জেন্টাল_মন্সটার
লামিয়ারহমানমেঘলা
পর্ব_১০
আদ্রিতাকে ফের মারার আগেই প্রিয়া আদ্রিতাকে টেনে নিজের পেছনে নিয়ে যায়।
“আম্মু হোয়াট’স রং উইথ ইউ। এমন করছো কেন?”
“এই মেয়ের জন্য তোর ড্যাড আমার ছেলেকে আমার থেকে আলাদা করে ফেলেছে প্রিয়া।”
“কি বলছো এইসব। পাগল হয়ে গিয়েছো আম্মু।”
“শুনে দেখ ওর কাছে। কি করেছে ও যার জন্য আমার ছেলেকে আমার বুক থেকে আলাদা করেছে তোর বাবা।”
পেছন থেকে আসরাফ খান এসে মাধবী বেগমকে টেনে নিয়ে আসে,
“মাধবী রিলাক্স। আদ্রিতার কি দোষ এখানে?”
“তুমি চুপ থাকো। এই মেয়েটার জন্যই সব হয়েছে।”
“মাধবী তুমি পাগল হয়ে গিয়েছো?’
” শোনো তুমি আসরাফ এই মেয়েটাকে আমি আমার ছেলের কাছে ঘেষতে দেব না। আমার ছেলের জন্য আমি ভালো কাউকে খুজব। ওর জন্যই আমার ছেলের মাথা বিগড়েছে। ওর জন্যই ও আমার থেকে দুরে চলে গিয়েছে।”
আদ্রিতার শরীর কাঁপছে। সে প্রিয়াকে ধরে রেখেছে শক্ত করে। তার প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। তবে মারের থেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে এই মুহুর্তে আদ্রিসের চলে যাওয়ার কথাটা। আদ্রিস কোথায় গিয়েছে। আদ্রিতা কেমন শান্ত হয়ে গিয়েছে।
আসরাফ খান বহুত কষ্টে মাধবী বেগমকে রুমে নিয়ে যায়।
প্রিয়া, আদ্রিতাকে রুমে নিয়ে যায়।
“বস এখানে।”
আদ্রিতাকে পানি দেওয়ার পর প্রিয়া রুম থেকে চলে যাবে কিন্তু আদ্রিতা ধরে বসে প্রিয়ার হাত। প্রিয়া ফিরে তাকায়,
“কি হয়েছে?”
“কোথায় গিয়েছে আদ্রিস ভাইয়া?”
প্রিয়া, আদ্রিতার মাথায় হাত দেয়।
“আমিও জানিনা আদ্রিতা। তবে হয়ত এবার খুব বড় কিছু হয়েছে। তুই চিন্তা করিস না। আমি দেখছি কি হয়েছে।”
প্রিয়া বেরিয়ে যায়। আদ্রিতার চোখ দিয়ে শুধু পানি গড়িয়ে পড়ছে। আদ্রিতা নিজের হাঁটুতে মুখ গুঁজে নেয়। ছোট্ট আদ্রিতা ভাবছে এই যন্ত্রণা হয়তা সময়ের সাথে মিটে যাবে। কিন্তু অপেক্ষার যে কি কষ্ট তা হয়ত এখনো অনুভব করতে পারছে না সে।
আদ্রিস চলে যাওয়ার পর বদলে গেছে সব কিছু।
আসরাফ খান তার কথা রাখেনি। আদ্রিতা ভালো নেই। আদ্রিস একটা বার বাড়ির কারোর সাথে কথা বলেনি। আদ্রিসের মামার থেকেও আদ্রিসের কোন খোঁজ পায়নি আসরাফ খান।
দিন দিন তিনিও ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছিল ছেলের খোঁজ না পেয়ে।
ওদিকে মাধবী বেগম পাগলের মত সব দোষ আদ্রিতাকে দিতে শুরু করে।
আদ্রিতার জীবন কঠিন থেকে কঠিন হতে থাকে।
আদ্রিতার রেজাল্ট বা ভালো পড়ালেখা কিছুই আর পরিবারের কারোর ভালো লাগেনা।
মাধবী বেগম প্রতিবার নিজের আচরণ দ্বারা আদ্রিতাকে হার্ট করে।
নেওয়াজ খানও প্রতিবাদ করেনা। ধিরে ধিরে আদ্রিতা এটাকে নিজের নিয়তি হিসাবে ধরে নিয়েছে।
কলেজের শেষ বছর এইটা। আদ্রিতার ভয় এরপর তাকে হয়ত আর পড়তে দেওয়া হবেনা। কারণ আদ্রিতার জীবনটা এত বছরে শুধু বাড়ি থেকে স্কুল আর বাড়ি থেকে কলেজেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাও গুরুত্বপূর্ণ কোন ক্লাস আর পরিক্ষার সময়টায়। এমনিতে সে বের হয়না বাড়ি থেকে। এতটুকু না হলে হয়ত আদ্রিতা মরেই যেত।
এখন আদ্রিতা না খেলে আর কেউ জোরপূর্বক তাকে খাইয়ে দেয়না।
আদ্রিতা যদি অসুস্থ থাকে কেউ রাতে এসে ঔষধ খাইয়ে সেবা করে দিয়ে যায় না।
ধিরে ধিরে আদ্রিতার জীবনে আদ্রিসের মূল্য হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকে।
আদ্রিতা রোজ রাতেই কাঁদে। তার ঘুম হয়না। হটাৎ মনে হয় সামনে থেকে আদ্রিস ওকে ডাক দিল। কিন্তু না সামনে তাকিয়ে সে কাউকে দেখতে পায়না।
আদ্রিতার শরীরটাও ভেঙে গিয়েছে।
কারণ মাধবী বেগম নিজের রাগের বসে আদ্রিতাকে দিয়ে সব কাজ করায়।
বাকিদের থেকে আদ্রিতাকে একেবারে ভিন্ন বললে ভুল হবে। একেবারে বাজে আচরণ টা আদ্রিতার সাথে করা হয়।
আদ্রিতার এখন নিজেকে এ বাড়ির কাজের লোকের মত মনে হয়।
প্রিয়া বাদে কেউ ওতটা কথা বলেনা। আসরাফ খান প্রথম প্রথম আদ্রিতাকে প্রটেক্ট করলেও এখন তিনিও চুপ হয়ে গিয়েছেন।
আদ্রিসের এমন আচরণে তিনি ভেঙে পড়েছেন ভেতর থেকেই।
রাশিয়া,
মস্কো শহরের মাঝ বরাবর বিরাট এক মেনশন দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে।
৪০ একড় জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে বিরাট এক মেনশন নাম “সিলনাইয়া”।
যেখানে আছে ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড শহ আরও অনেক কিছু।
মেনশনের চারিপাশে গার্ড’স ডিউটিতে আছে।
দক্ষিণ দিকে বিশাল এক ফুলের বাগান। নানা রঙা ফুল দুলছে বাতাসে।
তবে এই শান্ত পরিবেশের মাঝেই ঘটে চলেছে এক অশান্ত ঘটনা।
” আ আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি সত্যি টোটোর স্পাই নই।”
আদ্রিসের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে।
“আই হেট লাই’স।”
“আ আ আমি সত্যি বলছি স্যার।”
আদ্রিস এবার হাতের ছুরিটা দিয়ে লোকটার গলায় ধরে,
এদিক থেকে ওদিক সরাতে সরাতে বলে,
“এতটা সিম্পিল মৃত্যু আমি কাউকে দেইনা। আমি মৃত্যুর আগে কষ্ট দিতে পছন্দ করি। কিন্তু এখন আমার হাতে সময় নেই। বেঁচে গেলি তোর মৃত্যুতে কষ্ট কম।”
কথাটা বলার সাথে সাথে লোকটার ধড় থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে গেল। রক্ত ছিটে আদ্রিসের মুখ ঘাড় হাত ভরে গিয়েছে। লোকটা চোখের সামনে ছটফট শুরু করল। ধিরে ধিরে কাটা ছাগলের মত তার শরীর টাও শান্ত হয়ে গেল। মাথাটা কিছুটা দুরে গিয়ে পড়েছে। চোখ দু’টো তখনো খোলা।
এই ভয়ানক দৃশ্য সেখানে গার্ড’স দের কাছে কিছুই না।
আদ্রিস উঠে দাঁড়ায়।
হাতে লেগে থাকা রক্ত জিহ্বায় ছোঁয়ায়,
“টেস্টলেস রক্ত। এই জন্যই ভাবি টোটোর চামচা গুলো ওর মতই। রক্তেও স্বাদ নেই।”
কথা গুলো বলার সময় আদ্রিসকে পুরো সাইকোদের মত লাগছিল। যেন গরু জবাই করেছে সে।
“ক্লিন দিস মেস।”
কথাটা বলে আদ্রিস মেশননের ভেতরে হাঁটা ধরে। তার পেছনে গার্ড’সরা লাসটাকে সরানোর ব্যাবস্থা করছে।
মাস্টার বেডরুমের ওয়াসরুমের বাথটাবে বসে আছে আদ্রিস।
পানি তার গলা পর্যন্ত। উদাম শরীরের সাথে পানি মিশে চিকচিক এক প্রতিফলনও সৃষ্টি করছে। উদাম শরীর হওয়ায় বাম হাতের কাধ থেকে শুরু করে কব্জি পর্যন্ত ট্যাটু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
কানের নিচে ঘাড়ের মাঝ বরাবর রুশিয়ান অক্ষরে আরও একটি আদ্রিতা নামের ট্যাটু করা।
ধিরে ধিরে বাথটাবের পানি রক্তিম হতে শুরু করে।
হটাৎ সে তার চোখ দু’টো খুলে তাকায়।
ডান হাতে লেগে থাকা রক্ত পানিতে মুছে ফেলতে চেষ্টা করে।
ধিরে ধিরে সেটা মুছে যায় পানিতে।
“বাস্টার্ড, ইচ্ছে ছিল আরও কষ্ট দেব তোকে। কিন্তু শুভ কাজে যেতে চলেছি। বেশি রক্তারক্তি করতে চাই না।”
আদ্রিস বাথটাব থেকে উঠে দাঁড়ায়। কোমড়ে তোয়ালে পেচিয়ে বেরিয়ে আসে।
রুমে দাঁড়িয়ে আছে রেভেন [ আদ্রিসের এসিস্ট্যান্ট ]। হাতে তার আদ্রিসের সুট।
আদ্রিস ভ্রু কুঁচকে তাকায়,
“হোয়াট?”
“ইয়ে মানে বস কিছুক্ষণের মাঝেই আপনার জেট এয়ারপোর্টে চলে আসবে। যদি একটু দ্রুত যেতেন।”
“হোয়ার ইজ টোটো?”
“আজ যা খেলা দেখলেন মনে হয়না আর কোন সমস্যা করবে।”
আদ্রিস বাঁকা হাসে।
“সায়ান ভাইকে ফোন করে এয়ারপোর্টে আসতে বল।”
“জি সায়ান স্যার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে সেখানে।”
আদ্রিস, রেভেনের থেকে পোশাক নিয়ে রেডি হতে চলে যায়।
আদ্রিা রেডি হয়ে বের হয়।
তার পরনে কালো ওভার কোর্ট নিচে কালো সার্ট, চোখে সানগ্লাস, বাম হাতে কালো ব্রান্ডেড ঘড়ি।
আদ্রিস বেরিয়ে আসে। রেভেন পেছন পেছন হাঁটছে।
আদ্রিসের জন্য গার্ড গাড়ির দরজা খুলে দেয়।
আদ্রিস ভেতরে প্রবেশ করে। রেভেন সামনে ড্রাইভিং সিটে বসে।
“ড্রাইভার কেথায়?”..
” ড্রাইভারকো আমি বললাম আজ আমি ড্রাইভ করব।”
“ওকে।”
আদ্রিস ফোন ওপেন করে। সায়ারের ম্যাসেজ দেখে রিপ্লাই করে।
এয়ারপোর্টে,
আদ্রিসের প্রাইভেট জেটের সামনে দাড়িয়ে আছে সায়ার।
আদ্রিস গিয়ে সায়ারকে জড়িয়ে ধরে,
“আমি এক মাসের জন্য যাচ্ছি ভাইয়া। খেয়াল রেখো নিজের।”
সায়ার, আদ্রিসকে সামনে আনে,
“তুইও ভাই। আমি চাই তুই নিজের সব থেকে বেশি খেয়াল রাখ। আর আদ্রিতাকে নিয়ে দ্রুত ফিরে আয়। তবে একটা সমস্যা হয়েছে আদ্রিস।”
“কি সমস্যা? “
“টোটো জেনে গেছে আদ্রিতার সম্পর্কে।”
“হোয়াট?”
“আমি জানিনা আমাদের ভেতর থেকেই কেউ খবর লিক করেছে। তোকে প্রথম আদ্রিতার সেফটি মেনটেন করতে হবে। একবার রাশিয়া পৌঁছে গেলে আমি দেখে নেব বাকিটা। বাংলাদেশের এই ১ মাস সব থেকে বেশি চতুর থাকতে হবে আদ্রিস।”
“ওকে ভাইয়া।”
“আর হ্যাঁ, সাফায়েত শিকদারের সাথে ডিলটা করতে ভুলিস না।”
“ওকে।”
“গো মাই চার্ম। আমি জানি এবার তোর ভালোবাসাকে তুই পূর্ণতা দিতে পারবি।”
আদ্রিসের চোখ ছলছল হয়ে ওঠে,
“৫ টা বছর এক একটা সেকেন্ড বিষের মত কাটিয়েছি ভাই। সব শেষে আমি শুধু ওকে চাই। আই জাস্ট ওয়ান্ট হার।”
“সি ইজ ইউর’স মাই চার্ম। আমি মম কে নিয়ে আসব৷”
“ওকে।”
“বস আসুন। লেট হয়ে যাচ্ছে।”
রেভেনের ডাকে আদ্রিস হেঁটে যায় জেটের দিকে।
আদ্রিস, তার জেটে উঠে বসে।
সায়ান ফ্লাইট টেকঅফ করার আগ পর্যন্ত সেখানে ছিল।
জেট আকাশে উড়াল দিলে সায়ার দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
“পাগল প্রেমিক আমি খুব চাই তোর রাতের না হওয়া ঘুম আবার ফিরে আসুক। কেউ কাউকে কতটা পাগলের মত ভালোবাসতে পারে তোকে না দেখলে বুঝতাম না।”
সায়ারের কথা শেষ হতে ওর গার্ড এসে ওকে গাড়িতে উঠতে বলে। সায়ার গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যায়।
রোজ সকালের নতুন সূর্য উঠে কাজ করার জন্য। রান্না ঘরে রান্না করতে করতে আদ্রিতা এটাই ভাবছিল।
তার কেমন লাগছে। সকাল থেকেই কেমন এক অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে। আজ কলেজে একটা ইম্পর্ট্যান্ট প্রজেক্ট আছে। জলদি ব্রেকফাস্ট রেডি করে তাকে কলেজে যেতে হবে।
খাবার বানাতে বানাতে আদ্রিতা অন্যমনস্ক হয়ে ছিল। চুলায় দুধ দেওয়া ছিল। হটাৎ সেটা উতল দিয়ে আদ্রিতার হাতে এসে পড়ে। গরম দুধ হওয়ায় আদ্রিতা চিৎকার করে ওঠে।
মাধবী বেগম মাত্রই নিচে এসেছে। আদ্রিতার চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে আসে।
“কি হয়েছে?”
আদ্রিতার হাতে ফোসকা পড়ে গিয়েছে। সে হাতটা বেসিনের পানির নিচে রেখেছে। তবে মাধবী বেগমের চোখে সেটা পড়েনি। তিনি দৌড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে।
“সমস্যা কি তোর অলক্ষি মেয়ে। জানিস না দুধ পড়ে যাওয়া ভালো না৷”
“সরি বড় মা হ হাত পুড়ে গিয়েছে।’
“,ত কি হয়েছে? হাতটা পুড়েছে পুরো শরীরত পুড়েনি। বাম হাতে গ্যাসটা বন্ধ করবি এই কমনসেন্স টুকু নেই?”
“সরি।”
আদ্রিতার সরি বলতে বলতে কলিং বেল বেজে ওঠে।
“আর সরি মারাতে হবেনা। দরজা খুল।”
আদ্রিতার চোখ ছলছল হয়ে ওঠে। সে হেঁটে যায় দরজার কাছে। চোখের পানি মুছে।
হাত জ্বলছে প্রচুর। এত গরম দুধ ছিল ফোস্ক উঠে গিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে।
আদ্রিতা বাম হাতে দরজা খুলে দেয়।
দরজা খুলতে সামনের মানুষ টিকে দেখে আদ্রিতার কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে তার সামনের মানুষ টার মুখের দিকে।
সামনের সুদর্শন পুরুষটির আপাদমস্তক দেখে আদ্রিতার চোখের কোণায় পানি চলে আসে।
মনের ভেতর অসংখ্য কথা ভেসে আসছে।
ইচ্ছে হচ্ছে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে। কিন্তু সব অনুভুতি চোখের পানি হয়ে বেরিয়ে আসছে তার।
আদ্রিসের চোখ যায় আদ্রিতার হাতের দিকে। মুহুর্তে হাত মুঠো করে নেয় আদ্রিস।
“কে এসেছে আদ্রিতা। মরা মানুষের মত চুপ হয়ে গেলি কেন?”..
মাধবী বেগম রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে কথা গুলো বলছিল। কিন্তু দরজার ওপারের মানুষ টাকে দেখে তিনিও থমকে গিয়েছেন।
“,আ আ আদ্রিস বাবা”
চলবে?
Share On:
TAGS: জেন্টাল মন্সটার, লামিয়া রহমান মেঘলা
CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৫
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১৫
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১৪
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৪
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ১৭
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৯
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৬
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ৩
-
জেন্টাল মন্সটার পর্ব ২