#আড়ালে_তুমি
#সামিয়া_সারা
#কাজিন_রিলেটেড_গল্প
পর্ব -৩০
ইনায়া সকালে কোনো রকমে নাস্তা করে কলেজে এসেছে। নীল বাইকে এসে নামিয়ে দিয়ে যায়। গতরাতে না খেয়েই শুয়ে পড়েছিল। আজ সকালে এক কথায় জোড় করেই তাকে খায়িয়েছে নীল। ইনায়া কলেজ গেইটে নেমে দেখে সামিরা দাঁড়িয়ে আছে। সামিরা কে দেখে নীলের দিকে তাকিয়ে মলিন মুখে হাঁসে ইনায়া। হাত কোনো রকমে নাড়িয়ে টাটা দিলে নীল দ্রুতগতিতে হাত ধরে নেয়।
মুখ যতসম্ভব কম নাড়িয়ে বলল,
-কোনো রকম ঝামেলা করবি না ইনু। আমি যদি এমন কিছু শুনি,তাহলে ভালো হবে না ওয়ার্ন করলাম। তোর নীল ভাই কে হারিয়ে ফেলবি।
ইনায়া বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে।
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
-অন্যের হাতে তুলে দিলেন,আবার ভয় দেখান হারিয়ে ফেলার? সর্বসান্ত মানুষেরা হারানোর ভয় পায় না ! আপনি জানেন না?
-সাহিত্যের কথা শুনতে চাইনি ইনু্। যা বললাম মাথায় রাখিস।
সামিরা কিছুটা দূরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ওদেরকে দেখছে। একটুও নড়াচড়া করে না সে।
ইনায়া সেদিকে দেখে আবার বলে নীলকে,
-আমার কান্না পাচ্ছে নীল ভাই… অনেক কান্না পাচ্ছে! আপনি এতো বোকা? কিছু বোঝার চেষ্টা কেন করেন না?
-পড়াশোনা তে মন দিতে বলেছি কিন্তু। মাথায় অন্য কিছু ঢোকালে বাড়ি দিয়ে ভেঙে দিব।
-আমি কান্না করছি,আর আপনি মজা করছেন? আসলে ঠিকই শুনেছিলাম, পুরুষের সামনে নারী চোখের পানি ফেললে সে পানি সস্তা হয়ে যায়।
-ইনু! থাপ্পড় খাবি! এইসব কথার গভীরতা পরিমাপ করতে পারব না আমি। তোর সামিন আইয়াজ কে বলবি। সে এগুলো ভালো বোঝে।
ইনায়া কথাটা শোনামাত্র নীলের বাম হাতের বাহুর উপর মুখ লুকিয়ে ফেলে। কোনো শব্দ আসে না তার থেকে,শুধু একটু পরপর ছোট্ট শরীরটা কেঁপে কেঁপে উঠছে।
নীল ইনায়াকে ঠেলে সরায় নিজের কাছ থেকে, আদেশ করে বলে,
-চোখ মুছে ক্লাসে যা! কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে এমন করলে সবাই খারাপ ভাববে।
-আমাকে কারো হাতে ছেড়ে দিয়েন না প্লিজ। পর করে দিচ্ছেন কেন?
নীল হাতের গ্লাভস খুলে হেলমেট নামিয়ে রাখে। দুই হাত ভাঁজ করে বলে,
-বলেন ম্যাম,আপনার মনে আর কী কী কথা আছে? শুনছি আমি।
নীলের ভাবভঙ্গি দেখে ইনায়া ফিক করে হেসে দেয়। আহ্লাদ করে বলে,
-নীল ভাই,আপনি সবাইকে বলবেন আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
নীল গালে হাত দিয়ে একটু ঝুঁকে পড়ে।
অতি আগ্রহ নিয়ে বলে,
-কেন কেন?
-যাতে কেউ বিয়ে করতে না চায়।
-ঠিক আছে,বলে দিব। কিন্তু পড়াশোনা ঠিক করে না করলে আমি আর পারব না।
-আচ্ছা পড়ব….
-তাহলে এখন আমার ছুটি ম্যাম?
ইনায়া আবার ফিক করে হেঁসে দেয়। সোজা হয়ে বলে,
-সামিরার সাথে আমি আর কথা বলতে চাই না নীল ভাই। ওর জন্যেই সেদিন আমাকে ঐ সামিনের রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতে হয়েছিল। ওর জন্যেই এসব ঝামেলা!
-ইনু! একটু আগে আমি কী বলেছিলাম?
-কী?
– কোনো রকম ঝামেলা করলেই আমাকে আর খুঁজে পাবি না। আমি না থাকলে তোকে কিন্তু কেউ সাহায্য করবে না। বিয়ে দিয়ে দিবে।
-থামেন। করব না ঝামেলা।
-গুড গার্ল। বন্ধু দের মধ্যে কোনো ঝামেলা নয়। তোর বন্ধুরা খারাপ হলে আমি নিজেই মিশতে দিতাম না। তাই কোনো ঝগড়া ঝামেলা না। ওকে?
-ওকে। সাবধানে যাবেন, নীল ভাই! টাটা…
নীল মুচকি হাসি দিয়ে চলে যায়।
.
.
সামিরা এক ভাবে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ইনায়া কাছে যেতেই সে বলল,
-কী এতো কথা বললেন হুম?
-কিছু না….
-সামিন ভাইয়ার সাথে কথা হয়?
-ওনার কথা দয়া করে কখনো বলিস না। নীল ভাই রাগ করবে।
সামিরা অবুঝের মতো ইনায়ার দিকে তাকায়। বিড়বিড় করে প্রশ্ন করল,
-নীল ভাই রাগ করবে?
এরই মাঝে শর্মী এসে উপস্থিত হয়। সামিরা কে পেছন থেকে ধাক্কা দিতেই সে চমকে যায়। শর্মী ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে,
-কী হয়েছে?
-কনফিউসড…
-কী নিয়ে?
-কিছু না!
-আপনার আনান ভাই কিছু বলেছে?
ইনায়া একটু এগিয়ে হাঁটছিল। তবে শর্মীর থেকে কথা টা শোনা মাত্রই পেছনে ফিরে আসে। চোখ বড় বড় করে প্রশ্ন করে,
-ভাইয়ার সাথে কথা হয়েছে?
সামিরা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। বলে,
-ধুর্ না… ওনাকে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। একসেপ্ট করেছে। তবে কোনো কথা হয়নি। আমিই যেহেতু রিকুয়েস্ট দিয়েছি,তাই আমি চাই উনি ই ম্যাসেজ দিক।
ইনায়া আর শর্মী একসাথে বলে ওঠে,
-উনিইইই… উমমমমম হুমমমমম
একে অপরের দিকে তাকায় ওরা। সামিরা কোনো রকমে ব্যাগটা মুখের কাছে নিয়ে ক্লাসের ভেতরে দৌঁড় দেয় ।
.
.
.
.
ব্রেক টাইমে তিন বান্ধবী আবার বের হয়। ক্যাম্পাসে বসে ঝালমুড়ি খেতে খেতে তিনজনেই গভীর চিন্তায় মগ্ন। তবে সে চিন্তা পড়াশোনা নিয়ে না।
সামিরা ইনায়ার দিকে তাকায়। কিছু টা সাহস নিয়ে অবশেষে শর্মীকে বলেই দেয়,
-বাসর হয়েছে?
ইনায়া সামিরাকে ফিসফিস করে বলল,
-বুকের মধ্যে ধুক ধুক করছে?
সামিরা মাথা নাড়ে। এদিকে শর্মী চুপ করে বসে আছে। কীভাবে কী বলবে বুঝতে পারছে না। দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে ইনায়া বলে ওঠে,
-ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে হেল্প করব?
দুদিক থেকেই জবাব আসে,
-no thanks!
তবুও ইনায়া বলল,
-ধুম তা না নানা। তা না নানা তানা….
শর্মী ইনায়াকে থামায়। বলে,
-আহ্ থাম…. বলছি…
সামিরা আর ইনায়া সোজা হয়ে বসে। আগ্রহ নিয়ে বলে,
-বল বল
-আসলে…
-আসলে?
-আসলে তেমন কিছুই হয়নি..
-কেমন কিছু?
-আরে ঐ সব হয়নি…
-কোন সব?
-ধুর! জামাই পেয়েছি একটা বলদ মার্কা! আর বান্ধবি গুলো পেয়েছি মার্কাটারি!
ইনায়া এবার হাঁসি থামিয়ে বলে,
-কী হয়েছে বল তো?
-সারাদিন পড়া পড়া করে ভাই। এভাবে হয় বল? বাচ্চা হওয়ার বয়সে পড়তে হচ্ছে! রোমান্সের র ও জানে না। এই কষ্টের কথা কাউকে বলতেও পারি না।
সামিরা শর্মীর মাথায় হাত দেয়। ন্যাকামো করে বলে,
-আহারে সোনা আমার! কষ্ট পায় না,সবই হয়ে যাবে। দোয়া করে দিচ্ছি।
-মজা নিস না। আমার মাথায় পড়া ছাড়া কিচ্ছু আসে না এখন।
শর্মী মাথা নিচু করে রাখে। তিনজনের মাঝে এখন নীরবতা বিরাজ করছে।
বেশ কিছুক্ষণ পরে ইনায়া বলল,
-আমাকে একটা সাহায্য করতে পারবি?
শর্মী মাথা উঁচু করে প্রশ্ন করে,
-অবশ্যই! কিন্তু কী?
-নীল ভাই এর ফোনটা আমাকে দিয়েছিল কিছুদিন আগে।
-তারপর?
-তারপর আমি ওনাকে পাসওয়ার্ড জিজ্ঞেস করি।
সামিরা ভ্রু ভাজ করে বলল,
-বলেনি তাই তো?
-না ,তা না। বলেছিল। তবে পাসওয়ার্ড টা অনেক জটিল ধরনের।এই ধর আমরা সাধারণত কী দেই? জন্ম তারিখ বা সাল?
-হ্যাঁ….
-কিন্তু এগুলো ছিল না । তাহলে এমন অদ্ভুত পাসওয়ার্ড মনে রাখে কী করে?
শর্মী বিষয়টাতে অত্যন্ত আগ্রহী। বলল,
-পাসওয়ার্ড টা বল তো।
-দাঁড়া ,এক মিনিট! ফোনে লেখা আছে।
ইনায়া ঝটপট করে ফোন বের করে। পাসওয়ার্ড টা দেখে দেখে ওদের বলে,
-462921…
-এ আবার কী?
সামিরা ওদের কে থামায়। বলে,
-এক মিনিট এক মিনিট! আমি মনে হয় বুঝছি।
-কী বুঝলেন?
-আমার মনে হচ্ছে,এই সংখ্যা গুলো দিয়ে কারো নামের অক্ষর বোঝানো হয়েছে। যেমন ধর, 4 মানে D,6 মানে F..
ইনায়া অতি দুঃখে হাসি দেয়। বলে,
-এই ভাবনা অলরেডি ভাবা হয়ে গিয়েছে। এটা ভাবার জন্য নীল ভাই আমাকে গাঁধা বলেছেন।আরো বলেছেন পাবনা রেখে আসবেন।
শর্মী উচ্চস্বরে হেঁসে দেয় ইনায়ার কথা শুনে। তবে সাথে সাথে আবার বলে,
-এটা সলভ না করলে তো আমার ঘুম হবে নারে!
সামিরাও তাল দিয়ে বলে,
-ঠিক বন্ধু! আচ্ছা এমন হতে পারে যে নাম্বার গুলো দিয়ে ব্যঞ্জনবর্ণ বোঝানো হয়েছে। যেমন ধর, 4 মানে ঘ।
-এই হতে পারে! তাহলে এটার মানে দাঁড়ায়, ঘচখঝখক।
ইনায়া হতাশ হয়ে তাকায় ওদের দিকে। বলে,
-এটা কী ভাই?
শর্মী কোনো রকমে ওকে শান্ত করে বলে,
-আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে। তোদের ভাইয়া যেহেতু নীল ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড,সে অবশ্যই জানবে পাসওয়ার্ড এর মানে। আমার দায়িত্বে ছেড়ে দে এটা দোস্ত। আমি বের করে দিব।
ইনায়া সামিরা কৃতজ্ঞ হয়ে তাকালো শর্মীর দিকে। বড় করে একটা ফ্লাইং কিস ছুড়ে মারে তাকে।
.
.
.
.
বরাবরের মতো কলেজ শেষে নীল কলেজ গেইটে দাঁড়িয়ে,বাইক নিয়ে। ইনায়া দৌঁড়ে সেদিকে আসতে নীল হেলমেট পরে নেয়। সাথে ইনায়ার হাতে আরেকটা হেলমেট ধরিয়ে বলল,
-দ্রুত পড়ে নিবি। জরুরী কাজ আছে আমার।
ইনায়া কথা বাড়ায় না। বাইকে বসে পড়ে দ্রুতই। বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমতা আমতা করে বলল,
-নীল ভাই!
-বল
-আনান ভাইয়াকে আসতে বলতেন,যেহেতু আপনার কাজ আছে…
নীল শক্ত করে ব্রেক করে কথাটা শোনা মাত্রই। হালকা ভাবে ঘাড় কাত করে বলল,
-মাথা ঘোরা,বমির সমস্যা আর নেই তা আগে বললেই হতো। প্রবলেম নেই,এখন থেকে গাড়িতে আসা যাওয়া করবি।
-না না! প্রবলেম আছে! সামিরা বলছিল তো,তাই বললাম। আর আপনারও যেহেতু কাজ আছে।
-কাজ আছে বলে কি আমি আসিনি ?
ইনায়া জবাব দেয় না। নীল আবার বাইক স্টার্ট দিয়ে ইনায়াকে বলল,
-ধরে বস। ব্রেক করলে তো পড়ে যাবি ।
ইনায়া হাত উঠিয়ে ও নামিয়ে ফেলে। নীল গলার স্বর উঁচু করে পুনরায় বলল,
-ইনু! কাঁধে হাত রেখে বসতে বলেছে।
ইনায়া দুই চোখ বন্ধ করে নীলের কাঁধে হাত রাখে। নীল লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে চোখ সরিয়ে নিয়ে বলল,
-তোর প্রতি কোনো দায়িত্ব আমি অবহেলা করি ইনু?
-হুঁ?
-আমি কি তোর প্রতি কোনো দায়িত্বের অবহেলা করি?
-উহু।
-তাহলে ভাবলি কেন আমার কাজ থাকলে আমি তোর কোনো কাজের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে দেব?
ইনায়া নিশ্চুপ। মনে মনে ভাবে,
-আসলেই তো! নীল ভাই কখনো আমার জন্যে কিছু করতে অবহেলা করেনি। হাজার ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও আমার যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছে।
বিষয়টা ভেবেই ইনায়ার মাথায় আসে,নীল কি কোনো ভাবে ওকে পছন্দ করে?
তারপর আবার নিজের মাথা দুবার ঝাঁকিয়ে বলে,
-নীল ভাই শুনলে বাইক থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবে ইনু! ভাবিস না এসব!
.
.
.
.
টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে আজ । আরান শর্মীকে নিয়ে এসেছে। ইনায়ার সাথে নীল এসেছে রোজকারের মতোই।
কিছুক্ষণ হাঁসফাঁস করতে করতে শর্মী কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে আরানকে বলল,
-বেবি… রেজাল্ট খারাপ হলে কী হবে?
-নো টেনশন। তোমার তো বিয়ে হয়ে গেছে।
-তবুও লজ্জার বিষয় না বল?
-তোমার আর কী লজ্জা। সবার যা বলার আমাকেই বলবে।
-তোমাকে বললেও ,আমাকে নিয়েই তো বলবে,তাই না?নেতার বউ ফেল করছে!
আরান নীলের দিকে তাকায়। ইশারায় হাত জোড় করে বলে,
-মামা বিয়ে করিস না।
এদিকে নীল ওদের কান্ড কারখানা দেখে হাসি আর থামিয়ে রাখতে পারছে না। সামিরা আর ইনায়া দু হাত মুখে দিয়ে বসে তামাশা দেখছে। সামিরা কিছুক্ষণ সবটা দেখে শর্মীর কাছে উঠে গিয়ে রেগে বলল,
-পপকর্ন আনতে পারিসনি? এতো সুন্দর শো খালি মুখে দেখতে হচ্ছে। ভালো লাগে না আর!
শর্মী একটু সুর দিয়ে ইনায়াকে ডাকে,
-ইনুউউউ,আনান ভাইয়াকে কল করে একটু পপকর্ন দিয়ে যেতে বল তো…
সামিরা যেভাবে উঠে এসেছিল,একই ভাবে গিয়ে বসে পড়ে।
সেদিকে একবার দেখে শর্মী আরানের বুকে এক আঙ্গুল রেখে আদুরে গলায় বলল,
-তুমি কিন্তু বলেছিলে, রেজাল্ট ভালো হলে ঐ পাসওয়ার্ড টার মানে বলবে। মনে আছে?
আরান নীলের দিকে তাকায়। নীলও আরানকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে দেখছে। আরান দ্রুত বুকের উপর থেকে শর্মীর আঙ্গুল টা সরিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-বাড়িতে গিয়ে এসব বলব। এখন থামো।
কথাটা বলে নীলের দিকে তাকিয়ে সৌজন্যতার হাঁসি দেয় । এদিকে নীল ইশারায় আপনাকে মা*রার নানা ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইনায়া না থাকলে কিছু একটা হয়েই যেত। আরানও ইশারায় চোখ কান বুজে ক্ষমা চাচ্ছে। বউ আর বন্ধুর মাঝে যাঁতাকলে পড়েছে সে।
(চলবে……)
#Running
#episode:30
Written by #Samia_Sara
Story name: #আড়ালে_তুমি
আমার প্রিয় পাঠক পাঠিকারা, গল্পটি নিয়ে আপনাদের মন্তব্য শুনতে চাই। একদম সব্বাই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন,কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে। আর আগের পর্বে এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালোবাসা নিবেন
Share On:
TAGS: আড়ালে তুমি
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৫০
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৫
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৫২
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৩৭
-
আড়ালে তুমি পর্ব -৪৭