#আড়ালে_তুমি |১৭|
#সাইদা_মুন
-“রুদ্র আমি কিন্তু ফাজলামি করছি না। বিয়ে কি ছেলেখেলা মনে হয় তোর কাছে?
-“না.. “
-“তো তুই না জানিয়ে হঠাৎ বউ নিয়ে আসলি এসব কোন ধরনের কাজকর্ম? “
-“আম্মুও.. “
-“কিসের আম্মু, আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করে বউ তুলে আনবি। আমরা কি মারা গেছি? নাকি বড় হয়ে গেছিস এখন আর মা-বাবার দরকার নাই? তোর আব্বু আসলে তখন কি বলবি? একমাত্র আদরের ছেলে এমন কাজ ঘটিয়েছে?”
তাহেরা বেগম পাশ থেকে বলেন,
-“আহ ভাবি থাক ছেলেটার সাথে চিল্লিয়ে কি হবে যা করার করেই তো ফেলেছে। “
পাশ থেকে রুদ্রের দাদিও বসতে বসতে বলে উঠে,
-“সে যাই করুক আমার কিন্তু রুদ্রের বউকে অনেক পছন্দ হয়েছে। “
রুদ্র কিছু একটা ভেবে মেঘকে বলে,
-” যাও বড়দের সালাম করো “
রুদ্রের কথা মতো এগিয়ে যায় সালাম করতে। মুখে করবে না পায়ে ধরে করবে সে বুঝে উঠছে না। মুখে বললে যদি আবার রেগে যায়। তাই পায়ে ধরতে যায় সাথে সাথে রুদ্রের মা দুই বাহু ধরে আটকে দেয়। গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
-“পায়ে ধরে সালাম করতে নেই জানো না, মুখে বললেই হয়..”
উনার কথায় সবাইকে মুখেই সালাম করে। এদিকে রুদ্র ভাবলেশহীনভাবে তার ঘরের দিকে হাঁটা দেয়। মেঘ ভয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে। এতক্ষণ এত ভারি লেহেঙ্গা পরে দাঁড়ানোর ফলে পা ব্যথা করছে। কিন্তু ভয়ে কাউকে বলতেও পারছে না।
সিদ্দিকা বেগম রাগী চোখে মেঘের দিকে তাকায়। তার দাঁড়িয়ে থাকা দেখে সে বুঝতে পারছে কষ্ট হচ্ছে তাই কর্কশ গলায় বলে উঠে,
-“পিহু তোর বান্ধবীকে আমার রুমে নিয়ে আয় লেহেঙ্গা পরে থাকতে পারছে না হয়তো.. “
বলেই হনহনিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ান তিনি।
বাকিরা মুচকি হেসে উঠে, রুদ্রের দাদি বলেন,
-“শোনো মেয়ে তোমার শাশুড়ি হঠাৎ বিয়ে মানতে পারছে না। একমাত্র ছেলের বিয়ে এভাবে হলে কেই বা মানবে? তবে আমার বউমা কিন্তু খারাপ ও না। এই যে আমরা এতক্ষণে খেয়াল ও করলাম না যে তোমার অসুবিধা হচ্ছে কিনা তবে সে রাগের মাঝেও ঠিকই খেয়াল করেছে। আর মন খারাপ করোনা একটা-দুইটা বকা দিলেও সে তোমার মায়ের মতোই। সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন থেকে এটা তোমারও পরিবার…”
মেঘ মাথা উঁচু-নিচু করে বুঝায় সে বুঝেছে। তারপর পিহুর সাথে চলে তার শাশুড়ির রুমে। আর এদিকে কেউ একজন মেঘকে দেখে রাগে ফুলছে।
মেঘকে দেখে সিদ্দিকা বেগম তার আলমারি খুলে খয়েরি রঙের একটি শাড়ি বের করে,
-“এক কাপড়েই তো নিয়ে এসেছে। সাথে আর কিছু আনেনি, তাই আপাতত এই শাড়িটা পড়ো আমার অনেক আগের শাড়ি, ব্লাউজ ফিটিং হবে তোমার। তোমার কাপড় কাল বানাতে দিবো..”
তার কথায় মেঘ শুধু মাথা নাড়ায়। তা দেখে তিনি ভ্রু কুঁচকে বলে,
-“কথা বলতে পারো না? খালি মাথাই নাড়াচ্ছো সেই তখন থেকে.. “
মেঘ ভয়ে ভয়ে বলে,
-“সরি আন্টি… “
আন্টি বলায় তিনি আরেকটা ধমক দিয়ে উঠেন,
-“মা কি শেখায়নি বিয়ের পর শাশুড়িকেও মা বলে ডাকতে হয়। এরপর থেকে আম্মু বলে ডাকবা.. আর নাও ব্লাউজ আর এইটা পড়ে আসো শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছি”
শাশুড়ির কথায় মেঘের মুখে হালকা হাসি ফুটে উঠে। তারপর ব্লাউজ পেটিকোট পড়ে আসতেই তিনি সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দেন। তার নিজের আলমারি খুলে অনেকগুলো জুয়েলারি বক্স বের করেন। একটা একটা খুলে রাখেন। সবগুলোতেই সোনার জুয়েলারি, প্রথমে একজোড়া সোনার বালা নিয়ে মেঘের হাতে পরিয়ে দেন। তারপর চিকন গলার হার আর এর সাথে কানের দুল ও পরিয়ে দেন। এসব পরিয়ে দিচ্ছে দেখে মেঘ বলে উঠে,
-“মা এত কিছুর দরকার নেই..”
তিনি চোখ পাকিয়ে বলেন,
-“চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলের বউ হয়েছো এগুলো পরতেই হবে। এখানে তো অল্প, আমার ছেলের বউয়ের জন্য আরও অনেক কিছু গুছিয়ে রেখেছি। আপাতত এগুলো কানে গলায় পরে থাকবে.. “
মেঘকে রেডি করে মাথায় ঘোমটা দিয়ে নিজেই তাকে নিয়ে আসে ড্রইং রুমে। সবাই তাকে দেখে বেশ প্রশংসা করছে। সবার সাথেই টুকটাক কথা বলছে মেঘ। তার ভীষণ ভালো লাগছে তাদের সাথে। এরকম একটা পরিবার সে চেয়েছিল। কিন্তু রুদ্র তার বিয়ে ভেঙে তাকে কেনো বিয়ে করলো সেইটা তার অজানা।
তবে সামিয়ার এসব একদম ভালো লাগছে না। মেঘের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে তবে কিছু বলতে পারছে না। হঠাৎ রুদ্র উপর থেকে চিল্লিয়ে বলে একটা কফি পাঠাও আমার রুমে। সাথে সাথে সামিয়া উঠে রান্না ঘরে চলে যায়। পাঁচ মিনিটের মাথায় কফি হাতে রুদ্রের রুমের দিকে যেতে লাগে। ব্যাপারটা মেঘ খেয়াল করলেও তেমন পাত্তা দিলো না, বোন হয় দিতেই পারে।
এভাবে কিছুক্ষণের মধ্যে রুদ্রের বাবা চাচাও চলে আসে।
এরশাদুল চৌধুরী রেগে মেগে বলছেন,
-“আমার একটা প্রেস্টিজ আছে। কাল কেউ যদি জানতে পারে.. তাদের কি উত্তর দেবো..”
রুদ্র আপেল খেতে খেতে নেমে আসে। তার বাবার কথায় সে বলে উঠে,
-“বলবা ছেলের কোলবালিশ দিয়ে হচ্ছিলো না, বউয়ের দরকার ছিলো ইমার্জেন্সি তাই কাম করে ফেলেছে একাই.. “
উপস্থিত সবাই লজ্জায় পড়ে যায়। এই ছেলের কথার ঠিক নেই। সিদ্দিকা বেগম রেগে মেগে বলেন,
-“ছেলেটা হয়েছে একদম তোমার মতোই লাগামছাড়া.. “
এরশাদুল চৌধুরী কড়া গলায় ছেলেকে বলেন,
-“তোমার যদি তাকে পছন্দ হয় আমাদের বলতে, আমরা পারিবারিকভাবে এগোতাম এভাবে…”
তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রুদ্র বলে উঠে,
-“বাহ রে, তুমি যখন আমার মাকে ভরা বিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে বিয়ে করতে পারলে, আমি ছেলে হয়ে এতটুকু করবো না?..”
ছেলের কথায় একদম চুপসে যায় তিনি। বাকিরা মুখ টিপে টিপে হাসছে। এনামুল চৌধুরী বলে উঠেন,
-“ভাইজান যা হওয়ার তো হয়েছে। এখন চিল্লালে তো আর চেঞ্জ করা সম্ভব না, মেনেই নিন।”
এরশাদুল চৌধুরী গলা ঝেড়ে উঠেন, যেতে যেতে বলে যায়,
-“বিয়ে যখন করেই ফেলেছো, এখন কোম্পানিতে জয়েন হও, বউ সামলানো এত সহজ না। আর অনুষ্ঠান করে এনাউন্স করা হবে বিয়ের খবর এর আগে নিজেদের মধ্যেই থাকা।”
তার কথায় সবাই বুঝে যায় সেও মেনে নিয়েছে। রুদ্রের বাবা যেতেই রুদ্র ও বেড়িয়ে যায় গাড়ি নিয়ে। এদিকে রুদ্রের দাদি শামসুলকে ডেকে বলেন,
-“যা ফুল দিয়ে আমার নাতির ঘরটা সুন্দর করে সাজিয়ে দিবি.. “
সেও মাথা নেড়ে “জি ম্যাডাম” বলে চলে যায়।
.
.
.
.
রাত ৯টার দিকে সবাই খাওয়া দাওয়া করে ফেলে রুদ্র বাদে। কারণ সে এখনো আসেনি। খাওয়া দাওয়ার পার্ট চুকতেই মেঘকে তার শাশুড়ি তার লাল একটা বেনারসি পরিয়ে বউ সাজিয়ে দেয়। তারপর পিহুকে আর সামিয়াকে দিয়ে রুদ্রের রুমে পাঠিয়ে দেয়। তবে সামিয়া বেশিক্ষণ থাকেনি, দিয়েই চলে আসে। পিহু কিছুক্ষণ মেঘের সাথেই থাকে। তবে পরে মায়ের ডাকে যায়।
রুদ্র বাসায় আসতেই তার মা খাবার বেড়ে দেয়। তবে সে বাইরে থেকে খেয়ে এসেছে বলে আর খায়নি। সোজা নিজের রুমের দিকে হাঁটা দেয়। রুমের সামনে আসতেই ভ্রু কুঁচকে যায়। পিহু তাহমিদকে গার্ডদের মতো দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে দেখে বলে,
-“কিরে তোরা এখানে কি করিস..? “
রুদ্রকে দেখা মাত্রই পিহু লাফিয়ে উঠে,
-“ভাইয়া জলদি ৫০০০ টাকা দাও নয়তো বাসর ঘরে ঢুকতে দেবো না। “
রুদ্র কোমড়ে হাত দিয়ে বলে,
-“বাসর ঘরে ঢুকতে এত টাকা দিতে হয় কোন নিয়মে লেখা আছে?”
তাহমিদ বলে,
-“ভাইয়ু, তুমি কিন্তু এত কিপ্টে না, সো ডোন্ট বিহেভ লাইক এ কিপ্টে। টাকা দিয়ে দাও।”
-“আর টাকা না দিলে?”
পিহু ভাব নিয়ে বলে,
-“না দিলে আবার কি, ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেবো না..”
রুদ্র পেছন ফিরে যেতে যেতে বলে,
-“আচ্ছা ঢুকলাম না ঘরে, আজ সাদের রুমেই ঘুমাবো গুড বাই..”
রুদ্রকে চলে যেতে দেখে তারা থতমত খেয়ে যায়। তাড়াতাড়ি করে দুই ভাই-বোন দুই হাতে ধরে আটকায়,
-“ভাইয়া প্লিজ, কম হলেও ১ হাজার টাকা দাও।”
রুদ্র ভাব নিয়ে বলে,
-“নো..”
-“আচ্ছা ৫০০ টাকা অন্তত?”
-“দেখি সাইড দে, ঘুমাবো, সাদ দরজা লাগিয়ে ফেলবে..”
পিহু মুখটা চুপসে বলে,
-“আচ্ছা ১০০ টাকাই দাও, এতক্ষণ যে দাঁড়িয়ে আছি পায়ে ব্যথা করছে। টাকাটা দিয়ে নিজের ঘরেই যাও।”
-“আব আয়া না উঠ পাহারাকে নিচে, নে ধর আর ভাগ এখান থেকে..”
রুদ্র দরজা খুলে ঘরে ঢুকতেই চমকে যায়। চারদিকে ফুলের গন্ধে মো মো করছে। বিছানা পুরোটা ফুল দিয়ে সাজানো, বিছানার মাঝে ঘোমটা দিয়ে মেঘ বসে আছে। রুমের ড্রিম লাইট জ্বালানো, আবছা আলোয় বেশ রোমাঞ্চকর হয়ে আছে মুহূর্ত। রুদ্র ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। তবে মেঘের কোনো সাড়া শব্দ নেই, রুদ্র যে আসলো নড়াচড়াও নেই। তাই সে আরেকটু এগিয়ে বিছানার সামনে গিয়ে দুই হাত আড়াআড়িভাবে গুজে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর কিছু একটা ভেবে ঘোমটা উঠাতে হাত বাড়ায়।
এদিকে মেঘ অনেকক্ষণ বসে থাকতে থাকতে চোখ লেগে যাচ্ছে। হঠাৎ আবছা আলোয় কালো ছায়া তার উপর পড়ায় ঘুম উবে যায় মেঘের। এমনিতেই সে ভূতে বিশ্বাসী। ঘোমটার জন্য দেখতেও পাচ্ছে না। হঠাৎ সেই ছায়া আরও সামনে আসছে দেখে সাথে সাথে এক চিৎকার দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যায়।
এমন চিৎকার শুনে রুদ্র তাড়াতাড়ি মেঘকে টান মেরে বসিয়ে তার মুখ চেপে ধরে,
-“আজব, এভাবে চিল্লাচ্ছো কেনো, বাড়ির সবাই ভাববে বাসর ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই কাম সেরে ফেলছি।”
রুদ্রের কথায় চোখ খুলে তাকায় মেঘ, দেখে এটা রুদ্র, কোনো ভূত না। তা দেখে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। তবে এভাবে মুখ চেপে ধরায় ছটফট শুরু করে। তা দেখে রুদ্র তাকে ছেড়ে দেয়। মেঘ হাপিয়ে বলে,
-“আপনার এতক্ষণ লাগলো আসতে, সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি।”
রুদ্র কিছুটা মেঘের দিকে ঝুঁকে লুচু হাসি দিয়ে বলে,
-“এহহে, জামাই ছাড়া একটুও থাকতে পারছো না বুঝি..”
মেঘ থতমত খেয়ে বসে, আমতা আমতা করে করে বলে,
-“আমি কি সেজন্য বলেছি নাকি। আপনার যেই বড় রুম, একা একা ভয় পাচ্ছিলাম তাই আরকি।”
রুদ্র কিছু না বলে নিজের কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে দেখে মেঘ একইভাবে বসে। রুদ্র এগিয়ে এসে বলে,
-“এভাবে সং সেজে বসে আছো কেনো?”
-“দাদি বলেছে তাই।”
-“দাদি নিশ্চয় আরও অনেক কিছু বলেছে, এই যেমন বাসর ঘরে বিড়াল মারা। তা বিড়াল মারার কাজ শুরু করি?”
রুদ্রের এহেন কথায় এক সেকেন্ডে বিছানা থেকে নেমে এক কোণায় গিয়ে দাঁড়ায় মেঘ, এই লোকের ঠোঁটকাটা কথায় লজ্জায় পড়ে গেছে বেচারি। এদিকে রুদ্র মেঘের কাণ্ড দেখে হেসে ফেলে। তারপর বিছানায় শুয়ে বলে,
-“গাড়িতে বলেছি, এখনো বলছি, তোমার ব্যাপারে আমার কোনো ফিলিংস নেই ।”
মেঘ ফট করে প্রশ্ন ছুড়ে,
-“তো বিয়ে করেছেন কেনো?”
রুদ্র চোখ গরম করে বলে,
-“শিক্ষা দেওয়ার জন্য..”
মেঘ অবাক হয়ে বলে,
-“কিসের শিক্ষা?”
তবে রুদ্র থেকে কোনো উত্তর আসেনা। চোখের উপর হাত দিয়ে শুয়ে আছে। মেঘ সেখানেই দাঁড়িয়ে। সে কি করবে, কোথায় শোবে, ভেবে না পেয়ে রুদ্রকে জিজ্ঞেস করে,
-“শুনুন না আমি কোথায় ঘুমাবো?”
রুদ্র কর্কশ গলায় বলে উঠে,
-“এখানে কোনো বাংলা সিনেমা চলছে না যে তোমাকে সোফায় নয়তো নিচে ঘুমাতে বলবো। আমার যেই খাট, সেখানে তুমি আমি শুয়েও আমাদের ৪/৫টা বাচ্চাকেও শোয়াতে পারবো। সো ওইপাশে এসে ঘুমালে ঘুমাও, নয়তো দাঁড়িয়ে থাকো..”
মেঘ চোখ বড় বড় হয়ে যায়, এই লোকের মুখে কি সুন্দর কথা নাই। আবার কখন কি বলে ভেবে চুপচাপ এসে রুদ্রের অন্যপাশে শুয়ে পড়ে। যেই সাংঘাতিক মুখ এই লোকের! কই, ভার্সিটিতে কখনোই তো এভাবে কথা বলতে দেখিনি, তখন মুখে ফিল্টার মেরে রাখে বোধহয় ।
সকালে হঠাৎ পানির ঝাপটায় ঘুম থেকে ধরফড়িয়ে উঠে বসে,….
চলবে…
[গল্প পড়েন এতো মানুষ কমেন্ট করেনা দুইজন ও এগুলো ভালোনা গায়েজ..]
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি, আড়ালে তুমি সাইদা মুন, সাইদা মুন
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ১১.১
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪০
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ২৪
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৪৯
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৯
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৪
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪১
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৫৯
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৩৬
-
আড়ালে তুমি সাইদা মুন পর্ব ৪১