নিষিদ্ধ_চাহনা
পর্ব_০৬
লেখিকাসারাচৌধুরী
🚫অনুমতি বাদে কপি করা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ🚫
মামুনি আমার খুব অসুস্থ লাগছে।।।আতিয়া বেগম ভয় পেলেন।।মেয়েটা কে দেখে সত্যিই অসুস্থ লাগছে।। আতিয়া বেগম চারিদিকে চোখ বুলিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে কিয়ে কর্নারে একটা ছোট রুম দেখে সেখানে পিহুকে নিয়ে গিয়ে সুইয়ে দিলেন।।রুমে যেতেই পিহু ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করে ফেললো।। তার জার্নি করার অভ্যাস নেই।।তাই এই অবস্থা।।আতিয়া বেগম পিহুর একটা জামা বের করে দিলো।।আসার আগের দিন শপিং করেছিলো।।কিছু টপস আর জিন্স।।।তবে আতিয়া বেগম একটা গেঞ্জি আর প্লাজু দিলেন।।তিনি জানেন এ সব দেশের মেয়েরা এগুলা পরে।। কেও দেশিও কালচার এ চলতে গেলে তাকে বুলি করা হয় তাই সে নিজেই পিহুর জন্য অনেক কিছু কিনেছে যেগুলো পিহু জানেনা।।।প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে ভিতর থেকে বাইরের প্রকৃতি বোঝা মুসকিল।।পিহু ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে বেড এ সুয়ে পড়লো আতিয়া বেগম রুমের দরজা চাপিয়ে নিচে চলে গেলেন।।আসার আগে সাদি বলেছিলো নিচের রুমে আতিয়া বেগম এর জিনিস পত্র রালহতে চাইলে সেখানে থাকতে।।আতিয়া বেগম নিজেও ক্লান্ত রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ঘড়িতে সময় দেখলেন ছয়টা বেজে বিশ।।তাই সে নামাজ পড়ে নিলো।।পিহুর থেকে সে মোবাইল এ আজানের এলার্ম সেট করেছে।।যেহেতু নামাজ কাজা করেন না তিনি।।নামাজ পড়ে নিজেও একটু ঘুমালেন।।।
পিহুর ঘুম ভেঙে যায় প্রচন্ড খিদে লাগাই।।পিহু বিছানা থেকে উঠে বসে।।কোমর সমান এলো মেলো চুল গুলো হাত খোপা করে নেই।। ব্যাগ থেকে টু-পিচ বের করে পরে নেই।।তারপর মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে দশটা ত্রিশ।।পিহু চমকায়।।হটাৎ তার গা শিরশির করে।। উঠে।।পিহু দরজা খুলে বাইরে বের হয় ধিরে ধিরে দোতলার করিডোরে এসে নিচে তাকায় শুভ্র মৃদু আলো জলছে ডাইনিং এ।।।পিহু সামনে এগিয়ে বা পাশ থেকে সিড়ি দেখলো নিচে নামার।।একটু এগুতেই ধবধবে সাদা দরজা দেখতে পেলো।।কৌতিহল নিয়ে খোলার চেষ্টা করলো তবে৷ লক করা থাকায় দরজা খুললো।।পিহু দেখলো পাসওয়ার্ড দিতে হবে না হলে খুলবে না।।তাই পিহু সিড়ি দিয়ে নিচে নামলো।।।চারিদেকে একবার চোখ বোলালো।।এতো বাড়িতে দুতলায় কেও সুইমিং পুল রাখে।।পিহুর বেপার টা হাস্যকর লাগলো বেশ।।দোতলার ডান দিকে বিশাল খোলা সাদ বারান্দা।।আর বাম পাশে সুইপিং পুল ছোট একটা।।।দোতলায় একটা রুম এক্টাই পিহু আছে আর এক্টাই লক করা।।পিহু সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো অনেক কষ্ট করে লাইট এর সুইচ খুজে চাপলো সাথে সাথে সাদা লাইট জলে উঠলো।।পিহু যেদিকেই তাকায় সেদিকে কোনো না কোনো কিছু সাদা।।এক পাশে কিচেন।।।বাড়ির দক্কিন সাইটে সোফা রাখা পাশে বিশাল কাছের দেয়াল।।ভেতর থেকেই বাইরের সব দেখা যাচ্ছে।।সোফার সামনে টিভি।।।।সিড়ির পাশে আরো দুটো রুম একটা লাইব্রেরি আর একটা বেড রুম।।পিহু বুজলো বাড়ির মানুষটি বই পড়ে।।।পিহু প্রাই তার মুখ ভুলে গেছে তবে তার প্রতি ঘৃনা আজও বেড়ে কয়েকশ গুন হয়েছে।।চারিদিকে তাকিয়ে দখলো কিচেনের সামনে ডাইনিং টেবিল।।টেবিলের উপর ফলের ঝুড়ি।।পাওরুটি আর জ্যাম।।পিহুর খিদে থাকায় চেয়ারে বসে পাওরুটি তে জ্যাম লাগিয়ে খেলো এক কামড় তবে বাঙালি মেয়েদের কি এসনে পেট ভরে।।পিহু আনিতা বেগম কে খুজতে তার রুমে গেলেন গিয়ে দেখলো রুম ফাকা।। ওয়াশরুমে আছে ভেবে খানিকক্ষন বসে রইলো।।যখন দেখলো বের হচ্ছে না।। সে পুরো বাড়ি খুজলো পেলো না।।পিহুর মন ভয়ে সিটিয়ে গেলো।।অচেনা এক বাড়ি এতো রাত তার ভিতরে খিদে পেয়েছে।।ফোন দিবে কি করে এদেশের সিম নাই।।কারোর নাম্বার জানে না।।হটাৎ ফোন বাজার আওয়াজ শুনলো।। পিহু ছুটে বাইরে এসে দেখলো টিভির টেবিল এর পাশে লান্ডফোন বাজছে।।পিহু ধরার আগেই কেটে গেলো।।মুহুর্তেই আবার কল এলো।।পিহু রিসিব করতেই ওপাশ থেকে আতিয়া বেগম বলে উঠে পিহু মা।।পিহু ফুফিয়ে উঠে।।আতিয়া বেগম উতকন্ঠা হয়ে বলে।।
-“কি হইছে মা।।ভয় পাচ্ছিস।।
-“তুমি কই মামুনি।।খুজে পাচ্ছিনা কেন আমার ভয় করছে খুব।।-(বলেই পিহু কেদে দেয়)-
-“তুই ঘুমাচ্ছিস বলে আর ডাকি নাই।।তোর বাবার ভর্তি করাবে আর একজন একানে থাকতে হবে তাই তো চকে আসলাম তোর ভাই তো ডাক্তার সে তো আর থাকতে পারবে না..!
-“আমারে নিয়ে জাও মামনি আমার ভয় করছে।।
-“পাগলী মেয়ে।। তুই এমন করলে হবে বল তপ্র বাবাই সুস্থ হোক এই দোয়া কর।। আমি কাল সকাল এ এখানে এনে ঘুরিয়ে নিয়ে যাবো।।পেসেন্ট এর সাথে এক জন এর বেশি থাকতে দেই না মা আমার বুঝে একটু।।
-“আচ্ছা।।-(পিহু মন খারাপ করে বলে)-
-“শোন মা..!
-“হুম মামনি..!!
-“ফ্রীজ এ খাবার রেখেছি।। খেয়ে নে।।পারলে ওভেনে দিয়ে গরম করে নে।।
পিহু কিছু বলার আগেই পিক পিক শব্দে কল কেটে জাই।।পিহু হতাশ হয়।।কি করবে সে।।মনে অনেক সাহস জুগিয়ে কিচেনে গিয়ে ফ্রীজ খুলে।।ফ্রীজ খুলতে চোখ কুচকে যায়।।এ বাড়ি কোনো গরু ছাগল আছে কিনা মনে করে।।।না পিহুর জানা মতে নেই।।তবে ফ্রিজ এ লেটুস পাতা ব্রোকোলি।।টমেটো শষা।। বাদে তার চোখে কিছু পড়লো না।।ভালো করে পরখ করে দেখলো একটা প্লেটে কি রালহা।। পিহু প্লেট টা বের করে দেখলো লুডুস।। পিহু বুঝলো আনিতা বেগম এটা রেখে গেছে।।পিহু টেবিল এর উপর এনে খেয়ে নিলো।।পিহু খেয়ে দেয়ে উঠে ভাবলো পুরো বাড়ি ঘুরে ঘুরে খুতিয়ে দেখবে।। এই ডাক্তার একা একা বাড়িতে কি রাখে।।পিহুর হটাৎ মনে হলো আচ্ছা উনি বিয়ে করেন নি তো সেই জন্য রুম লক করা।।তারপর নিজের মিনেই হাসলো বিয়ে করলে তো বউ কে দেখতোই।।।পিহু সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলো সাদির ঘরের সাদা দরজার সামনে এসে দাড়ালো অনেকক্ষন পাসওয়ার্ড ট্রাই করলো।।প্রতিবার রঙ দেখালো।।পিহু বিরক্ত মহা বিরক্ত কেও তার ঘরের দরজায় পাসওয়ার্ড দেই।।হটাৎ পিহুর মনে পড়ে সেই ফাহাদ না কি সে কার্ড দিছিলো।।পিহু এক দৌড়ে রুম থেকে খুজে কার্ড নিয়ে আসলো তার মানে তার মামনি কার্ড নিয়ে যায়নি।।পিহু কার্ড বাদেই পাসওয়ার্ড চাপলো আর একবার রঙ পাসওয়ার্ড দিলে লক হয়ে যাবে যতক্ষন না ফিংগার প্রিন্ট দেওয়া হয়।।পিহু রেগে কার্ড দিয়ে পাসওয়ার্ড টাইপ করলো সাথে সাথে দরজা খুলে যায়।। পিহুর হাত ফসকে কার্ড নিচে পড়ে যায়।। কিন্তু সেদিকে পিহুর কোন হেলদোল নেই।।সে রুমের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।।।পিহু পা বাড়িয়ে রুমের ভিতর প্রবেশ করলো ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো পিহুর মনেই নেই কার্ডের কথা।।পিহু চারিদিকে তাকালো অফ হোয়াইট দেয়াল সাথে সাদা বিশাল বিছানা।।পিহুর মতে ছয় সাতজন ঘুমানো যাবে।।এক সাইটে সাদা ওয়ারড্রব আর একটা আলমারি বেডসাইট টেবিল এ এক টা ল্যাম্প আর একটা ছবি রাখা।।পিহু বিছানায় গিয়ে বছলো সাথে ডেবে গেলো বিছানা।।পিহু বুজলো পিছানা খুব নরম এতো নরম বিছানায় মানুষ ঘুমাই কিভাবে।।পিহু হাত দিয়ে ছবিটা তুলে নিলো ছবিটা দেখে বোজা জাচ্ছে হাতে আকানো।। একজন পুরুষের।।চোখে চশমা হাতে গিটার।।পিহুর খুব চেনা মনে হলো।।
পইহু খুব ভালো করে মনে করে দেখলো না চিনে না।। তবে ছবির নিচে ডেট দেখলো আজ থেকে সাতদিন আগের ডেট পিহু এখন বুজলো ছবি টা যেই আকুক নতুন ছবি।। তবে তার সাদি ভাইয়ের রুমে এই লোকের ছবি কেন।।পিহু ছবির নিচে ছোট্ট করে লেখা দেখলো ডা.সাদিকুর চৌধুরী।। পিহুর মাথা ঘুরছে।।অচেনা মানুষের নাম তার ভাইয়ের নামের সাথেই মিলে।।যদিও সাদিকে পিহু ভাই মানে না।।তবে সম্মানের খাতিরে ভাই বলাই যায়।।তার মতে ভাইয়েরা কখোনো এতো খারাপ হয় না যতটা সাদি পিহুর সাথে হয়েছিলো তিন বছর আগে।।পিহুর চোখে পানি জমে।সুনিপুন ভাবে মুছে উঠে দাড়াই।।ঘরের এক সাইটে সোফা রাকজা তার সামনে টি টেবিল।। টি টেবিল এর একটা ফ্লাওয়ার ল্যাম্প..পিহু মনে মনে ভাবলো মানুষ ডাক্তার হলে সারা ঘর ডাক্তারি জিনিসে ভরা থাকবে ওমা এই ঘরে কিছুই নেই।।পিহুর সন্দেহ লাগে সে আসলে ডাক্তার তো।।।পিহু এবার রুম থেকে বের হতে চাই।। দরজায় পাসওয়ার্ড দিতেই রঙ লেখা আসে।।সাথে সাথে রুমের কারেন্ট অফ হয়ে যায়।।পিহু ভড়কে যায়।।।তাকিয়ে দেখে লাল আলোয় স্পষ্ট লেখা ইউজ ফিঙ্গারপ্রিন্ট উইথ আনলক দিস ডোর।।পিহু হাতে মোবাইল জালাতে গেলে হটাৎ কিসে ধাক্কা খেয়ে ঠাস করে পড়ে যায়।। উপরে তাকাতেই দেখতে পাই……..
চলবে…….
-(নতুন এক ডাক্তার+রোমান্টিক+রিভেঞ্জ রিলেটেড গল্প নিয়ে এসেছি।।কেমন লাগলো আজকের পর্ব আশা করি ভালো লাগবে।।যেহেতু আমি নতুন।।ভুল ক্রুটি মাফ করবা।।ধিরে ধীরে সব ঠিক করবো ইনশাআল্লাহ)-
Share On:
TAGS: নিষিদ্ধ চাহনা, সারা চৌধুরী
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২০
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ৯(ক+খ)
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৯
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ২১
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১২
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৩
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৮
-
নিষিদ্ধ চাহনা পর্ব ১৭
-
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ৬