?”
কথাগুলো আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা। তবে আমি এসব কথার জবাব দিলাম না। খাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে নিলাম। ক্লাস করতে ভালো না লাগলেও কলেজ ভালো লাগে। আমি রোজ যাই। হেঁটে যাই। রিকশায় করে ফিরি। কিছু টাকা বাঁচে। টাকার বাঁচে কথাটা মনে পড়তেই খাটের নিচে ঢুকে গেলাম। একটা মাটির ব্যাংক আছে আমার। খুচরো টাকা জমাই৷ বেশ কয়েকদিন আগে খাটের নিচে ঢুকিয়ে রেখেছি।
ব্যাংকের ওজন ভালো। যাক! আরও কিছু টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেল। আপাতত হাতে সময় নেই। কলেজ থেকে ফিরে ব্যাংক ভাঙব। তখন গুনে দেখব কত টাকা আছে।
আজ সব ক্লাস হলো। স্যারেরা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ালেন। ক্লাস শেষে বাদশা বলল, “কাল কোথায় যাবি বলছিলি। গিয়েছিলি?”
“হ্যাঁ, গিয়েছিলাম।”
“কাজ হয়েছে?”
“কিছু হয়েছে।”
“সমস্যা না থাকলে কাজের কথাটা আমায় বলতে পারিস।”
“মাকে একটা সোনা আংটি গড়িয়ে দেব।”
“বাহ! খুব ভালো তো। কত টাকার ভেতরে?”
“দোকানদার বলল আঠারো উনিশ পড়বে।”
“তোর বাজেট কত?”
“আপাতত হাতে কোন টাকাপয়সা নেই। গোছাতে হবে।”
“কী বলিস! এত টাকা গোছাবি কী করে?”
“জানি না। তবে গোছাতে হবে। মাসখানেক মধ্যে গোছাতে হবে।”
“কী করবি কিছু ভেবেছিস?”
“কাজকাম করতে হবে। তোর কিছু জানা আছে?”
“না, তেমন কিছু তো জানি না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।”
আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম। উজ্জ্বল গলায় বললাম, “তাহলে তো খুব ভালো হয়।”
বাড়িতে ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। ঘরে ঢুকে দেখি বাবা আমার খাটে বসে আছে। তার চোখ-মুখ শক্ত। আমি তাকে দেখে হাসতে চেষ্টা করলাম। বাবা বললেন, “ছোটর বউকে নিয়ে কী বলেছ তুমি?”
“তেমন কিছু বলিনি। একটা ছেলের হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। এইটুকু বলেছি।”
বাবা উঠে আমার কাছে এসে দাঁড়ালেন। সজোরে গালে একটা থা’প্প’ড় মে’রে বললেন, “যে মেয়েকে বাড়ির বউ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার ব্যাপারে এমন কথা বললে কীভাবে? জানো না তার সাথে আমাদের বাড়ির সম্মান জড়িয়ে আছে।”
“মিথ্যে কিছু বলিনি।”
বাবা আবারও হাত তুলতে গেলেন। মা এসে আমার সামনে দাঁড়াল। করুণ গলায় বলল, “কি করছেন? এত বড় ছেলের গায়ে কেউ হাত দেয়?”
“শাসন করার প্রয়োজন হলে আরও দিতে হবে।”
তিনি ঘরে থেকে বেরিয়ে গেলেন। মা বলল, “তোর এই কথা বলার দরকার কী ছিল?”
“বাড়িতে কী কিছু হয়েছে?”
মা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ ঘুরিয়ে নিলো। আমি বললাম, “কী হয়েছে? দাদি আব্বাকে নালিশ করেছে?”
“কিছু হয়নি। হাত-মুখ ধুয়ে খেতে আয়।”
বাড়িতে আমার অবস্থান খুব পরিষ্কার। কেউ আমার কথা বিশ্বাস করে না৷ সবাই মনে করছে মায়ের গহনা নিয়েছে বলে আমি এই কথা বলেছি। কিন্তু না। আমি এমন কিছু করিনি– কথাটা আমি প্রমাণ করে দেব। যে কোন কিছুর বিনিময়ে!
ফোন বের করে ফেজবুকে ভেতরে ঢুকলাম। মেয়ের নাম আমি জানি। সার্চ দিতেই অনেকগুলো আইডি সামনে এলো। কোনটা আসল তানহা বুঝতে পারলাম না। তবে বুঝতে হবে। তিমু আমাকে সাহায্য করতে পারে। রাতের খাওয়ার সময় তিমুকে কথাটা বললাম। বললাম, “আমার বন্ধুরা ছোট চাচিকে দেখতে চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির কেউ আমাকে তার ছবি দেবে না। আবার ওদেরকেও কথা দিয়ে ফেলেছি। এই মুহুর্তে তোর সাহায্য ছাড়া আমি কিছুই করতে পারব না।”
তিমু আমাকে আস্বস্ত করে বলল, “সমস্যা নেই। ফেজবুক আইডি থাকলে আমি ম্যানেজ করে দেব। চিন্তা করো না। রিভিউ জমা দিয়েছ?”
“না। কাল দেব।”
তিমুর সাথে কথাবার্তা বাড়ল না। ঘরে গিয়ে ব্যাংকটা ভেঙে ফেললাম। বেশিরভাগ খুচরো পয়সা। নোটও আছে কিছু। একশ টাকার দুটো নোট আছে। টাকা গুনতে শুরু করলাম। মোট এগারো শ পঁচিশ টাকা। এত টাকা হবে আশা করিনি। হঠাৎই সব ভালো লাগতে শুরু করল। মনে হতে লাগল আমি পারব। ইদানীং মা খুব একটা হাসে না। মায়ের হাসি দেখতে ভীষণ লোভ হয়। আচ্ছা! আংটিটা হাতে পেলে মা কী করবে? হাসবে? মুখ গম্ভীর করে ফেলবে? টাকা কোথায় পেয়েছি জিজ্ঞেস করবে নিশ্চয়ই। খুব ভালো করে হিসেব রাখতে হবে। গুলিয়ে ফেলা যাবে না। ঠিকমতো হিসেব দিতে না পারলে মা আমার দেওয়া আংটি পরবে না।
পরেরদিন কলেজে গিয়ে রিভিউ জমা দিলাম। বাদশা বলল, “একটা কাজের খোঁজ পেরেছি। তবে আমার মনে হয় না তুই ওই কাজ করতে পারবি।”
“কী কাজ?”
“আমার মামাদের ধানের জমি আছে৷ ভালো ধান হয়েছে। ধান কা’টার লোক লাগবে। মামা বলছিল একটা লোক খুঁজে দিতে।”
“লোক পাওয়া যাচ্ছে না?”
“পাওয়া যাচ্ছে। তবে কেউ রাজি হচ্ছে না। ধানিজমি থেকে বাড়ি অনেক দূরে। কেউ অতোটা পথ হাঁটতে চাচ্ছে না।”
“বেতন কত?”
“দিনে আটশ।”
“ঠিক আছে, আমি রাজি। কবে থেকে কাজ শুরু করতে হবে?”
“ভেবে বলছিস তো? কাস্তে হাতে ধান কা’ট’তে হবে। এক কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে ধানের বোঝা বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে। এসব তুই পারবি?”
“তুই একটু সাথে থাকিস। কাজ করতে হবে না। দাঁড়িয়ে থাকলে হবে।”
“সে দেখব। তুই ঠিকঠাক বললি তো? মামাকে কনফার্ম করতে হবে ব্যাপারটা।”
“হ্যাঁ, ঠিক বললাম। ইনশাআল্লাহ কাল থেকে কাজ করব।”
বাদশা বলল, “আরও একবার ভেবে দেখ। অনেক কষ্টের কাজ। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ধান কা’ট’তে হবে।”
“সমস্যা নেই। আমি পারব। জেদ ধরলে মানুষ সব পারে। আমিও পারব।”
তিমু ফেজবুক আইডি জোগাড় করে ফেলেছে। শহরে থেকে থেকে এই মেয়ে খুব চালু হয়ে গেছে। আইডির নাম ‘বসন্তের খোলা বাতাস’ প্রোফাইলে হিজাব পরা একটা মেয়ের ছবি দেওয়া। সাত-পাঁচ না ভেবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলাম। শুধু এইভাবে হবে না। অন্য ভাবেও খোঁজ খবর নিতে হবে। মেয়ের ব্যাপারে সবকিছু জানি। সেভাবেই খোঁজ নিতে হবে।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে বেরিয়ে পড়লাম। কাল থেকে সময় পাব না। কাজ করতে হবে। ধান কাটার ব্যাপারে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে এত ভালো কাজ হাতছাড়া করা যাবে না।
চলবে
Share On:
TAGS: তোমার হাসিতে, ফারহানা কবীর মানাল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি গল্পের লিংক
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৪
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ২
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৩
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ১
-
তোমার হাসিতে গল্পের লিংক
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৫
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ৩
-
তোমার হাসিতে সূচনা পর্ব