Golpo romantic golpo আড়ালে তুমি সব পর্বের লিংক সাইদা মুন

আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৪৪


#আড়ালে_তুমি |৪৪|

#_সাইদা_মুন 

হাতের ফুলগুলো ফারহানের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে পিহু হাসিমুখে বলে,

-“এই নিন…”

ফারহান একবার তার হাতের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকাল,

-“কি..?”

-“ফুল।”

-“তো আমাকে দিচ্ছো কেন?”

পিহু নিরলসভাবে বলে দিল,

-“বিকজ আই লাভ ইউ…”

এতো সহজ স্বীকারোক্তি শুনে ফারহানের বুকের ভেতর হঠাৎ কেমন যেনো করে উঠল। কিছুটা থমকালেও নিজেকে সামলে নিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে,

-“বাট আই ডোন্ট…”

পিহু ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,

-“কেন?”

-“কেন আবার কি?”

-“কেন ভালোবাসেন না? আমি কি খুব খারাপ দেখতে, যে আমাকে ভালোবাসা যাবে না?”

ফারহান শান্ত গলায় বলল,

-“ভালোবাসা রূপ দেখে হয় না। এমনিতে তুমি দেখতে-শুনতে ভালো মেয়ে, অনেক ভালো লাইফ পার্টনার পাবে। এসব বাচ্চামি বাদ দাও, তোমার ফুল লাইফ পড়ে আছে।”

-“যদি এতোই ভালো হই তাহলে আপনিই আমার হয়ে যান না?”

ফারহান কোনো উত্তর দিল না। পিহু মন খারাপ করে পাশের সোফায় বসে রইল। বুকটা ভারী হয়ে আছে, কেমন এক অদ্ভুত চাপা ব্যথা। বেশ কিছুক্ষণ নীরবতা। ফারহান কয়েকবার আড়চোখে তাকাল, মেয়েটিকে এভাবে দেখে তার মোটেও ভালো লাগছিল না, কিন্তু তার কিছু করারও নেই, সেও আটকা।

-“আপনি কি কাউকে ভালোবাসেন? তার জন্যই কি আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন?”

ভাবনার ভেতর হঠাৎ পিহুর অসহায় কণ্ঠে পাশ ফিরে তাকাল। ওর চাহনি দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,

-“আমি এসব বিষয়ে কারো সাথে কথা বলা পছন্দ করিনা। তবে তুমি যেহেতু আমার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছো, তাই তোমাকে সতর্ক বার্তা হিসেবেই বলছি। ভালোবাসি কিনা জানি না, তবে আমি একজনের মায়ায় পড়েছি। যা কাটিয়ে উঠতে পারছি না, আর কোনোদিন পারবো কিনা তাও জানিনা। এখন এসব জেনেও তুমি আমার পিছে পড়ে থাকলে তোমারই কষ্ট হবে…”

পিহুর বুকের ভেতর আচমকা অসহ্য ব্যথা ছড়িয়ে পড়ল। মনে হলো কেউ বুকের ভেতর মুঠো করে কলিজা চেপে ধরেছে। ফারহান অন্য কাউকে ভালোবাসে কথাটা কানে আসতেই গলা শুকিয়ে গেল, মুখের ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছে। তবুও জানতে ইচ্ছে করল কে সেই ভাগ্যবতী। ছলছল চোখে, কাপা ঠোঁটে বহু কষ্টে জিজ্ঞেস করল,

-“কে সে? সে কি অনেক সুন্দর?”

ফারহানের ভঙ্গিমায় পরিবর্তন এল। এতক্ষণের গম্ভীর, শক্ত মুখে মলিনতার ছাপ পড়ে। শান্ত গলায় বলে,

-“দেখিনি কখনো।”

পিহুর ভাবভঙ্গি বদলে যায়। চোখমুখ কুচকে অবাক হয়ে বলে,

-“কি বলছেন, ভালোবাসেন আর দেখেননি?”

ফারহান হেসে উঠল, হাসিটায় যেন কিছু লুকোনো আছে,

-“হ্যাঁ, দেখিনি। কোথায় থাকে জানি না, নামও জানি না। তবে তার মেসেজ পড়া আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল।”

-“কিইই সামান্য মেসেজ পড়ে কেউ প্রেমে পড়ে? তাকে ছবি দিতে বলেননি? ঠিকানা জিজ্ঞেস করেননি কোনোদিন?”

-“করেছিলাম তবে রিপ্লায় আসেনি এখনো। হয়তো অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম…আশায় আছি একদিন দেখবে।”

পিহুর মাথায় কিছুই ঢুকছিল না। কনফিউজড হয়ে বলে,

-“যাকে চিনেনই না, এখন যার অস্তিত্ব আছে কিনা জানেন না, তার জন্য অপেক্ষা করা কি বোকামি নয়?”

ফারহান শক্ত মুখে বলে,

-“এতো কথা বলছ কেন? মুখ বন্ধ রাখো।”

পিহু অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে,

-“কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি…”

ফারহান শান্ত কন্ঠে বলে,

-“কিন্তু আমি তো ভালোবাসি না।”

পিহু জোর করে হেসে বলে,

-“আপনার ভালোবাসতে হবে না, শুধু আমি বাসলেই হবে।”

পিহু উঠে দাঁড়ায় তপ্ত শ্বাস ছেড়ে স্টেজের দিকে হাটা ধরে। মুহুর্তেই মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসতেই পিছু ফিরে বলে,

-“আমি কিন্তু আপনার খারাপ মেশিন নিয়েও মেনে নিবো। এমন চান্স মিস করবেন না..”

বলেই দ্রুত চলে যায়। ফারহান তাজ্জব বনে গেলো এই মেয়ে কি ঘুরিয়ে পেচিয়ে সে অক্ষম বলে গেলো? মুখে ফুটে উঠলো,

-“বেয়াদব..”

———

সায়ানকে হলুদ মাখানোর পালা শেষ, এখন একের পর এক নাচ-গান চলছে। মেয়েদের একটা গ্রুপ ডান্স হবে। মেঘদের জোর করে মিষ্টি নিয়ে গেছে। আসলে মেঘ একেবারেই যেতে চাইছিল না, রুদ্রকে না বলে । চারপাশে তাকিয়েও রুদ্রকে দেখল না। শেষমেশ সায়ানের রিকোয়েস্টে আর না করেনি।

প্রায় দশ-বারো জন মেয়ে একসাথে স্টেজে গিয়ে দাঁড়াল। মেঘকে দেখে সায়ান শান্তরা ভাবি বলে একসাথে চিল্লিয়ে উঠল। রুদ্র তখন ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ তাদের চিৎকার শুনে স্টেজের দিকে তাকাল। ঠিক তখনই গান বেজে উঠল,

“যখন মাতাত উন্না দওও,

লাগে ফুরা খইনা,

Baby, be my বউ…”

গানের তালে সবাই শাড়ির আঁচল মাথায় দিল। তাদের দেখে ছেলেরা শিস বাজিয়ে উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠল। রুদ্রের চোখ গিয়ে আটকাল সামনের সারিতে দাঁড়ানো মেঘের দিকে।

“শরম তুমি ফাইয়ো না গো,

তুমি চাইলে we can keep it on the low,

Baby, তোমার লাগি কিতা না ফারি yeah,

Baby, তোমার লাগি কিতা না খরি য়েয়াহ…”

সবাই একই স্টেপে নাচতে শুরু করল।

ফারহান না চাইতেও বারবার পিহুর দিকেই তাকাচ্ছিল। অন্যদিকে রুদ্র মেঘের নাচে চোখ আটকে পাশে কে আছে নে দেখেই তার কাঁধে ভর দিয়ে বলে,

-“আয়ে হায়! কি স্মুথলি নাচছে…তাই না?”

পাশে ফারহান তখনও পিহুর দিকেই তাকিয়ে নাচ দেখায় মগ্ন, কাঁধে হাত কে দিলো খেয়াল করেনি। ঘোরলাগা গলায় সেও বলে,

-“আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে…”

পরক্ষণেই গলার স্বর বোধগম্য হতেই, দু’জন একইসাথে মাথা ঘুরিয়ে তাকাল। চোখাচোখি হতেই তড়িঘড়ি করে সোজা হয়ে দাঁড়াল। রুদ্র সাথে সাথে বলে,

-“শালা লুই*চ্চা মেয়েদের নাচ দেখিস..”

ফারহান পালটা বলে,

-“এই তুইও তো দেখছিলিস..”

রুদ্র ভাব নিয়ে বলে,

-“আমি আমার বউয়ের টা দেখছিলাম…”

ফারহান সাথে সাথে বলে,

-“তো আমিও আমার ব…..

মুহুর্তেই মাথায় আসে কি বলতে নিছে । সাথে সাথে আটকে যায়। রুদ্র তাকে আটকাতে দেখে পাশ কেটে যেতে নিয়ে, হঠাৎ এক হাত দ্রুত ফারহানের নিচ বরাবর নেয়। ফারহান হকচকিয়ে কিছুটা পেছনে যেতেই। রুদ্র ডেবিল হেসে হাতটা ঘুরিয়ে কানের পাশে নিয়ে,শিস বাজিয়ে চুল ঠিক করতে করতে অন্যদিকে যায়। এদিকে ফারহান কটমট করে তাকিয়ে,

-“ভাই বোন দুইটাই পাগল ছাগল অসভ্য। এক বোন সারাক্ষন চোখের সামনে ঘুরঘুর করে। এখন খালি এরই ভাবনা আসে। পাগল বানিয়ে ছাড়বে…”

———

মেঘরা নাচ শেষ করে নেমে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই আবার মিউজিক বেজে উঠল,

Chuttamalle song…

স্টেজে উঠে এল সাদ আর রিক। রিকের মাথায় ওড়না, সে মেয়ে সেজেছে। সবাই হইচই করে উঠল, যেনো বুঝে ফেলল এখন ধামাকা আসছে।

“Enduku Puttendo Puttendi Emo

Nuwante Mucchata Puttendi Aaaa…”

সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসাথে “আহহহ!”

“Pudataane Nee Picchi Pattendhi

Nee Peru Pittendi

Vayyaram Voni Kattindi

Gorinta Pettendi Aaaa…”

আবারও একইভাবে উল্লাসে “আহহহ!”

এবার সাদ এক হাত রিকের কোমরে দিয়ে স্টেপ শুরু করল, একবার ডানে গিয়ে আবার দুইবার বামে যায়। আর রিক মেয়েদের মতো কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে সাদের সাথে সাথে তাল মেলাচ্ছে।

দৃশ্য দেখে একেকজন হাসতে হাসতে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে।

তাদের নাচ শেষ হতেই। এবার সবাই মেঘ আর রুদ্রকে কাপল ডান্সের জন্য চেপে ধরে। সবার রিকোয়েস্টে রুদ্র মেঘকে নিয়ে স্টেজে ওঠে।

শান্ত একটা রোমান্টিক গান বাজাতেই, তারা তালে তালে নাচতে শুরু করে। কখনও পায়ে পা মিলাচ্ছে, কখনও আবার মেঘকে ঘোরাচ্ছে, কোমড় টেনে কাছে নিয়ে যাচ্ছে। সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখছে। নাচের পুরোটা সময় রুদ্র একবারও মেঘের দিক থেকে চোখ সরায়নি।

আশেপাশে সবাই এসব নিয়ে বেশ মাতামাতি করছে। এদিকে সামিয়া দাঁতে দাঁত চেপে দেখছিল, হঠাৎ উঠে চলে যায় বাগানের অন্য পাশে। জায়গাটা নিরিবিলি, সে আকাশের দিকে তাকিয়ে । চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছে,

-“হে আল্লাহ, আমি কি তার জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর ছিলাম? কেনো তুমি তাকে আমার করে দিলে না?”

-“আল্লাহ হয়তো তোমার জন্য আরও ভালো কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছেন।”

হঠাৎ কারো কণ্ঠে সামিয়া চমকে পাশে তাকায়। দেখে রাফান পকেটে দুই হাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। সামিয়া দ্রুত চোখ মুছে নেয়,

-“আ…আপনি এখানে?”

রাফান সামান্য ইতস্তত করে বলে,

-“সরি, আমি ইচ্ছে করে শুনিনি। এদিকে একা আসছিলে দেখে পিছু নিয়েছি। বিয়েবাড়িতে বাইরের ছেলেও আছে, বিপদ তো আর বলা যায় না।”

-“সমস্যা নেই…”

রাফান আরেকটু এগিয়ে এসে তার পাশে দাঁড়িয়ে বলে,

-“যদি বলা যায়, শেয়ার করতে পারো। কষ্ট শেয়ার করলে কিন্তু কষ্ট কমে।”

রাফানের কথায় সামিয়া ফের আকাশের দিকে তাকায়। চাঁদটা স্পষ্ট, আর রাফানের চোখ সামিয়ার দিকে চাঁদের আলো সরাসরি যেনো তার মুখে এসে পড়েছে, ভীষণ স্নিগ্ধ লাগছে। সামিয়া তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,

-“কাউকে ভালোবেসে তাকে হারিয়ে, কি তাড়াতাড়ি মুভ অন করা যায়?”

রাফান বুঝে যায় মেয়েটার ভেতরের চাপা কষ্ট। সে শান্তভাবে বলে,

-“অবশ্যই করা যায়…”

-“তাহলে আমি কেনো পারছি না?”

-“চেষ্টা করেছো? চেষ্টা করলে সব সম্ভব।”

সামিয়া তার দিকে তাকিয়ে বলে,

-“করছি তো চেষ্টা, কিন্তু ভুলতে পারছি না…”

-“কীভাবে চেষ্টা করছো?”

-“নিজের মনকে বুঝিয়ে…”

রাফান হালকা হেসে বলে,

-“মনকে বুঝাতে গেলে সেই তার কথাই মাথায় আসবে। তখন ভোলার বদলে আরও মনে পড়বে।”

সামিয়া অসহায় সুরে বলে,

-“তো আমি কী করবো?”

-“সবার সাথে বেশি বেশি সময় কাটাও, যেমন বন্ধু বা বেস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে। যাদের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারো। তাদের সাথে মনের ভেতরের সব কিছু শেয়ার করবে। তখন মন ফ্রেশ থাকবে, কষ্ট কমে আসবে এমনিতেই।”

সামিয়া ফিসফিস করে বলে,

-“আমার তো ফ্রেন্ডই নেই,এমন শেয়ার করার কেউই নেই। কার সাথেই বা বলবো?”

রাফান ফট করে সামিয়ার দিকে তাকায়। মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি তার। রাফানের ভীষণ মায়া লাগে। সে বুঝতে পারে মেয়েটা সবদিক থেকেই মারা খেয়ে বসে আছে। মনে মনে চিন্তাও হয়, এই পর্যায়ে মানুষ অনেক সময় ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে। বিশেষ করে যারা একা একা স্ট্রাগল করে। তখনই কেউ স্টেজের ওদিক থেকে রাফানের নাম ধরে ডাক দেয়। সে আসছি বলে, সামিয়াকে বলে,

-“আমার নাম্বার সেভ করো… যখন একা লাগবে, কল দিতে পারো।”

সামিয়া কিছু একটা ভেবে ফোনে নাম্বার তুলে নেয়। তারপর রাফান চলে যায়।

———

মেঘকে নিয়ে রুদ্র দুতালার উদ্দেশ্যে উঠছে,

-“আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন..”

-“চুপচাপ আসো..”

সায়ানের রুমে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দেয়। তারপর একদম মেঘের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মেঘ কৌতুহলি চোখে তাকিয়ে। রুদ্র বাম হাতে করে আনা হলুদ একটু একটু করে মেঘের দুই গালে ছোয়ায়। তারপর গলায়, মেঘের সুরসুরি লাগতেই কেঁপে উঠে। রুদ্রের হাত আস্তে আস্তে আরও নিচে যায়। পেট বরাবর যেতেই শাড়ির ফাকে হাত ঢুকিয়ে পেটেও হলুদ ছোয়ায়। মেঘ আবেশে চোখ বুঝে নেয়। রুদ্র তার গাল মেঘের গালের সঙ্গে ঘষে নিজের গালেও হলুদ লাগিয়ে নেয়। সেভাবেই ফিসফিস করে বলে,

-“আমাদেরও গায়ে হলুদ হয়ে গেলো..”

মেঘ চোখ খুলে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে ফেলে,

-“আপ…..

মেঘ কথাটা বলার আগেই হঠাৎ পিহুর কান্না ভেসে আসে। দুজনেই হকচকিয়ে যায়। রুদ্র সাথে সাথেই চিন্তিত হয়ে হন্তদন্ত পায়ে মেঘকে ছেড়ে দরজার দিকে এগোয়। দরজা খুলে করিডোরে যেতেই মাথায় রক্ত উঠে যায়,চোখ মুখ লাল হয়ে আসে রাগে। আশেপাশে তাকিয়ে কিছু খুজছে, একটা ফুলদানি পায়, সেটাই হাতে করে এগিয়ে যায়। ডিরেক্ট গিয়ে সামনের ব্যক্তির মাথা বরাবর মার…….

চলবে…..

[ অসুস্থতা নিয়েও সারাদিন লাগিয়ে অল্প অল্প করে এইটুক লিখেছি । একটানা লিখতে পারছিনা তাই দেরিও হচ্ছে। আশা করি, যারা সারাদিন ধরে গল্পের জন্য অপেক্ষা করছেন আমার দিক বুঝবেন। অবশ্যই কেমন হচ্ছে জানাবেন। ]

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply