#আড়ালে_তুমি |১৯|
#সাইদা_মুন
নিজেকে বাথটবে শুয়ে থাকতে দেখে থতমত খেয়ে যায় মেঘ। মনে করার চেষ্টা করে সে তো বেডে ঘুমিয়েছিল এখানে আসলো কি করে। সামনে তাকাতেই রুদ্রের বিশাল বড় দেহটা চোখে পড়ে। দুই হাত ভাজ করে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, মুখে শয়তানি হাসি। হাতা কাটা গেঞ্জি পরেছে যার ফলে দুই হাতের ফোলা ফোলা বাহুগুলো দেখা যাচ্ছে। পরক্ষণেই রুদ্রের কথায় নিজের ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসে,
-“গুড মর্নিং। “
-“এই আপনি আমাকে এখানে এনেছেন তাই না? এমন করলেন কেনো।”
রুদ্র অবাক হয়ে বলে,
-“আমি আনতে যাবো কেনো, এমন মিনি হাতিকে কোলে করে আনা কি মুখের কথা নাকি।”
মেঘের বেশ গায়ে লাগে কথাটা। সে এতোটাও মোটা নয়,
-“এই আমি এতো মোটাও না। যাই হোক আপনার এমন হাম্বার মতো বডি বানিয়ে কি লাভ যদি এইটুক শরীরের মেয়ে কোলেই নিতে না পারেন।”
রুদ্র দুষ্টু হেসে বলে,
-“তার মানে তুমি ইনডিরেক্টলি আমার কোলে উঠতে চাচ্ছো? বাট আমি যাকে তাকে কোলে নেই না।”
মেঘ মুখ ভেংচে বলে,
-“আর আমি যার তার কোলে উঠি না।”
বলেই সে দ্রুত বাথটব থেকে উঠে নিচে পা রাখতেই স্লিপ খেয়ে ঠাস করে নিচে পড়ে যায়। বাথটবের সাইডের অংশটা কোমরের দিকে লাগতেই ব্যথায় কুকড়ে উঠে, পায়েও বেশ লেগেছে। রুদ্র দ্রুত এগিয়ে আসে,
-“ইডিয়েট, দেখে চলতে পারোনা, দেখি দেখি আমার বাথরুমের মেঝে ভাঙলো কিনা.. “
মেঘ বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে রুদ্রের দিকে। সে আস্ত একটা মানুষ ধড়াম করে পড়লো সেদিকে খেয়াল নেই, মেঝে ভাঙলো কিনা সেই চিন্তা। রাগে অপমানে মেঘ পাশের বালতি থেকে পানি নিয়ে মারে রুদ্রের দিকে ছিটা। সাথে সাথে রুদ্র প্রায় অনেকটা ভিজে যায়,
-“এই এই কি করলে? একটু আগেই গোসল করলাম আবার ভিজিয়ে দিলে স্টুপিড.. “
-“তো আমিও আজ ২ বার গোসল করেছি তাও আপনি আবার আমাকে পানিতে ফেললেন কেনো?”
-“এটা তোমার রিটার্ন গিফট ছিলো। সকালে আমার বুকের কি অবস্থা করেছিলে ভুলে গেছো?”
-“ওইটা আপনার নিজের দোষে হয়েছে।”
-“হোয়াটএভার… “
বলেই রুদ্র বেড়িয়ে যায়। এদিকে মেঘের কোমরে বেশিই লেগেছে। কোনোরকম উঠে দাঁড়ায়, এবার কাপড় কই পাবে যেটা পড়ে আছে সেটা তো পিহুর, তার কাপড় কাল আসবে। রাগে দুঃখে ভেজা শরীরেই ঘরে প্রবেশ করে। রুদ্রের দিকে এগিয়ে গিয়ে রেগে বলে,
-“এখন আমাকে পিহুর রুম থেকে কাপড় এনে দিবেন, আমার আর পড়ার মতো কাপড় নেই।”
রুদ্র মেঘের কথায় পাত্তাই দিলোনা, সে তার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করতে ব্যস্ত। মেঘ আবার ডেকে উঠে,
-“কথা কি শোনেন না?”
-“লজ্জা করেনা জামাইকে কাজের অর্ডার দিতে।”
-“তো আমি এই অবস্থায় পিহুর রুমে যাবো?”
-“তো যাও, না করলো কে?”
মেঘ রাগে গজগজ করতে করতে বেড়িয়ে যেতে নেয়। তবে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ হাত টেনে ধরে। ভেজা শরীরের পানি টাইলসে পড়ে পিচ্ছিল হয়ে, তার উপর হাতে টান পড়ায় পায়ের ব্যালেন্স ধরে রাখতে পারেনি, পিছলে আবার পড়ে যেতে নেয়। কিন্তু এবার রুদ্র তার দুই বাহু ধরে সোজা করে দাঁড় করায়,
-“তুমি কি পুষ্টিহীনতায় ভুগছো নাকি বারবার পড়ে যাচ্ছো?”
মেঘ কটমট নজরে তাকিয়ে শান্ত সুরেই বলে,
-“পথ আঁটকেছেন কেনো?”
রুদ্র মেঘকে উপর থেকে নিচ অব্দি দেখে বলে,
-“এভাবে রুম থেকে বেড়োবে?”
মেঘ ভ্রু কুঁচকে “কিভাবে” বলতে বলতে নিজের দিকে তাকায়, খেয়াল হয় ওড়না গায়ে নেই। রুদ্রের সামনে এভাবে ছিলো এতোক্ষণ ভাবতেই কান গরম হয়ে আসে মেঘের। সাথে সাথে কাপড় টানতে লাগে, ভিজে যাওয়ার ফলে শরীরের সাথে একদম লেগে আছে।
ঠিক তখনই দরজা ঠেলে ঘরে দুজন প্রবেশ করে। সাদের কণ্ঠ শোনতেই রুদ্র দরজার দিকে নিজের পিঠ করে মেঘকে টেনে তার বুকের সাথে মিশিয়ে একদম আড়াল করে নেয়।
এদিকে সাদ আর সামিয়া রুদ্রের ঘরে ঢুকতেই এমন সিচুয়েশন দেখে থমকে দাঁড়ায়। সাদ টিটকারি মেরে বলে,
-“আরে ভাইয়া দরজা খোলা রেখেই…. “
রুদ্র ধমকে উঠে,
-“কমনসেন্স নেই তোদের, দরজায় নক করে আসতে হয় জানিস না? যা, এক্ষুনি বের হ দুইটা। “
-“আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি বাবা, আর বড় আব্বু ডেকেছে নিচে তাই বলতে আসছিলাম, কিন্তু এসে যে এমন সিনের সাক্ষী হয়ে যাবো কে জানে।”
বলতে বলতে দুজনেই বেড়িয়ে যায়,একজন হেসে হেসে আরেকজনের মনে অমাবস্যার ছোয়া।
তারা যেতেই রুদ্র মেঘকে ছেড়ে দাঁড়ায়,
-“ইডিয়েট এখানেই থাকো, ঘর থেকে বেড়োবে না।”
বলেই সে বেড়িয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পিহুর এক সেট জামা নিয়ে হাজির হয়। মেঘের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে যেতে যেতে বলে,
-“চেঞ্জ করে নিচে নেমে এসো। আর বেডের সাইডের ড্রয়ারে বিক্স আছে, কোমরে বেশি ব্যথা পেলে মালিশ করে নিও।”
সে চলে যেতেই মেঘ দরজা লাগিয়ে মনে মনে রুদ্রের গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকে। ঘড়ির কাটার দিকে তাকাতেই দেখতে পায় ৬টা বাজে।
-“৩ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি, কেউ ডাকও দেয়নি, বাহ…”
পরমুহূর্তেই নিজেকেই নিজে তাচ্ছিল্য করে বলে,
-“এটা কি আর ওই বাড়ি নাকি যে এটা ওটার জন্য ডাকবে। “
ড্রেস চেঞ্জ করে নিচে নেমে আসে। সবাই ড্রয়িংরুমেই আড্ডা দিচ্ছে। তা দেখে মেঘ রান্নাঘরে ঢুকে দেখে তার শাশুড়ি আর ছোট চাচি দুজনে মিলে নাস্তা বানাচ্ছে। তাদের দিকে এগিয়ে যায় সে,
-“মা আমাকে দিন, আমি পাকোড়া ভাজছি।”
সিদ্দিকা বেগম নাকুচ করে বলেন,
-“না না তার দরকার নেই, পড়ে তেল পড়ে হাত পুড়বে, এর থেকে তুমি তাদের সাথে গিয়ে বসো, আমি আর ছোট মিলে বানাচ্ছি।”
-“না না মা, কিছু হবেনা, আমার রান্নার অভ্যাস আছে, দিন করে দিচ্ছি।”
তবে রুদ্রের মা চোখ গরম করে বলেন,
-“না করেছি না..”
মেঘের মুখটা চুপসে যায়। তারা এখানে কাজ করবে আর সে বসে থাকবে, ব্যাপারটা কেমন জানি লাগছে তার কাছে। তাই লাস্ট একটা চান্স নিতে বলে,
-“তাহলে আমি চা বানাই মা?”
সিদ্দিকা বেগম কিছু বলতে যাবেন, তার আগে তাহেরা হেসে বলে,
-“থাকনা ভাবি, মেয়েটা এতো করে যেহেতু চাইছে, চা-টাই বানাক।”
ছোট চাচির কথায় মেঘ খুশি মনে চা বসায়। তারপর বাড়ির তিন ঘিন্নি নাস্তা বানানো শেষ করে একে একে সব ড্রয়িংরুমে এনে রাখে। এদিকে এই দৃশ্য দেখে চৌধুরী পরিবারের সকলের চোখ জোড়ায়। রুদ্রের দাদি বলে উঠেন,
-“মেয়েটা ভীষণ মিষ্টি আর মনের দিক দিয়েও ভালো, সবাইকে কতো তাড়াতাড়ি আপন করে নিয়েছে। আমার দাদুভাইয়ের পছন্দ আছে বলতে হবে।”
রুদ্র দাদির কথায় রান্নাঘরের দিকে তাকায়, মনের মধ্যে তার হাজার প্রশ্ন, “মেঘের চালচলনে তো মনে হয়না মেয়েটার খারাপ ইন্টেনশন আছে”। মুহূর্তেই মাথায় আসে হয়তো এসব নাটক, সবার মন জয় করার জন্য। চোখ সরিয়ে নেয় সেদিক থেকে।
সে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে “এই মেয়েকে বিয়ে করলাম কেনো? ” শিক্ষা তো অন্যভাবেও দেওয়া যেতো। বিয়ে ভেঙে দিয়েছি এইটা বড় শিক্ষা নয়কি? কিন্তু সেদিন তাকে অন্যের জন্য বউ সাজে দেখে আমার ভালো লাগেনি কেনো?
রুদ্রের ধ্যান ভাঙে তার বাবার কথায়,
-“যেহেতু সবাই উপস্থিত এখানে। আমি চাইছি সামনের ইলেকশনে রুদ্রকে দাঁড় করাতে। এতে রুদ্রের কোনো আপত্তি আছে?”
স্বামীর কথা শোনে সিদ্দিকা বেগম তীব্র বিরোধিতার সুরে বলেন,
-“না… তুমি রাজনীতিতে আছো তাই বলে আমার ছেলেটাকেও এসবে জড়াবে। আমার একটা মাত্র ছেলে যদি কিছু হয়? না না, রুদ্র কোনো ইলেকশনে দাঁড়াবে না।”
রুদ্র মায়ের কথায় বলে উঠে,
-“আহ আম্মু এসব চিন্তা করলে চলে? আব্বুও তো এতো বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, তবে আব্বুর কি কিছু হয়েছে? নিজে যতটা সতর্ক থাকবো আর দল যতটা সাপোর্ট দিবে কিছু হবার সুযোগই নেই। আর এভাবে যদি ভয় পেয়ে বসে থাকি তবে কে দাঁড়াবে সামনে?”
বাবা নরম স্বরে বলে,
-“দেখো সিদ্দিকা, এটা আমাদের পরিবারের জন্যও দরকারি। আমি চাই রুদ্র এখন থেকেই মানুষের সামনে থাকুক। রাজনীতিতে তার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হোক। এমনিতেও রুদ্রকে অনেকেই চিনে তারা তাকে চায়। আর বাবা হিসেবে আমার অবস্থানে থেকে তাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।”
সিদ্দিকা বেগম রাগে বলেন,
-“রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়, শত্রু আর বিপদও সাথে নিয়ে আসে। তুমি বুঝছ না, রুদ্রের বয়সটাই কতো, ওর যদি কিছু হয়? আমি আমার ছেলেকে হারানোর ঝুঁকি নেব না।”
রুদ্র এবার শান্ত গলায় মাকে বুঝাতে বলে,
-“আম্মু, আমি বাচ্চা নই। পড়াশোনাও শেষের পথে। আব্বুর মতো আমিও চাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ভয় পেলে কিছুই করা যায় না। আব্বু আমি প্রস্তুত।”
সিদ্দিকা বেগম থমকে যান, কাকে কি বলবেন, ছেলেও যে হয়েছে বাপের মতো।
এরশাদুল সাহেব রুদ্রের কাঁধে হাত রেখে বলেন,
-“তাহলে ঠিক হলো। রুদ্র দাঁড়াবে সামনের নির্বাচনে। এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।”
এদিকে মেঘ নিরব দর্শক। তবে মনের কোনে তারও রুদ্রের জন্য চিন্তা হচ্ছে। হয়তো রুদ্র তার স্বামী সেই অধিকারে।
.
.
.
হালকা বাতাসে ছাদের কোণার টবে লাগানো ফুলগুলো দুলছে। আকাশের পশ্চিম দিকটা কমলা আর বেগুনি রঙে রঙিন, সূর্যের শেষ আলো মেঘে আঁচড় কেটে রেখেছে। দূরে দূরে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরছে বাসার দিকে। শহরের চারপাশে আলো জ্বলতে শুরু করেছে, গলির বাতিগুলো টিমটিম করছে। এই পরিবেশে ছাদের এক কোনায় দোলনায় বসে আছে এক মেয়ে। সে আর কেউ না সামিয়া।
আকাশের দিকে তাকিয়ে অভিযোগ করছে কারো প্রতি,
-“রুদ্র ভাই….আপনি এমনটা কেন করলেন? আপনি কি সত্যিই দেখেননি আমার চোখে আপনার প্রতি ভালোবাসা? আমার সামনেই মেঘকে আপনাকে ছুঁতে দেখতে আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি আপনাকে মন থেকে ভালোবেসেছিলাম, এমনকি সেজদায়ও আপনাকেই চেয়েছিলাম। কেনো আপনি আমার হলেন না? আমি তো শুধু আপনাকে নিয়ে একটা সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমার ইচ্ছে বা অভিপ্রায় তো কখনো খারাপ ছিল না… তবু কেন আমার ভালোবাসা একতরফাই রয়ে গেল?”
সামিয়ার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। মেয়েটির ভীষণ কাদছে। কিছুক্ষনপর নিজেকে সামলে চোখমুখ শক্ত করে নেয়,
-“না না, আমার এতো বছরের ভালোবাসা এমনি এমনি ছেড়ে দিবো নাকি। রুদ্র শুধু সামিয়ার, দরকার হয় এই মেঘকে রাস্তা থেকে সরাবো।”
.
.
.
রাতের খাবার খেয়ে মেঘ ঘরে আসতেই তাকে একগাদা অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে বসিয়ে দেয়। কালকে নাকি জমা দিতে হবে, তাই তাকে এক্ষুনি করে দিতে হবে। বেচারির শরীরটা খারাপ লাগছিলো, ভেবেছে একটু ঘুমাবে, বাট তা আর হলো কই। বাধ্য হয়ে অ্যাসাইনমেন্ট করতে লাগে, সাথে রুদ্রও করছে।
১২টার দিকে হঠাৎ দরজার করাঘাতে রুদ্র গিয়ে দরজা খুলে। দেখে সামিয়া কফি হাতে দাঁড়িয়ে। রুদ্র তাকে দেখে বলে,
-“ভালো হয়েছে কফি এনেছিস, খুব প্রয়োজন ছিলো এটার।”
রুদ্রের কথায় সামিয়া হালকা হাসে। সে জানে রুদ্র রাত জেগে পড়ে। তবে সেই হাসি বেশিক্ষণ স্থির রইলো না, রুদ্রের পরের কথায় মুখটা চুপসে যায়,
-“আরেকটা বানিয়ে আনতে পারবি? মেঘও জেগে আছে।”
রুদ্রের কথার উপর না করতে পারবে না, অগত্যা মাথা নেড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই আরেকটা বানিয়ে এনে দিয়ে সে চলে যায়। রুদ্র মেঘকে কফিটা এগিয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নেয়। সেদিন রাতে ৩টার দিকে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে।
চলবে…….
[কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ]
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি, আড়ালে তুমি সাইদা মুন, সাইদা মুন
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩২
-
আড়ালে তুমি পর্ব -২৯
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৬
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৩২
-
আড়ালে তুমি গল্পের লিংক সাইদা মুন
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪২
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫০
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ২
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৮
-
আড়ালে তুমি (সারপ্রাইজ পর্ব প্রথমাংশ)