Golpo romantic golpo আড়ালে তুমি সব পর্বের লিংক সাইদা মুন

আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ২৬


#আড়ালে_তুমি |২৬|

#_সাইদা_মুন 

মেঘ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে টান মেরে নিয়ে যায় কেউ। মেঘ দ্রুত তাকায়, রুদ্র দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে, মুখ তার গম্ভীর। ভারী স্বরে বলে,

-“সমস্যা কি?”

মেঘ এদিক সেদিক বলে,

-“কোনো সমস্যা নেই..”

রুদ্রের দিকে তাকাতে পারছে না লজ্জায়।

-“তো ইগনোর করছো কেনো?”

-“ইগনোর কেনো করতে যাবো..”

-“তোহ সারাদিন ঘরে আসলে না, আমার থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ছিলে এসব কি?”

-“আমি তো কাজ করছিলাম আম্মুর সাথে..”

রুদ্র এগিয়ে আসে মেঘের সামনে। মেঘের মাথা নিচু, ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে,

-“আমার মা তোমাকে সারাদিন গাধার মতো খাটায় এটা বলতে চাচ্ছো?”

দ্রুত মাথা তুলে বলে উঠে,

-“না ছি ছি কি বলেন, আম্মু তো আমাকে কাজ করতেই দেয়না। আমি জোর করে করি..”

-“তাহলে..?”

-“আ.. আমি পিহুর সাথে ছিলাম।”

-“কালকে তো বেশ আমার জামাই আমার জামাই করছিলে। তো এখন কি হলো? স্বামীর খেদমত করতে হয় জানোনা?”

মেঘের চোখ বড় বড় হয়ে যায়, সে এমনটা বলেছে? রুদ্র বিছানায় বসে,

-“এদিকে আসো..”

মেঘ জড়তা নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগোয়। রুদ্র পাশে বসতে বললে সে চুপচাপ বসে পড়ে। তবে এর পরের কাজে মেঘ এক ঝাটকা খায়। রুদ্র মেঘের কুলের উপর মাথা রেখে শোয়ে পড়েছে। সাথে সাথে বলে উঠে,

-“কি করছেন উঠুন…”

-“মাথা টিপে দাও ব্যথা করছে..”

মেঘের কেমন কেমন লাগছে। অসহায় ভাবে বলে,

-“তো বালিশ এ মাথা রাখুন আমি টিপে দিচ্ছি..”

রুদ্র সেভাবেই মেঘের দিকে তাকায়। ব্রু কুচকে বলে উঠে,

-“আমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে মাথা রাখবো তাতে তোমার সমস্যা?”

মেঘ বাকহারা হয়ে যায়। মানে কি তার কোলে মাথা রেখে তাকেই বলছে,

-“ত..তো আমার কুলেই তো মাথা রেখেছেন…”

রুদ্র চোখ ভুজে বলে,

-“কালকে যখন আমাকে হুট করে চুমু খেয়েছিলে আমি কি কিছু বলেছি? তো তুমি এতো কথা বলছো কেনো। আমি তো চুমুও খাচ্ছিনা, শুধু মাথাটাই রেখেছি..”

মেঘ যেনো সপ্তম আকাশ থেকে পড়লো। কিসব বলছে, রুদ্রকে চুমু আর সে…?

মেঘের মনে চাচ্ছে মাটির নিচে ঢুকে যেতে। আর কি কি করেছে সে আল্লাহ জানে।

রুদ্র চোখ বন্ধ রেখেই কর্কশ গলায় বলে উঠে,

-“স্বামীর কথা সাথে সাথে না শোনলে পাপ হয় পাপ..”

মেঘ বাধ্য হয়ে নিজের নরম হাত দিয়ে রুদ্রের মাথা টিপে দিতে লাগে। প্রায় অনেক্ষণ পর দরজায় কারো নক করার শব্দে মেঘ রুদ্রের দিকে একবার তাকায়, দেখে সে চোখ বুঝে আছে ঘুমিয়ে গেছে হয়তো। উঠবে কিনা ভাবছে যদি ঘুম ভেঙে যায়।

তখনি সামিয়া ধুম করে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঢুকে যায় রুমে। মেঘ সামিয়াকে দেখেই হালকা বিরক্ত হয়ে যায়। সেদিনের পর থেকে সামিয়াকে দেখলে রাগ হয় তার।

সামিয়া রুমে ঢুকেই তাদের এভাবে দেখে জ্বলে ওঠে। মেঘের উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে তার। রাগি চোখে তাকিয়ে হালকা চেচিয়ে বলে,

-“বড় মা যে তোমাকে ছাদের কাপড় আনতে বলেছিল আনলে না? যাও গিয়ে নিয়ে আসো..”

মেঘ কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুদ্র চোখ বন্ধ রেখে বলে উঠে,

-“দেখছিস না স্বামীর সেবা করছে। তুই কি করতে আছিস? যা তুই গিয়ে নিয়ে আয়..”

সামিয়া অবাক রুদ্রের মুখে এমন কথা শোনে। তবে কি রুদ্র মেঘের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে?

-“না না এ হতে পারেনা..”

সামিয়া সেভাবেই ঠাই দাঁড়িয়ে মন তার ভীষণ ভারী। রুদ্র আবার বলে উঠে,

-“কাপলদের ঘরে ঢুকতে হলে পার্মিশন নিতে হয় জানিস না?”

সামিয়ার মুখটা চুপসে যায়। রুদ্র তাকে এভাবে বলতে পারলো? চোখ দিয়ে এই বুঝি জল বেড়োবে ‘সরি’ বলে দ্রুত বেড়ে যায়।

কোনোদিকে না তাকিয়ে দৌড়ে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দরজায় লেগে বসে পড়ে। আঝোরে কাদঁছে মেয়েটি,

-“ইয়া আল্লাহ, তুমিই তো জোড়া মিলিয়ে মানুষ পাঠাও। তাহলে তারে যদি অন্যের ভাগ্যেই রেখেছিলে, তবে আমারে ভালোবাসতে আটকালে না কেনো? কেনো সেই কিশোরী সামিয়ার মনে রুদ্র নামের পুরুষের প্রতি ভালোবাসা জন্মালে, যা এখন আমাকে পুড়াচ্ছে।”

মুহুর্তেই আবার চোখ মুছে বলে উঠে,

-“যেহেতু তার প্রতি আমার অনুভূতি এখনো আছে তার মানে সে আমার ভাগ্যেও আছে না না আমি হাল ছাড়বো না..”

—————————

এদিকে মেঘ বুঝে উঠছে না রুদ্রের এমন বিহেভ তাও সামিয়ার সাথে। মনে মনে ভাবছে, “সামিয়াকে যদি রুদ্র ভালোবাসে তাহলে তার সাথে এভাবে কথা কেনো বললো, সামিয়াকে দেখে তো আরও আমার থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা”। মেঘের ভাবনা কাটে রুদ্রের নড়াচড়ায়।

রুদ্র উঠে বসে ঘুমঘুম চোখে মেঘের দিকে ফিরে। মেঘ রুদ্রের দিকেই তাকিয়ে, চোখ ফোলা চুল এলোমেলো মুখে ঘুম ঘুম ভাব বেশ কিউট লাগছে রুদ্রকে। তবে হঠাৎ রুদ্র তার দিকে এগোতে থাকে তা দেখে মেঘ ভড়কে যায় সেও পিছিয়ে যায়।

মেঘের মনে অন্য চিন্তা আসে,

-“এই লোককে আজকে সুবিধার মনে হচ্ছে না, এভাবে এগোচ্ছে কেনো। চুমু টুমু খাবে নাকি.. নাউজুবিল্লাহ মেঘ কিসব ভাবিস, কিন্তু যেভাবে এগোচ্ছে মনে তো হচ্ছে..”

রুদ্র একদম মেঘের মুখের সামনে আসতেই মেঘ চোখ-মুখ খিচে বন্ধ করে নেয়। প্রায় কয়েক সেকেন্ড অতিক্রম হয়ে যায় তবে রুদ্রের সারাশব্দ না পেয়ে দ্রুত তাকায় মেঘ। দেখে রুদ্র আগের জায়গায় বসা, তার দিকেই বাকাঁ হেসে তাকিয়ে আছে। মেঘের হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দেয়,

-“এইটা সাইড টেবিল থেকে নিচ্ছিলাম.. অন্য কিছুনা..”

বলতে বলতে ওয়াশরুমে চলে যায়। এদিকে মেঘ আরেক দফা সরম পায়।

-“বেদ্দপ…”

হাতের প্যাকেট খুলতেই মেঘ অবাক, অনেক সুন্দর একটা কালো শাড়ি, সাথে মেচিং অর্নামেন্টস। শাড়িটি খুলে দেখছে তার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। এটা কি রুদ্র তার জন্য এনেছে? গিফট? সুন্দর করে আলমারিতে তুলে রাখে।

তারপর নিচে চলে যায় রুদ্রের জন্য কফি বানাতে। কফি দিয়ে এসে শাশুড়ির সাথে কাজে লাগতে চাইলেও দেয়নি কিছু করতে, পড়তে বসতে পাঠিয়ে দেয়।

তাই বাধ্য হয়ে পড়তে বসে। রুদ্র বেড়িয়ে গেলো তবে কোথায় গেলো সে জানেনা। এভাবেই ১০ টার দিকে রুদ্র আসে, তাকে দেখে ভীষণ ক্লান্ত মনে হচ্ছে। মেঘ পড়া থেকে উঠে গিয়ে লেবুর শরবত বানিয়ে আনে। তা দেখে রুদ্র বলে,

-“পড়া থেকে উঠতে গেলে কেনো, আসমা খালাকে বললেই এনে দিতো।”

মেঘ কোনো উত্তর না দিয়ে, রুদ্রকে গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে,

-“কোথায় ছিলেন?”

রুদ্র একবার মেঘের মুখের দিকে তাকায় তারপর শান্ত স্বরে বলে,

-“পার্টি অফিসে আব্বুর সাথেই ছিলাম..”

-“ওহ ফ্রেশ হয়ে নেন মা খাবারের জন্য ডাকছে।”

-“তুমি যাও, আমি গোসল করে আসছি। আর শোনো পারলে একটু কষ্ট করে আমার কাপড় বের করে রেখো..”

বলেই রুদ্র একটা টাওয়াল গোসল করতে ঢুকে যায়। মেঘও তার একটা টাউজার আর টি-শার্ট বের করে বিছানায় রেখে নিচে যায়।

রাতের খাবারের পর্ব চুকিয়ে মেঘ সবকিছু ধুয়ে রুমে আসে। রুদ্রকে দেখে তখনের শাড়ির কথা মাথায় আসে। মেঘ প্রশ্ন ছুড়ে,

-“ওই শাড়িটা কার জন্য?”

রুদ্র ফোন স্ক্রল করা রেখে মেঘের দিকে তাকায়,

-“কোন শাড়ি?”

-“ওই যে যেইটা সন্ধ্যায় আমাকে দিলেন..”

রুদ্র আবার ফোনে তাকিয়ে বলে উঠে,

-“পাশের বাড়ির ভাবির জন্য আনলে অবশ্যই তার হাতেই দিতাম, যেহেতু তোমার হাতে দিয়েছি তোমার জন্যই এনেছি।”

মেঘ রুদ্রের এমন ত্যাড়া কথায় হালকা রেগে তাকায়।

-“আপনার এখন কিছু লাগবে..?”

রুদ্রের দিক থেকে ‘না’ শোনতেই মেঘ বেড়িয়ে আসে পিহুর রুমের দিকে হাটা দেয় বির বির করে,

-“অসভ্য লোক, আমার জন্য এনেছে সুন্দর করে বললেই তো হয়…”

পিহু মেঘকে দেখে শোয়া থেকে উঠে বসে,

-“কিরে এখানে কি..?”

পিহুর পাশে বসতে বসতে বলে,

-“আজকে তোর সাথে ঘুমাবো..”

-“এই তুই জামাই ছাড়া ঘুমাস কিভাবে? আমি তো ভেবে রেখেছি বিয়ের পর জামাই ছাড়া এক রাতও থাকবো না।”

পিহুর কথায় মেঘ বলে,

-“এমন জামাই পাইও তাইলে সারাজীবন জামাই ছাড়া থাকতে পারবা। রসকষহীন..”

মেঘের কথায় পিহু ব্রু কুচকে বলে,

-“কেনো রে আমার ভাই কি খারাপ নাকি, এমন জামাই পাইতে ভাগ্য লাগে হুহ..”

মেঘ পিহুর কথায় কিছুই বলেনা। বিছানায় গা এলিয়ে দেয়,

-“পিহু….”

-“হু..”

-“একটা সত্যি কথা বলবি?”

-“কি?”

মেঘ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,

-“তোর ভাই কি কাউকে ভালোবাসে?”

পিহু মেঘের দিকে অবাক হয়ে তাকায়,

-“ধুর না, ভাইয়ার এমন কেউ নেই থাকলে তোকে বিয়ে করতো নাকি বলদ। ভাইয়া ছোট থেকেই ভাইয়ার যেইটা পছন্দ হতো সেটা হাসিল করেই ছাড়ত, সেখানে ভালোবেসেও ছেড়ে দিবে নাকি..”

মেঘ মন দিয়ে পিহুর কথা শোনে। কিছুটা চিন্তিত হয়। জিজ্ঞেস করতে মন চাচ্ছে সামিয়া তবে এমন বললো কেনো, কিন্তু কিছুই বলেনি তার জন্য যদি তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়।

-“জানিস তোর ভাই আমাকে আজকে প্রথম গিফট দিয়েছে,”

-“কি দিয়েছে রে?”

-“শাড়ি..”

-“আরে বাহ, জানিস ভাইয়ার ড্রেসিং সেন্স খুব ভালো। আম্মুর বেশির ভাগ শাড়ি ভাইয়ার পছন্দেই কিনে।”

-“এহহ..”

পিহু ভাব নিয়ে বলে,

-“এহ না হ্যা, আমার ভাই সব পারে বেস্ট, অলরাউন্ডার…”

পিহুর কথায় মেঘ বলে ওঠে,

-“তোর ভাই ঘোরার ডিম পারে, আনরোমান্টিক বেডা, সুন্দর করে কথাই বলেনা।”

-“ওহ আচ্ছা তারপর..”

হঠাৎ রুদ্রের গলা শোনে চটজলদি দরজার দিকে তাকায় মেঘ। দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে। রুদ্রকে দেখে বোকা হাসে মেঘ।শোনে ফেলেছে।

মেঘের দিকেই তাকিয়ে পিহুকে বলে,

-“পিহু একটা কফি বানিয়ে আনতো..”

পিহু ভাইয়ের কথা শোনতেই দ্রুত বেড়িয়ে যায়। বেশ বুঝছে প্রাইভেসি চাচ্ছে। মেঘ এদিকে পড়ে ফেসাদে, সেও পিহুর পিছে উঠে যেতে নেয় তবে রুদ্র হাত ধরে আটকে দেয়,

-“তুমি কোথায় যাচ্ছো?”

মেঘ তোতলিয়ে বলে,

-“ওই প..পিহুর..”

-“তোমার যেতে হবেনা”

বলেই মেঘকে কুলে তুলে নেয়। মেঘ চমকে ওঠে, ঘটনা কি সেটা বুঝতে একটু সময় লাগে। ততক্ষনে রুদ্র হাঁটা দেয় ঘরের দিকে। মেঘ দ্রুত বলে উঠে,

-“এই কি করছেন?”

রুদ্রের এদিকে কোনো কথা নেই নিজের মতো করিডোর পেরিয়ে যাচ্ছে।

-“আরে নিচে নামান..”

-“নো চলো দেখাই আমি আসলে কি কি পারি…”

রুমে এসেই দরজা লাগিয়ে দেয়। অন্যদিকে পিহু আড়াল থেকে তাদের নিজের রুমে যেতে দেখে মুচকি হেসে নিজের রুমে চলে আসে।

মেঘকে বিছানায় রেখে তার দুই পাশে বিছানায় হাতে ভর দিয়ে তাকায় তার দিকে,

-“আমি আনরোমান্টিক?”

মেঘ মাথা এদিক সেদিক করে বুঝায় ‘না’। রুদ্র অবাক হওয়ার ভান করে বলে,

-“ওমা কিভাবে বুঝলে? আমি তো এখনো তোমার সাথে কিছুই করিনি। তবে এখন অনেক কিছু করবো…”

আস্তে আস্তে মেঘের মুখের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের মধ্যে ফাঁক হবে হয়তো ২ ইঞ্চি। রুদ্রের নিশ্বাস আচড়ে পড়ছে মেঘের মুখে। মেঘের বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়, শ্বাস ভারী হয়ে আসে। দ্রুত চোখ খিচে মুখ অন্যপাশে ঘুরিয়ে নেয়।

রুদ্র মেঘের অবস্থা দেখে ফিক করে হেসে উঠে যায়,

-“এখনো কিছুই করলাম না আর এই অবস্থা, করলে তো পাওয়াই যাবেনা। আবার নাকি আমি…”

উঠে গিয়ে লাইট অফ করে এসে অন্য পাশে শোয়ে পড়ে। মেঘ লজ্জায় লাল হয়ে আছে, নিজেই বিরবিরিয়ে,

-“লোকটা দিনদিন লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে বারবার লজ্জায় ফেলে। না না এখানে থাকা যাবেনা..”

বিছানা থেকে উঠতে নেয় রুদ্র আটকে দেয়,

-“কোথায় যাচ্ছো?”

-“প..পিহুর রুমে..”

রুদ্র টান মেরে মেঘকে নিজের বুকে ফেলে। জড়িয়ে ধরে চোখ বুঝে নেয়। মেঘ হতবাক, এই প্রথম রুদ্র নিজে থেকে তাকে জড়িয়ে ধরেছে। রুদ্রের গায়ের ম্যানলি গন্ধটা এসে নাকে লাগে। মেঘের মনে অনুভুতিরা যেনো নাচানাচি করছে, বুক ধুকধুক করছে। পেটে প্রজাপ্রতিরা উড়ছে, কেমন সুরসুরি করছে। এ কেমন অনুভূতি বুঝে উঠতে পারছে না। মেঘ নড়াচড়াও করতে পারছে না। তাই ছটফট শুরু করে। তবে রুদ্রের ধমকে শান্ত হয়ে সেভাবেই শোয়ে থাকে। একসময় ঘুমিয়ে যায় রুদ্রের বুকে…

—————————

সকালে মেঘের ঘুম ভাঙে দরজায় কারো করাঘাতে। নিজেকে রুদ্রের বুকে দেখে আবারও লজ্জায় পড়ে মেয়েটি। দ্রুত তাকে ছাড়িয়ে উঠে যায়। দরজা খুলতেই এক অপরিচিত, রুদ্রের দাদির বয়সী মহিলাকে দেখে ভাবলো কে ইনি? তবে হঠাৎ মহিলার কথায় ভাবনা থেকে বের হয়ে যায়, তাড়াতাড়ি মাথায় উড়না দেয়,

-“নতুন বউয়ের যে বড়দের সামনে মাথায় কাপড় দিয়ে রাখতে হয় তা জানো না?”

চলবে…….

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply