Golpo romantic golpo আড়ালে তুমি সব পর্বের লিংক সাইদা মুন

আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ২৭


#আড়ালে_তুমি |২৭|

#সাইদা_মুন 

মেঘ দ্রুত এক সাইড হয়ে যায়,

-“আসসালামু আলাইকুম…”

মহিলাটি চেহারা কঠিন করে বলে ওঠে,

-“চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে। মুরুব্বিদের দেখার সাথে সাথে সালাম দিতে হয়, এই আদব জানা নাই বুঝি?… ওয়ালাইকুম আসসালাম।”

মেঘ মাথা নিচু করে আছে, সে কি বলবে বুঝছে না। উনি ভেতরে ঢুকতে যাবেন, তার আগেই রুদ্রের মা এসে হাজির,

-“মা, তুমি এখানে? আর আমি সেই কখন থেকে খুঁজছি, আসো তো, খাবে…”

শাশুড়ির কথায় বেশ বুঝতে পারলো এইটা রুদ্রের নানি। মেঘ আরও গুটিয়ে যায়।

-“ছেলে বিয়ে করিয়েছিস, বললিও না! আবার এমন মেয়ে বিয়ে করিয়েছিস, যে আদব কায়দা জানেই না। রূপ ধুয়ে কি পানি খাবি? আর বউ, এইসব কি পরে আছে, শাড়ি কই?”

রুদ্রের মা উনাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন,

-“আহ মা, এত কথা বলো না, প্রেসার বেড়ে যাবে। আগে আসো তো, তোমার জন্য কি রেঁধেছি দেখো।”

যেতে যেতে মেঘকে বলে যান,

-“রুদ্রকে উঠিয়ে, ফ্রেশ হয়ে নিচে নামো…”

মেঘ বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নেড়ে রুদ্রকে ডাকতে যায়। কয়েকবার ডাকতে উঠছে না দেখে একটু এগিয়ে গিয়ে ঘুঁতা দেয় শরীরে, তাও উঠছে না। হঠাৎ নজর যায় রুদ্রের মুখের দিকে, কপালের সাইডে কালো কি যেনো লেগে আছে। কৌতূহলী হয়ে রুদ্রের পাশে বিছানায় বসে সেটা কি দেখতে একদম রুদ্রের মুখের সামনে চলে আসে। যেই হাত দিতে যাবে, ওমনি হুট করে রুদ্র চোখ খুলে ফেলে।

মেঘ কিছুটা ভড়কে যায়, দ্রুত পেছনের দিকে চলে আসে। রুদ্র চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে মেঘের দিকে,

-“আমার ঘুমের সুযোগ নিচ্ছিলে বুঝি..?”

-“না না, আমি তো আপনাকে ডাকছিলাম…”

রুদ্র বাঁকা হেসে বলে,

-“ওহ হো, ডাকতে একদম কাছে আসা লাগে বুঝি।”

মেঘ থতমত খেয়ে যায়, অপরাধীর ন্যায় বলে,

-“আ.. আপনার কপালে কি যেনো ওইটা দেখ…”

-“ছি মেঘ, শেষমেশ আমার শরীরের দিকে কুনজর দিচ্ছো? আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করতে চাচ্ছো..”

মেঘ বড় বড় চোখে তাকায়, রুদ্রের অভিনয় দেখছে, মনে মনে একটাই কথা আসে “পুরুষ অভিনয়ের জন্য সেরা রেহহহহহ…”

তখনই পিহুর ডাকে মেঘ দ্রুত দরজা খোলে। পিহু তার হাতে একটি জামদানী শাড়ি ধরিয়ে দিয়ে বলে,

-“মা বলেছে এটা পরতে…”

রুদ্র পেছন থেকে বলে,

-“এই গরমে হুদাই শাড়ি পরতে যাবে কেনো?”

-“আরে, হিটলার নানি আসছে। তোমার বউকে শাড়ি ছাড়া দেখে কেটকেট করছে। এখন মা বললো, তাই দিয়ে গেলাম।”

বলেই পিহু চলে যায়। মেঘও দরজা লাগিয়ে বিছানায় এসে বসে। রুদ্র ফ্রেশ হতে গেছে। বেরিয়ে মেঘকে বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে বলে,

-“কি ব্যাপার, বসে আছো কেনো? নিচে নামতে হবে তো…”

-“আপনি যান, আমি রেডি হয়ে আসছি…”

-“কেনো? একসাথে যাবো। যাও, রেডি হয়ে আসো…”

মেঘ অসহায় চোখে তাকায়,

-“আমি বাথরুমে শাড়ি পরতে পারিনা, আপনি জান তো আমি আসছি…”

রুদ্র ভাবলেশহীনভাবে বিছানায় বসে, পেছনে দুই হাতে ভর দিয়ে মেঘের দিকে তাকায়,

-“পরা শুরু করো…”

মেঘ চমকে যায়,

-“আপনার সামনেই?”

-“হ্যাঁ, তো কি হয়েছে…”

-“মা… মানে, আপনার সামনে কেমন করে কি…”

-“কেমন করে কি মানে, আমি কি পরপুরুষ নাকি?”

-“না, কিন্তু…”

-“তো কিসের কিন্তু…”

মেঘ চিন্তায় পড়ে যায়। এদিকে রুদ্র বেশ মজা নিচ্ছে মেঘকে উত্যক্ত করে। মেয়েটিকে অপদস্ত করতে বেশ লাগে। এদিকে মেঘ উপায়ন্তর না পেয়ে শাড়ি নিয়ে বাথরুমের দিকে হাঁটা দেয়। তা দেখে রুদ্র উঠে বারান্দায় চলে যায়। মেঘ স্বস্তির শ্বাস ফেলে, পেটিকোট আর ব্লাউজ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। তারপর বেরিয়ে শাড়ি পরে নেয়। শাড়ির আঁচল ঠিক করতে করতে বলে,

-“আমার শেষ, আপনি আসতে পারেন…”

রুদ্র বেরিয়ে আসে। মেঘের দিকে একবার তাকায়, নতুন বউ লাগছে, মাথায় কাপড় দিয়ে বেশ লাগছে। দুজনে একসাথেই নিচে নেমে আসে। টেবিলে বসতেই মেঘের মাথার কাপড়টা পড়ে যায়। তা ঠিক করার আগেই কারো কর্কশ গলা শোনে, চুপসে যায়,

-“মাথার ঘোমটা সামলাতে পারো না মেয়ে, এত বড় সংসার সামলাবে কিভাবে? আমাদের সময় তো বউরা মাথায় এমনভাবে ঘোমটা দিয়ে রাখতো যে সূর্যও চেহারা দেখতো না…”

পাশ থেকে দাদি বলেন,

-“আহ বেয়াইন, বাদ দিন, ছোট মানুষ…”

রুদ্রের নানি মুখে খাবার নিতে নিতে বলে ওঠে,

-“ছোট আর কেমন রইলো, জামাইয়ের সোহাগ তো ঠিকই পাচ্ছে… এত বেলা করে ঘুম থেকে উঠছে…”

মেঘ সবে মাত্র পরোটার এক টুকরো মুখে দিয়েছিল। উনার কথায় নাকে-মুখে কাশি উঠে যায়। রুদ্র দ্রুত পানি এগিয়ে দিয়ে মেঘের পিঠে হাত দিয়ে ঘষে দেয়। বাকিরাও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। এরশাদুল চৌধুরী আর এনামুল চৌধুরী দ্রুত খেয়ে উঠে চলে যায়। এই মহিলার যেখানে-সেখানে যা-তা বলে ফেলে, তাই আর রিস্ক নেয়নি।

রুদ্র বলে ওঠে,

-“ডার্লিং, তোমার বুঝি হিংসে হচ্ছে…”

-“আমার কেনো হিংসে হবে? সত্তর বছর জামাইয়ের আদরে সোহাগেই কাটিয়েছি, তোদের দুই-তিন দিন হলো কেবল।”

মেঘ লজ্জায় আরষ্ঠ হয়ে আছে। বেশ বুঝতে পারছে, এই নানি-নাতি দুইটাই লাগাম ছাড়া।

-“তো মেয়ে, রান্নাবান্না পারো তো, নাকি খালি খেতেই পারো?”

-“জি, জি পারি…”

-“তো পারলে তোমার শাশুড়ি রান্নাঘরে কি করে? আমাদের সময় তো শাশুড়িরা বউ ঘরে এনে রান্নাঘরের আশেপাশেও যেতো না। আর এখনকার বউরা বেলা করে উঠে, শাশুড়ি রান্না করে রাখে, আরামে খায়।”

রুদ্র কটাক্ষ করে বলে,

-“বিয়ে করে কি চাকর এনেছি ? বউ এনেছি। বউ হলো যত্নের জিনিস, গাধার মতো খাটানোর না। বুঝেছো বুড়ি…”

-“দেখেছিস, দেখেছিস সিদ্দিকা! বিয়ে হতে না হতেই আমার নাতিটাকে হাত করে ফেলেছে। শেষ, এই মেয়ে তোর সংসার শেষ করবে।”

রুদ্রের কথায় মেঘের বেশ ভালো লাগলেও, পরবর্তীতে নানির কথায় মনটা খারাপ হয়ে যায়। সিদ্দিকা বেগম বলে ওঠে,

-“আহ মা, এভাবে বলছো কেনো? মেঘ আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করে। তবে কাজ করতে আসলে আমি তাকে কাজ করতে দেই না। এখন তার সংসার সামলানোর মতো সময় হয়নি। সময় হলে আমিই সব গুছিয়ে দেবো…”

-“হ্যাঁ হ্যাঁ, এভাবেই মাথায় তোলো ঘরের বউকে। পরে মাথায় উঠেই নাচবে, আর নামবে না…”

মেঘকে মনমরা দেখে রুদ্র কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,

-“নানুর কথা কানে নিও না। বয়স হয়েছে, কি বলে, নিজেও জানে না।”

খাওয়ার পাট চুকাতেই মেঘ তার শাশুড়ির সাথে মিলে সব গুছিয়ে নেয়। আবারো নানি মেঘকে ডেকে পাঠায়। সে হাত মুছে দ্রুত ড্রয়িং রুমের দিকে এগোয়। লেট করলে আবার না জানি কি বলে বসে, সেই ভয়ে। রুদ্র, নানি, দাদি সবাই সোফায় বসে আছে। কাজ করছিলো বিধায় আঁচল উঠিয়ে কোমরে বেঁধে ছিলো, তা খুলে ঠিক করতে করতে এগোয়। মেঘকে দেখে রুদ্রের নানি জহুরি চোখে পরখ করে,

-“এই মেয়ে, দাঁড়াও দেখি দেখি, পেট এমন ফোলা ফোলা কেনো…”

মেঘ জায়গায় দাঁড়িয়ে যায়। সবার দৃষ্টি তার দিকেই। রুদ্রের দিকে চোখ যেতেই কান গরম হয়ে যায় বেচারির। সে মুচকি মুচকি হাসছে। রুদ্রের নানি আবার বলে ওঠে,

-“কিরে রুদ্র, সুখবর নাকি..?”

মেঘের থেকে চোখ সরিয়ে শান্ত কণ্ঠেই বলে ওঠে,

-“আরে বুড়ি না না, বউটা আমার একটু গুলুমুলু মাত্র। খেয়েছে তো, তাই ফোলা লাগছে…”

ফের মেঘের দিকে তাকায়। মেঘের দৃষ্টি রুদ্রের দিকেই। সাথে সাথে চোখ টিপে বলে,

-“তবে বউয়ের ভালোবাসা বেশি বেশি পেলে, খুব শীঘ্রই ফুলিয়ে দিতে পারি…”

মেঘ শক্ত করে শাড়ির আঁচলের কোনা চেপে ধরে আছে। মনে মনে দোয়া করছে, আল্লাহ, দড়ি ফালাও, আমাকে এদের সামনে থেকে উঠাই নাও।

-“কি মেয়ে, মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছো কেনো? এদিকে এসে বসো…”

মেঘ ধীর পায়ে এগোয়। পাশে বসতেই তার হাতে তিন হাজার টাকা গুজে দেয়,

-“তখন হাতে ব্যাগ ছিলো না, তাই সালামি দিতে পারিনি। কিছু কিনে নিও। আসার সময় আনতে পারিনি তোমার জন্য…”

মেঘ বলে,

-“না না, এর দরকার নেই…”

তবে নানির ধমকে চুপচাপ নিয়ে নেয়।

বিছানায় মেঘ মনমরা হয়ে বসে আছে আর ড্রেসিং টেবিলের সামনে রুদ্রের কাহিনি দেখছে। ধূসর রঙের পাঞ্জাবি পড়েছে, সাথে সাদা প্যান্ট, চুল ঠিক করছে। সমাবেশে যাবে বুঝি, বেশ নেতা নেতা লাগছে। মেঘ হঠাৎ বলে ওঠে,

-“আমি জিম করবো…”

হঠাৎ কথায় রুদ্র চিরুনি হাতেই ঘাড় হালকা কাত করে মেঘের দিকে তাকায়, ভ্রু নাচিয়ে বলে,

-“হোয়াই..?”

-“আমি দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছি…”

-“তো..?”

-“আগে তো বাসায় কাজ কাম করতাম, আর এখানে আপনার মা কাজ করতেই দেয় না। খাওয়া-ঘুম, তাই মোটা হয়ে যাচ্ছি বেশি…”

-“তো..?”

রুদ্রের খাপছাড়া কথায় একটু রাগ লাগে মেঘের। বসা থেকে উঠে রুদ্রের পিছে দাঁড়ায়,

-“আমি জিম করবো, পেট কমাবো…”

-“তার কোনো দরকার নেই…”

-“কেনো?”

রুদ্র রেডি হয়ে পেছন ফিরে হঠাৎ এক হাতে মেঘকে পাজাকুলে তুলে নেয়। মেঘ ভয় পেয়ে সাথে সাথে রুদ্রের গলা জড়িয়ে ধরে।

-“কই মোটা..? এক হাতেই তো অনায়াসে তুলে ফেললাম।”

-“আরে, নামান…”

মেঘকে নামিয়ে দিয়ে সানগ্লাসটা পড়তে পড়তে বলে,

-“আই লাইক চাবি গার্লস…”

-“বাই দ্য ওয়ে, আমি কিন্তু বউয়ের গায়ে হাত তুলবো না, কিল দেওয়া তো দূরের কথা। জিমের কথা বাদ দিয়ে পিঠের তিলগুলো রিমুভ করানোর চিন্তা করো। শোনেছি, পিঠে তিল থাকলে জামাইয়ের হাতে কিল খায়…”

বলেই বাঁকা হেসে মেঘের দিকে তাকায়। মেঘের তো থ বেঁধে যায়, মানে তার পিঠের তিল সে কিভাবে জানলো? চটজলদি বলে ওঠে,

-“এই, আপনি দেখলেন কিভাবে?.. “

ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বলে,

-“বারান্দার দরজা লাগিয়েছিলে, জানালা তো লাগাওনি…”

মেঘ দ্রুত সেদিকে তাকায়, দেখে আসলেই জানালা খোলা, এমনকি পর্দাও দেওয়া নেই।

-“ছি, উনি তার মানে…”

গাল গরম হয়ে গেছে। দ্রুত বিছানায় শুয়ে ব্ল্যাংকেটের নিচে মুখ লুকিয়ে নেয়। কেউ নেই ঘরে, অথচ ভীষণ লজ্জা লাগছে।

সেদিন আর ভার্সিটি যাওয়া হয়নি, নানির জন্য। মেঘকে ডেকে নিয়ে যায় বাগানে। সেখানে মাটির চুলা বসিয়েছে। মেঘকে নাকি এটাতেই দুপুরের রান্না করতে হবে। মেঘ বেশ চিন্তায় পড়ে যায়–সে মাটির চুলা ধরাতেও পারে না, রান্না কিভাবে করবে! তবে নানির কড়া আদেশ, তাকে এটাতেই রান্না করতে হবে।

আর কি করার! শাশুড়ির সাহায্যে আগুন ধরিয়ে রান্না বসিয়ে দেয়। দুপুরের আগেই সব রান্না শেষ করে। সবাই খেয়ে বেশ প্রশংসা করে। নানিও সন্তুষ্ট হয়, এটা ভেবে যাক, রূপের সাথে রান্নার গুণও আছে।

তবে হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে রুদ্রের দাদির শরীর বেশ খারাপ হয়ে যায়। সবাই দ্রুত তাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায়। রুদ্র এখনো বাসায় ফিরেনি, তাই মেঘকে আর সামিয়াকে বাড়িতে রেখে যায়।

মেঘ বেশ চিন্তিত হয়ে ড্রয়িং রুমে বসে আছে। হঠাৎ পাশে এসে বসে সামিয়া,

-“রুদ্র ভাইকে কবে ছাড়ছো?”

মেঘ একইভাবে বসে থাকে, কোনো জবাব দেয় না। সামিয়া কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে,

-“কথা কি শোনো না? আমার আর রুদ্র ভাইয়ের মধ্যে থেকে সরে যাও, নয়তো এর পরিণতি ভালো হবে না…”

মেঘ সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,

-“আমি না, আপনি আমার আর উনার মাঝে আসছেন। আমি উনার স্ত্রী। ইসলামের শরিয়ত মেনেই আমাদের বিয়ে হয়েছে। তার উপর আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। তবে আপনার নেই, এমনকি আপনার মুখে এসব কথা বলারও অধিকার নেই।”

সামিয়া হতবাক, এই কোন মেঘকে দেখছে? এই মেয়ে তো এভাবে কথা বলার মেয়ে না। তবে কি সে,

-“এই মেঘ, কি সব বলছো? তুমি তো জানো আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। তাহলে তুমি কেনো এভাবে কথা বলছো? ওইদিন না বললে চলে যাবে…”

মেঘ কঠিন গলায় বলে,

-“উনি নিজের মুখে আজ অব্দি বলেনি আপনাকে ভালোবাসে। এমনকি তার কাজ-কর্মেও মনে হয় না। তাই আপনার কথা আপাতত বিশ্বাস হচ্ছে না, মাফ করবেন।”

বলেই রুমে চলে আসে। মেঘ বেশ বুঝতে পারছে, সামিয়া রুদ্রকে ভালোবাসে। সে চেষ্টা করছে তাদের বিচ্ছেদের।

-“তবে আমি তা হতে দেবো না। আমার স্বামীর ভাগ আমি কাউকে দেবো না। এর জন্য যদি সবার সাথে লড়াই করতে হয়, তাও করবো। আগে আমার বলতে শুধু আমি ছিলাম, তাই সহ্য করে নিতাম। কিন্তু এখন আমার বলতে আমার অনেক কিছু আছে — স্বামী আছে, সংসার আছে। সব কিছু আমার করে রাখতে হলেও আমাকে স্ট্রং হতে হবে। নিজের জন্য লড়াই ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না এই দুনিয়ায়। এখন থেকে আমিও আমার অধিকার বুঝে নেবো…”

চলবে……..

Share On:

TAGS: , ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply