(❌১৮+ এলার্ট❌)
বাসর ঘরে অর্ধন”গ্ন অবস্থায় বিছনায় গুটিসুটি মেরে বসে আছে তরু।ঠোঁটের এক কোন বেয়ে র”ক্ত পরছে। এলোমেলো হাঁটু সমান চুলগুলো বিছনায় গড়াগড়ি খাচ্ছে অযত্নে। চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরছে। কান্নার শব্দ গুনগুনিয়ে আসছে। ভাঙ্গা গলা শুনে বোঝা যাচ্ছে অনেকক্ষণ কান্না করেছে।
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে মৃন্ময়। হাতে অর্ধেক পোড়া সিগারেট। পরণে শার্ট নেই,উ”ন্মু”ক্ত। পেটানো শরীর খানা দৃশ্যমান।বুকে, পিঠে আচরের দাগ।লাল বর্ণ ধারণ করেছে।আরেকটু গভীর হলে হয়তো র”ক্ত বেরিয়ে যেতো।
সিগারেটে একটা লম্বা টান দিয়ে শেষের অংশটা ফেললো সে। পায়ের নিচে মাড়িয়ে ফেললো।শেষ ধোঁয়া টা ছেড়ে তরুর পানে ঘুরে তাকালো মৃন্ময়।চোখ অস্বাভাবিক রকমের লাল তার। তরুকে আপাদমস্তক দেখলো একবার।
“কান্নার একটা শব্দও যেনো আমার আর কানে না আসে”
গম্ভীর, রাগী কন্ঠে বলল মৃন্ময়।মুহূর্তেই তরুর শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠলো ভয়ে।কান্নার শব্দ থামতে সেকেন্ড কিয়েকও লাগলো না।থেমে থেমে হেঁচকি উঠতে শুরু করলো।
“কি ভেবেছিলি, পালিয়ে বাঁ”চ”তে পারবি আমার হাত থেকে? কয়েকটা বছর লেগেছে তোকে খুঁজে বের করতে। মনে আছে আজকের তারিখ?এই তারিখেই তুই পালিয়েছিলিস না?”
তরুর মনে পড়ল সেই বিভৎস অতীত। বন্দী রুমে, শিকলে বাঁধা সেই দিনগুলো। যার থেকে বাঁচতে সে পালিয়েছিল আজ আবারো তার সম্মুখে।
মৃন্ময় এগিয়ে এলো।বসলো তরুর সামনে।তরুর থুতনিতে আঙুল দিয়ে মুখ উচুঁ করলো।কান্নার ফলে চোখগুলো ফুলে গেছে। ঠোঁটের কোণের রক্ত”টুকু এখনো তাজা।
মৃন্ময় হাত টা থুতনি থেকে সরিয়ে ধীরে ধীরে তরুর গলার পাশ দিয়ে চলে গেলো।পিছন থেকে শক্ত করে ঘাড় চেপে ধরলো। ফুঁফিয়ে উঠলো তরু।মৃন্ময় এক ঝটকায় তরুর মুখ নিজের মুখের কাছে নিয়ে এলো।
ঠোঁটের কোণায় ঠোঁট চেপে ধরলো। জিহ্বা দিয়ে মুহূর্তেই সবটুকু র”ক্ত লেহন করে নিলো। একই সাথে ব্যথা আর আরাম অনুভব করলো তরু। মৃন্ময় হয়তো বুঝতে পারল। হঠাৎ ই তরুর নিচের ঠোঁট টা কামড়ে ধরলো।
ব্যথার তীব্রতায় শব্দ করে উঠলো তরু।মৃন্ময় সরিয়ে নিলো নিজের থেকে। পিছনের দিকে ছুঁড়ে মারল তরুকে।
“এক্ষনি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।এরকম অবস্থায় আর এক সেকেন্ড এখানে বসে থাকলে বুঝতেই পারছিস কি হবে।১০ মিনিট আছে শুধু তোর কাছে।”
বলেই রুম ছাড়লো মৃন্ময়।তরু নিজেকে কোনোভাবে টেনে তুললো। ওয়াশরুমের দিকে যেতে গিয়ে দুবার হোঁচট খেলো।তবুও থামলো না।
বেসিং এর আয়নার সামনে নিজেকে দেখে চিনতে খুব কষ্ট হলো তরুর।মাত্র কয়েক ঘন্টায় কি থেকে কি হাল হয়েছে। মনে পড়লো মৃন্ময় সময় দিয়ে রুম ছেড়েছে। তরু দ্রুত শরীর থেকে সব কাপড় খুলে পানির নিচে দাঁড়িয়ে গেলো।শরীর বিভিন্ন জায়গায় সদ্য হওয়া আঘাতের দাগ।পানি পড়তেই জ্বালা করে উঠলো।ডুকরে কেঁদে উঠলো তরু।
মাএ কয়েক ঘণ্টা আগে সে সাউথ কোরিয়ার বুসান শহরের রাস্তায় বোন এবং দুলাভাইয়ের সাথে হাসি মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই পৃথিবীতে তরুর বোন ছাড়া আপন আর কেউ নেই। চোখের সামনেই হঠাৎ একটা কারের তীব্র ধাক্কায় অনু লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।
আর কিছু ভাবার আগেই মৃন্ময়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর শুনতে পেলো তরু। ভয়ে কেঁপে উঠলো।১০ মিনিট কি পার হয়ে গেছে? তড়িঘড়ি করে সে বেরোনোর উদ্দেশ্যে কাপড় খুঁজতেই দেখলো নেই। সে তো কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢোকে নী।পরণের সব কাপড় ও ভিজিয়ে ফেলেছে।নগ্ন শরীরে দাঁড়িয়ে এখন।
আর কিছু ভাবার আগেই দরজা শব্দ করে খুলে গেলো। লক করা ছিল না।চোখ বড় বড় করে তাকালো মৃণ্ময়ের দিকে। মৃন্ময় ধারণা করতে পারেনি এভাবে দেখবে তরুকে।এক মুহুর্ত তাঁকিয়ে থাকার পর সে এগিয়ে এলো।
“দেখানোর ইচ্ছা থাকলে আগেই বলতি,এভাবে দেখানোর কি আছে?”
বলল মৃন্ময়।তরু তড়িৎ মেঝে থেকে কাপড় তুলে গায়ে জড়াতে চাইলো।কিন্তু পারলো না।তার আগেই মৃন্ময় শক্ত করে তাকে দেয়ালে চেপে ধরলো।তরুর উ”ন্মু”ক্ত বুক মিশে গেলো মৃন্ময়ের উ”ন্মু”ক্ত বুকে।শিউরে উঠলো তরু।এরকম কিন্তু হবে সে মোটেও আশা করেনি। মৃন্ময় গভীর চোখে তাকালো তার দিকে। এক হাতে তরুর দুই হাত,আরেক হাতে কোমর চেপে ধরলো।এতটাই শক্ত করে যে তরু ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলো। মৃন্ময় হিং”স্র হয়ে উঠলো।তরুর গলায় দাঁত বসিয়ে দিলো।যেনো নিজেকে কন্ট্রোল করার এইটাই একমাত্র উপায়।কিন্তু হচ্ছে না। শরীর এখন বাজে ভাবে চাইছে তরুকে।
মৃন্ময় মুখ নামিয়ে এনে তরুর বুকে জোড়ে এক কামড় বসালো।তারপর ওকে কোনো সময় না দিয়েই কোলে তুলে নিয়ে এসে বিছানায় ছুঁড়ে মারলো। তোয়ালে আর কাপড় মুখে ছুড়লো।
দ্রুত পায়ে মৃন্ময় চলে গেলো ওয়াশরুমে।চোখমুখ অস্বাভাবিক রকমের লাল হয়ে উঠেছে।শরীর থাকছে না আর নিজের কন্ট্রোলে। এই সময় একটা শাওয়ার নেওয়া প্রয়োজন। তাই করলো। গায়ে পানি পড়তেই সে চোখ বন্ধ করে নিলো। চোখের সামনে দৃশ্যমান হলো ড্রেসলেস তরু।দেয়ালে সশব্দে দুটো হাত রাখলো মৃন্ময়।
“শান্ত হয়ে যা,শান্ত হ।এখনো সময় আসেনি”
নিজ মনে বিড়বিড় করতে লাগলো সে। একসময় কন্ট্রোলেস মৃন্ময়ের হাত চলে গেলো ট্রাউজারে।
ঘণ্টা খানেক পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো মৃন্ময়। বিছনায় চোখ যেতেই দেখতে পেলো গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে তরু। পরণে প্লাজু আর সফট একটা কামিজ।
মৃন্ময় তাকালো না আর সেদিকে।দরজা লক করে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। দোতলার কর্ণারের রুমটায় গেলো। ভিতরে কুচকুচে অন্ধকার।রুমে ঢুকেই লাইট জ্বালালো সে।
সাথে সাথেই দৃশ্যমান হলো রুমটার চারিদিকের সব। পুরো দেয়াল জুড়ে তরুর ছবি। ডান দিকের মাঝ খানের দেয়ালে তরুর বিশাল আকৃতির এক ছবি।ছবিটা হাতে আঁকা।বিশাল ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখা।ঘুমন্ত তরুর চেহারা।এলোমেলো চুল।ছবির নিচে একটা টেবিল। কতগুলো মোমবাতি সেখানে রাখা। মৃন্ময় জ্বালালো সেগুলো।তারপর রুমের লাইট অফ করে দিলো।
মোমবাতির আলোয় ছবিটা যেনো উজ্জ্বল হয়ে উঠল। হলদেটে ভাব ছড়িয়ে পড়লো।মৃন্ময় সিগারেট জ্বালালো।ছবির সামনে রাখা চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসলো সে। চোখের দৃষ্টি স্থীর গিয়ে গেলো ছবিটায়।
চলবে…
Dark_side_of_Love
ডার্কসাইডঅফ_লাভ
দুর্বা_এহসান
সূচনা পর্ব
(নোট: আগের টা বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকে নতুন ভাবে আবার শুরু করা হলো।এই গল্পটায় এন্ডিং দেওয়া হবে)
Share On:
TAGS: ডার্ক সাইড অফ লাভ, দূর্বা এহসান
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৪
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১
-
ডার্ক ডিজায়ার গল্পের লিংক
-
ডার্ক সাইড অফ লাভ পর্ব – ২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৫
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১৬
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ৯
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১২
-
ডার্ক ডিজায়ার পর্ব ১০