Golpo romantic golpo বাবরি চুলওয়ালা

বাবরি চুলওয়ালা পর্ব ২


০২
সামনেই চাচাতো বোনের বিয়ে। বড় চাচা এসে আজকে সবাইকে দাওয়াত করে গেলেন। মা আর আমাকে নাকি আগেভাগেই গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। চাচা তো রীতিমতো জোরাজোরি করতে লাগলেন, মীরাকে আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দাও। কিন্তু বাবা কোনোভাবেই রাজি হলেন না।

বিয়ে মানে ধুমধাড়াক্কা। আমার সাদামাটা জীবনে খানিকটা নতুনত্বের আমেজ টের পেয়ে আমি যারপরনাই খুশি। জীবনটা খুব একঘেয়ে হয়ে উঠেছিলো। সেই যে একদিন বাবরি চুলওয়ালা বাড়িতে এলো, সেদিন খানিকটা এডভেঞ্চারের স্বাদ পেয়েছিলাম। তারপর পুরনো দিনলিপিতেই যাপিত হচ্ছিলো জীবন।

বাবরি চুলের সঙ্গে আমার দেখাসাক্ষাৎ হয় না অনেকদিন। টেরও পাওয়া যায় না এই বাড়িতে বাইরের কেউ একজন আছে!

আমাদের বাড়িটা দোতলা। বাবরি চুলকে নিচতলার একটা রুম দেয়া হয়েছে। আমি খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া নিচে নামি না। সেও বোধহয় তার রুম থেকে বের হয় না। শুনেছি সকাল নয়টার মধ্যেই সে বের হয়ে যায়। একবারে রাত এগারোটা/বারোটায় আসে। আমি শুধু গভীর রাতে গেট খোলা আর বন্ধ হওয়ার আওয়াজ পাই। এছাড়া তার উপস্থিতি কখনোই টের পাই না। এভাবেই একদিন তাকে নিয়ে আমার সমস্ত কৌতুহলে ভাটা পড়ে গেলো।

দাদার চার ছেলে, দুই মেয়ে। আমার বাবা তন্মধ্যে সবচেয়ে বড়। গ্রামের দিকে দাদার পুরনো ভিটায় আব্বুর ছোট দুই ভাই পরিবার সহ থাকেন। সবাই মিলেমিশে আছে সেখানে। শুধু ছোট চাচা ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন। শুনলাম, বিয়েতে নাকি ছোটচাচাও আসবেন। তাই আমার আনন্দের সীমা রইলো না।

আমি, মা আর রোহান দাদুর সঙ্গে গ্রামে চলে এলাম। সবার সঙ্গে গল্প করেই কেটে গেলো পুরো একটা দুপুরবেলা। এরপর দাদীর ঘরে ঢুকে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। দাদী চলে গেছেন বেশ কয়েক বছর। এখনো তার বিছানায় এলে আমি দাদীর গন্ধ পাই! আমার কী যে ভালো লাগতো পান সুপারির ঘ্রাণ লেগে থাকা দাদীর বালিশের কাভারের গন্ধ! ঘরের সমস্ত ফার্নিচার এখনো আগের মতোই আছে। ঘরজুড়ে একটা আটপৌরে গন্ধ। কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম টেরই পাইনি।

ঘুম থেকে উঠে বিছানার পাশের জানালা’টা খুলে দিলাম। বিছানায় মুখ গুজে সামান্য চোখ দুটি তুলে তাকালাম উঠানের দিকে। বাবরি চুলওয়ালাকে দেখে চমকে উঠলাম আমি। সে এখানে কেন আসবে! মনের ভুল হয়তো।

না, চোখ কচলে আবারও তাকালাম। পড়ন্ত বিকেলের লালচে রোদ সুপারি পাতার ফাঁক দিয়ে তার গায়ে এসে পড়েছে। টংয়ের ওপর বসে গল্প করছে উনি। দাদুভাই, মেজো চাচা আর দুজন লোক ওর কথা শুনছে। সবার মুখে হাসি। নিশ্চয়ই কোনো মজার কথা হচ্ছে! আমারও ইচ্ছে করছে গিয়ে ওনার কথা শুনি। কিন্তু.. আমি তো রোহান নই!

খানিকক্ষণ পর মেজো চাচী এলেন আমাকে ডাকতে, ‘মীরা, মীরা। উঠবা না?’
‘উঠে পড়েছি।’
‘গরম গরম পোয়া পিঠা ভাজতেছি। আসো, খাবা।’

চাচীর সঙ্গে বের হতে গিয়ে আমি থমকে দাঁড়ালাম, ‘চাচী, ওই লোকটা যে এখানে এসেছে। ওনাকেও কি আজকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে নাকি?’
‘হ্যাঁ। কেন?’
‘বিয়ে তো এখনও তিন চার দিন পরে! এত আগেভাগে ওনাকে এখানে আনার কি দরকার? সত্যি বলতে এটা একটু বাড়াবাড়ি লাগছে আমার কাছে।’
‘ওনাকে ভাইজান পাঠাইছে, তোমার আব্বা। কাজকর্মে হেল্প করার জন্য। বাড়িতে কত কাজ দেখো না? সবাই মিলে আলোচনা করতেই তো বসেছে। কীভাবে কী করা যায় এসব নিয়ে।’
‘ওহ আচ্ছা। আলোচনার নামে মজমা বসাইছে।’
‘কী হইছে তোমার মীরা?’
‘কিছু না। বড় হয়ে ভাল্লাগতেছে না চাচী।’

চাচী হেসে বললেন, ‘লাগবে, লাগবে। জীবনে কেউ এলে পরে ঠিকই ভালো লাগবে।’

বাড়ির ভেতরেই টিনের চালার নিচে খোলামেলা প্রশস্ত রান্নাঘর। তাতে রয়েছে কয়েকটা মাটির চুলা। আম্মু বসে আছে পাশেই। বড় চাচী পিঠা ভাজছেন। আমি গিয়ে পিড়ি নিয়ে বসবো, এমন সময় চাচী একটা প্লেট এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘নাও তো এগুলো টঙ এ দিয়ে আসো।’
‘কোথায়?’
‘তোমার দাদাদের ওখানে।’

আমি হতচকিত খেয়ে আম্মুর দিকে তাকালাম। আম্মুও আমার দিকে চেয়ে আছে। বড় চাচী আবারও বললেন, ‘দুইটা প্লেট নিয়ে যাও।’
‘ওখানে কেন খাবে? বাড়িতে বসার জায়গা নাই?’
‘পাগল মেয়ে। ওখানে সবাই বসে কথা বলছে যখন ওখানেই দিয়ে আসো। কথা বলতে বলতে খাক।’
‘আমি তো যেতে পারবো না।’
‘কেন?’
‘আব্বুর নিষেধ আছে।’
‘কিসের নিষেধ?’
‘ওই বাবরিওয়ালার আশেপাশে যাতে না যাই, এজন্য কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করছে আমার বাপ।’

মেজো চাচী ফিক করে হেসে ফেললেন। বড় চাচী বললেন, ‘তোমার বাপ এখানে নাই। যাও দিয়ে আসো।’
‘না, আমি যাবো না।’
‘বাড়িতে আর কেউ নাই রে বাবা। তুমি বাচ্চা মানুষ, গেলে কিচ্ছু হবেনা।’
‘আমি বাচ্চা মানুষ? এই ভদ্র মহিলা সারাক্ষণ বলে আমি বড় হয়ে গেছি।’

কথাটা বলে মায়ের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। মা বিব্রত। মেজো চাচী বললেন, ‘চলো আমিও যাচ্ছি তোমার সঙ্গে।’
‘না, আমি যাবো না।’

এতক্ষণ পর মা মুখ খুললেন, ‘যা। এত ঢং করছিস কেন?’

আমি আশ্চর্য হলাম। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মেজো চাচী আমার হাতে পিঠার প্লেট ধরিয়ে দিয়ে ঠেলতে লাগলেন। ভাষা ফিরে পেতেই আমি মাকে বললাম, ‘ বলার সঙ্গে নাচতে নাচতে চলে যেতাম, তখন তুমিই আমাকে হাজারটা কথা শুনিয়ে দিতা আম্মু।’
‘হইছে, এবার যা তো।’

আমি মেজো চাচীর সঙ্গে সেই আসরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। যতই অগ্রসর হই, আমার দৃষ্টি গভীর হতে থাকে। ভ্রু কুঁচকে আমি কেবল বাবরি চুলওয়ালাকেই দেখছি। মনে হচ্ছে আমার দৃষ্টি যেন একটা ক্যামেরা। আমি চোখের ক্যামেরায় তাদের ছবি তুলছি। ক্যামেরা শুধুমাত্র বাবরি চুলওয়ালাকেই ফোকাস করছে। আর বাকিরা ব্লার হয়ে গেছে৷ আশ্চর্য!

মেজো চাচী বললেন, ‘কী হলো?’
আমি চাচীর দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘কী হলো মানে?’
‘আশ্চর্য বললা কেন?’
‘ওহ আচ্ছা। মুখেও আশ্চর্য বলেছি?’
‘মীরাআআআ, কী যে করোনা তুমি! অদ্ভুত একটা মেয়ে তুমি বাবুরে।’

আমি হাসতে ভুলে গেলাম। এখনো আমার ক্যামেরা তার ফোকাস ঠিক করতে পারছে না। শুধু বাবরি চুলওয়ালাতেই আটকে আছে সে। মনেমনে নিজেই নিজেকে বললাম, ‘ফালতু ক্যামেরা আমার। বাকিদের ছবি তোল। বাবরির দিক থেকে নজর নামা।’

আসরে উপস্থিত সবাইকে সালাম দিয়ে আমি হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে রইলাম। প্রতিবেশী একজন চাচা বললেন, ‘ মাশাল্লাহ। মীরা মা অনেক বড় হয়ে গেছো!’

আমি আবারও সৌজন্যতাসূচক হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেমন আছেন চাচা?’
‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি মা। তুমি কেমন আছো?’
‘ ভালো আছি। চাচী কেমন আছে?’
‘ভালো। বাসায় যাও, তোমার চাচীর সঙ্গে দেখা করে আসো।’
‘আমার আর যাওয়া… চাচীকে আসতে বলেন। বলবেন মীরা বড় হয়ে গেছে। এখন ওর কোথাও যাওয়া নিষেধ।’

মেজো চাচী আমার হাত ধরে টান দিলেন। টানার ধরণ দেখেই বুঝলাম নির্ঘাত ভুল কিছু বলে ফেলেছি। এই কথাটার জন্য আবার পরে মায়ের কথা শুনতে হয়, সেই ভয়ে আমার হাসি বন্ধ হয়ে গেলো। কিন্তু বাকিরা দেখি হাসছে! হঠাৎ বাবরি চুলওয়ালার দিকে তাকিয়ে দেখি সেও মুখ টিপে হাসছে। যাক, তারমানে সিরিয়াস ধরনের অপরাধমূলক কিছু বলিনি। সবাই যেহেতু হাসছে, তাহলে ভালো কথাই বলেছি!

‘চাচী চলেন।’

আমার দাদুভাই বললেন, ‘বস এখানে। যাবি কেন?’
আমি দাঁতে দাঁত চিবিয়ে বললাম, ‘যাকে নিয়ে বসে আছো, তাকে নিয়েই থাকো। আমি এখানে বসলে বিয়ে আর খাওয়া হবেনা। তোমার ছেলে আমার ঠ্যাং ভাং *বে।’

এবার কেউ হাসলো না। সবার মুখটা শুকিয়ে গেলো মনে হচ্ছে। আমি আরো কিছু বলার আগেই চাচী আমার হাত ধরে বললেন, ‘চলো যাই? পিঠা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে খেয়ে মজা পাবা না।’

আমি চলতে চলতে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে পেছন দিকে তাকালাম। সবাই হাতে হাতে পিঠা নিচ্ছে। কেবল একজন খুব অদ্ভুত চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এই চাহনির সঙ্গে আমার একেবারেই পরিচয় নেই! আমি ভ্রু কুঁচকে ফেললাম। ক্ষণিকেই সে আবার অন্যদিকে তাকালো। আমি জানিনা, কোনো ভুল কিছু বলে ফেলেছি কী না!

রাত্রিবেলা সবাই মিলে গল্পের আসর বসলো। কতদিন পর সেই পুরনো আমেজ! বারান্দায় পাটি পেতে সবাই মিলে বসেছি। বিকেলবেলা বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাকাচ্চারা পাশের একটা মাঠে খেলতে গিয়েছিলো। শুনে খুব লোভ লাগছে আমার। মনে হচ্ছে, যদি আমিও গিয়ে ওদের সঙ্গে খেলতে পারতাম!

চাচাতো বোন টুসিকে বললাম, ‘কাল যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যাবি।’
‘হিহি, তুমি তো বড় হইছো আপু। তুমি কিভাবে খেলবা?’

আমার মা বলে উঠলেন, ‘ও বড় হয় নাই টুসি। ও হচ্ছে তোমাদের মধ্যে সবচাইতে ছোট। ঢংগী বাচ্চা।’

আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘সবসময় আমার সঙ্গে এমন করো কেন আম্মু? দিনদিন তোমাদের জ্বালাতন বাড়াবাড়ি লেভেলে চলে যাচ্ছে। আমার মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে কোথাও একটা চলে যাই।’
‘কোথায় যাবি? বড় হইলে তো বিয়ে দিয়ে দিতাম। বড় হওয়ার নামগন্ধই নাই তোর মাঝে। যত দিন যায় শুধু ছোট হচ্ছিস।’
‘বিয়ে দেয়া লাগবে না। আমি ঠিক কোথাও একটা চলে যাবো।’

কথাটা বলেই উঠে চলে এলাম। দাদীর ঘরের দিকে পা বাড়ালাম আমি। বড্ড অভিমান হচ্ছে। সবাই কেন আমার সঙ্গে এমন করে! আমি জানি আমি বড় হয়েছি। বড় হয়ে গেলেই কি জীবন থেকে শৈশব হারিয়ে যায়? আনন্দ হারিয়ে যায়? আমার ভেতরে একটা আনন্দমুখর সত্তা ওদের কারণেই ম* রে গেছে।

দাদীর ঘরটা অন্ধকার। বাইরের আলোকরশ্মি এসে পড়ায় সামান্য আলোকিত হয়ে উঠেছে দরজাটা। আমি সেই আলোয় দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকেই বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লাম।

সত্যিই মাঝেমাঝে কোথাও একটা চলে যেতে ইচ্ছে করে। যেখানে গেলে নিজের মতো যা ইচ্ছে হয় করতে পারবো। পরক্ষণেই ছোটচাচার কথা মনে পড়ে গেলো আমার। ছোটচাচা আমাকে অসম্ভব স্নেহ করেন। চাচাকে বলবো আমাকে তোমার সঙ্গে নিয়ে চলো। চাচার ছেলে রোহানকে বাবা দত্তক নিয়েছে। তাহলে এবার আমাকে চাচার কাছে দত্তক দিয়ে দিবো। আর ভালো লাগেনা এসব।

হঠাৎ আমার সামনে একটা ফোনের আলো জ্বলে উঠলো। আমি চমকে উঠলাম। অন্ধকারের মাঝে সেই আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো একটা মুখ। বাবরি চুল!

আমার হার্টবিট এক লাফে চান্দে উঠে গেছে! কোনোমত নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, ‘আপনি এখানে কেন?’

সে বোধহয় আমাকে খেয়াল করেনি। করবেই বা কীভাবে! পুরো রুম যে অন্ধকার। আমি বললাম, ‘আপনি এখানে ভূতের মতো বসে আছেন কেন?’

সে ফিক করে হেসে বললো, ‘আমি এখানে বিগত এক ঘন্টা যাবত বসে আছি। আপনিই ভূতের মতো নিঃশব্দে প্রবেশ করেছেন। ঘরে যে কেউ থাকতে পারে, সেটা খেয়ালই করেননি।’
আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘আচ্ছা! তাই না? দরজা বন্ধ করেননি কেন?’

‘রোহান আসবে। রোহান থাকবে আমার সঙ্গে।’

‘এটা আমার ঘর। আমি এখানে থাকবো। আপনি যান এখন।’

‘এখানে আমাকে ঘুমাতে বলা হয়েছে।’

‘আশ্চর্য! আমি এখানে ঘুমাবো। আপনাকে আবার কে বলেছে এখানে ঘুমাতে? একটা ছেলে কীভাবে আমার সঙ্গে ঘুমাবে? ফাজলামো যত সব।’

‘মিস মীরা…’

‘জি।’

‘আপনি কি ইচ্ছে করেই এমন কথা বলেন? নাকি আপনি এরকমই অবুঝ?’

‘মানে?’

‘একটু আগে যেটা বললেন। সচরাচর মানুষের মুখ দিয়ে এ ধরনের কথা আসে না। আপনি কি আসলেই এরকম অবুঝ নাকি ভান ধরেন?’

আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। একটু আগে কি বলেছি আমি? খারাপ কিছু তো বলিনি। চুপ করে কয়েক সেকেন্ড ভাবলাম। সমীকরণ মেলাতে কষ্ট হলো না। যা বলেছি তাতে আমার বুদ্ধি যে হাঁটুর নিচে, এটাই প্রমাণিত হয়েছে। সত্। সত্যিই কথাটা বলা উচিত হয়নি।

আমি লজ্জিত স্বরে বললাম, ‘মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। আপনি কথার নেগেটিভ অর্থ দাঁড় করালে আমার তো দোষ নয়। আমি বিষয়টা সহজভাবে বলেছি। আপনি অযথা নেগেটিভলি নিয়েছেন।’

‘আচ্ছা, সরি। আপনার চাচা আমাকে এই রুমে ঘুমাতে বলেছে। আমি কালকে সকালে টুকিটাকি কিছু কাজ সেরে দিয়ে চলে যাবো। তারপর এই রুম আপনার। বুঝেছেন?’

‘হুম। ঠিক আছে। এটা আগে বললেই তো হতো। অযথা ভুল বুঝাবুঝি হতো না। আই এম সরি৷ যাচ্ছি।’

আমি বের হয়ে এলাম ঘর থেকে। আনন্দ হচ্ছে খুব। কেন হচ্ছে জানিনা! কয়েক সেকেন্ড ভাববার পরে ধরতে পারলাম। আজকে প্রথম সরাসরি বাবরি চুলওয়ালার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে, এজন্যই আনন্দ পাচ্ছি। তাদের এত এত রেস্ট্রিকশন থাকার পরও আমাদের ঠিক আলাপ হয়ে গেলো। ইশ, মিস্টার মণ্ডল যদি এই ঘটনা দেখতো, নির্ঘাত হার্ট অ্যাটাক করতো। এটা ভেবে আরো এক দফা হাসি চলে এলো আমার।

চলবে..
নতুন পর্ব পোস্ট করা হবে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬/৭টায়।

(কেউ কপি করবেন না। পোস্ট করতে চাইলে শেয়ার করে রাখবেন কিন্তু কপি করা যাবে না।)

Share On:

TAGS: ,



CLICK HERE GO TO OUR HOME PAGE
Related Posts
 

0 Responses

Leave a Reply