#আড়ালে_তুমি
#সামিয়া_সারা
#কাজিন_রিলেটেড_গল্প
পর্ব -৩৯
ইনায়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে আজ। ভার্সিটিতে প্রোগাম শুরু হবে সকাল দশটা থেকে।তাই আগে আগেই গোসল শেষ করে খেতে যায় সে। শিমু জাহান এর মুখটা ভার ভার। কারো সাথেই কোনো কথা বলছে না।
তবে ইনায়াকে আসতে দেখেই বলল,
-আনান কে ডেকে নিয়ে আয় ইনু।
নীলের হাতে ম্যাগাজিন বুক। শিমু জাহানের কথা শুনে বইটা একটু নামিয়ে কড়া গলায় বলল,
-ক্ষুধা পেলে একাই চলে আসবে। ডাকাডাকির কিছু নেই।
শান্ত চোখে ইনায়ার দিকে তাকিয়ে ইনায়াকে উদ্দেশ্য করে
বলল,
-বস।
ইনায়া নীলের আদেশ মতো চুপি চুপি এসে চেয়ার টেনে বসে।
খাবার মুখে নিতে নিতে নীলকে বলল,
-শাড়ি পড়ব?
-এই নিয়ে গতকালই কথা হয়েছে। আশা করি আর বলতে হবে না।
এরই মাঝে আনান হায় তুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে,
-আজকের প্রোগ্রামে কখন যাবি ইনু?
-উমমম্ এই তো দশটায়।
-ওহ্ আমিও।
শিমু জাহান আনন্দিত কন্ঠে বললেন,
-তাহলে তোমরা একসাথে চলে যেও। শিক্ষক আর ছাত্রী একসাথে গেলে মানায় না তাই না ইনু?
ইনায়া মুখে কোনো জবাব দেয় না। শুধু মাথা নাড়ে।
শুধু মনে মনে ভাবে,
“হয়তো বা বড়মা ঠিকই বলছে।”
তবে নীলের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে গতকাল থেকে তার মায়ের মুখে এসমস্ত কথাবার্তা শুনতে শুনতে। খাবার হাত থেকে নামিয়ে শিমু জাহানের দিকে তাকিয়ে বলল,
-তুমি কি চাও আমি বাড়ি থেকে চলে যাই?
শিমু জাহান মুখে হাত দেয় দ্রুত।
বলল,
-ছি বাবা!
-ইনুর যার সাথে ইচ্ছা হবে তার সাথেই যাবে। কে কী ভাববে,বলবে তা দেওয়ান নীল পরোয়া করে না। আর ইনুকে নিয়ে বাজে কথা বলার সাহস আমি নীল থাকতে এখনো কারো হয়নি মা।
ইনায়া মাথা নিচু করে বসে আছে। তার মনে হচ্ছে এতো অশান্তির কারণ সে। আগে পরে কিছু আর না ভেবে চট করে বলল,
-আমি আনান ভাইয়ার সাথেই আসি। আর এমনিতেও আপনেদের আজ আগেই যেতে হবে,এতো আগে আমি যাব না।
-যেতে না চাইলে অন্য কথা ইনু। তবে আমাকে আগে যেতে হবে,এটা বলে অযুহাত দাঁড় করাবি না। কারণ তোর কোনো বিষয়ে এসব অযুহাত ঠুনকো লাগে আমার কাছে। তুই গেলে অবশ্যই আমি দেরি করে যাব।
-তা তো আমি চাই না নীল ভাই। আপনি আপনার সময় মতোই যান।
নীল বিরক্তির সাথে হাত থেকে প্লেটে খাবার রাখে। রেগে পা দিয়ে চেয়ার ঠেলে হাত ধুতে যায়। শিমু জাহানের কোনো কথাই তার কানে যায় না আর।মিনিট পাঁচেক এর মধ্যে তৈরী হয়ে বাইকের চাবি নিয়ে সদর দরজা পর্যন্ত এলো। ইনায়া একবার নীলকে দেখে চোখ নামিয়ে ফেলেছে। মূল্যবান একটি সম্পর্কের মাঝে তার নিজেকে কেমন অপরাধী লাগছে।
নীল সেদিকে একবার তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল। বলল,
-ভার্সিটিতে যাচ্ছি। দেখি প্রফেসর দেওয়ান নীল গিয়ে কী কী উন্নয়ন ঘটাতে পারে।
ইনায়ার বুঝতে দেরি হয় না কথাটা কার উদ্দেশ্যে বলা। তবুও সে টেবিলের উপর থেকে চোখ সরায় না। তার জন্য এখন নীল বেরিয়ে যাচ্ছে। ইনায়ার চোখে মুখে অনুতপ্ততা। নীলের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় না এসব কিছু। তবে সে তাকায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে শিমু জাহানের দিকে। যেন মা ছেলের টক্কর চলছে। নীল বেরিয়ে যেতে আনান ইনায়াকে বলল,
-রেডি হবি না?
-হু
-কখন?
-খেতে খেতে হবো?
শিমু জাহান মেকি ধমক দেন। বললেন,
-গুরুজনদের সাথে এভাবে কথা বলে?
-বড় ভাইয়ার সাথে বলা যায় বড়মা।
ইনায়ার মুখে পুনরায় ভাইয়া ডাক শুনে বিষম খায় আনান। পানি খেয়ে বলল,
-শাড়ি পরবি তো?
-না ভাইয়া…
-কেন?
-ভালো লাগছে না।
শিমু জাহান কথার মাঝে আবার বললেন,
-নীল তখন কী বলল ইনু? গতকাল শাড়ি পরা নিয়ে কী কথা হয়েছে?
-তেমন কিছু না বড় মা।
-অন্য মেয়েদের কতো সুন্দর দেখাবে। কিন্তু আমার মাকে? শাড়ি পড়লে তো তাকে পরীর মতো লাগতো!
ইনায়ার নড়ে চড়ে বসলো। তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,
“অন্য মেয়েদের কতো সুন্দর দেখাবে!”
মনে মনে আওড়ালো,
-অন্য মেয়ে মানে! সেই মেয়ে! নিশ্চয়ই সে মেয়েও শাড়ি পড়ে সুন্দর করে সেজেগুজে আসবে। নীল ভাই নিশ্চয়ই হা করে তাকিয়ে থাকবে তার দিকে।
গান গাইবে দুলাইন,
“যখনি পড়েছে নজর,আমি তো হয়ে গেছি তোর..”
ইনায়া মুখ ফ্যাকাশে করতেই আনান বলল,
-নীল শাড়িতে তোকে নীলপরী লাগবে। আজকে তো এটাই কোড কালার।
আনানের কথার মাঝে নীল পুনরায় বাড়িতে ঢোকে শিষ বাজাতে বাজাতে। সবাই তার দিকে তাকালেও সে তাকায় আনানের দিকে। শিষ দেওয়া বন্ধ করে তার সুরেলা কণ্ঠে গান ধরে,
শোন মন বলি তোমায়
সব করো প্রেম করো না!
প্রেম যে কাঁঠালের আঠা
আর লাগলে পরে ছাড়ে না…
আনান চোখ সরিয়ে নেয় নীলের থেকে। শিমু জাহান কাছে এগিয়ে বললেন,
-কীরে? ফিরে এলি যে?
-কেন কেন মা? আপনাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা মিস করে ফেললাম?
-হয়েছে কী তাই বল।
আনানকে ক্রস করে গিয়ে হেলমেট হাতে নিয়ে বলল,
-এই যে হেলমেট।
তারপর পুনরায় গান ধরলো,
শোন ভাই বলি তোমায়
সব করো প্রেম করো না,
প্রেম যে কাঁঠালের আঠা
আর লাগলে পরে ছাড়ে না
শিমু জাহান এবার দরজা পর্যন্ত এলেন। নীলকে বিদায় দিয়ে বললেন,
-এসব ভুলভাল গানের লাইন বলিস না। শোনো মন হবে,শোনো ভাই না। তোর বাবা আমাকে শুনিয়ে এ গানটা গাইতো। মনে পড়ে গেল। ওটা শোনো মন হবে।
-“শোনো ভাই,প্রেম করো না”,বেশি সুন্দর শোনা যাচ্ছে। আমি এটাই গাব। থাকো,আসছি।
.
.
.
.
শিমু জাহান তার সবচেয়ে সুন্দর দামী মহীশূর সিল্কের নীল রঙের শাড়ি এনে ইনায়ার ঘরে দিয়ে গিয়েছে আরো আধা ঘন্টা আগে। ইনায়া শাড়িটা তার সামনে নিয়ে এখন বসে। পড়বে নাকি পড়বে না করে করে ভীষন দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে। এখন তার মাথায় ঘুরপার খাচ্ছে নতুন আরেকটি প্রশ্ন।
“হয়তো বা নীল ভাই এর ভালোবাসার সেই মেয়ের থেকে আমাকেই বেশি সুন্দর লাগবে শাড়িতে”
রুমের এপাশ ওপাশ হেঁটে আয়নায় সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি টা গায়ের উপর ধরলো। তারপর একটু ভাব দেখিয়ে বলল,
-হাহ্! শাড়িতে তো আর সবাইকেই সুন্দর লাগে না! হাতে গোনা কয়েকজনকেই লাগে,যেমন আমি। দেখি আজ নীল ভাই সে মেয়েকেই দেখে নাকি আমাকে!
ইনায়া কথা গুলো বলে মিটমিট করে হাসতে থাকে। সাথে শিমু জাহানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তিনি না বললে ইনায়ার মাথাতেই আসতো না সেই অন্য মেয়েটার কথা।
ইনায়া সুন্দর করে শাড়ি পড়তে শুরু করে। যদিও একটু নড়বড়ে হয়। তবুও কুঁচি, আঁচল সব ঠিক করে রেখে দুহাত ভরে চুড়ি পড়লো সে। রেশমি চুড়ি, রিনিঝিনি আওয়াজ আসছে। হালকা করে লিপস্টিক,দুচোখে গাঢ় করে কাজল নিল। ঘড়ির কাটা দশের ঘর পার করে এগারো তে প্রায় ছুঁই ছুঁই। ইনায়া ব্যাগ নিয়ে দ্রুত নেমে আসে।
.
আনান ড্রয়িং রুমে সোফার উপর পায়ের উপর পা তুলে বসে ফোন দেখছে। ইনায়া নেমে আসার সময় তার হাতের চুড়ির ঝনঝন শব্দে আনান সেদিকে তাকায়। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না ইনায়া কাছে এসে বলে,
-ভাইয়া! চলো.. অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
আনান উত্তর দিতে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
থতমত খেয়ে বলল,
-চাবি নিয়ে আসছি…
-ওয়েট না না! গাড়িতে গেলে আমার সব নষ্ট হয়ে যাবে।
-তাহলে কীভাবে যাব?
-রিকশা…
রিকশা তে যাওয়ার কথা শুনে আনান মনে মনে বেশ খুশি হয়। ভার্সিটি খুব বেশি দূরে নয় বাসা থেকে। তাই দ্রুত বেরিয়ে পরে রিকশার খোঁজে। আনানের ইনায়ার কাছাকাছি এসে আজ অন্য রকম লাগছে। শরীর তুলনামূলক ঘামছে বেশি।
গায়ের নীল শার্ট একটু আলগা করে ধরে বলল,
-আমিও তাহলে একটা বাইক কিনে ফেলি?
-কেন?
-এই যে তোকে আনা নেওয়ার জন্য।
-নীল ভাই তো আছেই।
-কিন্তু এখন থেকে আমার সাথেই তোকে যেতে হবে ইনু।
ইনায়া চুপ করে থাকে। আর কোনো উত্তর নেই তার কাছে।বেশ কিছুক্ষণ নিরবতার পরেই তারা চলে আসে তাদের গন্তব্য স্থলে। ইনায়া কাঁচা হাতে শাড়ির কুঁচি ধরে রিকশা থেকে নামে। সাথে উন্মুক্ত হয় তার ফর্সা পায়ের কিছু অংশ। রাগে জ্বলন্ত এক জোড়া চোখ খুব সূক্ষ্ম ভাবে সব পরখ করে চলেছে। আনান কাছে এসে বলল,
-আচল ধরে নিয়ে যাব?
-আরে না না দরকার নেই ভাইয়া। পারব পারব।
দূর থেকে শুধু হাত নাড়ানো আর খুনসুটি চোখে পড়ছে কারো। এরই মাঝে আনানকে দেখে কয়েকজন মেয়ে এগিয়ে আসে। ফুলের তোড়া হাতে দিয়ে বলল,
-ভার্সিটির সবচেয়ে হ্যান্ডসাম স্টুডেন্ট কে অভিনন্দন।
-Why?
-বেস্ট বাস্কেটবল প্লেয়ার আপনি।
পাশ থেকে একটা মেয়ে বলে ওঠে,
-বেস্ট ক্রাশ বয়ও।
আনান লজ্জায় মাথা নিচু করে। ইনায়া মুচকি হেসে চলে যেতে গেলে আনান ডাক দেয়,
-একসাথে যাই?
ইনায়া দাঁড়ায় কিছুক্ষণ। মেয়েগুলো এক এক করে আনানের সাথে ছবি তুলে চলে যায়। তবে তারা ইনায়াকে দেখে একটু হতাশ হয়। কানাকানি করে ,
-এই মেয়েটা কে?
ছবি তোলা শেষ করে আনান ,আকবর দেওয়ান এর সাথে দেখা করতে যায়,আর ইনায়া বসে ফ্রেশারস এর জন্য বরাদ্দকৃত আসনে। নীল আর আকবর দেওয়ান গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে কথা বলছে। সেখানে আনান গিয়ে উপস্থিত হলে আকবর দেওয়ান বললেন,
-ইনু আম্মা কই?
-ঐ যে বসে আছে। নীল পরীর মতো।
নীল তাকায় আনানের দিকে। মুচকি হেসে বলে,
-পরী আকাশ ছেড়ে মাটিতে কী করছে?
আনান জবাব দেয় না।নীল আবার বলল,
-দেখি পরীকে উপরে রাখা যায় কি না।
নীল উঠে যায়।
.
.
ইনায়াকে দেখার পর থেকেই ঈশান নানা ভাবে তাকে বিরক্ত করে চলেছে,
-ম্যাম নাম টা নিজের মুখে একটু বলেন?
নাম্বারটা দেওয়া যাবে মিস?
একটু হাসেন অন্তত ম্যাম?
ঈশানের এসব কথার মাঝে গম্ভীর এক গলার স্বর শোনা যায়।
-স্যার দিচ্ছে আপনাকে ম্যামের নাম্বার। এদিকে আসেন মি.
সবাই পেছনে তাকালে নতুন প্রফেসর দেওয়ান নীলকে দেখতে পায়। ঈশান বিরক্তি আর ভয়ের সংমিশ্রণে তাকায় নীলের দিকে। তবে নীল সে দৃষ্টি উপেক্ষা করে ইনায়ার কাছে গিয়ে বলল,
-নাম্বারটা আমি দিয়ে দিব মিসেস দেওয়ান?
ইনায়া আলতো স্বরে বলল,
-মিস….
-whatever
-আমার নাম্বার আমি যাকে তাকে কেন দিব নীল..।
-উহম্,only Sir!
-আমার নাম্বার আমি কাউকে দিতে চাই না।
-এতো সুন্দর করে শাড়ি পড়ে সেজে এসে দু একজনকে নাম্বার না দিলে হয়?
ঈশানও আহ্লাদ করে বলে ওঠে,
-স্যার বলেছেন,এবার অন্তত দেও?
ইনায়া বিরক্ত হয়ে চলে যায় সেখান থেকে। তবে তার পেছনে পেছনে যায় নীল।গ্রাউন্ড ফ্লোর পেরিয়ে ফাস্ট ফ্লোরে যেতে পেছন থেকে হ্যাঁচকা টান পরে ইনায়ার হাতে ঠিক দোতলার ওয়াশরুমের সামনে থেকে। নীল ইনায়ার হাত পেছন থেকে চেপে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
-আকাশের নীল পরী পাতালে কেন?
ইনায়া চোখ বড় করে তাকায় নীলের দিকে।
-শাড়ি পরতে মানা করেছিলাম?
-হু…
-পরেছিস কেন?
-বড়মা বলেছিল তাই…
নীল তাকে টেনে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দরজা লক করে দেয়। ভেতর থেকে ইনায়া দরজা ঘন ঘন ধাক্কাচ্ছে আর ডাকছে,
-নীল ভাই…দরজা খুলুন! নীল ভাই!
নীল দরজায় হেলান দেয়। গলা থেকে টাই হালকা আলগা করে সাদা শার্টের প্রথম দুটো বোতাম খুলে রিসান কে কল করে। গম্ভীর কণ্ঠে আদেশ করে বলে,
-সুন্দর একটা লং রেডিমেড কামিজ সেট নিয়ে ইনস্ট্যান্ট ভার্সিটির দুই তলায় আয়। ফাস্ট
-ইন্না লিল্লাহ্ । কী করছিস মামা? জামা কাপড় কেন!
-ফাস্ট রিসান।
-ভয় পাস না একদম। কিচ্ছু হবে না। আসছি। দোয়া পড়। তওবা পড়।
(চলবে……)
#Running
#episode:39
Written by #Samia_Sara
Story name: #আড়ালে_তুমি
আমার প্রিয় পাঠক পাঠিকারা, গল্পটি নিয়ে আপনাদের মন্তব্য শুনতে চাই। একদম সব্বাই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন,কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে। আর আগের পর্বে এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালোবাসা নিবেন
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৮
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৪
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৭
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৬
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৭