Dark_Desire (❌‼️🔞 আজকের পর্বটি সম্পূর্ণ খোলামেলা।যারা এই টাইপ পছন্দ করেন না তারা এড়িয়ে চলুন।)
পর্ব —৫
দূর্বা_এহসান
ডার্ক_ডিজায়ার
” বেইব, নাউ আই নিড ইউর ভার্জিনিটি”
মৃন্ময় বিছানায় ছুড়ে ফেললো তরুকে। রান্না ঘর থেকে কোলে করে নিয়ে এসেছে তাকে।বিছানায় উঠে এসে তরুর দুই হাত দু’দিকে চেপে ধরলো।তরু অনুভব করছিল গলার কাছে শ্বাস আটকে আসছে।মৃন্ময়ের বাহু যেন লোহার মতো শক্ত হয়ে গেছে।তার চোখদুটো পাগলপ্রায়। এই চোখে নিষিদ্ধ কিছুর বাসনা। ভয়ে সিটিয়ে গেলো তরু।
মৃন্ময় তরুকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ দিলো না।ঝুঁকে ঠোঁট চেপে ধরলো।একসময় তরুর ঠোঁটের সাথে সাথে জিহ্বা নিয়ে এলো নিজের আয়ত্বে।
” ইউর টাং টেস্ট লাইক হানি। আই ওয়ান্ট টু টেস্ট মোর, বেইব।”
উন্মাদের মত হয়ে গেলো মৃন্ময়।তরু হাত নাড়ানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু এক চুল ও নড়াতে পারছে না। পা দুটো ও আটকে গেছে মৃন্ময়ের পায়ের ভাঁজে। নিশ্বাস নেওয়ার জন্য ছটফট শুরু করলো সে। মৃন্ময় তার ঠোঁট ছাড়লো।তার নিশ্বাস আঁচড়ে পড়ছে তরুর মুখে। তরু হা করে নিশ্বাস নিলো।আরেকটু হলে হয়তো দম আটকে যেতো।
“শুধু একটু শান্ত হও, পাখি”
বলতে বলতে তরুর বুকে মুখ নামিয়ে আনলো মৃন্ময়।তরুর পরনে তখন কাঁধে ফিতা দেওয়া ক্রপ টপ আর পালাজো। মৃন্ময় একটানে ডান দিকের ফিতার গিট খুলে ফেললো।উন্মুক্ত হয়ে গেলো সেদিকটা।ঘরে লাইট জ্বলছে। লাইটের আলোয় সে স্পষ্ট দেখতে পেলো।বুকের ডান দিকের উপরে কালো কুচকুচে একটা তিল।মৃন্ময় ঠোঁট ছোঁয়ালো সেখানে।ধীরে ধীরে সে যেন শান্ত হয়ে যাচ্ছে।ভিতর থেকে হিংস্র মানুষটা হারিয়ে যাচ্ছে। কেয়ারিং হয়ে উঠছে।
হালকা কামর বসালো তিলটার উপর।বা হাতটা উঠে এলো উপরের দিকে। নরম কিছুর সংস্পর্শে আসতেই তা আঁকড়ে ধরলো।চিৎকার করে উঠল তরু। ছটফট শুরু করলো। বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। মৃন্ময়ের হাত সরিয়ে দিলো।
“ছেড়ে দিন আমায়।ছেড়ে দিন।আপনার ছোঁয়া আমি নিতে পারছি না।”
তৎক্ষণাৎ মুখ তুললো মৃন্ময়।রক্তলাল চোখে তাকালো তরুর পানে।ভয়ে কেঁপে উঠলো তরু।মৃন্ময় হুট করে গলা চেপে ধরলো তরুর।
“আমাকে বাধা দিলি তুই?আমাকে? আমার ছোঁয়া নিতে পারছিস না তুই।”
গলা ছেড়ে তরুর দুই হাত খাটের সাথে বেধে ফেললো সে। কাশতে শুরু করলো তরু।হাত ছাড়াতে চাইলো।কিন্তু হাতে থাকা শিকল দিয়েই বেঁধে দিয়েছে।এতক্ষণের শান্ত মৃণ্ময়কে সে আবার ও অশান্ত করে তুলল। যার ছোঁয়ায় এতক্ষন কোমলতা ছিল,হঠাৎ ই সে কঠোর হয়ে গেলো।
মৃন্ময় আর এক সেকেন্ড দেরি করলো না।বাম দিকের ফিতাটাও খুলে ফেললো।এক টানে নামিয়ে আনলো পেট পর্যন্ত। নিজের শার্ট খুলে ফেললো।উন্মুক্ত হলো ২৮ বছর বয়সী মৃন্ময়ের সুঠাম পেশীশীল দেহ। কাঁধ টানটান।বুকে পেশী সুনিপুণ।পেট proportionally সরু। হাতের পেশী স্পষ্ট।কোমর ঠিকঠাক গঠিত।
সে হামলে পরলো তরুর বুকে।কামড়ে কামড়ে দাগ বসাতে শুরু করলো।প্রতিটা কামড়ে চিৎকার করে উঠছে তরু।কিন্তু তার করার কিছুই নেই। মৃন্ময় যেনো শান্তি পাচ্ছে তরুর চিৎকারে।দুই হাতে আঁকড়ে ধরলো সে।মুখ উঠিয়ে আনল তরুর ঠোঁটে।কামড়ে ধরে রাখলো। হাত গুলো ধীরে ধীরে তাদের বল দেখাতে ব্যাস্ত হলো।
নেমে এলো মৃন্ময়। তরুর পেটের উপর থেকে সরিয়ে দিলো টপ টা।উন্মুক্ত হলো নাভি সহ পেট। নাভির গভীরতার হারিয়ে গেলো যে।জিহ্বার হালকা ছোঁয়ায় কাঁপিয়ে তুললো তরুকে।আশ্চর্য! তরুর শরীর রেসপন্স করছে। তরু নিজেও হতবাক হয়ে গেলো। মৃন্ময়ের ঠোঁটের কোণায় হাসি দেখা গেলো। ধীরে ধীরে বেড়ে গেলো তার পাগলামি।সোজা হয়ে বসলো।এক টানে খুলে ফেললো তরুর শরীরে থাকা শেষ কাপড় টুকুও। দু’ পা দুদিকে সরিয়ে দিয়ে মাঝে সে হাঁটু গেড়ে বসলো। তরু এবার আর সহ্য করতে পারলো না। বার বার না করতে লাগলো।কিন্তু কে শোনে কার কথা।এখন সে সম্পুর্ণ বস্ত্রহীন মৃন্ময়ের সামনে।
” আই লাইক ইট”
মৃন্ময় এবার যেন উন্মাদ হয়ে গেলো।তার হাত ,মুখ ঘুরে বেড়াতে শুরু করলো তরুর সাড়া শরীর জুড়ে। তরু ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিল। মৃন্ময়ের পাগলামিতে তার শরীর ও সায় দিছিলো।শুধু কি শরীর? আর মন? (এই গল্পের রাইটারের পেজের নাম — দূর্বা এহসান : Durba Ehsan
বেশ কিছুক্ষণ পর মৃন্ময় তরুর ঠোঁটের কাছে এলো।হাতের বাঁধন খুলে দিলো। এক হাত রাখলো তরুর মাথার পিছনে। তরুর ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে মাতাল কন্ঠে বলল,
“একটু ব্যথা দিবো,পাখি”
তরু কিছু বলার সুযোগ পেলো না।ব্যথায় চোখ উল্টে এলো যেন তার।মৃন্ময় তখন ই তাঁর ঠোঁট চেপে ধরলো।ব্যথা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো সে।শরীরের একটা জায়গা বাকি থাকলো না যেখানে তার ঠোঁটের ছোঁয়া পড়েনি।
ঘড়ির কাঁটা চারটায় পৌঁছালো। শহর নিঃশব্দ, রাস্তায় অজানা ছায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘরের ভেতরও অন্ধকার, শুধু জানালার ফাঁক দিয়ে চাঁদের নরম আলো ঢুকছে। চারপাশে যেন সব থেমে আছে।শুধু বাতাসের হালকা নড়াচড়া এবং দূরে কোনো কুকুরের হাহাকার ভেসে আসে।মৃদু কুয়াশা ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ছে, দেয়ালের কোণে ছায়া নাচছে।
ক্লান্ত মৃন্ময় তরুর বাম দিকে গা এলিয়ে দিলো।পুরো ঘরটাতে তাদের নিশ্বাসের শব্দে একাকার।তরু তাকিয়ে আছে সিলিংয়ের দিকে।চোখের পলক পড়ছে না। কোনা দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি।ঠোঁটের আশপাশটা লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। গলা ও সারা শরীরে অসংখ্য কামড়ের দাগ।দুজনের শরীরে এক টুকরো কাপড় ও নেই।
মৃন্ময় ক্লান্ত চোখে তরুর দিকে তাকালো। তার শরীর কাঁপছে।পায়ের কাছ থেকে একটা চাদর টানলো।সাথে তরুকে এক টানে বুকের কাছে নিয়ে এলো।চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে ফেললো দুজনকে।
মৃদু নিঃশ্বাসের সঙ্গে তাদের শরীরের ঘ্রাণ এক হয়ে যাচ্ছে। মৃন্ময়ের হাত আলতো করে তরুর কোমর বরাবর নেমে আসছে। তরু হঠাৎ শিউরে উঠল। হৃদয়ের স্পন্দন যেন পুরো ঘরকে ভরিয়ে দিচ্ছে।তার এরকম কেন অনুভূতি হচ্ছে? তার সাথে তো জোর করা হলো।তার রাগ হওয়া উচিৎ।আসলেই কি জোর করা হলো?
“বেশি ব্যথা পেয়েছো?”
কোনো কথা বললো না তরু। মৃন্ময় আবারো বললো,
” যদি নিজে ঠিক থাকতে তাহলে এতটা কষ্ট পেতে হতো না।তুমি নিজে বের করেছো হিংস্র হায়নাটাকে।”
কপালে চুমু দিল মৃন্ময়।তরু বুঝতে পারছে না মৃণময়কে।বার বার কিভাবে চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। মৃন্ময় নিচে নামলো।কোমরে চাদরের এক সাইড প্যাঁচালো।তারপর দুইহাতে তরুকে কোলে তুলে নিলো। এগিয়ে গেলো ওয়াশরুমের দিকে।
ফ্লোরে নামিয়ে দিলো তরুকে।কিন্তু সে ঠিক মত দাঁড়াতে পারছে না।মৃন্ময় শাওয়ার ছেড়ে তাকে ধরে দাঁড়িয়ে থাকলো।দুজনের মধ্যেকার চাদর টা নিচে পড়েছে।কিন্তু সেদিকে কারো খেয়াল ই নেই।মৃন্ময় ব্যাস্ত তরুকে দেখতে।আর তরু! তার কিচ্ছু যায় আসে না এখন।যা যাওয়ার গিয়েছে।এখন সে এভাবে থাকলেও আর কিছু যায় আসে না।
মৃন্ময় তরুর কোমর ধরে নিজের সাথে চেপে রাখলো।তরুর মুখটা নিজের দিকে ফিরালো।চোখে স্পষ্ট দেখতে পেলো তার প্রতি ঘৃনা। আচ্ছা এই ঘৃনা তো তার থাকার কথা,তাহলে তরুর কেন?
মৃন্ময় এর আবার যেন নেশা নেশা লাগছে। সে তরুর কোমড় ধরে উপরে তুললো।মুখ গুজল বুকে। বেশ অনেক্ষণ থাকলো তারা এভাবে।
একসময় তরু ঠান্ডায় কাঁপতে লাগলো।মুহূর্তেই মৃন্ময় চেঞ্জ হয়ে গেলো।দ্রুত ঝরনা বন্ধ করলো।তরুকে মেঝেতে তার পায়ের উপর দার করলো।টাওয়ার হাতে নিয়ে তরুর শরীর মুছতে মুছতে বললো,
“পাখি ,, ঠান্ডা লাগছে তোমার?”
তরু বেশ চমকালো। এ যেনো সেই মৃন্ময়।মাথা ঝুকালো তরু।মৃন্ময় তাকে টাওয়াল পেঁচিয়ে রুমে নিয়ে এলো।বিছানায় বসিয়ে মাথার চুল মুছে দিলো। পেইন কিলার দিয়ে তরুকে ওই ভাবেই শুইয়ে দিলো।তারপর নিজে শুয়ে তাকে বুকে টেনে নিল।উন্মুক্ত বুকে তরু ঠান্ডায় মাথা দিয়ে রাখলো।একটুও নড়াচড়ার শক্তি নেই তার।
———————
Share On:
TAGS: ডার্ক ডিজায়ার, দূর্বা এহসান
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ গল্পের লিংক
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৮
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৯
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ পর্ব – ২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৭
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১০
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৩(প্রথমাংশ + শেষাংশ)
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৭
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৪