তোমার_হাসিতে
ফারহানাকবীরমানাল
১১.
ঘর থেকে ছাড়া পেলাম শুক্রবার দুপুরে। ক’দিনের কুয়াশা কাটিয়ে চড়া রোদ উঠেছে। শীতের আমেজ কম। বিছানায় শুয়ে পান চিবুচ্ছিলাম। বাবা ঘরের ভেতরে ঢুকে এলেন। বিছানায় পাশে বসে বললেন, “শরীর কেমন?”
আমি তার দিকে তাকালাম না। হালকা গলায় বললাম, “শরীর ভালো।”
“পায়ের অবস্থা কেমন? সেলাই কা’টার পর ব্যথা বেড়েছে নাকি?”
“না মনে হয়। ঠিক বুঝতে পারছি না। বিছানায় শুয়ে পায়ের ব্যথা বোঝা যায় না।”
“তাহলে একটু হাঁটাহাঁটি করো। বাইরে থেকে ঘুরে এসো। ছেলেমানুষের ঘরকুনো হয়ে থাকা ভালো দেখায় না।”
বাবা বেরিয়ে গেলেন। তাকে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে হলো।
ঝাঁঝাঁ রোদের মধ্যে রাস্তায় নামলাম। লোকজন নেই। পায়ের ব্যথা কমেছে ঠিকই পুরোপুরি সারেনি। হাঁটতে সামান্য অসুবিধা হচ্ছে।
বেশ খানিকটা হাঁটলাম। উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটতে ভালো লাগে না। আজ ভালো লাগছে। ভীষণ ভালো লাগছে। বহুদিন বাদে বাইরে খোলা বাতাসে। রাস্তায় লোকজন নেই। মাঝেমধ্যে দু’টো একটা রিকশা দেখা যাচ্ছে। কেমন নিঝুম নিরিবিলি পরিবেশ। তাড়াহুড়ো নেই। পা ব্যথা করছে, তবে এই ব্যথাটা বিরক্তিকর লাগছে না। বরং মনে হচ্ছে, শরীর আমাকে জানিয়ে দিচ্ছে– আমি আছি, আমি বেঁচে আছি।
বাড়ি ফিরতে দুপুরে গড়িয়ে গেল। মা বলল, “না খেয়ে কোথায় কোথায় ঘুরছিস?”
“এমনি একটু বাইরে গিয়েছিলাম।”
মায়ের মুখ ভার। কথা বলছে অন্যমনষ্ক ভঙ্গিতে। ভ্রু কুঁচকে তার মুখের দিকে তাকালাম। সরু গলায় বললাম, “কী হয়েছে?”
“তেমন কিছু হয়নি।”
“তেমন কিছু হয়নি বুঝলাম। কী হয়েছে সে কথা বলো।”
“আরে বাবা, কিছু হয়নি। খেতে চল। সন্ধ্যা নেমে যাবে।”
“সত্যি কথা বললে আমি কোথাও যাব না।”
মা বলতে চাইছিল না। আমার জোরাজুরিতে বলতে বাধ্য হলো। দাদি মায়ের বিয়ের শাড়ি চেয়ে নিয়েছে। মায়ের বিয়ের সময় খুব ভালো মানে পুরনো ঢাকাই জামদানী দেওয়া হয়েছিল। এখনও নতুনের মতো আছে। সেগুলোই চেয়ে নিয়েছে। চট করে রেগে গেলাম না। যথাসম্ভব শান্ত গলায় বললাম, “আব্বা কোথায়?”
“বাড়িতে নেই। কী একটা কাজে বেরিয়েছে।”
“তিনি শাড়ির কথা জানে?”
মা মাথা দোলালো। তার অর্থ হ্যাঁ হতে পারে আবার না-ও হতে পারে। শত চেষ্টা করেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। দাদির ঘরে চলে গেলাম। দাদি তখন ফুফুর সাথে বসে শাড়ি দেখছে। তারা আমায় দেখে একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। ফুফু হাসার চেষ্টা করে বলল, “তোর পা ঠিক আছে?”
আমি তার কথার জবাব দিলাম না। দাদির দিকে তাকিয়ে শক্ত গলায় বললাম, “আপনি কী চাইছেন?”
দাদি বললেন, “এসব তোর বাপের টাকায় কেনা না। আমরা দিয়েছি। এতদিন ভোগ করেছে। এখন লাগবে তাই চেয়ে নিলাম।”
“কাজটা আপনি একটুও ঠিক করলেন না। এর ফল আপনাদের পেতে হবে। পেতেই হবে।”
“হুমকি দিচ্ছিস? কী করবি তুই?”
আমি হেসে উঠলাম। তাচ্ছিল্যের সুরে বললাম, “সবকিছু আমাকে করতে হবে এমন কেন ভাবছেন? আল্লাহ আছেন। তিনি অবিচার সহ্য করেন না।”
দাদি ফুফুর দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিছু বললেন না। চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিলাম। তীক্ষ্ণ গলায় বললাম, “আপনার ছোট ছেলে সরকারি করে। সে তার বউকে কিছু কিনে দিতে পারছে না? আপনাদের এত শখের বউ, আমার মায়ের ব্যবহার করা জিনিস পরবে। এতে তার সম্মান নষ্ট হবে না?”
ফুফু বলল, “দেখ সাজ্জাদ, ঝামেলা করিস না। ছোট ভাই চাকরি পেয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি। টাকাপয়সা জমানো নেই। এর মধ্যে বিয়ের কেনাকাটায় হাত সব পয়সা খরচ করে ফেললে পরে চলবে কীভাবে?”
“ছোট ভাই? সোজা ছোট ভাই! গিরগিটিও বোধহয় আপনাদের মতো এত তাড়াতাড়ি রং বদলাতে পারে না।”
ফুফু কিছু বলতে যাচ্ছিল। দাদি তাকে থাকিয়ে দিলেন। কর্কশ গলায় বললেন, “ওর সাথে চোপা করিস না। যেমন মা তার তেমন ছেলে। আসতে না আসতেই নালিশ করে দিয়েছে।”
কয়েকটা কঠিন কথা বলতে গিয়েও বললাম না। দাদির ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে সুশীল থাকা যায় না।
বাবা বাড়ি ফিরলেন রাত দশটার পর। হাত-মুখ ধুয়ে বিছানায় বসেছেন। মা ঘরে নেই। দরজায় কড়া নেড়ে ঘরের ভেতরে ঢুকলাম। বাবা বললেন, “কী হয়েছে? কিছু বলবে?”
“বলব।”
গলার স্বর ভীষণ গম্ভীর শোনাল। বাবা বললেন, “কী হয়েছে?”
“আপনার কাছে আমার মায়ের কোন সম্মান আছে?”
“কী বলতে চাইছ তুমি?”
“বলতে চাইনি। প্রশ্ন করেছি। আপনার কাছে আমার মায়ের কোন সম্মান আছে কি-না।”
বাবা তক্ষুনি কোন জবাব দিতে পারলেন না। আহত চোখে তাকিয়ে রইলেন। আমি বাবার সামনে গিয়ে বসলাম। থমথমে গলায় বললাম, “দাদি মায়ের কাছ থেকে তার বিয়ের শাড়ি নিয়ে গেছে।”
বাবা কিছু বললেন না। অন্যদিকপ তাকিয়ে রইলেন।
“সবকিছুর একটা সীমা থাকে। হতে পারে ওসব জিনিসপত্র তাদের দেওয়া। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা আমার মাকে অপমান করবে আমি চুপচাপ সেটা মেনে নেব।”
“কী করতে চাও তুমি?”
“কাল সকালের মধ্যে এসবের একটা সমাধান না করলে আমি আমার মাকে নিয়ে এই বাড়ি থেকে চলে যাব। একটা মানুষ বছরের পর বছর মুখ বুঁজে সবার সেবাযত্ন করবে, বিনিময়ে অপমান অসম্মান পাবে এটা হতে পারে না।”
বাবা তবুও কিছু বললেন না। আমি বললাম, “আপনার মা, বাবা, ভাই, বোন আপনার ভালোবাসার যত্নের হতে পারে। তবে আমার কাছে আমার মা সবার আগে। আমিও তাদের সম্মান করব, ভালোবাসব। যদি তারা আমার মাকে যোগ্য সম্মান দেয়।”
বাবার সাথে কথা বাড়ল না। ঘরে এসে শুয়ে পড়লাম। খেতে ইচ্ছে করছে না। কোন কিছু ভালো লাগছে না। জীবন যেন জড়িয়ে গিয়েছে। ঘুরেফিরে এক জায়গায়।
পরদিন সকালে মা আমায় খুব বকল। কেন এত বেশি বুঝি। কেন সবার সাথে ঝামেলা করতে গিয়েছি। মায়েদের এই অতিরিক্ত ভালোমানুষি আমার সহ্য হয় না। সবাই তাদের ঠকাবে, অসম্মান করবে। আর তারা মুখ বুঁজে সহ্য করে যাবে। খুবই বিরক্তিকর!
মা হয়তো আরও কিছু বলত। বাবা ডাকলেন। কাঁপা গলায় বললেন, “কয়েকটা দিন বাপের বাড়ি থেকে ঘুরে এসো। সাজ্জাদকে সাথে নিয়ে যাও।”
বাবার গলা কাঁপছিল। আমি বললাম, “আপনি যাবেন না?”
“না, আমার কাজ আছে। তোমরা গিয়ে ঘুরে এসো। অনেকদিন যাওয়া হয় না। সপ্তাহ খানেক পর গিয়ে নিয়ে আসব।”
মায়ের যাওয়ার কথা শুনে দাদির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। উত্তেজিত গলায় বললেন, “বাড়িতে মেহমান রেখে বড় বউ কোথায় যাবে?”
তিমু সোফায় বসে বাদাম খাচ্ছিল। সে কথা বলে উঠলো।
“ছোট মামানি এসে করবে। এমনিতেই তোমরা সবাই তার জন্য ব্যস্ত। বড় মামানির জিনিসপত্র নিয়ে তাকে দিয়ে দিচ্ছো। তাহলে কাজের বেলাতেও তাকে রাখা উচিত।”
ফুফু তিমুর উপর রেগে গেল। কড়া গলায় বলল, “তোর এসব ব্যাপারে নাক গলাতে হবে না।”
দাদি খুব চাইছিলেন মা যেন থেকে যায়। তবে মা থাকল না। কাপড়চোপড় গুছিয়ে বেরিয়ে গেল। বাবা এগিয়ে দিয়ে আসবেন। আমার যাওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সম্ভব হলো না। স্যার কল দিয়েছিলেন। দেখা করতে বলেছেন। ছুটির দিনে এমন কী কাজ বাঁধল যে সোজা দেখা করতে বললেন। কিন্তু কী আর করার! স্যার ডেকেছে। না গিয়েও উপায় নেই।
মুখ হাত ধুয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। বাড়ির সামনে থেকে রিকশা নিয়েছি। ভাড়া একটু বেশি পড়বে, তবে কিছু করার নেই। গতকাল হাঁটাহাঁটি করে পায়ের ব্যাথা বেড়েছে।
বিজ্ঞান ভবনের শেষ রুমের দরজা খোলা। স্যার প্রাইভেট পড়াচ্ছে। সবাই খাতাপত্র খুলে বসে আছে। আমি গিয়ে সালাম দিলাম। স্যার বললেন, “সাজ্জাদ এসেছো।”
“জ্বি স্যার।”
“বই রিভিউ প্রতিযোগিতায় তোমার লেখা দুর্দান্ত ছিল। কাল হঠাৎই লেখাটা পড়লাম। মনে হলো তুমিও একটা পুরষ্কার ডিজার্ভ করো। আগে কেন খেয়াল করলাম না এটা ভেবে নিজের প্রতি বেশ বিরক্ত হয়েছি। সে যাইহোক। এই নাও।”
স্যার পকেট থেকে চকচকে একটা এক হাজার টাকার নোট বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমি শান্ত ভঙ্গিতে টাকা নিলাম। মাথা দুলিয়ে বললাম, “ধন্যবাদ স্যার।”
স্যার হাসলেন। পরক্ষণেই নিজের কাজে মনযোগী হয়ে উঠলেন। তিমুর কথা মনে পড়ছে। শেষ পর্যন্ত ওর স্বপ্ন সত্যি হলো। ব্যাপারটা কাকতালীয়? তাছাড়া আর কী! তা-ই হবে।
বাড়ির অবস্থা শোচনীয়। মা চলে যাওয়ায় ফুফুর সব কাজ করতে হচ্ছে। ঘড়িতে রাত আটটা। এখনও সন্ধ্যার নাস্তা জোটেনি। ছোট চাচা দু’বার করে নাস্তার খোঁজ করেছে৷ পায়নি। শীতের দিনে আটটা বেশ ভালো রাত। রান্নাঘর থেকে ঝনঝন শব্দ শোনা যাচ্ছে।
রাতের খাবার জুটলো এগারোটার পর। ফুফু বিরক্ত মুখে বলল, “একজনের রান্নাঘরের জিনিস অন্যজন খুঁজে পায় নাকি!”
দাদি আঁড়চোখে তার দিকে তাকালেন। মুখে কিছু বললেন না। তিমু বলল, “মাছ ভাজায় লবনের পরিমাণ খুব বেশি। খেতে পারছি না। একটা ডিম ভেজে দাও।”
“পারব না। যা পেয়েছিস, সোনা মুখ করে খেয়ে নে।”
“মা তুমি তো জানোই।”
ফুফু তিমুর উপর চিৎকার করে উঠল৷ দাদি বললেন, “শান্ত হ। আমি দেখছি কী করা যায়।”
তিনি হয়তো রান্নাঘরে যেতেন। তিমু তাকে থামিয়ে দিলো। শান্ত গলায় বলল, “খেতে ইচ্ছে করছে না। ঘুম পাচ্ছে। ঘুম চোখে পৃথিবীর কোন খাবার মজা লাগে না। আমি এখন আর কিছু খাব না।”
সে প্লেটের ভেতরে হাত ধুয়ে ঘরে চলে গেল। তিমুকে পুরষ্কারে কথাটা বলতে খুব ইচ্ছে করছিল। বলা হলো না।
শেষ রাতে ঘুম ভেঙে গেল। খুব মিষ্টি একটা স্বপ্ন দেখেছি। ঘুমপর মধ্যে চোখ ভিজে উঠেছে। আড়মোড়া ভেঙে বিছানায় উঠে বসলাম। সকালের বাদশার সাথে দেখা করতে যাব। অনেক কাজ বাকি।
সকালের নাস্তা পেতে বেলা দশটা। বাপের বাড়ি বেড়াতে এসে ফুফু কোন কাজে মন লাগছে না৷ সে ভীষণ বিরক্ত। খানিক আগে দাদির সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে৷ মায়ের সাথে এমন ব্যবহার করা উচিত হয়নি– এমন মন্তব্য ফুফুর। তবে দাদিও চুপ করে থাকেননি। কঠিন মুখে বলেছেন– শাড়ি কথা তুই নিজে বলেছিস। ছোট ভাইয়ের হাত খালি, বিয়ের অনেক খরচ, এর মধ্যে হাজার হাজার টাকা দামের শাড়ি কেনার চেয়ে এই কাজ করলে ভালো হবে।
ফুফু গলার স্বর বদলে ফেলল। মিনমিনে সুরে বলল, “শাড়ি তো আর একটা না। তোমাদের ভালোর জন্যই বললাম, দোষ হলো আমার।”
কথা বাড়ত। ছোট চাচার জন্য বাড়তে পারেনি। সে খুব বিরক্ত মুখে বলেছে, “খেতে দেবে নাকি চলে যাব?”
দাদি ছোট চাচাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ফুফুও নিজের কাজে চলে গেল।
খেয়েদেয়ে বেরিয়েছি৷ বাদশা কোথায় খুঁজতে হবে। ছেলেটার ফোন বন্ধ। খুঁজতে খুঁজতে মামা বাড়িতে গিয়ে উঠলাম। ভরদুপুর৷ উঠানে লোকজনের ভীড়। তাদের ঠেলে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেলাম। বাদশার মামা বারান্দায় বসে আছেন। মুখ শুকনো, চোখ ভেজা। তিনি আমাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। জড়ানো গলায় বললেন, “বাদশাকে পাওয়া যাচ্ছে না।”
“পাওয়া যাচ্ছে না মানে? কী বলছেন আপনি? কোথায় গিয়েছে?”
“জানি না বাবা৷ আমরা কিছু জানি না।”
“কিছু জানেন না এ কথার মানে কী?”
“কাল সকালে নাস্তা করে বেরিয়েছিল৷ তারপর আর বাড়ি ফেরেনি।”
“আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েছেন?”
“সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি৷ তোমাদের বাড়িতেও কল দিয়েছিলাম। বলল তুমি বাড়ি নেই। বাইরে কোথায় গিয়েছ।”
“পুলিশের কাজে গিয়েছিলেন?”
“গিয়েছিলাম রে বাবা৷ মিসিং ডাইরি করে এসেছি। এ দেশের যে প্রশাসন, যে আইন তার জোরে আমরা আমাদের বাদশা খুঁজে পাব না। জলজ্যান্ত ছেলেটা দিনের আলোয় কোথায় উবে গেল? ওরে আল্লাহ!”
“এ কথা কেন বলছেন? পুলিশ ঠিক ওর খোঁজ বের করবে।”
মামা হাসলেন। তাচ্ছিল্যের সুরে বললেন, “আজ থেকে চোদ্দ দিন আগে প্রকাশ্য দিবালোকে একটা ছেলের মাথায় গু’লি করা হয়েছিল। কী যেন নাম ছেলেটার! ওসমান হাদি। সারাদেশ ওর খু’নের বিচার চাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কিছু করতে পেরেছে? সঠিক কোন জবাব দিয়েছে? দেয়নি। এমন ভাব করছে যেন কোন কিছু তাদের গায়ে লাগছে না। সেখানে বাদশা কে? ওকে খুঁজে পাওয়া যাবে?”
মামার কথার জবাব দিতে পারলাম না। হঠাৎই শরীরটা খারাপ লাগছে। মাথা ঘুরছে৷ গলা শুঁকিয়ে কাঠ। পানি কই? আমি একটু পানি খাব।
চলবে
Share On:
TAGS: তোমার হাসিতে, ফারহানা কবীর মানাল
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৮
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ৩
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৯
-
তোমার হাসিতে সূচনা পর্ব
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৪
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৭
-
তোমার হাসিতে পর্ব ১২
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৩
-
তখনও সন্ধ্যা নামেনি পর্ব ২
-
তোমার হাসিতে পর্ব ৫