Golpo romantic golpo আড়ালে তুমি সব পর্বের লিংক সাইদা মুন

আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৩০


#আড়ালে_তুমি |৩০|

#সাইদা_মুন 

[ভায়োলেন্স এলার্ট ]

বাঁধা আসিফ কাতর গলায় রক্তভেজা ঠোঁট নেড়ে বলে,

-“আ..আমাকে মাফ করে দে… আর পারছি না…”

রুদ্র হেসে উঠে, ঠান্ডা, তীক্ষ্ণ হাসি,

-“মাফ? This word is not available in my dictionary. আর তোর জন্য তো কোনোদিনই থাকবে না।”

আসিফ ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে,

-“দয়া করে…আমাকে ছেড়ে দে, প্লিজ….”

এক মুহূর্তে রুদ্র তার পেটে এমনভাবে লাথি মারে যে শ্বাস আটকে যায়, শরীর কুঁকড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রুদ্র নীচু হয়ে তার কানে বলে,

-“তোকে ছেড়ে দিলে আমার পাপ হবে। তুই আমার বোকাফুলের দিকে নজর দিয়েছিস, গায়ে হাত দিয়েছিস, একবার না, দুইবার।”

সে পকেট থেকে ধীরে ধীরে ছোট একটা ছুরি বের করে। আলোয় ব্লেডটা চকচক করে ওঠে। রুদ্র শান্ত গলায় চালিয়ে যায়,

-“আমি তাকে হালালভাবে পেয়েও এখনো গভীরভাবে ছুঁইনি… কেবল যেনো তার মন ভাঙে না, আমায় ভুল না বোঝে, সেই ভয়ে। প্রতিদিন নিজেকে থামিয়ে রেখেছি, তার জন্য… আর তুই? তুই কিনা স্পর্শ করেছিস তাকে…”

ছুরির মাথাটা হালকা করে আসিফের কাঁধে চালিয়ে দেয়, গভীর না, শুধু ত্বক কেটে রক্ত বের হয়। আসিফ শ্বাসকষ্টে কাঁপতে থাকে।

কাপাঁ কাপাঁ কন্ঠে আসিফ বলে,

-“ত…তুই না এসব বাদ দিয়ে দিয়েছিলি, তা..তাহলে..”

রুদ্র হেসে উঠে,

-“বাদ দিয়েছি বলেই কি আমি সব ভুলে গিয়েছি? সাদাসিধে মানুষ হয়ে থাকি বইকি, তাই বলে হিংস্রতা কি মুছে গেলো নাকি। যারা ডিজার্ভ করে তাদের জন্য মাঝে মধ্যে ফিরে আসে। যেমন আজ তর জন্য….”

রুদ্র ধীরে ধীরে ছুরিটা আসিফের কোমরে টেনে দেয়, গভীর দাগ কেটে রক্ত ঝরিয়ে বলে,

-“আমার পাখিটাকে তুই যত আঘাত দিয়েছিস, তার থেকে দিগুণ কষ্ট পাবি।”

আসিফ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। রুদ্র তার কাঁপতে থাকা হাতের দিকে তাকায়। ফিসফিস করে বলে,

-“এই হাত… এই অপবিত্র হাত দিয়েই তাকে ধরেছিলি, তাই না?”

হঠাৎ আসিফের কব্জি এমনভাবে মুচড়ে ভেঙে দেয় যে গুদামে হাড় ভাঙার শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়।

আসিফের চিৎকার গলা ফাটিয়ে বেরিয়ে আসে। রুদ্র শান্ত স্বরে বলে,

-“শুনছিস? এই শব্দটা মনে রাখ… পরের শব্দ তোর বুকের ভেতর থেকে আসবে।”

রুদ্র দড়ি কেটে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর পাশে থাকা বিশাল একটা পাথর টেনে আনে, আসিফের পায়ের পাতার ওপর ছেড়ে দেয়। হাড় গুঁড়িয়ে যায়, আসিফের শরীর কাঁপতে থাকে।

রুদ্র ঝুঁকে তার কানে বলে,

-“মেঘ তোর জন্য চোখের জল ফেলেছে… তার পায়ে ব্যথা লেগেছে। তুইও বেদনা বুঝে নে।”

পাশ থেকে জলন্ত আগুনে গরম করা রডটি উঠিয়ে নেয়। আসিফ ভীতিকর চোখে তাকিয়ে। রুদ্র এগিয়ে এসে রডটি আসিফের অন্য হাতে চেপে ধরে। আসিফ গগন কাপিয়ে চিল্লিয়ে উঠে,

-“ছেড়ে দে আমায় রুদ্র..আমি আর মেঘের দিকে ফিরে তাকাবো ও না… একটু দয়া কর”

রুদ্র ঝংকার তুলা শব্দে বলে উঠে,

-“হুশশশশ.. আর একটা কথা বললে রডটি তোর মুখের ভেতর যাবে..”

তারপর কিছু একটা ভেবে, কপালের রগ ফুলে ওঠে। হঠাৎ ভয়ংকর হাসি দিয়ে ওঠে। রুদ্রের এই হাসিতেও আসিফ কেপেঁ ওঠে, এর পেছনের হিংস্রতা সে জানে।

-“তোর মুখে আবারও আমার মেঘের নাম নিয়েছিস।  Yeaq…It’s sounds too bad…

হঠাৎ রুদ্র আসিফের জিভ ধরে টেনে বের করে। ঠান্ডা গলায় বলে,

-“নে এখন থেকে আর এতো বাজে কন্ঠে আমার মেঘের নাম উচ্চারণও করতে পারবি না..।”

ছুরি দিয়ে জিভ কেটে দেয়। আসিফের মুখে রক্ত, কণ্ঠ থেকে গার্গল শব্দ বের হয়, চিৎকার করতে গিয়েও পারে না। গলা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করছে। সামনের আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখে নিজের কলিজাই কেপেঁ উঠছে..।

রুদ্র দাঁড়িয়ে নিজের হাত গ্লাভস খুলে বলে,

-“এখনকার মতো শেষ।”

সে ফোনে কল দেয় কারওকে, শান্ত গলায় নির্দেশ দেয়,

-“এটাকে গাড়িতে তোলে… ওর বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে চলে আসিস। যেন সবাই দেখে এর পরিণতি।”

রুদ্র হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে যায়। পেছনে পড়ে থাকে রক্তে ভেজা, ভাঙা আসিফ, নিঃশ্বাসের শব্দ পর্যন্ত কষ্টে আটকে যাচ্ছে।

————————

অন্যদিকে,

মেঘের মাথায় হালকা চাপটি মেরে সুমনা রেগে বলে,

-“যদি সুস্থ হতি, এতক্ষণে তোকে মেডিকেল পাঠাতাম মেরে..”

মেঘ ইনোসেন্ট ফেস করে সুমনাকে জড়িয়ে বলে,

-“বিশ্বাস কর, উনার সাথে বিয়ের কোনো কথাই ছিল না। হঠাৎ কী থেকে কী হলো আর যেই পরিবেশে আমাদের বিয়ে হয়েছে, এটা নরমাল বিয়ে বলা যায় না। আমাদের মধ্যে এখনো সম্পর্ক স্বাভাবিক না, আর উনিও না করে ছিলেন বিধায় আর বলা হয়নি…”

সুমনা নাক ফুলিয়ে বলে,

-“তাই বলে আমাকেও বলবি না? আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড..”

বলতে বলতে সুমনার চোখে হালকা পানি চলে আসে। মেঘেরও ভীষণ গিল্টি ফিল হচ্ছে। আসলেই যেই সুমনাকে সব কিছু শেয়ার করতো, তার থেকে আজ এত বড় কথা লুকিয়ে রেখেছিল।

মেঘের চোখেও পানি চলে আসে, ভয় কাজ করছে মনের মধ্যে – তাদের ফ্রেন্ডশিপে কি এ নিয়ে ঝামেলা হবে…

সুমনার দুই হাত ধরে মেঘ,

-“আমাদের এই সম্পর্কের নিশ্চয়তা ছিল না, বিশ্বাস কর। প্রথম প্রথম ভেবেছি হয়তো শিগগিরই আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে। তাই উনার সাথে আমার নাম জড়িয়ে কাউকে বলতে চাইনি।”

সুমনা চুপ। মেঘ ফের বলে,

-“প্লিজ আমাদের ফ্রেন্ডশিপটা নষ্ট করিস না। তুই ছাড়া আমার কেউ ছিল না দুটো মনের কথা বলার মতো। তুই আমার দুঃসময়ে বোনের মতো পাশে ছিলি। তোকে আমি হারাতে চাই না…”

সুমনা মেঘের মাথায় আরেকটা গাট্টি মেরে বলে,

-“শালী, এত সহজে কি তোর পিছু ছাড়বো নাকি… যা হওয়ার হয়েছে। আমি শুধু চাই আমার মেঘটা একটু সুখের মুখ দেখুক, তাকে কেউ নিজের করে রাখুক, ভালোবাসুক। আমি সবসময় তোর পাশে আছি।”

পিহু নিচে থেকে এসে বলে,

-“কি ব্যাপার, সুযোগ পেলেই আমাকে রেখে নিজেরা হাগ করে ফেলিস, যাহ ব্রেকআপ..”

মেঘ-সুমনা হেসে দুজনে দুই হাত বাড়িয়ে দেয়। পিহু ছুটে এসে তাদের জড়িয়ে ধরে। তাদের মনে মনে একটিই দোয়া – এই বন্ধুত্ব যেন আজীবন থাকে।

-“হয়েছে, এবার নিচে আয়। মা ডাকছে নাস্তা করতে…”

মেঘকে ধরে ধরে নিচে নিয়ে আসে। সারাদিন ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না তার। নিচে ছোটরা সবাই নাস্তা করছে সাথে টুকটাক গল্প করছে।

সাদ মাত্রই বাসায় ঢুকেছে গার্লফ্রেন্ডের সাথে চ্যাট করতে করতে। হঠাৎ মেয়েলি হাসাহাসির শব্দে সোফার দিকে নজর যায়। পিহু মেঘের সাথে আরেকটি মেয়ে দেখে সেদিকে তার চোখ আটকে যায়। বেবি পিংক কালারের টপস পরা গুলুমুলু একটা মেয়ে, হাসছে যার ফলে রসগোল্লার মতো গালগুলো ফুলে উঠছে। সাদ যেন সেখানেই আটকে যায়,

-“উম, নাইস..”

হঠাৎ ফোন ভাইব্রেশনে ধ্যান ভাঙে। তার গার্লফ্রেন্ড কল দিয়েছে। কেন জানি বিরক্ত হয় মেয়েটির উপর, কল কেটে সুমনাদের দিকে এগিয়ে যায়।

সাদ সুমনার আশেপাশে ঘুরঘুর করছিল, একটু চান্স পেলে কথা বলবে বলে। কিন্তু এই মেয়ের খাওয়া অফই হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর মেঘ ওয়াশরুমে যাবে, তাই পিহু তাকে ধরে নিয়ে যায়। তারা যেতেই সাদ ধাম করে সুমনার পাশে বসে পড়ে। বসেই এদিক সেদিক তাকিয়ে, চুলে বারবার হাত দিয়ে ঠিক করছে। সাদ কিছুটা বিরক্ত হয়ে বিরবির করে,

-“এই মেয়ে কি খাবারের মধ্যেই ঢুকে গেছে নাকি..”

তারপর খকখক করে কাশি দিতেই, সুমনার ধ্যান ফিরে। পাশে ফিরে দেখে একটা হ্যান্ডসাম ছেলে বসে আছে। চোখ বড় বড় করে দেখে মনে মনে বলে উঠে, মালডা তো জোশ…

-“হাই, আমি সাদ..”

সুমনা মুচকি হেসে কিছু বলতে যাবে, তার আগেই মুখের মধ্যে ভরে রাখা খাবার পড়ে যায় সাদের উপর। বেচারা দ্রুত উঠে দাঁড়ায়। সুমনা তো আতকে উঠে, ইয়া আল্লাহ, পটানোর আগেই হারিয়ে ফেললাম না তো! নিজের মুখের খাবার শেষ করে বলে,

-“সরি সরি, আসলে ইয়ে মানে…”

সাদ ঝাড়তে ঝাড়তে বলে,

-“আরে, ব্যাপার না…”

তারপর আবার সুমনার পাশে বসে,

-“তা, তোমার নাম কি?”

সুমনা লাজুক হেসে বলে,

-“জি, সুমনা…”

-“নাইস নেম..”

তারপর দুজনেই চুপ। সাদ কি দিয়ে কথা শুরু করবে বুঝে উঠছে না। হঠাৎ সাদ মাথা চুলকে গম্ভীর ভঙ্গিতে বলে উঠল,

-“আই’ম পিউর সিঙ্গেল!”

সুমনার চোখ চকচক করে ওঠে। মনে হয় পটল, আলু, লাড্ডু – সব ফুটছে একসাথে। মাথা নিচু করে নরম স্বরে বলে,

-“আমি তো প্রেম কি জিনিস চিনিই না…”

ঠিক সেই মুহূর্তে সাদের পাছার নিচে বু-বু করে ভাইব্রেশন! সাদ চমকে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে “মুরগি নং–১৯”।

সাদ ফোন তুলতে যাবে, সুমনা ঝটকা দিয়ে কেড়ে নিয়ে কল কেটে দেয়। সাদ সন্দেহভরা চোখে তাকায়। সুমনা ঠোঁট কামড়ে বলে,

-“ও… ওই, আমার বান্ধবী… কোডনেম মুরগি… হি হি…”

ঠিক তখনই সাদের ফোন বেজে ওঠে। সুমনা উঁকি মারতেই দেখে “ডার্লিং”। সাদ কপালে হাত দিয়ে বলে,

-“আ… আমার খালা… খালাকে আমি আদর করে ডার্লিং ডাকি… গিয়ে আসি…”

দুজনে আবার চোখাচোখি করে, তারপর একসাথে আবুল মার্কা হাসি হেসে দুপাশে সরে যায়।

————————

সুমনা চলে গেছে অনেক আগেই। মেঘ শুয়ে আছে। দরজা খোলার শব্দে সেদিক ফিরতেই রুদ্রকে দেখতে পায়। মুখে হালকা হাসি ফুটে ওঠে।

হাতের প্যাকেটটি সাইডে রেখে রুদ্র হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে মেঘকে জিজ্ঞেস করে,

-“এখন কেমন লাগছে? ব্যথা আছে?”

-“না, ঠিক আছি..”

-“খেয়েছ?”

-“না..”

রুদ্র ফ্রেশ হয়ে খাবার নিয়ে হাজির হয়। প্লেটটা মেঘের সামনে রেখে, নিয়ে আসা সেই প্যাকেটটি মেঘের হাতে দেয়। পুনরায় খাবারের প্লেট নিয়ে বসে। মেঘ ভ্রু কুঁচকে দেখছে প্যাকেটটা,

-“এইটাতে কি?”

মেঘের মুখে খাবার দিতে দিতে বলে,

-“খুলেই দেখো..”

প্যাকেট খুলতেই একটা মোবাইলের বক্স বেরিয়ে আসে। তা খুলে অ্যাপল ব্র্যান্ডের একটি ফোন দেখতে পায় মেঘ। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,

-“এই মোবাইল কার?”

-“তোমার…”

মেঘ বিস্ময় নিয়ে বলে,

-“আমার?”

-“জি ম্যাডাম, আপনারই। সব সেটিংস করেই দিয়েছি, নতুন সিম, আমার নাম্বার এড করাই আছে।”

মেঘ মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখছে। কপালে হালকা চিন্তার ছাপ,

-“এইটা তো অনেক দামি, এত টাকা খরচ করতে গেলেন কেনো?”

রুদ্র গম্ভীর কণ্ঠে বলে,

-“তো আমার বউয়ের জন্য আমি খরচ করবো না…”

-“তাও, আপনি তো এখন স্টুডেন্ট, রুজি করেন না, আপনার হাত খরচের…”

মেঘের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলে,

-“তোমার জামাইর সম্পর্কে কিছু জানোই না দেখি মেয়ে…”

মেঘ রুদ্রের দিকে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে।

-“এইটা আমার ইনকামের টাকায়। দেশের বিজনেস ছোট চাচ্চু সামলালেও, বিদেশে আব্বুর যেই বিজনেস আছে সেটা ফুল আমার আন্ডারে। বাসায় সারাক্ষণ ল্যাপটপে কি এমনি এমনি বসে থাকি নাকি? তোমার জামাই বেকার না…”

মেঘ মাথা নিচু করে ফেলে। সে জানতো নাকি। রুদ্র মেঘকে খাইয়ে নিজেও খেয়ে নেয়।

রাত ১১টার মতো বাজে, মেঘ একপাশ হয়ে শুয়ে আছে। রুদ্র ল্যাপটপে কি করছে কে জানে। মেঘ নিজের চিন্তায় মগ্ন,

-“আচ্ছা, উনি কি আমায় ভালোবাসেন? আমায় এত যত্ন করছেন কেনো? এটা কি দায়িত্ব থেকে? নাকি ভালোবেসে…”

মেঘের ভাবনা কাটে রুদ্রের টানে। তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে চোখ বুজে নেয়। মেঘ হঠাৎ প্রশ্ন করে বসে,

-“এসব কি জন্য করছেন?”

-“কিসব?”

-“এই যে আমায় এত যত্ন, দেখভাল করছেন এগুলো…”

রুদ্র ভাবলেশহীনভাবে বলে,

-“এসব আমার দায়িত্ব…”

মেঘের মনে কালো মেঘ জমে, আশায় ছিল অন্য কিছু শোনার। মুখটা চুপসে যায়,

-“শুধুই দায়িত্ব?”

-“হু..”

-“তাহলে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোও কি দায়িত্বের মধ্যেই?”

রুদ্র কোনো জবাব দেয়না, মেঘের গলায় মুখ গুঁজে দেয়। মেঘ একইভাবে শোয়ে তার মন ভালো নেই। রুদ্র ফিসফিসিয়ে বলে,

-“তোমাকে ছোয়ার অধিকার শুধু আমার… আমি ছাড়া আর কেউ চেষ্টা করলে তাকে একদম শেষ করে ফেলবো…”

প্রথম লাইনগুলো মেঘ শোনলেও লাস্টের কথাগুলো শোনেনি। হয়তো শোনলে ধারনা পেতো রুদ্রের হিংস্র রূপ সম্পর্কে… 

এভাবেই কাটে এক সপ্তাহ। মেঘের পায়ের ক্ষতও সেরেছে আগের থেকে। আজ বাড়িতে রান্নার ধুম পড়েছে, কারণ রুদ্রের বড় মামারা সবাই আসবে। মূলত তার নানিকে নিয়ে যেতে। মেঘকে সিদ্দিকা বেগম শাড়ি-গহনা পরিয়ে তৈরি করে দিয়েছে। কেউ জানে না বিয়ের কথা, আসছে যেহেতু জানবেই…

দুপুর ২টা, সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে তাদের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ পর কলিং বেলের শব্দে দরজা খুলে দেয়।

হঠাৎ একটি মেয়ে বাড়িতে ঢুকেই দৌড়ে গিয়ে রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে…..

চলবে……

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply